উইকিভ্রমণ থেকে

অযোধ্যা পাহাড়, পুরুলিয়া

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে জলাধার

অযোধ্যা পাহাড়, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতের একটা পর্যটন কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের রুক্ষ মালভূমি অঞ্চলের মধ্যে অযোধ্যা পাহাড় হল মানবদেহের ফুসফুসের মতো। প্রকৃতি মায়ের কোলে মানুষের খুশি হওয়ার সব উপকরণই আছে অযোধ্যা পাহাড়ে। আছে পাহাড়ের বুকে শীতল, স্বচ্ছ জলের ঝিল, মাটির সোঁদা গন্ধ, হারিয়ে যাওয়ার মতো ঘাসের গালিচামোড়া শাল-সেগুনের বনবীথি! সরকারি যুব আবাসে দিব্যি দুটো দিন কাটিয়ে প্রকৃতির অনাবিল আনন্দ বন্ধুপরিজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়!

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

  • কলকাতা থেকে (হাওড়া স্টেশন) ট্রেনে পুরুলিয়া। পুরুলিয়া থেকে চারচাকা গাড়িতে আরষা হয়ে অযোধ্যা পাহাড়।
  • কলকাতা থেকে দিন/রাত সাধারণ/বাতানুকূল বাসে পুরুলিয়া হয়ে চারচাকায় অযোধ্যা পাহাড়।
  • কলকাতা থেকে নিজের গাড়িতে আরামবাগ, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আরষা হয়ে আনুমানিক ৩২০ কিলোমিটার অযোধ্যা পাহাড়।

কোথায় থাকবেন?[সম্পাদনা]

  • 1 কুশল পল্লী রিসোর্ট, কচুরেখা পাহাড়, অযোধ্যা পাহাড়ের চূড়া, পুরুলিয়া (পুরুলিয়া জংশন থেকে অযোধ্যা পাহাড় রোড হয়ে ৪২.২ কিমি পথ), +৯১ ৯৩৩ ০২৩ ৬৮৭৬আগমন: সকাল ১১.০০, প্রস্থান: সকাল ১১.০০জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত বিলাসবহুল রিসোর্ট। ৫০০০ টাকা থেকে
  • অযোধ্যা পাহাড় যুব আবাস, অযোধ্যা পাহাড়ের চূড়া, পুরুলিয়া, ০৬২৯২২৪৮৮৭০অযোধ্যা পাহাড়ের যুব আবাসের বুকিং কলকাতার বিবিডি বাগের পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিস্ট ব্যুরোর কার্যালয় থেকে করা যায়।
  • পুরুলিয়া শহরের হোটেলে রাত্রিবাস করে সকালে অযোধ্যা পাহাড়ের চারচাকা গাড়ি ধরেও পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া যায়।

কী খাবেন?[সম্পাদনা]

  • স্থানীয় খাবারের হোটেলে আমিষ এবং নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়।
  • সরকারি যুব আবাসে জলের ব্যবস্থাসহ রান্নাঘর আছে। সেখানে দিব্যি রান্না করে খাওয়া যায়। অন্যথায় আগে থেকে অর্ডার দিলে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।