আশখাবাত (তুর্কমেন: আশখাবাত, এছাড়াও আশকাবাত, আশখাবাদ, আশকাবাদ নামে পরিচিত) তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী শহর, যা আহাল প্রদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত। শহরটিকে পরিকল্পিতভাবে একটি বিশাল রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে ব্যয়বহুল সাদা মার্বেল পাথরে আবৃত অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ ও ভবন দাঁড়িয়ে আছে।



বুঝুন
[সম্পাদনা]আশখাবাতের প্রাচীন নাম ছিল “ভালোবাসার শহর”। তবে আধুনিক কালে এর নতুন নাম “সাদা মার্বেলের শহর” হয়তো আরও মানানসই।
১৯৮৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাপারমুরাত নিয়াজভ। তাঁর আমলেই এই শহর এক ধূসর সোভিয়েত রাজধানী থেকে রূপ নেয় একেবারে সাদা মার্বেলের ঝলমলে নগরীতে। শহরের বহু ভবনে এমন প্রতীকী নকশা ব্যবহৃত হয়েছে যা অনেকের কাছে অতি জাঁকজমকপূর্ণ মনে হয়। এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হলো বিশ্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভবন।
পিয়ংইয়ং এর পর আশখাবাতই সম্ভবত সবচেয়ে বড় উদাহরণ, যেখানে একটি শহরকে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সম্পূর্ণ নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। বেশিরভাগ ভ্রমণকারী প্রথম দর্শনে শহরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন, কিন্তু পরে একঘেয়ে সাদৃশ্য দেখে খানিকটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
| আশখাবাত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| জলবায়ু চার্ট (ব্যাখ্যা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কীভাবে পৌঁছাবেন
[সম্পাদনা]বিমানে
[সম্পাদনা]- 1 আশখাবাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ASB আইএটিএ)। ২০১৮ সালের এপ্রিল অনুযায়ী আশখাবাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিম্নলিখিত ফ্লাইট চলাচল করে:
বেলাভিয়া – মিন্স্ক; চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স – উরুমকি; ফ্লাইদুবাই – দুবাই; লুফথানসা – বাকু, ফ্রাঙ্কফুর্ট; এস৭ এয়ারলাইন্স – মস্কো; টার্কিশ এয়ারলাইন্স – ইস্তাম্বুল; তুর্কমেনিস্তান এয়ারলাইন্স – আবুধাবি, আলমাটি, অমৃতসর, বালকানাবাত, ব্যাংকক, বেইজিং, বার্মিংহাম, দাশোগুজ, দিল্লি, দুবাই, ফ্রাঙ্কফুর্ট, ইস্তাম্বুল, কাজান, লন্ডন–হিথ্রো, মারি, মিন্স্ক, মস্কো, প্যারিস (শার্ল দ্য গল), সেন্ট পিটার্সবার্গ, তুর্কমেনাবাদ, তুর্কমেনবাশি, ইয়েরেভান।
আশখাবাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন। এখান থেকে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করা তুলনামূলকভাবে সহজ।
রেলে
[সম্পাদনা]তুর্কমেনদেমিরইওল্লারি (তুর্কমেনিস্তান রেলপথ) তুর্কমেনবাশি ও তুর্কমেনাবাদ থেকে মারি হয়ে আশখাবাত পর্যন্ত ট্রেন চালায়।
তুর্কমেনবাশি থেকে প্রতি দুই দিন অন্তর সন্ধ্যা ১৯:৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ে এবং পরদিন সকাল ০৫:২০ মিনিটে আশখাবাতে পৌঁছায়। প্রতিদিন বিকেল ১৬:০৫ মিনিটেও একটি ট্রেন ছাড়ে, যা পরদিন সকাল ০৫:৫০ মিনিটে পৌঁছায়। আশখাবাত থেকে তুর্কমেনবাশি বা মারি পর্যন্ত স্লিপার ট্রেনে ভাড়া পড়বে প্রায় ১৮ থেকে ২৫ মানাত।
তুর্কমেনাবাদ থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ১৮:০০ টায় এবং মারি থেকে রাত ০০:২৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ে, যা সকালে ০৮:২০ মিনিটে আশখাবাতে পৌঁছায়। এছাড়া প্রতি দুই দিন অন্তর রাত ২১:৫৫ মিনিটে তুর্কমেনাবাদ থেকে একটি ট্রেন ছাড়ে, যা রাত ০২:৫০ মিনিটে মারিতে থামে এবং সকাল ০৯:৩৫ মিনিটে আশখাবাতে পৌঁছায়। আরেকটি দিনের ট্রেন ভোর ০৪:২০ মিনিটে তুর্কমেনাবাদ থেকে ছাড়ে, সকাল ১০:২৩ মিনিটে মারিতে থামে এবং বিকেল ১৮:৩৫ মিনিটে আশখাবাতে পৌঁছায়।
এই ট্রেনগুলো শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, স্থানীয় জীবনযাত্রার স্বাদ পাওয়ারও একটি অনন্য সুযোগ। পথে মরুভূমি, গ্রামীণ প্রান্তর আর ছোট ছোট শহরের দৃশ্য ভ্রমণকে করে তোলে ভিন্ন অভিজ্ঞতায় ভরপুর।
সড়কে
[সম্পাদনা]সড়কপথে আশখাবাতের দূরত্ব নিম্নরূপ: আলমাটি (কাজাখস্তান) – ২১২০ কিমি, বিশকেক (কিরগিজস্তান) – ১৮৭০ কিমি, তাশখন্দ (উজবেকিস্তান) – ১২৯০ কিমি, সামারকন্দ (উজবেকিস্তান) – ১০০০ কিমি, শাকরিসাবজ (উজবেকিস্তান) – ১১০০ কিমি, তুর্কমেনাবাদ – ৫৯০ কিমি, মারি – ৩৫০ কিমি, মাশহাদ (ইরান) – ২৭০ কিমি, দাশোগুজ – ৬৫০ কিমি।
সড়কপথে ভ্রমণ তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর হতে পারে, তবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে বাস বা গাড়িতে আসা সম্ভব। বিশেষ করে ইরান সীমান্তবর্তী মাশহাদ থেকে আশখাবাতের দূরত্ব কম হওয়ায় এই রুটটি ভ্রমণকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মরুভূমির পথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কখনও রোমাঞ্চকর, আবার প্রস্তুতি না থাকলে তা ক্লান্তিকরও হতে পারে।
শহরের ভেতরে চলাচল
[সম্পাদনা]আশখাবাত শহরে চলাফেরার সবচেয়ে প্রচলিত ও সহজ উপায় হলো ট্যাক্সি। তবে স্থানীয়রা এটিকে প্রায়শই ‘‘হিচহাইকিং’’ বলে থাকেন। পদ্ধতিটি খুবই সহজ—রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে হাত সামান্য নিচের দিকে নামিয়ে দুই আঙুল প্রসারিত করে সংকেত দিলেই হয়। সাধারণত একটি গাড়ি, বেশিরভাগ সময়েই লাদা ব্র্যান্ডের, থেমে যাবে। চালককে শুধু গন্তব্যস্থলের নাম বলতে হবে। যদি তিনি সম্মতি দেন তবে উঠে পড়তে পারেন, আর না হলে পরবর্তী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ভাড়া সাধারণত প্রতি যাত্রীর জন্য প্রায় ২ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ হয়। আশখাবাতে এভাবে চলাচল নিরাপদ, কারণ প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় স্থানীয়রাই এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করেন।
সরকারি অনুমোদিত অফিসিয়াল ট্যাক্সিও আছে। এগুলো বিমানবন্দরের আগমন টার্মিনাল বা রেলস্টেশনের কাছে সহজেই পাওয়া যায়। খরচ তুলনামূলক বেশি হলেও এগুলো নির্ভরযোগ্য ও আরামদায়ক। শহরে নতুন আগত অনেক ভ্রমণকারী নিরাপত্তার কারণে এসব ট্যাক্সি বেছে নেন।
আশখাবাতে একটি বিস্তৃত ও সুবিধাজনক বাসব্যবস্থাও রয়েছে। এর কেন্দ্র হলো ‘‘টেকে বাজার’’। এখান থেকে শহরের যেকোনো জায়গা কিংবা আশপাশের এলাকায় বাস পাওয়া যায়। শহরের আধুনিক অংশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসস্টপ রয়েছে, যেখানে প্রতিটি লাইনের রুটম্যাপ ঝোলানো থাকে। ফলে যাত্রীরা সহজেই গন্তব্য অনুযায়ী বাস চিনে নিতে পারেন।
বাসে একবারের যাত্রার খরচ ০.৫০ মানাত। নিয়ম হলো, গন্তব্যে পৌঁছে নামার আগে চালকের আসনের পাশে রাখা ঝুড়িতে ভাড়া ফেলে দিতে হয়। যাদের কাছে একাধিক যাত্রার টিকিট বা কার্ড থাকে, তারা শুধু চালককে দেখালেই হয়। এ কারণে অনেকে দীর্ঘমেয়াদি কার্ড ব্যবহার করেন।
শহরে ট্যাক্সি ও হিচহাইকিং দ্রুত ও সরাসরি যাতায়াতের জন্য ভালো হলেও, বাসব্যবস্থা আরও সাশ্রয়ী এবং শহরের আসল পরিবেশ বুঝতে সাহায্য করে। ভ্রমণকারীরা সাধারণত পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুযায়ী দুই ধরনের ব্যবস্থাই ব্যবহার করেন।
দেখুন
[সম্পাদনা]জাদুঘর
[সম্পাদনা]- 1 জাতীয় জাদুঘর, ৩০ আর্চাবিল সায়োলি (কোপেত দাগ পর্বতের সামনেই), ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৫৪৯৫৪।
09:00-17:00। এই জাদুঘরটি বেশ বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ। প্রথম গ্যালারিতে রয়েছে স্বাধীনতার পর তুর্কমেনিস্তানের ইতিহাস। দ্বিতীয় গ্যালারি (উপরতলায়) প্রাচীন ইতিহাসের প্রতি নিবেদিত, যেখানে ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন এবং মারজিয়ানা থেকে সংগৃহীত প্রত্নবস্তু প্রদর্শিত হয়। তৃতীয় গ্যালারিতে নিসা নামের পার্থীয় প্রত্নস্থল থেকে পাওয়া নিদর্শন রয়েছে। চতুর্থ গ্যালারিতে রয়েছে মধ্যযুগীয় মারভ নগরীর মডেল, কুনিয়ে উরগেঞ্চ ও আনাউ–এর ডায়োরামা এবং বিখ্যাত ‘‘মারভ ফুলদানি’’। পঞ্চম ও ষষ্ঠ গ্যালারিতে রাখা হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, রূপার গহনা ও নারীদের পোশাক। সপ্তম গ্যালারিতে (নিচতলায়) রয়েছে বিশাল ২০ মিটার × ১৩ মিটারের একটি কার্পেট, যা দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।
১০ মার্কিন ডলার, ক্যামেরার জন্য ১ ডলার।
- 2 ফাইন আর্টস জাদুঘর (ন্যায়পাল প্রাসাদের পশ্চিমে), ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫১৫৬৬।
বুধবার-সোমবার 09:00-18:00। এই জাদুঘরের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট নিয়াজভের বিশাল চিত্রকর্ম ‘‘আবন্ডেন্স অব দ্য হারভেস্ট’’ রাখা আছে। স্বাধীনতা গ্যালারিতে জাতির বীরপুরুষ ওগুজ খান, তোগরুল বেগ, আল্প আরসালান এবং কবি সেইদির ভাস্কর্য রয়েছে। এখানে আর্নাউ মসজিদের ড্রাগন ফ্রিজের প্রতিরূপও দেখা যায়। এছাড়া ১৯৫০ সালের আগে ও পরে আঁকা তুর্কমেন চিত্রকলার সমৃদ্ধ সংগ্রহ আছে। প্রথম তলায় ১৯শ শতকের রাশিয়ান শিল্পকর্ম ও ইউরোপীয় শিল্পকর্ম সংরক্ষিত, যার মধ্যে তিয়েপলো ও পুসাঁর কিছু কাজও রয়েছে।
১০ মার্কিন ডলার।
- 3 তুর্কমেন কার্পেট জাদুঘর, ৫ গেওরোগলি কেচেসি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯৮৮৭৯।
সোমবার-শুক্রবার 10:00-13:00, 14:00-18:00। এই জাদুঘরে ১৮ ও ১৯ শতকের প্রাচীন কার্পেট থেকে শুরু করে সমগ্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত আধুনিক কার্পেট প্রদর্শিত হয়। এখানে একটি প্রায় ২০০ বর্গমিটারের বিশাল কার্পেট আছে, যা মূলত বলশোই থিয়েটার, মস্কোর পর্দা হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু অতিরিক্ত ভারী হওয়ায় ব্যবহার করা যায়নি। জাদুঘরের গর্ব হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতবোনা কার্পেট, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃত। এটি ৩০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং তুর্কমেনিস্তানের স্বাধীনতার ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষে ৪০ জন কারিগরের হাতে বোনা হয়েছিল।
১২,০০০ মানাত।
- 4 তুর্কমেন জাতীয় ঐতিহ্য জাদুঘর (স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভের ভেতরে), ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৫১৯৫৪।
প্রতিদিন 09:00-12:30, 14:00-17:30। এই জাদুঘরের প্রথম তলায় নারীদের রূপার গহনা, ঘোড়ার সাজসজ্জার অলংকার এবং আলতিন দেপে থেকে পাওয়া সোনার ষাঁড় ও নেকড়ের মাথার ভাস্কর্যের প্রতিরূপ প্রদর্শিত হয়।
১০ মার্কিন ডলার, ছবি তুলতে ২৫,০০০ মানাত।
আশখাবাতের এসব জাদুঘর শুধু ইতিহাস বা শিল্পকলার প্রদর্শনী নয়, বরং তুর্কমেন জনগণের সংস্কৃতি, জীবনধারা ও ঐতিহ্যের এক জীবন্ত দলিল। প্রতিটি জাদুঘর ভ্রমণকারীদের কাছে দেশের অতীত ও বর্তমানকে অনন্যভাবে তুলে ধরে, যা ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।
স্মৃতিস্তম্ভসমূহ
[সম্পাদনা]- 5 ওগুজখান প্রাসাদ, গালকিনিশ সড়ক। তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ। স্বাধীনতার আগে এটি প্রেসিডেন্ট সাপারমুরাত নিয়াজভের ব্যক্তিগত বাসভবন ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর নতুন প্রাসাদ নির্মিত হয়। এখানে ছবি তোলা প্রায় নিষিদ্ধ, তাই দর্শনার্থীদের সতর্ক থাকতে হয়।
- 6 তুর্কমেনিস্তান স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ (শহরের কেন্দ্র থেকে ১৬ বা ৩৪ নম্বর বাসে পৌঁছানো যায়)। আশখাবাতের অন্যতম প্রধান নিদর্শন। এটি তুর্কমেনিস্তান স্বাধীনতা পার্কের দক্ষিণে অবস্থিত, যার বিস্তৃতি প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা ও ১ কিলোমিটার চওড়া এলাকাজুড়ে। এর চারপাশে তুর্কমেন ইতিহাসের বহু বীরপুরুষ ও কবির ভাস্কর্য রয়েছে, যেমন—সেলজুক বেগ, ওগুজ খান, মাহতুমগলি, সুলতান সানজার, গোরোগলি, আল্প আরসালান, মালিক শাহ, কেইমির কোর, জেলিলি, সিদি, উজুন হাসান, এরতোগরুল গাজি, বাইরাম খান, মোল্লা নেপেস, মাতাজি, গারা ইউসুপ, তোগরুল বেগ, গোরকুত আতা এবং কেমিনে।

- 7 আশখাবাত পতাকাদণ্ড (জাতীয় জাদুঘরের সামনে)। একসময় এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্বতন্ত্র পতাকাদণ্ড। বর্তমানে এর উচ্চতা ১৩৩ মিটার, যা এখনো অন্যতম উঁচু পতাকাদণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।
- 8 ইনস্পিরেশন পার্ক। এটি একটি লম্বা উদ্যান, যেখানে রয়েছে ঝরনা এবং প্রাচীন ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের ভাস্কর্য। এখানে হাঁটলে পুরোনো ইতিহাস আর আধুনিক শহরের সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ অনুভূত হয়।
- 9 বিবাহ প্রাসাদ, ☏ +৯৯৩ ১২ ৯৫ ৫৭ ৫৪। আশখাবাতের বিশেষ একটি স্থাপনা যেখানে বিবাহ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ভবনটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যেন এটি একটি জ্যামিতিক পাঠ্যবইয়ের বাস্তব চিত্র।
- 10 নিরপেক্ষতা স্মৃতিস্তম্ভ, আর্চাবিল মহাসড়ক। তুর্কমেনিস্তান নিজেকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করলেও এই স্মৃতিস্তম্ভ অনেকের কাছে নিয়াজভের ব্যক্তিপূজার প্রতীক বলে মনে হয়। তাঁর মৃত্যুর পর এটি বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়।
- 11 সংবিধান স্মৃতিস্তম্ভ, আর্চাবিল মহাসড়ক। তুর্কমেনিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থাপনা। ভেতরে রয়েছে একটি জাদুঘর ও ক্যাফেটেরিয়া। দর্শনার্থীরা এখানে দেশের ইতিহাস জানতে পারে এবং বিশ্রাম নিতে পারে।
- 12 হাল্ক হাকিদাসি স্মারক কমপ্লেক্স। একটি বিশাল স্মারক উদ্যান যেখানে একাধিক ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের স্মৃতি লিপিবদ্ধ আছে। ১৮৮১ সালের গোক তেপে যুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৪৮ সালের ভয়াবহ আশখাবাত ভূমিকম্প—সব কিছুর স্মৃতি এখানে সংরক্ষিত। বিশেষ করে ভূমিকম্পে শহর প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, আর এই স্মারক সেই হারানো প্রাণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
ধর্মীয় স্থানসমূহ
[সম্পাদনা]- 13 তুর্কমেনবাশি রুহি মসজিদ ও মাজার। আশখাবাতের প্রধান মসজিদ, যা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাপারমুরাত নিয়াজভের সমাধির জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত। মসজিদটির স্থাপত্য অনন্য এবং এটি তুর্কমেনিস্তানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
- 14 এরতোগরুল গাজি মসজিদ। তুরস্কের পক্ষ থেকে নির্মিত একটি বিশাল মসজিদ। যদিও অনেকে এর নির্মাণকালে কিছু দুর্ঘটনার কারণে কুসংস্কার ছড়িয়েছে, তবুও এর নকশা ও স্থাপত্য ভ্রমণকারীদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- 15 তলকুচকা বাজার (আশখাবাত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তরে, বিমানবন্দরের পাশে)।
শনিবার ও রবিবার ০৮:০০–১৪:০০। মধ্য এশিয়ার অন্যতম রঙিন ও প্রাণবন্ত বাজার। এখানে স্থানীয় কৃষিপণ্য, কারুশিল্প, কাপড় ও নানা সামগ্রী মেলে। এটি শুধু কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
- 16 তুর্কমেনবাশি কেবলওয়ে, কোপেত দাগ (জাতীয় জাদুঘরের দক্ষিণে)।
০৯:০০–২২:০০। ২০০৬ সালে চালু হওয়া এই কেবলকার প্রায় ১২৯০ মিটার উচ্চতায় উঠে যায়। এখান থেকে শহরের মনোরম দৃশ্য এবং পেছনের মরুভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে ভরে যায়। পর্যটকেরা এখানে এসে আশখাবাতের দিগন্তবিস্তৃত রূপ আর প্রাকৃতিক পরিবেশের অনন্য সমন্বয় উপভোগ করতে পারেন।
১০০০ মানাত।
- 17 জেইতুন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান (আশখাবাত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে, কারাকুম মরুভূমির বালুকাময় অঞ্চলে)। জেইতুন তুর্কমেনিস্তানের প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের একটি। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে গড়ে ওঠা এই বসতি মধ্য এশিয়ায় কৃষির প্রথম প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত। ১৯৫৭ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ ভি. এম. মাসন খননকাজ শুরু করেন। প্রায় ৫,০০০ বর্গমিটার জুড়ে থাকা এ বসতিতে ৩০–৩৫টি ছোট গোলাকার বাড়ি ছিল, যেখানে প্রায় ২০০ জন মানুষ একসাথে বাস করত। প্রতিটি বাড়ি শক্ত মাটির ব্লক দিয়ে তৈরি, ভিতরে বড় চুল্লি ও আঙিনা থাকত। এখানকার মানুষ বার্লি ও দুটি প্রজাতির গম চাষ করত, আর পাথরের ব্লেডযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করত। এটি ছিল পরিবারভিত্তিক এক কৃষিভিত্তিক সমাজের প্রতিচ্ছবি।
করুন
[সম্পাদনা]আশখাবাতের সাংস্কৃতিক জীবন ঘুরে দেখার অন্যতম উপায় হলো থিয়েটারে যাওয়া। স্থানীয় নাটক, সংগীত ও নৃত্যের অনুষ্ঠান এখানে দর্শনার্থীদের গভীরভাবে আকর্ষণ করে।
- মোলানেপেস নাট্য থিয়েটার, ৭৯ মাগ্তিমগুলী সায়োলি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫৭৪৬৩।
বুধবার–শনিবার ১৯:০০। এখানে দর্শনার্থীরা স্থানীয় নাট্যকলা উপভোগ করতে পারেন। মঞ্চশিল্প ও অভিনয়ের মান অত্যন্ত উচ্চমানের, যা শহরের অন্যতম আকর্ষণ।
প্রায় ২৫ তেনগে।
- মাগ্তিমগুলী থিয়েটার, শেভচেঙ্কো কোচেসি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫০৫৬৪।
শুক্রবার–রবিবার ১৯:০০। এখানে তুর্কমেন সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা করা হয়। এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রাণবন্ত পরিচয় তুলে ধরে।
- পুশকিন রাশিয়ান থিয়েটার, ১৪২ মাগ্তিমগুলী সায়োলি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৬৫৪১৯৩।
শনিবার-রবি ১৯:০০। এটি রুশ ভাষার নাটক ও প্রদর্শনীর জন্য পরিচিত। আন্তর্জাতিক মানের মঞ্চশিল্প উপভোগ করার জন্য এটি দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।
US$0.25।
বিনোদন কেন্দ্র ও আকর্ষণ
[সম্পাদনা]- 1 তুর্কমেনবাশি কাহিনীর জগৎ, গারাশজিসলিক সায়োলি। এটি একটি বিনোদন পার্ক, যা তুর্কমেনবাশির লোককাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে। এর বিশেষ আকর্ষণ হলো ‘ম্যাজিক কার্পেট রাইড’, যেখানে তুর্কমেন কার্পেটের উপর বসে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উপভোগ করা যায়। পরিবারসহ, বিশেষ করে শিশুদের জন্য পার্কটি আনন্দদায়ক।
- 2 আলেম সেন্টার। ‘আলেম’ শব্দের অর্থ মহাবিশ্ব। এটি শহরের একটি বিখ্যাত বিনোদন কেন্দ্র। এখানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বন্ধ ফ্যারিস হুইল রয়েছে। এর উপর থেকে পুরো আশখাবাত শহরের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
- 3 আশখাবাত বোটানিক্যাল গার্ডেন (তুর্কমেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে)। এখানে বিশ্বের নানা অঞ্চলের প্রায় পাঁচশোর বেশি উদ্ভিদের প্রজাতি রয়েছে, যা বিভিন্ন জলবায়ু অনুযায়ী সাজানো। পুনর্গঠনের কারণে কিছু অংশ বন্ধ থাকতে পারে। প্রকৃতি ও উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উপভোগ করার জন্য এটি আদর্শ স্থান।
- 4 আশখাবাত গলফ ক্লাব, ☏ +৯৯৩ ৬৩ ৯৩ ৮৮ ৬৬।
প্রতিদিন 09:00-22:00। আশখাবাত গলফ ক্লাব একটি প্রিমিয়াম গলফ কোর্স। এটি তুর্কমেনিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে জ্যাক নিকলাসের সহায়তায় নির্মিত। শহরের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকা সত্ত্বেও এ গলফ ক্লাবটি গড়ে তোলা হয়।
- 5 আশখাবাত চিড়িয়াখানা (আন্তর্জাতিক হিপোড্রোমের পাশে)।
মঙ্গলবার-রবিবার 09:00-18:00। এখানে উট, গাধা এবং বিখ্যাত তুর্কমেন কুকুরসহ নানা প্রাণী রয়েছে, যারা কারাকুম মরুভূমির পরিবেশে মানিয়ে নিতে সক্ষম। এটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবার জন্য শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক।
কেনাকাটা
[সম্পাদনা]- 1 বেরকারার, আতাতুর্ক স্ট্রিট ৮০ (স্পোর্ট হোটেল/অলিম্পিক স্টেডিয়ামের বিপরীতে), ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৬ ৮৭ ৮৭।
প্রতিদিন 09:00-22:00। এটি একটি আধুনিক ও বিলাসবহুল শপিং মল। এখানে রয়েছে ঝকঝকে এস্কেলেটর, বরফের রিংক, তৃতীয় তলার রেস্তোরাঁয় উজবেক, তুর্কমেন ও ইউরোপীয় খাবারের ব্যবস্থা, সিনেমা হল এবং অ্যাট্রিয়াম। কেনাকাটার পাশাপাশি বিনোদনেরও সুযোগ মেলে।
তলকুচকা বাজার : আশখাবাত শহরের উত্তরে বিমানবন্দরের পাশে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শনিবার ও রবিবার সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকে, আর ছোট পরিসরে বৃহস্পতিবার সকালেও বসে। এখানে টেলপেক (ভেড়ার চামড়ার টুপি) ১০–১৫ ডলারে, খালাত (রঙিন ডোরা-কাটা পুরুষদের পোশাক) ১৫ ডলারে, আর সাধারণ লাল কার্পেট ১৫০–২৫০ ডলারে কেনা যায়। তবে কার্পেট বাইরে নিয়ে যেতে হলে ‘এক্সপার্ট কমিশন’-এর সার্টিফিকেট লাগবে, যা কার্পেট মিউজিয়ামের পেছনে গোরোগলি কোচেসি ৫ থেকে নেওয়া যায়।
- 2 হেমদেম হালি (ওগুজকেন্ট হোটেলের ভিতরে), ☏ +৯৯৩ ৬৫ ৮১ ১৩ ১৯।
সোমবার-শনিবার 09:00-20:00, রবিবার 10:00-20:00। এটি একটি জনপ্রিয় কার্পেটের দোকান। এখান থেকে কেনাকাটার সময় কার্পেট মিউজিয়াম থেকে এক্সপোর্ট পারমিট সংগ্রহ করা উচিত।
- 3 স্টেট শপিং সেন্টার গুলিস্তান (রাশিয়ান বাজার), ২০১১ স্ট্রিট, আজাদি স্ট্রিট ৭২ (গ্র্যান্ড তুর্কমেন হোটেলের বিপরীতে), ☏ +৯৯৩ ১২ ৯২ ০৭ ২৮।
প্রতিদিন 08:00-20:00। এটি একটি কেন্দ্রীয় বাজার। এখানে ফল, সবজি, পোশাক এবং নানা ধরনের হস্তশিল্প পাওয়া যায়। স্থানীয় মানুষ এবং ভ্রমণকারীদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় কেনাকাটার স্থান।
খাবার
[সম্পাদনা]- 1 হেজ্জেত রেস্তোরাঁ, ৫/৭ ওগুজহান সড়ক, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৯ ৮০ ০২।
প্রতিদিন ১০:০০–২৩:০০। এখানে আসল তুর্কমেন খাবার পরিবেশন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী ইয়ুর্টে বসে অথবা সাধারণ টেবিলে খাওয়ার সুযোগ আছে। জনপ্রিয় পদগুলোর মধ্যে রয়েছে শাশলিক এবং কিছু স্থানীয় বিশেষ খাবার। পরিবেশ বেশ ঐতিহ্যবাহী ও আরামদায়ক।
- 2 আলপএট স্টেকহাউস, ৯ কিলোমিটার সড়ক (হোটেল আশগাবাতের পাশে), ☏ +৯৯৩ ১২ ৯৫ ১৯ ৫১।
প্রতিদিন ০৮:০০–২৩:০০। এখানে রসালো স্টেক বিশেষ জনপ্রিয়। পাশাপাশি কফি ও হালকা পানীয়ও পাওয়া যায়। এটি শহরের কেন্দ্রীয় স্থানে হওয়ায় খাবারের জন্য বেশ সুবিধাজনক।
- আলটিন জাম, মাগ্তিমগুলী সায়োলি ১০১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৯৩-০২-২২। এখানে ইউরোপীয় খাবার ও মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হয়। আরামদায়ক পরিবেশের কারণে পরিবার নিয়ে আসা বেশ উপভোগ্য।
পানীয়
[সম্পাদনা]- সিটি পাব, আলিশের নাভোই ৫৪এ সড়ক। এটি একটি জনপ্রিয় পানশালা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পানীয় ও হালকা খাবার পাওয়া যায়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জন্য পরিবেশটি বেশ উপযোগী।
থাকার স্থান
[সম্পাদনা]- 1 ডিভান হোটেল, ৭০ গালকিনিশ সড়ক, ☏ +৯৯৩ ১২ ২২-১০-২৫, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ২২-১০-২৩, ইমেইল: ahal@online.tm। এই চারতারা হোটেলটিতে এয়ার কন্ডিশন, সুইমিং পুল, সাওনা, জিম ও জ্যাকুজি রয়েছে। যদিও কিছু সুবিধা পুরনো এবং দামের তুলনায় বেশি, তবে এটি শহরের অন্যতম সেরা হোটেল। এখান থেকে যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও বইয়ের দোকানে মাত্র ১০ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছানো যায়। রেস্তোরাঁয় ভালো মানের ইতালীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।
- 2 আর্চাবিল হোটেল (সাবেক প্রেসিডেন্ট হোটেল), ৫৪ আর্চাবিল সায়োলি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪০-০০-০০, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪০ ০০ ৪১, +৯৯৩ ১২ ৪০ ০২ ২২। উঁচু ভবনটি শহরের আকাশরেখা থেকেই নজরে পড়ে। এর স্থাপত্যশৈলী বেশ চিত্তাকর্ষক।
$161 (মে ২০২২)।
- 3 গ্র্যান্ড তুর্কমেন হোটেল (গোস্তিনিৎসা “গ্রান্ট তুর্কমেন”), ৭ জিওরোগলি সড়ক, ৭৪৪০০০ আশগাবাত, ☏ +৯৯৩ ১২ ৫১-০৫-৫৫, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৫১১২৫১, ইমেইল: grandhtl@online.tm। বড় ও বিলাসবহুল এই হোটেলটি শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। ব্যবসায়ী ও পর্যটক উভয়ের জন্যই এটি সুবিধাজনক।
- 4 হোটেল আক আলটিন, মাগ্তুমগুলী অ্যাভেনিউ ১৪১/১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৬ ৩৭ ০০, +৯৯৩ ১২ ৩৬৩৭০১, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৬৩৫৪৩, +৯৯৩ ১২ ৩৬ ৩৪ ৯৪, ইমেইল: akaltyn@online.tm। হোটেলটি ভিসা কার্ড গ্রহণ করে, তবে মাস্টারকার্ড নয়। এখানে ব্রিটিশ দূতাবাস ও আমেরিকান ইনফরমেশন সেন্টার রয়েছে। ইন্টারনেট সেবা ধীর হলেও কাছাকাছি টেলিকম ভবনে দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
প্রতি রাত ৭৫ ডলার।
- 5 হোটেল আহাল, ৩৫ আর্চাবিল সায়োলি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮-৮৭-৩৯, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮ ০১ ৯২, ইমেইল: ahal@online.tm। শহরের কেন্দ্রীয় স্থানে হওয়ায় পর্যটকদের জন্য এটি সুবিধাজনক ও আরামদায়ক।
- 6 হোটেল নেবিচি, ২৯ আর্চাবিল সায়োলি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮-৯৩-৬০, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮৯৩১২। স্থাপত্য ও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে হোটেলটি বেশ মানসম্মত। শহরের দর্শনীয় স্থানে পৌঁছানোও সহজ।
- 7 ইয়িল্ডিজ হোটেল, ২০০২/৫ (বাগ্তিয়ার্লিক), ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯ ০৯ ০০। বুর্জ আল আরবের মতো স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি এই হোটেলে ১৮ তলায় একটি প্যানোরামিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। এটি বিলাসবহুল ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন, যা শহরের অন্যতম সেরা হোটেল হিসেবে পরিচিত।
মানিয়ে নেওয়া
[সম্পাদনা]ইন্টারনেট
[সম্পাদনা]শহরের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট ক্যাফে পাওয়া যায়। প্রতি ঘণ্টার খরচ ৬ তুর্কমেন মানাত। ইয়িমপাস শপিং সেন্টার, গ্র্যান্ড তুর্কমেন হোটেল এবং রুশ বাজারে এই সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া সোফিতেল হোটেল, যা ওগুজ কেন্ট নামেও পরিচিত, সেখানে লবি ও বারে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যায়। (এসএসডি: Wireless; ব্যবহারকারীর নাম: white; পাসওয়ার্ড: city)
বিমান সংস্থা
[সম্পাদনা]অ্যারোফ্লট, তুর্কমেনিস্তান সোদওয়া মেরকাজি, মাগতিমগুলী সায়োলি ৭৩, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯৮৭৯২।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, গ্র্যান্ড তুর্কমেন হোটেল, গোরোগলি কুচেসি ৭১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৫১০৭৯৯।
লুফথানসা, মূল হলঘর, সাপারমুরাত তুর্কমেনবাশি বিমানবন্দর, ☏ +৯৯৩ ১২ ৫১০৬৮৪, +৯৯৩ ১২ ৫১০৩৩১।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, মাগতিমগুলী সায়োলি ৭১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৫১১৮৩৮।
তুর্কিশ এয়ারলাইন্স, আতাতুর্ক স্ট্রিট ৮২, অফিস এ৭-এ৮, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৬ ৯৯ ০১, +৯৯৩ ১২ ২৩ ২০ ৫৯।
তুর্কমেনিস্তান এয়ারলাইন্স, মাগতিমগুলী সায়োলি ৮২, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫২৬৪৩, +৯৯৩ ১২ ৩৯৪২৭১।
উজবেকিস্তান আভো ইয়োল্লারি (উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজ), মূল হলঘর, সাপারমুরাত তুর্কমেনবাশি বিমানবন্দর, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৭৮২০৩।
বেলাভিয়া, রাস্তা ২০২৮ (গভশুদোভা) ৫০/২, ৪র্থ তলা, ☏ +৯৯৩ ১২ ৯২ ৬৪ ০৯।
জরুরি অবস্থা
[সম্পাদনা]দমকলের জন্য ০১, পুলিশের জন্য ০২ এবং অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ০৩ নম্বরে ফোন করতে হবে। তবে খেয়াল রাখুন, অপারেটররা কেবল তুর্কমেন এবং রুশ ভাষায় কথা বলবেন।
দূতাবাস এবং কনসুলেট
[সম্পাদনা]আশখাবাতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং কনসুলেট রয়েছে, যা ভ্রমণকারী ও বিদেশী নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আফগানিস্তান, গারাশসিজলিক কুচেসি, বারজেঙ্গি, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮০৭৫৭, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮০৭২৬।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৭:০০।
আর্মেনিয়া, ইনজেনেরনায়া কুচেসি ৩৭, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫৪৪১৮, +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৫৪২, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৫৩৮, ইমেইল: eat@online.tm।
সোম–শুক্র ১০:০০-১২:০০।
আজারবাইজান, ২০৬২ কুচেসি ৪৪, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৬৪৬০৮, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৬৪৬৫১০, ইমেইল: azsefir_ashg@online.tm।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৩:০০, ১৪:০০-১৮:০০।
বেলারুশ, মাকসিম গোরকি কুচেসি ৮১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৩১১৮৩, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৩১১৮৫।
মঙ্গল–শুক্র ১৫:০০-১৮:০০।
চীন, ৪৫, আর্চাবিল স্ট্রিট, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮১৮১৫, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮১৮১৩, ইমেইল: chinaemb_tm@mfa.gov.cn।
মঙ্গল–শুক্র ১৫:০০-১৮:০০।
ফ্রান্স, আক আলতিন হোটেল, তৃতীয় তলা, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৬৩৫৫০, +৯৯৩ ১২ ৩৬৩৪৬৮, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৬৩৫৪৬।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৩:০০, ১৫:০০-১৭:০০।
1 জর্জিয়া, আজাদি কুচেসি ১৩৯a, ☏ +৯৯৩ ১২ ৯৩৩৯২৯, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৯৩৩৯১৪, ইমেইল: ashgabat.emb@mfa.gov.ge।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৮:০০।
জার্মানি, ২১০৯ (গোর্কি) কুচেসি ১৫০, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫৬৯৯৪, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৫৬৮০৪।
সোম, বুধ ০৯:০০-১২:০০।
ভারত, ইয়ুনুস এম্রে কুচেসি ১৫, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮৩৪৬৪, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮৩৬৪২।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৭:৩০।
ইরান, আর্চাবিল কুচেসি ৯২, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮০৮৩৮, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮১২৯৪।
রবি–বৃহস্পতি ০৮:০০-১৬:০০।
ইতালি, ২১০৯ (মাকসিম গোর্কি) কুচেসি ১৫৪, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫৫৪৫৪, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৫৫৩১৮, ইমেইল: ambasciata.ashgabat@esteri.it।
মঙ্গল–শুক্র ০৯:৩০-১২:৩০।
জাপান, ২১২৭ কুচেসি ২৪, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৬১৫৯১, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৬১৫৯৩, ইমেইল: embassyjpn@online.tm।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১২:৩০, ১৪:০০-১৭:৪৫।
কাজাখস্তান, মাগ্তিমগুলী সায়োলি ৮১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৩৯৫, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৪৭৭।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৩:০০, ১৫:০০-১৯:০০।
- কিরগিজস্তান (পতাকা) কিরগিজস্তান, আজাদি কুচেসি ৭২a, ☏ +৯৯৩ ১২ ২৭২৭৪৪, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ২৭২৭৪৪।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৮:০০।
মালয়েশিয়া, আজাদি কুচেসি ১৪১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৯৭২৬০০, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৯৭২৬০৩, ইমেইল: malashkb@online.tm।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১২:০০, ১৪:০০-১৭:০০।
পাকিস্তান, মিরাজ কুচেসি ৪, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৫৫০৮৬, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৫৪৯৭৩, ইমেইল: pakoembash@online.tm।
সোম–বৃহস্পতি ০৯:০০-১৭:০০, শুক্র ০৯:০০-১৩:০০।
পোল্যান্ড, আজাদি কুচেসি ১৬১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮০০৬১, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮০০৬২, ইমেইল: ashgabat.amb.sekretariat@msz.gov.pl।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৬:০০।
রাশিয়া, মিরা কুচেসি ১৫, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৪৪৪, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৫৩৩।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৩:০০, ১৪:০০-১৮:০০।
তুরস্ক, আজাদি কুচেসি ১৬৩, ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৮৯০১৯, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৪৮৯০১৮, ইমেইল: embassy.ashgabat@mfa.gov.tr।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১২:৩০, ১৪:০০-১৭:৩০।
ইউক্রেন, আজাদি কুচেসি ১৫৩, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৬৬৩, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৯৫৬৬৪, ইমেইল: emb_turkm@mfa.gov.ua।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৮:০০।
যুক্তরাজ্য, আজাদি কুচেসি ১৫৪, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৬৩৪৬৪, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৬৩৪৬৫।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৭:০০।
যুক্তরাষ্ট্র, ৯, ১৯৮৪ কুচেসি (১৯১৩), ☏ +৯৯৩ ১২ ৯৪৫৭০০, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৯৪৫৭৩৩, ইমেইল: usembassyashgab@state.gov।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৭:০০।
উজবেকিস্তান, আজাদি কুচেসি ৯১, ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯৪১২২, ফ্যাক্স: +৯৯৩ ১২ ৩৯৪১২১।
সোম–শুক্র ০৯:০০-১৩:০০, ১৪:০০-১৮:০০।
চিকিৎসা পরিষেবা
[সম্পাদনা]আশখাবাতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যা স্থানীয় এবং বিদেশী নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করে।
সেন্ট্রাল হাসপাতাল ১, এমরে কুচেসিতে অবস্থিত। যোগাযোগের নম্বর: ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৫০৩০৩ বা ☏ +৯৯৩ ১২ ৪৫০৩৩১। বিদেশী নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য অবশ্যই অর্থ প্রদান করতে হয়।
ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টার বারজেগিতে অবস্থিত। যোগাযোগের নম্বর: ☏ +৯৯৩ ১২ ৫১৯০০৬ বা ☏ +৯৯৩ ১২ ৫১৯০০৮।
লেচেবনি হাসপাতাল শেভচেঙ্কো সায়োলিতে রয়েছে। যোগাযোগের নম্বর: ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯০৮৭৭।
চিকিৎসক ডাঃ আরসলান নেপেসো তার ক্লিনিক পরিচালনা করেন তুর্কেমবাশি কুচেসি ১২৪-এ। যোগাযোগের নম্বর: ☏ +৯৯৩ ১২ ৪২৫২৫০।
নিবন্ধন
[সম্পাদনা]বিদেশী নাগরিকদের জন্য নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওভিআইআর (বিদেশী নাগরিকদের নিবন্ধনের জন্য রাষ্ট্রীয় পরিষেবা) ২০১১ কুচেসি ৫৭-এ অবস্থিত। যোগাযোগের নম্বর: ☏ +৯৯৩ ১২ ৩৯১৩৩৭। অফিসের সময়: সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ২টা থেকে ৫টা।
তুর্কমেনিস্তানে পর্যটক বা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে প্রবেশকারী সকল ব্যক্তিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধন করতে হয়। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন তিনটি পাসপোর্ট ছবি এবং এন্ট্রি কার্ড। সাধারণত যে ট্যুর অপারেটর আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তারা এই প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করবে। ট্রানজিট ভিসাধারীদের নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।
পরবর্তী গন্তব্য
[সম্পাদনা]আশখাবাত থেকে কাছাকাছি অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে:
- নিসা — আশখাবাত থেকে ১৫ কিমি পশ্চিমে, খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর একটি প্রাচীন বসতি।
- জিওক ডেপে — আশখাবাত থেকে ৫০ কিমি পশ্চিমে, যেখানে ১৮৮১/৮৪ সালে তুর্কমেন বাহিনী এবং সাজারিক বাহিনীর মধ্যে চূড়ান্ত যুদ্ধ হয়েছে। এখানে সাপারমুরাত হ্যাগস মসজিদ রয়েছে, যা তুর্কমেনবাশি প্রেসিডেন্ট নির্মাণ করেছেন।
- বাখারডেন — আশখাবাত থেকে ১০০ কিমি পশ্চিমে, কপেট দাগ পর্বতের কাছে অবস্থিত। এখানে কো আটা হ্রদ নামে একটি গুহা রয়েছে, যার উষ্ণ জল এবং সালফারের গন্ধ পাওয়া যায়। এটি আশখাবাতের মানুষদের জন্য সাপ্তাহিক ছুটিতে প্রিয় ভ্রমণস্থল।
- নখুর — আশখাবাত থেকে ১৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কপেট দাগ পর্বতের উপত্যকায় অবস্থিত। স্থানীয়রা দাবি করেন, তারা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সময়ের ম্যাসেডোনীয় যোদ্ধাদের সরাসরি বংশধর।
- আনাউ — আশখাবাত থেকে ১৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
- আলটিন ডেপে — প্রাচীন ইনোলিথিক ও ব্রোঞ্জ যুগের বসতি। সোভিয়েত সময়ে এটি ব্যাপকভাবে খনন করা হয়। এখানে বিশেষায়িত কুমারী এলাকা, ধনীদের এবং সাধারণ মানুষের বসবাসের পার্থক্য এবং একটি বিশাল পূজামণ্ডলীয় কমপ্লেক্স পাওয়া গেছে। খননের সময় ছোট একটি স্বর্ণের ভল্লুক এবং নেকড়ির মাথা পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ ভি.এম. মাসন অনুসারে, এই কমপ্লেক্সটি চাঁদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছিল, যেমন মেসোপটেমিয়ায়। এই স্থান খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
দূরবর্তী গন্তব্য
[সম্পাদনা]বিমানের মাধ্যমে
[সম্পাদনা]তুর্কমেনিস্তান এয়ারলাইন্স দেশীয় ফ্লাইট প্রদান করে। আশখাবাত থেকে দাশোগুজ-এ দৈনিক ৪টি ফ্লাইট, তুর্কমেনাবাদ-এ সোমবার ৩টি ফ্লাইট এবং সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে ৪টি ফ্লাইট, মেরি-এ দৈনিক ২টি ফ্লাইট, তুর্কমেনবাশি-এ সোমবার এবং শুক্রবার ৬টি ফ্লাইট, বাকি দিনগুলোতে ৫টি ফ্লাইট এবং কের্কি-এ প্রতিদিন এক ফ্লাইট। (আগস্ট ২০২৪ অনুযায়ী)
রেলের মাধ্যমে
[সম্পাদনা]তুর্কমেনিস্তান ডেমিরিওল্লারি (তুর্কমেনিস্তান জেলেজনিস) (☏ +৯৯৩ ১২ ২৫৫৫৪৫) আশখাবাত থেকে তুর্কমেনবাশি এবং তুর্কমেনাবাত-এ মেরি হয়ে ট্রেন চালায়। ট্রেন ২৪ আশখাবাত থেকে প্রতি দ্বিতীয় দিনে রাত ৮:৪০ এ ছেড়ে পরের দিন সকাল ৬:৫৫ টায় তুর্কমেনবাশি পৌঁছায়। ট্রেন ৬০৬ প্রতিদিন রাত ৮:১০ এ ছেড়ে পরের দিন সকাল ৯:১৫-এ তুর্কমেনবাশি পৌঁছায়। তুর্কমেনাবাদ এবং মেরি-এ ট্রেন দৈনিক সকাল ৭:৪০ এ ছেড়ে মেরি-তে বিকেল ৫:০০ এবং তুর্কমেনাবাদ-এ রাত ১১:০০ পৌঁছায়। ট্রেন ১৯৫ দৈনিক ১৭:২০ এ ছেড়ে পরের দিন ০৭:৩৫-এ তুর্কমেনাবাদ পৌঁছায়। ট্রেন ২১ প্রতি দ্বিতীয় দিনে ২২:১০ এ ছেড়ে মেরি-তে ০৫:২৫ এবং তুর্কমেনাবাদ-এ ০৯:৪০ এ পৌঁছায়।
৪ডব্লিউডির মাধ্যমে
[সম্পাদনা]দরভাজাতে যাওয়ার জন্য আশখাবাত সবচেয়ে ভালো স্থান হতে পারে। যাত্রা অফ-রোড এবং সাধারণ গাড়ি দিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই ৪ডব্লিউডি বা অভিজ্ঞ ড্রাইভার দিয়ে ভাড়া নেওয়া শ্রেয়।
