উইকিভ্রমণ থেকে

কুমারখালী উপজেলা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ২৫৮.৩৭ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২৩°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°০৯´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে পাবনা সদর উপজেলা ও পদ্মা নদী; দক্ষিণে শৈলকূপা উপজেলা; পূর্বে খোকসা উপজেলা এবং পশ্চিমে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে কুমারখালী উপজেলা সদরের দূরত্ব ১২২ কিলোমিটার এবং জেলা শহর হতে ১৬ কিলোমিটার। এখানে স্থলপথে আসতে হয়। তবে, বিমান বন্দর নেই বলে এখানকার কোনো স্থানে বিমানে সরাসরি আসা যায় না। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ নৌপথও ততটা উন্নত না-হওয়ায় সর্বত্র জলপথে আসা-যাওয়া করা যায় না।

আকাশপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানে ঢাকা থেকে যশোর; অতঃপর সড়ক পথে কুষ্টিয়া আসা যায়।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যাণ্ড থেকে কুমারখালী উপজেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবহনের মধ্যে আছে পর্যটক পরিবহন, স্কাই লাইন, পাবনা এক্সপ্রেস ইত্যাদি।

ঢাকা হতে কুমারখালী সড়ক পথে ২ ভাবে আসা যায় :

  1. ফেরী পারাপারের মাধ্যমে - ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ মহাসড়ক পথে পাটুরিয়া ফেরী ঘাট থেকে ফেরী পার হয়ে দৌলতদিয়া রাজবাড়ী মহাসড়ক পথে রাজবাড়ী হয়ে কুমারখালী;
  2. বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে - ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক পথে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জ-বনপাড়া মহাসড়ক পথে বনপাড়া হয়ে মহাসড়ক পথে পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে লালন সেতু পার হয়ে কুমারখালী উপজেলায়।

রেলপথ[সম্পাদনা]

কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যমুনা সেতু হয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রেন যোগে ভ্রমণ করা যায়। এই রুটের ট্রেন গুলোর মধ্যে চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস অন্যতম।

নৌপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই; কেবল অভ্যন্তরীণ দূরত্বে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নৌপথ ব্যবহৃত হয়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের প্রেস (১৮৫৭),
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী (১৮৬২),
  • লালন শাহ এর মাযার,
  • মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা,
  • বিপ্লবী বাঘা যতীনের বাড়ি,
  • মুগল আমলে নির্মিত বালিয়াকান্দি শাহী মসজিদ,
  • মুগল আমলে নির্মিত কুশলিবাসা শাহী মসজিদ,
  • মিয়াজান কাজীর মসজিদ (১৮৪০),
  • তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ মসজিদ (১৮৮৯),
  • কুমারখালী বড় জামে মসজিদ (১৮৯০),
  • শেরকান্দি হাজীর মসজিদ (১৮৮৭),
  • বাটিকামারা জামে মসজিদ,
  • খোরশেদপুর গোপীনাথ মন্দির (১৭৩৫),
  • রাজা সীতারামের মঠ,
  • মহিষখোলা দুর্গা মন্দির,
  • মির্জাপুরে বৌদ্ধ মঠ।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়ার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে আছে তিলের খাজা, কুঠি বাড়ির সামনে কুলফি। এখানে বেশ কিছু ভালো মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়।

রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

কুমারখালী শহরে রাত্রিযাপনের জন্য বেশ কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল আছে। রাত্রিযাপনের জন্য কিছু স্থান হচ্ছে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ও বিসিক রেষ্ট হাউস।

জরুরি নম্বর[সম্পাদনা]

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • ওসি, কুমারখালীঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ২২২।