উইকিভ্রমণ থেকে

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৩১৬.২৭ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২৩°৪২´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৮°৫৫´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°০৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে পাবনা সদরঈশ্বরদী উপজেলা; দক্ষিণে হরিণাকুন্ডশৈলকূপা উপজেলা; পূর্বে কুমারখালী উপজেলা এবং পশ্চিমে মিরপুরআলমডাঙ্গা উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ১১৮ কিলোমিটার এবং জেলা শহর হতে ১কিলোমিটার। এখানে স্থলপথে আসতে হয়। তবে, বিমান বন্দর নেই বলে এখানকার কোনো স্থানে বিমানে সরাসরি আসা যায় না। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ নৌপথও ততটা উন্নত না-হওয়ায় সর্বত্র জলপথে আসা-যাওয়া করা যায় না।

আকাশপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানে ঢাকা থেকে যশোর; অতঃপর সড়ক পথে কুষ্টিয়া আসা যায়।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ রয়েছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুষ্টিয়া জেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবহনের মধ্যে আছে পর্যটক পরিবহন, স্কাই লাইন, পাবনা এক্সপ্রেস ইত্যাদি।

ঢাকা হতে কুষ্টিয়া সড়ক পথে ২ ভাবে আসা যায় :

  1. ফেরী পারাপারের মাধ্যমে - ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ মহাসড়ক পথে পাটুরিয়া ফেরী ঘাট থেকে ফেরী পার হয়ে দৌলতদিয়া রাজবাড়ী মহাসড়ক পথে রাজবাড়ী হয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চৌড়হাস মোড় হয়ে কুষ্টিয়া সদরে;
  2. বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে - ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক পথে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জ-বনপাড়া মহাসড়ক পথে বনপাড়া হয়ে মহাসড়ক পথে পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে লালন সেতু পার হয়ে ভেড়ামারা কুষ্টিয়া মহাসড়ক পথে কুষ্টিয়ার মজমপুর হয়ে কুষ্টিয়া - ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলায়।

রেলপথ[সম্পাদনা]

কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যমুনা সেতু হয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রেন যোগে ভ্রমণ করা যায়। এই রুটের ট্রেন গুলোর মধ্যে চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস অন্যতম।

নৌপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই; কেবল অভ্যন্তরীণ দূরত্বে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নৌপথ ব্যবহৃত হয়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • মোহিনী মিল,
  • রেনউইক যঞ্জেশ্বর অ্যান্ড কোং,
  • গড়াই বাঁধ,
  • পৌরসভা ভবন,
  • কালেক্টরেট ভবন,
  • নফর শাহের দরগাহ,
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টেগর লজ,
  • কুষ্টিয়া সুগার মিল,
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,
  • বি,আর,বি গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ,
  • একদিল শাহের মাজার, পুরাতন কুষ্টিয়া,
  • রেজন শাহ এর মাজার, হাটশ হরিপুর,
  • কবি আজিজুর রহমান এর মাজার, হাটশ হরিপুর,
  • পদ্মা গড়াই মহনা ইকো পার্ক,
  • মনছুর শাহ এর দায়রা পাক, উদিবাড়ী,
  • ফকির আতর আলী শাহ্ এর মাজার, মোল্লাতেঘরিয়া,
  • মুগল আমলে নির্মিত ঝাউদিয়া মসজিদ,
  • শায়েস্তা খাঁর আমলের স্বস্তিপুর মসজিদ,
  • গোস্বামী দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৬০),
  • কুষ্টিয়া জিলা স্কুল,
  • শাহ সুজার মসজিদ,
  • পাটিকাবাড়ী শাহী মসজিদ,
  • কুঠিপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ,
  • লাহিনী কারিকরপাড়া দ্বিতল জামে মসজিদ,
  • কুষ্টিয়া বড় জামে মসজিদ,
  • ইসলামপুর শাহী মসজিদ,
  • গোস্বামী দুর্গাপুর রাধা রমণের মন্দির,
  • লাহিনী সর্বজনীন পূজা মন্দির,
  • চার্চ অব বাংলাদেশ।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়ার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে আছে তিলের খাজা, কুঠি বাড়ির সামনে কুলফি, জগদীশ মিষ্টান্ন ভান্ডার - বড় বাজার (চমচম), অশোক মিষ্টান্ন ভান্ডার ইত্যাদি। কুষ্টিয়া শহরে বেশ কিছু ভালো মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়। এন.এস. রোডের মৌবন মাসালা, শিশির বেকারিতে ভাল নাস্তা পাওয়া যায়। চৌড়হাস মোড়ে রান্নাঘর হোটেলও ভাল। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য আছে বড় বাজারের গান্ধী হোটেল। এছাড়াও রয়েছে: মমতাজ হোটেল, জাহাঙ্গীর হোটেল, বিসমিল্লাহ হোটেল, শিল্পী হোটেল, খাওয়া ও দাওয়া হোটেল, আলামিন হোটেল।

রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া শহরে রাত্রিযাপনের জন্য শহরে বেশ কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল আছে। রাত্রিযাপনের জন্য কিছু স্থান হচ্ছে এলজিইডি রেষ্ট হাউস, কুষ্টিয়া; পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রেষ্ট হাউস, কুষ্টিয়া; বিসিক রেষ্ট হাউস, কুষ্টিয়া; জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রেষ্ট হাউস, কুষ্টিয়া ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে : হোটেল নূর ইন্টারন্যাশনাল, পদ্মা হোটেল, হোটেল রিভারভিউ, হোটেল ড্রিমল্যান্ড, হোটেল বলাকা, হোটেল আজমিরী, শাহিন হোটেল, প্রিতম হোটেল।

জরুরি নম্বর[সম্পাদনা]

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • জাতীয় জরুরি সেবা: ৯৯৯