বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
গাড়িবিহীন ভ্রমণ
অস্ট্রেলিয়াকানাডানিউজিল্যান্ডযুক্তরাষ্ট্র

নিউজিল্যান্ড একটি দীর্ঘ কিন্তু সরু দেশ। দূর থেকে দেখলে মনে হতে পারে, গাড়ি ছাড়া ভ্রমণের জন্য এটি আদর্শ। কিন্তু বাস্তবতা ততটা সহজ নয়। এখানকার জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম এবং বেশিরভাগ মানুষই ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরশীল, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার অনেক অঞ্চলের চেয়েও বেশি। তাই গাড়ি ছাড়া নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ অবশ্যই সম্ভব, তবে এর জন্য কিছুটা বাড়তি পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়।

জানুন

[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বের অন্যতম গাড়ি-নির্ভর দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। কোন পরিমাপ ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে, এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমকক্ষ। এখানে গাড়ি কেনা ও চালানোর খরচও তুলনামূলকভাবে কম। ২০১৩ সালের জনগণনা অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের ৯২% পরিবারের অন্তত একটি গাড়ি এবং ৫৪.৫% পরিবারের দুটি বা তার বেশি গাড়ি রয়েছে। সরকারের গাড়ি-কেন্দ্রিক নীতি এবং দেশের ভৌগোলিক গঠনের কারণে—যেখানে ছোট ছোট শহরগুলো একে অপরের থেকে অনেক দূরে অবস্থিত—গণপরিবহন ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ ইউরোপ বা এশিয়ার তুলনায় বেশ সীমিত।

তবুও, ভালোভাবে পরিকল্পনা করলে গাড়ি ছাড়া নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ করা সম্ভব। আন্তঃনগর বাসের নেটওয়ার্ক বেশ ভালো, তবে বেশিরভাগ রুটে দিনে মাত্র একটি বাস চলাচল করে। তাই বাসের টিকিট এবং থাকার জায়গা—উভয়ই কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে বুক করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে। দূরপাল্লার ট্রেন আরামদায়ক এবং বাসের চেয়ে উন্নত মানের, কিন্তু সেগুলো মাত্র তিনটি রুটে সীমাবদ্ধ। ফলে বড় শহর ও জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে পৌঁছানো গেলেও, ছোট শহর বা গ্রামে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। গাড়ি থাকলে যেখানে এক ঘণ্টার জন্য থামা যেত, বাস বা ট্রেনে গেলে সেখানে অন্তত একদিনের জন্য থামতে হতে পারে।

বেশিরভাগ শহর ও ছোট নগর সহজেই হেঁটে ঘোরা যায়। প্রায় সব রাস্তার অন্তত একপাশে ফুটপাত থাকে, এবং যে কয়েকটি বড় রাস্তায় ফুটপাত নেই, সেগুলো সহজেই এড়িয়ে চলা যায়।

আপনি যদি কোনো আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান, তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি তারা আপনাকে শহর থেকে নিয়ে যান, কারণ নিজে থেকে তাদের বাড়িতে পৌঁছানো কঠিন হতে পারে।

এদিক-সেদিক ঘোরা

[সম্পাদনা]

দূরপাল্লার বাসে (কোচ) ভ্রমণ নিউজিল্যান্ডে ঘোরার একটি তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং পরিবেশবান্ধব উপায়। তবে বড় শহরগুলোর মধ্যেও বেশিরভাগ রুটে দিনে মাত্র একটি বাস চলাচল করে। নিউজিল্যান্ডের বেশিরভাগ রাস্তা যুক্তরাষ্ট্রের মহাসড়কের তুলনায় সরু ও সর্পিল, তাই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য নিজে গাড়ি চালানোর চেয়ে বাসে ভ্রমণ করা অনেক বেশি নিরাপদ এবং আরামদায়ক। আগে থেকে টিকিট কাটলে প্রায়শই আকর্ষণীয় ছাড় পাওয়া যায়।

ইন্টারসিটি কোম্পানির ডাবল ডেকার কোচ
  • ইন্টারসিটি নিউজিল্যান্ডের জাতীয় কোচ পরিষেবা, যা দেশজুড়ে ৬০০-রও বেশি গন্তব্যে যাতায়াতের সুযোগ দেয়। ইন্টারসিটি গ্রুপ তাদের আধুনিক বাসগুলোতে স্বেচ্ছায় ইউরোপীয় পরিবেশমান (ইউরোপীয় নির্গমন মানদণ্ড) চালু করেছে। তারা ইন্টারসিটি এবং নিউম্যানস লাইনের পাশাপাশি গ্রেটসাইটস নিউজিল্যান্ড, ফুলার্স গ্রেটসাইটস বে অফ আইল্যান্ডস এবং অসামএনজের' মতো ভ্রমণ পরিষেবাও পরিচালনা করে। বাসস্ট্যান্ডের ইন্টারসিটি টিকিট কাউন্টার বা আই-সাইট তথ্যকেন্দ্র থেকে টিকিট কেনা যায়। শিক্ষার্থী বা ইয়ুথ হোস্টেল সদস্যরা (যেমন বিবিএইচ, ওয়াইএইচএ, যাযাবর, আইএসআইসি) বিশেষ ছাড় পান। ইন্টারসিটির জাতীয় পরিষেবাতে ভাড়া ১ ডলার থেকে শুরু হয় (সঙ্গে বুকিং ফি যোগ হয়)। অনলাইনে টিকিট কাটলে সাধারণত ভাড়া কম পড়ে।
  • ট্রাভেলপাস. ইন্টারসিটির একটি পাস, যেখানে নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় ভ্রমণ রুট অনুযায়ী সাজানো "হপ-অন হপ-অফ" ধরনের নির্দিষ্ট ভ্রমণপথ অন্তর্ভুক্ত থাকে। জাতীয় পাসের মধ্যে ইন্টারআইল্যান্ডার ফেরি এবং মিলফোর্ড সাউন্ডে একটি নৌভ্রমণও রয়েছে। পাসটি এক বছরের জন্য বৈধ থাকে।
  • ফ্লেক্সি-পাস. এই পাসটি প্রিপেইড ফোন কার্ডের মতো নির্দিষ্ট ঘণ্টার ব্লকে বিক্রি হয় এবং ইন্টারসিটি, নিউম্যানস ও গ্রেটসাইটস নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি কোম্পানির নেটওয়ার্কে যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন। পাস ১৫ ঘণ্টা থেকে শুরু হয়, যা উত্তর দ্বীপের অকল্যান্ড থেকে ওয়েলিংটন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। ফ্লেক্সি-পাস ব্যবহার করে ইন্টারআইল্যান্ডার ফেরি এবং ফুলার্স গ্রেটসাইটস বে অফ আইল্যান্ডস-এর ডলফিন ট্যুরেও যাওয়া যায়। এই পাস অন্যকে হস্তান্তরযোগ্য এবং এক বছরের জন্য বৈধ।
  • ইস্ট ওয়েস্ট কোচেস. প্রতিদিন ওয়েস্টপোর্ট ও গ্রেমাউথ থেকে ক্রাইস্টচার্চ পর্যন্ত (আর্থারস পাস হয়ে) এবং ফেরত যাতায়াতের ব্যবস্থা।

অনেক বড় শহরে স্থানীয় বাস পরিষেবা থাকলেও, তা ইউরোপের সমমানের শহরের তুলনায় দুর্বল। ছোট শহরগুলোতে বাস পরিষেবা প্রায় নেই বললেই চলে। গ্রামীণ এলাকায় (দূরপাল্লার রুট বাদে) পরিষেবা সাধারণত খুবই সীমিত বা অনুপস্থিত।

কয়েকটি শহরে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে বাস ভাড়া দেওয়া যায়। ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি অঞ্চলের জন্য আলাদা কার্ড প্রয়োজন, তবে ২০২৬ সালের মধ্যে একটি জাতীয় কার্ড চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সাধারণত নগদেও ভাড়া দেওয়া যায়, তবে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। প্রধান কার্ডগুলো হলো:

  • বি কার্ড (ডানেডিন, হ্যামিলটন, হকস বে, ইনভারকারগিল, নেলসন, কুইন্সটাউন, টাউরাঙ্গা এবং হোয়াংগারেই)

বিমান পথে

[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ডে অভ্যন্তরীণ বিমানযাত্রা বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে; কিছু ক্ষেত্রে খরচ অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সমান। তবে উত্তর ও দক্ষিণ দ্বীপের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিমান প্রায়শই গাড়ি বা ট্রেনের চেয়ে সস্তা হয়।

বিমান সংস্থাগুলো ইলেকট্রনিক টিকিট ব্যবহার করে। ভ্রমণের সময় ছবিসহ পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। চেক-ইন সাধারণত ফ্লাইট ছাড়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে করতে হয়।

  • এয়ার নিউজিল্যান্ড, +৬৪ ৯ ৩৫৭ ৩০০০, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: ০৮০০ ৭৩৭ ০০০ নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থা, যা দেশের প্রায় সব প্রধান শহরে পরিষেবা দেয়। বড় শহরগুলোর মধ্যে জেট বিমান এবং ছোট শহরগুলোতে টার্বোপ্রপ বিমান চলাচল করে। বেশিরভাগ ভাড়াতেই ২৩ কেজির ১টি চেক-ইন ব্যাগ বিনামূল্যে বহন করা যায়, তবে সবচেয়ে সস্তা "গ্রাব-এ-সিট" ভাড়ায় এই সুবিধা থাকে না। সব ভাড়ায় ৭ কেজি হ্যান্ড লাগেজ অনুমোদিত।
  • জেটস্টার একটি স্বল্পমূল্যের বিমান সংস্থা, যা অকল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ডানেডিন, কুইন্সটাউন ও ওয়েলিংটনে ফ্লাইট পরিচালনা করে। চেক-ইন সময়সীমার ব্যাপারে তারা খুব কঠোর।

ট্রেনে

[সম্পাদনা]
মূল নিবন্ধ: নিউজিল্যান্ডে রেল ভ্রমণ

নিউজিল্যান্ডে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা ধীর এবং সীমিত। এগুলো মূলত পর্যটকদের জন্য একটি মনোরম অভিজ্ঞতা, যাতায়াতের কার্যকর মাধ্যম নয়। সময় যদি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে ট্রেনের চেয়ে গাড়ি চালিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কিউইরেল গ্রেট জার্নিস অফ নিউজিল্যান্ড ব্র্যান্ড নামে আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করে। এগুলো মূলত মনোরম দৃশ্যাবলির পর্যটন রুটে চলে এবং এতে লাইভ ধারাভাষ্য, বড় জানালা ও খোলা অবজারভেশন ক্যারেজের ব্যবস্থা থাকে।

  • নর্দার্ন এক্সপ্লোরার – অকল্যান্ড এবং ওয়েলিংটনের মধ্যে সপ্তাহে ৩ দিন চলাচল করে।
  • কোস্টাল প্যাসিফিক – ক্রাইস্টচার্চ এবং পিকটনের মধ্যে (কাইকোরা হয়ে) প্রতিদিন চলাচল করে (অক্টোবর থেকে এপ্রিল)।
  • ট্রান্সআল্পাইন – ক্রাইস্টচার্চ এবং গ্রেমাউথের মধ্যে প্রতিদিন চলাচল করে। এটি নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সুন্দর ট্রেন ভ্রমণ হিসেবে বিবেচিত।

সব দূরপাল্লার ট্রেনে একটি ডাইনিং কার থাকে। অনলাইনে টিকিট কেনার সময় বিদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য ভাড়া বেশি দেখানো হতে পারে, তাই নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর বা ফোনে টিকিট বুক করা লাভজনক হতে পারে।

এছাড়াও দুটি ছোট আঞ্চলিক ট্রেন রয়েছে:

  • টে হুইয়া – হ্যামিলটন এবং অকল্যান্ডের মধ্যে সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে।

ট্যাক্সিতে

[সম্পাদনা]

উবার বড় শহরগুলোতে পাওয়া যায়। ছোট শহর এবং শহরতলিতে স্থানীয় ট্যাক্সি পরিষেবা রয়েছে, যা আগে থেকে ফোনে বুক করা ভালো।

নৌকায়

[সম্পাদনা]

উত্তর ও দক্ষিণ দ্বীপের মধ্যে

[সম্পাদনা]
ইন্টারআইল্যান্ডারের কাইটাকি হল পাঁচটি ফেরির মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং ওয়েলিংটন-পিকটন রুটে চলে।
মূল নিবন্ধ: কুক স্ট্রেট ফেরি

উত্তর দ্বীপের ওয়েলিংটন এবং দক্ষিণ দ্বীপের পিকটনের মধ্যে দুটি সংস্থা যাত্রী ও গাড়ি পারাপারের জন্য ফেরি চালায়। যাত্রা সময় প্রায় ৩.৫ ঘণ্টা। এই নৌপথটি অত্যন্ত সুন্দর, তবে কুক প্রণালীর আবহাওয়া প্রায়শই প্রতিকূল থাকে, যার ফলে ফেরি বিলম্বিত বা বাতিল হতে পারে।

পিকটনের ফেরিঘাট রেলস্টেশনের কাছেই এবং কোস্টাল প্যাসিফিক ট্রেন ইন্টারআইল্যান্ডার ফেরির সাথে সংযোগ রক্ষা করে।

গাড়ি নিয়ে পারাপারের জন্য, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির ব্যস্ত সময়ে, আগে থেকে বুকিং করা আবশ্যক।

  • ইন্টারআইল্যান্ডার, +৬৪ ৪ ৪৯৮-৩৩০২, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: ০৮০০ ৮০২ ৮০২ Contact centre M–F 8AM–8PM, Sa–Su 8AM–6PM তিনটি ফেরি চালায়: আরাতেরে, কাইআরাহি এবং কাইটাকি
  • ব্লুব্রিজ (Strait Shipping), +৬৪ ৪ ৪৭১-৬১৮৮, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: ০৮০০ ৮৪৪ ৮৪৪ Contact centre 8AM–8PM daily. দুটি ফেরি চালায়: স্ট্রেইটসম্যান এবং স্ট্রেইট ফেরোনিয়া

অন্যান্য ফেরি

[সম্পাদনা]

পর্যটকদের জন্য খোলা বেশিরভাগ দ্বীপে ফেরি চলাচল করে। অকল্যান্ড এবং ওয়েলিংটনে কমিউটারদের জন্য হারবার ফেরি রয়েছে।

সাইকেল

[সম্পাদনা]

আপনি নিজের সাইকেল নিয়ে আসতে পারেন বা বড় শহরগুলোতে ভাড়া নিতে পারেন। আইন অনুযায়ী সাইকেল চালানোর সময় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। নিউজিল্যান্ডের হাইওয়েতে সাইকেল চালানো নিষিদ্ধ। সাইকেল চালানোর জন্য খুব কম সাইকেল লেন রয়েছে এবং মূল সড়কগুলোতে বাস ও ট্রাকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপদ ও সুন্দর সাইকেল ট্রেইল তৈরি করা হয়েছে, যা NZ সাইকেল ট্রেইল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

হিচহাইকিং (লিফট চাওয়া)

[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ডে হিচহাইকিং বেশ প্রচলিত। কয়েকটি হাইওয়ে ছাড়া বেশিরভাগ জায়গায় লিফট চাওয়া আইনসম্মত। পর্যটন এলাকাগুলোতে পর্যটকদের কাছ থেকে লিফট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

  • কোসিটস] – স্থানীয় রাইডশেয়ার সাইট।

পায়ে

[সম্পাদনা]

টে আরারোয়া ট্রেইল নিউজিল্যান্ডের উত্তর ও দক্ষিণ দ্বীপ জুড়ে কেপ রেইঙ্গা থেকে ব্লাফ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি দীর্ঘ হাঁটার পথ।

ট্যুর

[সম্পাদনা]

আপনি যদি নিজে পরিকল্পনা করতে না চান, তবে কোনো ট্যুর সংস্থার সাহায্য নিতে পারেন। তারা আপনার জন্য পরিবহন ও অন্যান্য সবকিছুর ব্যবস্থা করবে।

কোচ ট্যুর

[সম্পাদনা]
  • স্ট্রে ট্রাভেল বাস বাসের মাধ্যমে ভ্রমণ, কিছু ক্ষেত্রে হোটেল এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকপ্যাকার হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা।
  • এএটি কিংস একটি অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা, যারা হোটেলে থাকার সুবিধাসহ কোচ ট্যুর অফার করে।
  • এপিটি ট্যুরিং একটি অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা, যারা হোটেলে থাকার সুবিধাসহ কোচ ট্যুর অফার করে।

ক্রুজ জাহাজ

[সম্পাদনা]

কিছু ক্রুজ জাহাজ তাদের ভ্রমণপথে নিউজিল্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি সাধারণত একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের অংশ, যা অস্ট্রেলিয়া (সিডনি বা অন্য কোনো পূর্ব উপকূলের বন্দর) থেকে শুরু বা শেষ হতে পারে। ক্রুজ জাহাজ নিয়মিত যে সব বন্দরে আসে সেগুলো হলো অকল্যান্ড, টাউরাঙ্গা, নেপিয়ার, ওয়েলিংটন, ওয়ামারু, পোর্ট চালমার্স (ডানেডিনের জন্য) এবং ব্লাফ। জাহাজগুলো বে অফ আইল্যান্ডস এবং ফিয়র্ডল্যান্ডেও আসে।

দিনের ক্রুজ, যা কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয় (বা মাঝে মাঝে এক রাতের জন্য), অকল্যান্ড, পাইহিয়া, ওয়েলিংটন এবং মিলফোর্ড সাউন্ড থেকে চালানো হয়।

গাড়ি ছাড়াই সহজে ঘোরা যায় এমন কয়েকটি জায়গা:

অকল্যান্ডের বাস নেটওয়ার্কে ৪০টি রুট রয়েছে এবং কমিউটার রেল নেটওয়ার্ক দিনের বেলায় প্রতি ১৫ মিনিটে চলে।

ওয়েলিংটনের কমিউটার রেল নেটওয়ার্ক আশেপাশের অনেক এলাকাকে সংযুক্ত করে। শহরটি ছোট হওয়ায় কেন্দ্রের ভেতরে হেঁটে ঘোরা সুবিধাজনক।

নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য শহরের তুলনায় ক্রাইস্টচার্চ সাইকেল চালানোর জন্য সুবিধাজনক। তবে গণপরিবহন সীমিত, শুধু বাসই রয়েছে।

প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলো শহরের কেন্দ্র থেকে হাঁটার দূরত্বে। তবে শহরের বাইরের অনেক জায়গা গাড়ি ছাড়া ঘোরা কঠিন।

কুইন্সটাউনে ৫টি বাস রুট এবং একটি ফেরি রয়েছে, যা দিনে ও সন্ধ্যায় নিয়মিত চলে।

এখানে নিয়মিত গাড়ি পারাপারের ফেরি নেই, তাই সবাই গাড়ি ছাড়াই পৌঁছায়। দ্বীপটি পায়ে হেঁটে ঘোরার জন্য চমৎকার।

অকল্যান্ড থেকে এখানে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফেরি চলাচল করে। দ্বীপে বাস পরিষেবা এবং ১০০ কিমি দীর্ঘ হাঁটার পথ রয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]
This TYPE গাড়িবিহীন নিউজিল্যান্ড has রূপরেখা অবস্থা TEXT1 TEXT2

{{#assessment:প্রসঙ্গ|রূপরেখা}}