বিষয়বস্তুতে চলুন

43.838-110.705
উইকিভ্রমণ থেকে

গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যান হলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যানগুলির একটি, যা অবস্থিত রকি পর্বতমালায়, উত্তর-পশ্চিম ওয়াইয়োমিং অঞ্চলে। এই উদ্যানটি ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যানের ঠিক দক্ষিণে এবং জ্যাকসন নামের একটি শহরের উত্তরে অবস্থিত। গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যান তার দৃষ্টিনন্দন পর্বতের দৃশ্য, ঝলমলে হ্রদ এবং সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণীর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

জানুন

[সম্পাদনা]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৮০০ সালের শেষদিকে, ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যানের ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনডেন্ট কর্নেল (প্রধান প্রশাসক) এস.বি.এম. ইয়ং ইয়েলোস্টোনের উদ্যানের সীমানা দক্ষিণের দিকে বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। পরবর্তী বছরের মধ্যে, বিভিন্ন কর্মকর্তা টেটন পর্বতমালা এবং জ্যাকসন হ্রদকে বিস্তৃত ইয়েলোস্টোনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একাধিক প্রস্তাবনা দেন। স্থানীয় খামারিদের কাছ থেকে এই প্রস্তাবনাগুলো কঠোর প্রতিক্রিয়া পায়, কারণ তারা ভয় পান যে উদ্যানটি সম্প্রসারিত হলে তাদের চারণ ক্ষেত্র হ্রাস পাবে।

মরমন রো খামারঘর, গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যান

ঠিক এই সময়ে, এলাকার কৃষকরা টু ওসেন, এমা মাতিলডা এবং জেনি হ্রদগুলো সেচের জন্য বাঁধ দিয়ে রাখার প্রস্তাব দেন। খামারিরা উদ্বিগ্ন হন যে যদি হ্রদগুলো বাঁধ দিয়ে রাখা হয়, তা বাণিজ্যিক উন্নয়নের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি ঘটাতে পারে। এই উদ্বেগ ১৯২৩ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভার দিকে নিয়ে যায়, যখন ইয়েলোস্টোন সুপারিন্টেনডেন্ট (প্রধান প্রশাসক) হোরেস অ্যালব্রাইট এবং কিছু স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধান্ত নেন যে তারা ব্যক্তিগত তহবিল যোগ করে জমি কিনতে পারেন। এর মাধ্যমে তারা জমি বিকাশকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং জ্যাকসন হোল অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করতে পারবে।

অ্যালব্রাইট ছিলেন সভায় একমাত্র ব্যক্তি যারা খোলাখুলিভাবে একটি জাতীয় উদ্যানকে সমর্থন করেছিলেন। অন্য অংশগ্রহণকারীরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন যে তারা শিকার এবং গবাদিপশু পালন চালিয়ে যেতে পারবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, জাতীয় উদ্যানের জন্য জনসমর্থন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই সমর্থন সর্বসম্মত ছিল না, এবং এখনও অনেকেই ছিলেন যারা তাদের জমি সরকারের কাছে বিক্রি করতে রাজি ছিলেন না। তবুও, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৯ সালে, প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানকে আইনে পরিণত করেন।

জন ডি. রকফেলার জুনিয়র জ্যাকসন হোল অঞ্চলের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সুপারিন্টেনডেন্ট অ্যালব্রাইটের পরিকল্পনায় সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। রকফেলার একটি ব্যক্তিগত কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন জমি কেনার জন্য, যা আড়াল করেছিল তার ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ এবং সরকারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক। এর ফলে, স্থানীয় বাসিন্দারা কোম্পানিকে জমি বিক্রি করতেন, জানতেন না যে প্রকৃতপক্ষে তা জাতীয় উদ্যান পরিষেবায় দান করা হবে।

যখন রকফেলার ফ্রন্ট কোম্পানির প্রকৃত প্রকৃতি জনসমক্ষে প্রকাশ পায়, তখন এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বহু আইনি লড়াইয়ের পর, এই বিতর্কটি একটি আপোষমূলক সমাধানের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়, যা উদ্যানের মধ্যে সীমিত শিকার এবং গবাদিপশু পালন অনুমোদন এবং কিছু ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত অতিথি খামারের অস্তিত্বকে অনুমতি দেয়।

ভূদৃশ্য

[সম্পাদনা]

গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানের ওয়াইওমিং এলাকার ভূদৃশ্য অত্যন্ত সুন্দর। এই পর্বতমালা অনেক ছবিতে, ডাকটিকিটে এবং কল্পনায় পুরো রকী পর্বতমালার প্রতিনিধিত্ব করে। রকী পর্বতের এই অংশটি পাহাড়ে আরোহণকারী, ট্রেকার, স্কিয়ার এবং প্রায় সব ধরনের বাইরের কার্যক্রম উপভোগকারীদের জন্য একটি বিস্ময়কর খেলার মাঠ।

উদ্ভিদ এবং প্রাণী

[সম্পাদনা]

গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী সমৃদ্ধ, তবে এটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত এল্ক, বাইসন (ভেঁসু), মুসলান হরিণ এবং নাগচোড়া ঈগল-এর জন্য।

আবহাওয়া

[সম্পাদনা]
গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যান
জলবায়ু চার্ট (ব্যাখ্যা)
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
2.9
 
 
26
1
 
 
 
2.1
 
 
32
3
 
 
 
2.1
 
 
41
12
 
 
 
2
 
 
49
21
 
 
 
2.3
 
 
59
30
 
 
 
1.7
 
 
69
37
 
 
 
1.2
 
 
79
42
 
 
 
1.2
 
 
78
40
 
 
 
1.4
 
 
68
32
 
 
 
1.8
 
 
54
24
 
 
 
2.9
 
 
36
14
 
 
 
2.9
 
 
26
4
°F-এ গড় উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রা
Precipitation+Snow totals in inches
টেমপ্লেট:NOAA আবহাওয়া পূর্বাভাস    NOAA (১৯৮১-২০১০)থেকে তথ্য
Metric conversion
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
74
 
 
−3
−17
 
 
 
53
 
 
0
−16
 
 
 
53
 
 
5
−11
 
 
 
51
 
 
9
−6
 
 
 
58
 
 
15
−1
 
 
 
43
 
 
21
3
 
 
 
30
 
 
26
6
 
 
 
30
 
 
26
4
 
 
 
36
 
 
20
0
 
 
 
46
 
 
12
−4
 
 
 
74
 
 
2
−10
 
 
 
74
 
 
−3
−16
°C-এ গড় উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রা
Precipitation+Snow totals in mm


জ্যাকসন হোলের শীত আর গ্রীষ্মকাল একে অপরের সাথে তুলনা করলে একেবারেই আলাদা জায়গা মনে হয়। উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তে শীতকালে গড়ে প্রায় ১৫ ফুট বরফ পড়ে, আবার গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা অনেক সময় আরামদায়কভাবে প্রায় ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যায়। উঁচু পাহাড়ি এলাকায় প্রতি ১,০০০ ফুট উঁচুতে গড়ে প্রায় ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট কম তাপমাত্রা পাওয়া যায়।

বসন্ত, গ্রীষ্ম আর শরৎকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে, তাই বৃষ্টি ঠেকানোর পোশাক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। শীতকালে শূন্য ডিগ্রির নিচে নামা তাপমাত্রা খুবই সাধারণ, তাই একাধিক স্তরের পোশাক, টুপি, দস্তানা আর ঠান্ডা সামলানোর জুতো পরা দরকার।

শীতকালে ভ্রমণের জন্য চার চাকা চালিত গাড়ি বা সব মৌসুমের জন্য তৈরি টায়ার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ প্রবল তুষারঝড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সবসময় রাস্তার গতিসীমা মেনে বা তার নিচে গাড়ি চালাতে হবে; শীতকালে প্রায়ই রাস্তা পার হতে দেখা যায় হরিণ প্রজাতির বড় প্রাণী (যেমন মুজ) আর অন্য বন্যপ্রাণী।

নভেম্বরের ১ তারিখের মধ্যেই প্রথম ভারী তুষারপাত নেমে আসতে পারে। শীতের ঝড় থেমে গেলে দিনে সূর্যের আলো দেখা যায়, তবে রাতগুলো থাকে সেই ঠান্ডা। গড় তাপমাত্রা দিনে সর্বোচ্চ প্রায় ২৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট আর সর্বনিম্ন প্রায় ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়। প্রবল তুষারঝড়ের সময় কোন রাস্তা বন্ধ আছে তা জানতে মুজ দর্শনার্থী কেন্দ্রে খোঁজ নিতে হবে।

বসন্তকালে দিনের আবহাওয়া থাকে নরম গরম, আর রাতগুলো বেশ ঠান্ডা হয়, প্রায়ই বৃষ্টি বা তুষারপাত হয়। বসন্তের মাসগুলোতে গড়ে ১১ দিন মাপযোগ্য বৃষ্টি বা তুষারপাত হয়। তাপমাত্রা সাধারণত ২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ৪৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। উপত্যকার পথগুলো মে মাসের শেষ পর্যন্ত তুষারে ঢেকে থাকে।

জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে গড় দৈনিক তাপমাত্রা প্রায় ৭৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়, তবে উঁচু পাহাড়ি হাঁটার পথগুলো জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত তুষারে ঢাকা থাকে। রাতের তাপমাত্রা অনেক সময় ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত নেমে আসে। বছরের বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত গ্রীষ্মেই হয়; বিকেলের দিকে বজ্রসহ ঝড় হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।

ছোট ছোট শরতের দিনে সূর্যের আলো থাকে, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি আর তুষারপাতও হয়। দৈনিক গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৫৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট, আর গড় সর্বনিম্ন প্রায় ২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শরতের মাসগুলোতে গড়ে ২৩ দিন তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নামে। আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য প্রচুর স্তরযুক্ত পোশাক সঙ্গে রাখা ভালো।

দর্শনার্থীদের জন্য তথ্য

[সম্পাদনা]
  • পার্কের সরকারি ওয়েবসাইট
  • 1 কোল্টার উপসাগর দর্শনার্থী কেন্দ্র মিশন ৬৬ প্রকল্পের সময় নির্মিত এবং আজও টিকে থাকা দর্শনার্থী কেন্দ্রগুলোর একটি হলো কোল্টার উপসাগর দর্শনার্থী কেন্দ্র। এখান থেকে জ্যাকসন হ্রদের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। ভেতরে রয়েছে ডেভিড টি. ভার্ননের সংগ্রহ থেকে নির্বাচিত ৩৫টি আমেরিকান আদিবাসী শিল্পকর্ম। সভাকক্ষে সারাদিন ধরে বনের রক্ষীদের পরিচালিত নানা অনুষ্ঠান হয় এবং পার্ক-সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও দেখানো হয়। ভ্রমণের পরিকল্পনা, বন্যপ্রকৃতিতে ঘোরার অনুমতি বা নৌকাবিহারের অনুমতি এখান থেকে নেওয়া যায়। এছাড়া গ্র্যান্ড টেটন সমিতির বইয়ের দোকান থেকে কেনাকাটা করা, রক্ষীদের পরিচালিত কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কিংবা আশেপাশের দোকান ও খাবারের জায়গায় যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।
  • 2 ক্রেইগ থমাস আবিষ্কার ও দর্শনার্থী কেন্দ্র (জ্যাকসন শহরের প্রায় ১২ মাইল উত্তরে)। দর্শনার্থী কেন্দ্রের ওপরে মহিমান্বিত টেটন পর্বতমালা দিগন্ত জুড়ে উঠে গেছে। ভেতরে প্রবেশ করলে স্থান, মানুষ, সংরক্ষণ, পর্বতারোহণ এবং আমেরিকার আদি অধিবাসীদের জীবন—এসব বিষয় একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে দর্শকদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। এই কেন্দ্র থেকে ভ্রমণ পরিকল্পনার তথ্য, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বা নৌকা ভ্রমণের অনুমতিপত্র পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে টেটন সমিতির বইয়ের দোকান থেকে কেনাকাটা করা যায়, নানারকম প্রদর্শনী ও শিল্পকর্ম উপভোগ করা যায়, অরণ্যরক্ষীর (রেঞ্জার) আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া যায় কিংবা উদ্যান সম্পর্কিত তথ্যচিত্র দেখা যায়।
  • 3 ফ্ল্যাগ র্যাঞ্চ তথ্যকেন্দ্র ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান থেকে যারা দক্ষিণমুখী ভ্রমণ করছেন, তাদের জন্য ভ্রমণ পরিকল্পনার প্রথম থামার জায়গা হলো ফ্ল্যাগ র্যাঞ্চ। গ্রীষ্মকালের ভিড়ের মৌসুমে প্রতিদিন খোলা এই ছোট কাঠের কুটিরে দর্শনার্থী তথ্যকেন্দ্র, একটি ছোট বিক্রয়কক্ষ, রকফেলারের অবদান তুলে ধরা প্রদর্শনী এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • 4 জেনি হ্রদ অরণ্যরক্ষী স্টেশন ১৯৩০-এর দশকে জেনি হ্রদ অরণ্যরক্ষী স্টেশন ও জাদুঘর উদ্যানের প্রথম দর্শনার্থী কেন্দ্র হিসেবে চালু হয়। বর্তমানে এখানে পর্বতারোহী অরণ্যরক্ষীরা বন্যপ্রকৃতির নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দেন, আরোহনের পথের অবস্থা জানান এবং পাহাড়ি উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেন। একটি ছোট উঁচু মানচিত্রে মূল বন্যাঞ্চল দেখানো হয়েছে এবং অন্য প্রদর্শনীতে বন্যপ্রকৃতির ঝুঁকি বোঝানো হয়। একটি নিরাপত্তা ভিডিও দর্শনার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে। এই অরণ্যরক্ষী স্টেশন থেকে বন্যাঞ্চলে ভ্রমণের অনুমতিপত্র ও নৌকা চালানোর অনুমতিপত্র দেওয়া হয়।
  • 5 জেনি হ্রদ দর্শনার্থী কেন্দ্র হ্যারিসন ক্র্যান্ডল ১৯২১ সালে ক্যাথেড্রাল দল টার্নআউটের কাছে এই কুটিরটি তাঁর শিল্পকর্মের স্টুডিও হিসেবে তৈরি করেছিলেন। আজ এটি দর্শনার্থী কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ক্র্যান্ডলসহ আরও অনেক শিল্পীর কাজের মাধ্যমে উদ্যানের শিল্পকে তুলে ধরা হয়। এই কেন্দ্র থেকে ভ্রমণ পরিকল্পনা ও তথ্য পাওয়া যায়। পাশেই থাকা জেনি লেক অরণ্যরক্ষী স্টেশন থেকে বন্যাঞ্চল ভ্রমণ ও নৌকার অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। এখানে টেটন সমিতির বইয়ের দোকান থেকে কেনাকাটা করা যায়, অরণ্যরক্ষীর আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া যায় অথবা বন্যাঞ্চলের অভিযাত্রা শুরু করা যায়।
  • 6 লারেন্স এস. রকফেলার সংরক্ষণাগার কেন্দ্র লারেন্স এস. রকফেলার সংরক্ষণাগার কেন্দ্র দর্শনার্থীদের রকফেলারের স্বপ্ন ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণে তাঁর অবদান সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়। প্রদর্শনীতে দৃষ্টি, স্পর্শ ও শ্রবণ—সব ইন্দ্রিয়কে জাগিয়ে তোলা হয় একটি কবিতা, রকফেলারের কণ্ঠরেকর্ড, ভিডিও, আলোকচিত্র এবং শব্দময় কক্ষের মাধ্যমে। দর্শনার্থীরা এখানে বিশ্রামকক্ষে আরাম করতে পারেন, অরণ্যরক্ষীর আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন অথবা ফেল্পস হ্রদ পর্যন্ত পদযাত্রায় বেরিয়ে পড়তে পারেন। তবে এই কেন্দ্রে কোনো বিক্রয়কক্ষ নেই এবং অনুমতিপত্রও দেওয়া হয় না।

প্রবেশ

[সম্পাদনা]
মানচিত্র
গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানের মানচিত্র

বিমান পথে

[সম্পাদনা]

জ্যাকসন উপত্যকা বিমানবন্দর (JAC  আইএটিএ) উদ্যানের সীমানার ভেতরেই অবস্থিত, ওয়াইওমিং শতবর্ষী দৃশ্যপথের পশ্চিম পাশে। এই সড়কটি তিনটি জাতীয় সড়কের নাম বহন করে: ২৬, ৮৯ এবং ১৯১। আমেরিকান, ডেল্টা, ফ্রন্টিয়ার এবং ইউনাইটেড বিমান সংস্থা এখানে সেবা দেয়। এর কিছু ফ্লাইট মৌসুমি।

উদ্যানের নিকটতম বড় বিমানবন্দর হলো সল্ট লেক সিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (~গাড়িতে প্রায় ৬ ঘণ্টার পথ)।

গাড়ি পথে

[সম্পাদনা]

উত্তরের দিক থেকে, জাতীয় সড়ক ৮৯, ১৯১ এবং ২৮৭ একই রাস্তা ধরে ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান হয়ে এই উদ্যানে প্রবেশ করে। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তুষারের কারণে এই রাস্তা বন্ধ থাকে।

দক্ষিণ দিক থেকে, জাতীয় সড়ক ২৬, ৮৯ এবং ১৯১ একত্রে জ্যাকসন শহর থেকে উদ্যানে প্রবেশ করে।

পূর্ব দিক থেকে, জাতীয় সড়ক ২৬ ডুবোয়া শহরের সঙ্গে যুক্ত।

পশ্চিম দিক থেকে, ঘাসি হ্রদ সড়ক নামের একটি কাঁচা রাস্তা অ্যাশটন, আইডাহো শহরের সঙ্গে উদ্যানের উত্তর প্রান্তের কাছে জাতীয় সড়ক ৮৯-কে যুক্ত করেছে। তবে শীতকালে এই পথ বন্ধ থাকে।

টেটন গিরিপথ হয়ে শেরিডান থেকে আইডাহোর দিকে গাড়ি চালানো বিপজ্জনক। এখানে খাড়া উঁচু-নিচু ঢাল, বড় বড় বাঁক রয়েছে। সামান্য অসাবধান হলেই কিংবা রোদ চোখে পড়লে সহজেই গাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়তে পারে।

পায়ে হেঁটে

[সম্পাদনা]

উদ্যানের চারপাশ থেকে অসংখ্য পথ প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে মহাদেশীয় বিভাজন পথ সবচেয়ে দীর্ঘ—প্রায় ৩১০০ মাইল জুড়ে বিস্তৃত।

প্রবেশ মূল্য এবং অনুমতিপত্র

[সম্পাদনা]

উদ্যানে প্রবেশের জন্য সব ধরনের যানবাহন ও ব্যক্তিকে প্রবেশমূল্য দিতে হয়। এই প্রবেশমূল্য সাত দিনের জন্য কার্যকর থাকে এবং সেই সময়ের মধ্যে সীমাহীনভাবে বারবার প্রবেশের সুযোগ দেয়। ২০২০ সালের প্রবেশমূল্য ছিল:

  • ২০ ডলার – পদযাত্রী/সাইকেল আরোহী
  • ৩০ ডলার – মোটরসাইকেল
  • ৩৫ ডলার – ব্যক্তিগত গাড়ি
  • ৭০ ডলার – গ্র্যান্ড টেটন বার্ষিক পাস

আগে একটি প্রবেশমূল্য দিয়ে গ্র্যান্ড টেটন ও ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান উভয় উদ্যানে প্রবেশ করা যেত। তবে বর্তমানে প্রতিটি উদ্যানে আলাদা প্রবেশমূল্য দিতে হয়।

গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানের একটি বিশেষ ব্যাপার হলো, প্রবেশমূল্য দেওয়ার অরণ্যরক্ষী স্টেশনগুলো উদ্যানে বেশ ভেতরের দিকে অবস্থিত। এর মানে দাঁড়ায়, উদ্যানের কিছু অংশ বিনা খরচেই প্রবেশযোগ্য, যেমন জ্যাকসন উপত্যকা বিমানবন্দর।

দ্য আমেরিকা বিউটিফুল প্রবেশপত্র, যেটিকে আন্তঃসংস্থা প্রবেশপত্রও বলা হয়, গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানসহ সব জাতীয় উদ্যান, কিছু জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ, জাতীয় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জাতীয় অরণ্যে প্রবেশের অনুমতি দেয়। একটি প্রবেশপত্র একসাথে ভ্রমণরত একটি ব্যক্তিগত গাড়ির পুরো দলের জন্য প্রযোজ্য, অথবা হাঁটা কিংবা সাইকেলে সর্বোচ্চ চারজন মানুষের জন্য প্রযোজ্য। বিভিন্ন ধরনের প্রবেশপত্র রয়েছে:

  • বার্ষিক প্রবেশপত্র (প্রদানের তারিখ থেকে বারো মাসের জন্য বৈধ) যেকোনো ব্যক্তি কিনতে পারেন। সাধারণ মূল্য ৮০ ডলার, ৬২ বছর বা তার বেশি বয়সী মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য ২০ ডলার, এবং বর্তমান সামরিক সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে (তাদের সাধারণ প্রবেশ কার্ড বা সামরিক পরিচয়পত্র দেখাতে হবে)।
  • আজীবন প্রবেশপত্র (ধারকের জীবনকাল পর্যন্ত বৈধ) ৬২ বছর বা তার বেশি বয়সী মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য ৮০ ডলারে পাওয়া যায়, এবং প্রাক্তন সৈনিক ও গোল্ড স্টার পরিবারগুলোর জন্য (যাদের পরিবারের সদস্য যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছেন) এটি বিনামূল্যে। আবেদনকারীদের যোগ্যতার প্রমাণপত্র দিতে হবে। এই প্রবেশপত্র কিছু উদ্যান সুবিধায় ৫০% ছাড়ও দেয়।
  • প্রবেশাধিকার প্রবেশপত্র (ধারকের জীবনকাল পর্যন্ত বৈধ) স্থায়ী প্রতিবন্ধী মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য বিনামূল্যে। আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব এবং স্থায়ী অক্ষমতার প্রমাণপত্র দিতে হবে। এই প্রবেশাধিকার প্রবেশপত্রও কিছু উদ্যান সুবিধায় ৫০% ছাড় দেয়।
  • স্বেচ্ছাসেবী প্রবেশপত্র ফেডারেল সংস্থাগুলোতে (যারা আন্তঃসংস্থা প্রবেশপত্র কর্মসূচিতে যুক্ত) ২৫০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
  • বিনামূল্যের বার্ষিক চতুর্থ শ্রেণির প্রবেশপত্র (চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষাবর্ষের সেপ্টেম্বর থেকে আগস্ট পর্যন্ত বৈধ) যার কাছে থাকবে তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা যাত্রীরা একটি ব্যক্তিগত অ-বাণিজ্যিক যানবাহনে প্রবেশ করতে পারবেন। এর জন্য এভরি কিড আউটডোর্স ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।

জাতীয় উদ্যান পরিষেবা প্রতি বছর পাঁচটি দিনে সব জাতীয় উদ্যানে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ দেয়:

  • মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দিবস (জানুয়ারির তৃতীয় সোমবার); পরবর্তী পালিত হবে ১৫ জানুয়ারি ২০২৬
  • জাতীয় উদ্যান সপ্তাহের প্রথম দিন (এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার); পরবর্তী পালিত হবে ১৮ এপ্রিল ২০২৬
  • জাতীয় উদ্যান পরিষেবার জন্মদিন (২৫ আগস্ট)
  • জাতীয় গণভূমি দিবস (সেপ্টেম্বরের চতুর্থ শনিবার); পরবর্তী পালিত হবে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • প্রাক্তন সৈনিক দিবস (১১ নভেম্বর)

ঘুরে দেখুন

[সম্পাদনা]

বেশিরভাগ দর্শনার্থী পার্কে ঘুরতে গাড়ি চালান, কারণ দূরত্বগুলো অনেক বেশি। কিছু সাহসী মানুষ সাইকেল চালান বা হেঁটেও ঘোরেন।


কি দেখবেন

[সম্পাদনা]
বড়সড় হরিণ মুজ উইলোর ঝোপে আশ্রয় নেয়, এবং পুরো উদ্যানে প্রায়শই দেখা যায়।

দর্শনস্থানসমূহ

[সম্পাদনা]

উদ্যান জুড়ে বাঁক এবং সুন্দর দর্শনস্থান আছে যেখান থেকে গ্র্যান্ড টেটনের বহু পর্বতের ভালো দৃশ্য দেখা যায়। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থান দেওয়া হলো:

  • 1 অক্সবাউ বাঁক (জ্যাকসন হ্রদ সংযোগস্থলের প্রায় এক মাইল পূর্বে)। মরান পর্বতের দৃশ্যের পাশাপাশি এখানে বহু প্রজাতির পাখি দেখা যায়।
  • 2 ক্যাথেড্রাল দলীয় দর্শনস্থান এই দর্শনস্থান থেকে টেটন পর্বতমালার সবচেয়ে উঁচু তিনটি পর্বতের দৃশ্য দেখা যায়: টিউইনট, গ্র্যান্ড টেটন এবং ওয়েন পর্বত।
  • 3 টেটন হিমবাহ দর্শনস্থান (মুজ সংযোগস্থল থেকে টেটন উদ্যান সড়ক পথে প্রায় ৪ মাইল উত্তরে)। এই দর্শনস্থান উদ্যানে সবচেয়ে বড় হিমবাহকে তুলে ধরে।
  • 4 স্নেক নদী দর্শনস্থান (এই দর্শনস্থান যুক্তরাষ্ট্রের ২৬/৮৯/১৯১ সড়কের ধারে।)। অ্যানসেল অ্যাডামস এখান থেকে টেটন পর্বতমালার একটি বিখ্যাত আলোকচিত্র তুলেছিলেন।
  • 5 শ্ভাবাখারের ঘাট (এই কাঁচা রাস্তা, যুক্তরাষ্ট্রের ২৬/৮৯/১৯১ সড়ক থেকে নেমে এসে দুই ভাগে বিভক্ত হয়—একটি গাড়ির জন্য, অন্যটি নৌকার জন্য। উভয় জায়গাতেই পার্কিং আছে।)। এগুলো টেটন পর্বতমালা এবং স্নেক নদীতে তাদের প্রতিবিম্বের চমৎকার দৃশ্য দেখার সুযোগ দেয়।
  • 6 সিগনাল পর্বত (জ্যাকসন হ্রদ সংযোগস্থলের দক্ষিণে উদ্যান সড়ক থেকে মোড় নিন।)। একটি তুলনামূলকভাবে সরু পাকা সড়ক গাড়িকে উপরের পার্কিং এলাকায় নিয়ে যায়, তারপর একেবারে ছোট হাঁটা পথ ধরে শীর্ষে পৌঁছালে জ্যাকসন উপত্যকার ৩৬০° দৃশ্য দেখা যায়। (Q8524288)

অন্যান্য দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]

পর্বতের বাইরে উদ্যানে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ আছে:

  • 7 মেনরের ফেরি এটি ১৮৯০-এর দশকের ফেরির পুনর্নির্মাণ, যা স্নেক নদী পার হত। উইকিপিডিয়ায় Menor's Ferry (Q14714801)
  • 8 রূপান্তর চ্যাপেল, +১ ৩০৭ ৭৩৩-২৬০৩ পবিত্র প্রার্থনা: রবিবার সকাল ৮টা ও ১০টা (মমেমোরিয়াল ডে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) এই এপিসকোপাল কাঠের কেবিন চ্যাপেল, মুজ সংযোগস্থলের কাছে একটি তৃণভূমিতে, বেদীর জানালা দিয়ে পর্বতমালার দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়াও এখানে কাঁচে আঁকা ছবিতে পর্বতের দৃশ্যচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। (Q5073122)
  • 9 পবিত্র হৃদয়ের চ্যাপেল, +১ ৩০৭ ৭৩৩-২৫১৬ এই ক্যাথলিক চ্যাপেলটি জ্যাকসন হ্রদ সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত। এর কাঠের কেবিন নির্মাণে গ্রামীণ আবহ ফুটে উঠেছে। (Q97135874)

কি করবেন

[সম্পাদনা]
জ্যাকসন উপত্যকার কানিংহ্যাম কেবিন, একটি স্থাপনা যা জাতীয় ঐতিহাসিক স্থানের তালিকাভুক্ত।
  • 1 বার্কার-ইউইং গ্র্যান্ড টেটন উদ্যান ভেসে চলার ভ্রমণ, পি.ও. বক্স ১০০, মুজ, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৩৩৬৫-১৮০০ গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানে স্নেক নদীতে ১০-মাইল দীর্ঘ নৌকায় ভেসে ভ্রমণ। $70 প্রাপ্তবয়স্ক / $40 শিশু
  • 2 হিডেন জলপ্রপাত পদযাত্রা জেনি হ্রদের ধারে ঘোরার একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। আপনি চাইলে ২.৫ মাইল হাঁটতে পারেন জলপ্রপাত পর্যন্ত এবং ফেরার পথে নৌকায় আসতে পারেন (একদিক $৭, যাওয়া-আসা $১০)। জলপ্রপাত এবং সাদা পানির স্রোত একেবারেই চমকপ্রদ। এখানে প্রায়ই শিলা-আরোহী দেখা যায়। হিডেন জলপ্রপাতের পর হাঁটার পথ উঠে গেছে ইনস্পিরেশন দর্শনস্থলের দিকে, যেখান থেকে জেনি হ্রদ ও জ্যাকসন উপত্যকার অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। আরও কিছুটা উঠলে পথ সমান হয়ে যায় এবং পশ্চিমদিকে মনোরম ক্যাসকেড ক্যানিয়নের ধারে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত পথ গিয়ে মিলে সলিটিউড হ্রদে। (Q5048107)
  • 3 পেইন্টব্রাশ ক্যানিয়ন পদযাত্রা গ্র্যান্ড টেটনের সবচেয়ে উপভোগ্য ক্যানিয়ন পদযাত্রার একটি হলো পেইন্টব্রাশ ক্যানিয়ন পদযাত্রা। এর শুরু স্ট্রিং হ্রদ থেকে, যা জেনি হ্রদের ঠিক উত্তরে। পথটি পেইন্টব্রাশ ক্যানিয়ন হয়ে হলি হ্রদ পর্যন্ত যায় — যাওয়া-আসা মিলিয়ে ১২.৪ মাইল। শেষের কয়েক মাইল বেশ কষ্টকর, মোট উচ্চতা বৃদ্ধির পরিমাণ ২,৭৪৯ ফুট। (Q7124990)
  • 4 লি হ্রদ পদযাত্রা জেনি হ্রদ লজের ঠিক উত্তরে, এই হাঁটার পথ প্রথমে স্ট্রিং হ্রদের ধারে চলে তারপর প্রায় এক মাইল পর পৌঁছায় লি হ্রদে। লি হ্রদের স্বচ্ছ জল এবং টেটন পর্বতের প্রতিবিম্ব সত্যিই অসাধারণ। তবে মনে রাখবেন, গ্রীষ্মকালে প্রচুর মশার উপদ্রব থাকে। (Q6519617)
  • 5 স্ট্যাটিক শৃঙ্গ পর্বতমালার অপেক্ষাকৃত সহজ শৃঙ্গগুলির একটি, যেখান থেকেও ভালো দৃশ্য দেখা যায়। অল্প চড়াই ভেঙেই ওঠা যায়, তবে মোট ৮.৫ মাইলের দীর্ঘ ও খাড়া পদযাত্রা। (Q7604143)
  • 6 টেবিল পর্বত একটি শৃঙ্গ, যেখানে পুরো শীর্ষ পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষিত হাঁটার পথ আছে। (Q7673147)


কেনাকেটা

[সম্পাদনা]

কোল্টার বে গ্রাম

  • 1 জন কোল্টার ক্যাফে প্রাঙ্গণ, +১ ৩০৭-৫৪৩-২৮১১ এখানে মেক্সিকান এবং আমেরিকান খাবার পাওয়া যায়। দ্রুত পরিবেশন হয় এবং খাবারের মানও ভালো।
  • চাকওয়াগন রেস্তোরাঁ এটি বসে খাওয়ার ধরনের একটি সুন্দর রেস্তোরাঁ। এখানে সকালের খাবার আছে (শুধু ঠান্ডা খাবার $৭.৯৫, ঠান্ডা ও গরম খাবার $১১.৯৫)। পানীয় আলাদা করে মূল্য দিতে হয় (যেমন কমলার রস $২.৫০, লাটে প্রায় $৩.৬৫)।

জ্যাকসন হ্রদ আবাসস্থল

  • 2 পাইওনিয়ার গ্রিল, +১ ৩০৭-৫৪৩-২৮১১ এখানে কাউন্টারে বসে হালকা খাবার, নাস্তা এবং সোডা ফাউন্টেনের মিষ্টি জিনিস পাওয়া যায় — সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে খাবার পরিবেশনের গতি খুব দ্রুত নয় এবং খাবারের মানও খুব একটা ভালো নয়, তবে এটি সবসময় খোলা থাকে।

পানীয়

[সম্পাদনা]

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]

গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যান গঠনের পেছনে থাকা রাজনৈতিক চুক্তিগুলোর কারণে, উদ্যানে বিভিন্ন ধরণের থাকার ব্যবস্থা আছে—কনসেশন-ভিত্তিক লজ, ব্যক্তিগত অতিথিশালা এবং ক্যাম্পিং। উদ্যানে থাকার জায়গা ছাড়াও, জ্যাকসন হলো সবচেয়ে কাছের শহর যেখানে বহু ধরণের থাকার ব্যবস্থা পাওয়া যায়।

আবাসন

[সম্পাদনা]
  • 1 কল্টার বে গ্রাম (মার্কিন সড়ক ৮৯/২৮৭ এর ঠিক পাশে), +১ ৩০৭ ৫৪৩-২৮১১, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬২৮-৯৯৮৮ মে মাসের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে সুবিধা রয়েছে সাধারণ তাঁবুর কুটির থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত স্নানঘরসহ কুটির পর্যন্ত। কম দাম থেকে মাঝারি দামের মধ্যে। তাঁবুগুলোতে ৪টি খাট আছে, আরামদায়ক গদি দেওয়া থাকে, তবে নিজের ঘুমানোর ব্যাগ আনতে হবে। (Q5149438)
  • 2 জ্যাকসন হ্রদ ভবন (মার্কিন সড়ক ৮৯/২৮৭ এর ঠিক পাশে), +১ ৩০৭ ৫৪৩-২৮১১, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬২৮-৯৯৮৮ মে মাসের শেষ থেকে অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত খোলা থাকে। বড় ধরনের হোটেল, ভেতরেই খাবারের দোকান ও গরম পানির বাইরের সাঁতারের পুকুর রয়েছে। পাহাড়ের অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। এখানে থাকার খরচ মাঝারি থেকে বেশ চড়া। উইকিপিডিয়ায় জ্যাকসন হ্রদ ভবন (Q3157428)
  • 3 জেনি হ্রদ ভবন, +১ ৩০৭ ৭৩৩-৪৬৪৭, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬২৮-৯৯৮৮ টেটন উদ্যান সড়কের উত্তর জেনি হ্রদ মোড় থেকে প্রবেশ করা যায়। জুনের শুরু থেকে অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত খোলা থাকে। দামী ও বিলাসবহুল কুটির ও কক্ষ রয়েছে, ভেতরেই খাবারের ব্যবস্থা আছে। থাকার খরচ অনেক বেশি। (Q14714742)
  • 4 টেটন পর্বত ভবন, ৩৩৮৫ কোডি লেন, টেটন গ্রাম, +১ ৩০৭-২০১-৬০৬৬, নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১ ৮৫৫-৩১৮-৬৬৬৯ (কক্ষ বুকিং) পি.ও. বক্স ৫৬৪, টেটন গ্রাম। জ্যাকসন হোল, ওয়াইওমিং-এ পাহাড়ের ধারে অবস্থিত একটি অবকাশকেন্দ্র যেখানে রয়েছে কাঠের তৈরি কক্ষ ও স্যুইট। এটি একটি বিলাসবহুল অবকাশকেন্দ্র, এখানে আছে দামী চিকিৎসা-স্নানকেন্দ্র, বড় আকারের বৈঠকখানা, নানা ধরনের স্কি পরিষেবা এবং ভালো মানের খাবারের দোকান ক্যাসকেড গ্রিল হাউস ও স্পিরিটস।
  • 5 সিগনাল পর্বত ভবন ও নৌঘাট, ১ ভেতরের উদ্যান সড়ক, মোরান, +১ ৩০৭ ৫৪৩-২৮৩১ আগমন: বিকাল ৩টা, প্রস্থান: সকাল ১১টা (Q7512680)

শিবির

[সম্পাদনা]
  • 6 হেডওয়াটারস শিবিরস্থান এবং আর.ভি. উদ্যান (ফ্ল্যাগ র্যাঞ্চে) (ইয়েলোস্টোন-এর দক্ষিণে এবং গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানের উত্তরে ৫ মাইল দূরে, মার্কিন সড়ক ৮৯/১৯১/২৮৭ এর ধারে), নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৪৪৩-২৩১১ মে-সেপ্টেম্বর খোলা থাকে। মোট ১৩১টি জায়গা, এর মধ্যে ৯৭টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। ১১৪টি জায়গা আগে থেকে বুক করা যায়, আর ১৭টি আগে এলে আগে পাওয়া যায়। এখানে তাঁবু নিয়ে থাকা এবং আর.ভি. দুটোই সম্ভব। জন ডি. রকফেলার জুনিয়র স্মৃতি উদ্যানের ভেতরে অবস্থিত। ফ্ল্যাগ র্যাঞ্চ ইয়েলোস্টোন থেকে মাত্র দুই মাইল দক্ষিণে এবং গ্র্যান্ড টেটন থেকে পাঁচ মাইল উত্তরে। চারপাশে প্রকৃতির বন্য পরিবেশ। সাপ নদীর উজানভাগ এখানে চিরসবুজ বনের মাঝে দিয়ে বইছে। উত্তরে ইয়েলোস্টোন মালভূমি আর পূর্বে হাকলবেরি পর্বত দেখা যায়। (Q63675842)
  • 7 লিজার্ড ক্রিক শিবিরস্থান (মুজ থেকে ৩২ মাইল উত্তরে), নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬৭২-৬০১২ মে-সেপ্টেম্বর খোলা থাকে। মোট ৬০টি জায়গা। সব জায়গাই আগে এলে আগে পাওয়া যায়। সাধারণত দুপুর ২টার মধ্যে ভরে যায়। গাড়ির দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৩০ ফুট পর্যন্ত সীমিত। এখানে বেশি উন্নয়ন হয়নি, স্প্রুস আর ফার গাছের বনে শিবির করার জায়গা আছে। শিবিরস্থানের এক পাশ জ্যাকসন হ্রদের ধারে উঁচু জায়গায়। এটি গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানের এক দূরবর্তী অংশে অবস্থিত। ইয়েলোস্টোন থেকে ১১ মাইল দক্ষিণে আর কল্টার বে গ্রাম থেকে ৮ মাইল উত্তরে, তাই দুই উদ্যানেই যাওয়া সহজ। (Q63676190)
  • 8 কল্টার বে শিবিরস্থান (মুজ থেকে ২৫ মাইল উত্তরে, জ্যাকসন হ্রদের কাছে), নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬২৮-৯৯৮৮ মে-সেপ্টেম্বর খোলা থাকে। মোট ৩৪৬টি জায়গা, ১১টি দলগত জায়গা, ১৩টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। ১১টি আগে থেকে বুক করা যায়, আর ৩৩৫টি আগে এলে আগে পাওয়া যায়। এই বড় শিবিরস্থানটি লজপোল পাইন বনের মধ্যে, কল্টার বে গ্রামের কাছে। জ্যাকসন হ্রদের তীরে নয়, তবে হেঁটে গেলে মোরান পর্বত আর উত্তর টেটন পর্বতশ্রেণীর অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। কাছে আছে ট্রেলার ফেলার জায়গা, গোসলখানা আর কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা। সাধারণত দুপুর নাগাদ সব ভরে যায়। (Q63675793)
  • 9 সিগনাল পর্বত শিবিরস্থান (জেনি হ্রদ থেকে ১৬ মাইল উত্তরে), নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬৭২-৬০১২ মে-সেপ্টেম্বর খোলা থাকে। মোট ৮১টি জায়গা, এর মধ্যে ২৫টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। সব জায়গাই আগে এলে আগে পাওয়া যায়। সাধারণত সকাল ১০টার মধ্যে ভরে যায়। এখানে স্প্রুস ও ফার গাছ, ঢালু জায়গা, হ্রদ আর পাহাড়ের দৃশ্য মিলেমিশে আছে। সিগনাল পর্বত ভবন ও নৌঘাটের পাশে, কাছে দোকান ও নানা সুবিধা আছে। জায়গাগুলো সাধারণত ছোট ও নিরিবিলি। এখানে তাঁবু আর ছোট আর.ভি. (৩০ ফুটের কম) রাখা যায়। উন্নত এলাকায় নানা রকম সুবিধা আছে—আবাসন, খাবার দোকান, গোসলখানা, কাপড় ধোয়ার জায়গা, ট্রেলার ফেলার জায়গা আর নৌঘাট। সর্বোচ্চ থাকা যাবে ১৪ রাত। (Q63676191)
  • 10 জেনি হ্রদ শিবিরস্থান (মুজ থেকে ৮ মাইল উত্তরে), নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬২৮-৯৯৮৮ মে-সেপ্টেম্বর খোলা থাকে। মোট ৫৯টি তাঁবুর জায়গা। সব জায়গাই আগে এলে আগে পাওয়া যায়। এটি উদ্যানের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিবিরস্থান, সাধারণত সকাল ৮টার মধ্যেই ভরে যায়। জায়গাগুলো চিরসবুজ গাছ আর হিমবাহের ফেলা বড় বড় পাথরের মাঝে, জেনি হ্রদ থেকে হাঁটার দূরত্বে। প্রতি জায়গায় একটিমাত্র গাড়ি রাখা যাবে, যা ১৪ ফুটের কম হতে হবে। ট্রেলার, ক্যাম্পার ভ্যান বা বিদ্যুৎ জেনারেটর নিষিদ্ধ। শিবিরস্থানটি একটি হিমবাহের তৈরি টিলার ওপর, চারপাশে খোলা বন—লজপোল পাইন, সাব-আল্পাইন ফার ও ডগলাস ফার গাছ আছে। প্রতিটি জায়গায় সর্বোচ্চ ২টি তাঁবু, ১টি গাড়ি ও ৬ জন মানুষ থাকতে পারবেন, সর্বোচ্চ ৭ রাত। (Q63675879)
  • 11 গ্রো ভান্ত্র শিবিরস্থান (মুজ থেকে ১১.৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে), নিঃশুল্ক ফোন নম্বর: +১-৮০০-৬২৮-৯৯৮৮ মে-সেপ্টেম্বর খোলা থাকে। মোট ৩০০টি জায়গা, ৫টি দলগত জায়গা, ৩৬টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। ৫টি আগে থেকে বুক করা যায়, আর ২৯৫টি আগে এলে আগে পাওয়া যায়। উদ্যানের সবচেয়ে বড় শিবিরস্থান এটি, দক্ষিণ-পূর্ব অংশে, জ্যাকসন শহরের সবচেয়ে কাছে। সাধারণত সন্ধ্যায় ভরে যায়, কখনো খালি জায়গা থাকে। শিবিরস্থানটি গ্রো ভান্ত্র নদীর ধারে, সেজব্রাশ গাছপালা, কটনউড গাছের নিচে আর নদীর একেবারে পাশে না হলেও কাছেই। ভিড়ের দিনে বিকেলে পৌঁছালে, যেকোনো জায়গায় থেকে রাতে থাকুন, সকালে ভালো জায়গা খুঁজে নিন। কিছু জায়গা থেকে গ্র্যান্ড টেটন আর ব্ল্যাকটেইল টিলা দেখা যায়। এখানে প্রায়ই বাইসন, মুজ আর খচ্চর-হরিণ দেখা যায়। সর্বোচ্চ থাকা যাবে ১৪ রাত। $৩০ গাড়িসহ জায়গা, $৩১ দলগত জায়গা, $৫৫ বিদ্যুৎ-সংযোগসহ জায়গা (২০২০ সালের হার) (Q63676189)

দূরবর্তী শিবির

[সম্পাদনা]

সব দূরবর্তী শিবিরের জন্য অনুমতিপত্র লাগে। এই অনুমতিপত্র বিনামূল্যে পাওয়া যায়, তবে সরাসরি গিয়ে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে। মুজ আর কল্টার বে ভিজিটর কেন্দ্র, আর জেনি হ্রদ রেঞ্জার দপ্তরে অনুমতিপত্র পাওয়া যায়। যারা পাহাড়ে উঠতে চান, তাদের জেনি হ্রদ রেঞ্জার দপ্তরে আবেদন করতে হবে।

আগাম বুকিংয়ের আবেদন জানুয়ারি ১ থেকে মে ১৫ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়। আবেদন ডাকযোগে, ফ্যাক্সে বা সরাসরি জমা দিতে হবে। আবেদনে নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, কতজন থাকবেন, কোন কোন জায়গায় ও কোন তারিখে থাকতে চান তা লিখতে হবে। বিকল্প জায়গা ও তারিখও দিতে হবে। আবেদন যে ক্রমে আসবে, সেই ক্রমে প্রক্রিয়া করা হবে। আবেদন ফ্যাক্সে পাঠানো যাবে +১ ৩০৭ ৭৩৯-৩৪৩৮ এই নম্বরে, অথবা ডাকযোগে পাঠাতে হবে:

গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যান
দূরবর্তী শিবির অনুমতি বিভাগ
পি.ও. বক্স ১৭০
মুজ, ওয়াইওমিং ৮৩০১২

প্রতি বুকিংয়ের জন্য $১৫ পরিষেবা মূল্য দিতে হবে (প্রতি দলে, ব্যক্তিপ্রতি নয়)। ফ্যাক্স পাঠানোর সময় সরাসরি ক্রেডিট কার্ডের তথ্য লিখতে হবে, অথবা চেক পাঠাতে হবে যেটি ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস-এর নামে হবে। অর্থ না থাকলে পরে বিল দেওয়া হবে। মোট জায়গার এক-তৃতীয়াংশ আগে থেকে বুক করা হয়, আর দুই-তৃতীয়াংশ সরাসরি গিয়ে আগে এলে আগে পাওয়া যায়।

নিরাপদে থাকুন

[সম্পাদনা]

আবহাওয়া এই পাহাড়ি অঞ্চলে খুব দ্রুত বদলাতে পারে। তাপমাত্রা হঠাৎ করেই অনেক নিচে নেমে যেতে পারে, আর সেটা আগে থেকে বোঝা নাও যেতে পারে। বজ্রপাত একটি বাস্তব বিপদ। আকাশের দিকে খেয়াল রাখুন, আর যদি বজ্রধ্বনি শোনেন, তাহলে কোনো স্থাপনার ভেতরে আশ্রয় নিন অথবা নিজেকে যতটা সম্ভব নিচু করে রাখুন।

পরবর্তী ভ্রমণ

[সম্পাদনা]
  • ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান — বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংখ্যায় গিজার (গরম পানির ঝর্ণা), উষ্ণ প্রস্রবণ আর অন্যান্য ভূ-তাপীয় বিস্ময় এখানেই রয়েছে। গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যান থেকে মার্কিন সড়ক ৮৯/১৯১/২৮৭ ধরে সামান্য উত্তরে গাড়ি চালালেই পৌঁছে যাওয়া যায়। ইয়েলোস্টোনে আছে বন্য মহিষ, হরিণ, শিংওয়ালা হরিণ আর ভাল্লুক। গ্র্যান্ড টেটনর প্রবেশ টিকিট থাকলে ইয়েলোস্টোনেও প্রবেশ করা যায়, তবে প্রবেশদ্বারে অবশ্যই আপনার পাস দেখাতে হবে।
গ্র্যান্ড টেটন জাতীয় উদ্যানর মধ্য দিয়ে রুট
আইডাহো জলপ্রপাত জ্যাকসন  পশ্চিম  পূর্ব  রিভারটন ক্যাস্পার
লিভিংস্টন ইয়েলোস্টোন উদ্যান  উত্তর  দক্ষিণ  জ্যাকসন লোগান
বোজম্যান ইয়েলোস্টোন উদ্যান  উত্তর  দক্ষিণ  জ্যাকসন রক স্প্রিংস
হেলেনা ইয়েলোস্টোন উদ্যান  উত্তর  দক্ষিণ  ল্যান্ডার রলিন্স


এই পার্ক ভ্রমণ গাইডটি মাউন্ট কিনাবালুর জন্য একটি ব্যবহারযোগ্য নিবন্ধ। এতে পার্ক সম্পর্কে তথ্য, প্রবেশের উপায়, কয়েকটি আকর্ষণ এবং পার্কে থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। একজন সাহসী ব্যক্তি এই নিবন্ধটি ব্যবহার করতে পারেন, তবে দয়া করে পৃষ্ঠাটি সম্পাদনা করে এটি উন্নত করতে বিনা দ্বিধায় এগিয়ে যান। বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন