বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

জাতীয় গ্রিড হলো একটি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসমূহ, সঞ্চালন লাইন এবং উপকেন্দ্রগুলোর সমন্বিত নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এটি মূলত বিদ্যুতের কেন্দ্রীয় বিতরণ ব্যবস্থা।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে জাতীয় গ্রিডের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। বর্তমানে গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (PGCB)। অন্যান্য দেশেও জাতীয় গ্রিড বিদ্যুৎ সরবরাহকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ও স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কাঠামো

[সম্পাদনা]

জাতীয় গ্রিড সাধারণত তিনটি ধাপে বিভক্ত:

  1. উৎপাদন – বিদ্যুৎকেন্দ্র (তাপ, গ্যাস, কয়লা, জলবিদ্যুৎ, সৌর, বায়ু ইত্যাদি) থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
  2. সঞ্চালন – উচ্চ ভোল্টেজ (২৩০ কেভি, ৪০০ কেভি) লাইনের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে বিদ্যুৎ পরিবহন করা হয়।
  3. বিতরণ – ভোল্টেজ কমিয়ে (৩৩ কেভি, ১১ কেভি বা ৪০০ ভোল্ট) গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে জাতীয় গ্রিড

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিড ৪০০ কেভি, ২৩০ কেভি ও ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন নিয়ে গঠিত। ২০২৫ সাল নাগাদ সিস্টেমের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ২৮,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্ব

[সম্পাদনা]
  • বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা
  • শিল্প, কৃষি ও গৃহস্থালী খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান
  • এক অঞ্চলে অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য অঞ্চলে স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি

চ্যালেঞ্জ

[সম্পাদনা]
  • বিদ্যুৎ চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি
  • অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা
  • নবায়নযোগ্য শক্তিকে গ্রিডে যুক্ত করা