উইকিভ্রমণ থেকে

ঠাকুরগাঁও শহর হলো বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, যা রংপুর বিভাগের অন্তর্গত ঠাকুরগাঁও জেলায় পড়েছে। এটি মূলত ঠাকুরগাঁও পৌরসভা, যা ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত এবং টাঙ্গন নদীর পাড়ে অবস্থিত। এটি উত্তর জনপদের একটি অতি প্রাচীন শহর হিসাবে সুপরিচিত।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

স্থলপথে[সম্পাদনা]

সড়ক পথে ঢাকা হতে ঠাকুরগাঁওয়ের দূরত্ব ৪৫৯ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের দূরত্ব ৬৪০ কিলোমিটার।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, শ্যামলী, কল্যানপুর, কলাবাগান, ফকিরাপুল, আসাদগেট - প্রভৃতি বাস স্টেশন থেকে ঠাকুরগাঁও আসার সরাসরি দুরপাল্লার এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস আছে; এগুলোতে সময় লাগে ৭.৩০ হতে ১০ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে হানিফ, নাবিল, বাবলু, কেয়া প্রভৃতি পরিবহন কোম্পানীর বাস আছে প্রতিদিন।

  • অনলাইনে টিকেট নিতে এখানে ক্লিক করুন
  • নাবিল পরিবহন: ☎ ০২-৮১২৭৯৪৯ (আসাদ গেট);
  • বাবলু এন্টারপ্রাইজ: ☎ ০২-৮১২০৬৫৩, মোবাইল +৮৮০১৭১৬-৯৩২১২২ (শ্যামলী-রিং রোড);
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ: ☎ ০২-৮১২৪৩৯৯, মোবাইল +৮৮০১৬৭৩-৯৫২৩৩৩ (কলেজ গেট), +৮৮০১৭১৩-৪০২৬৬১ (কল্যাণপুর), +৮৮০১৭১৩-৪০২৬৭১, +৮৮০১৭১৩-৪০২৬৩১ (আরামবাগ);
  • শ্যামলী পরিবহন: ☎ ০২-৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর);
  • কেয়া পরিবহন: মোবাইল +৮৮০১৭১১-১১৮৪০২ (কল্যাণপুর);
  • কর্ণফুলী পরিবহন: মোবাইল +৮৮০১৬৭৪-৮০৫ ১৬৪ (আবদুল্লাহপুর)।
  • ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে সরাসরি চলাচলকারী পরিবহনে আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলোঃ
    • এসি বাসে - ৮০০/- (রেগুলার) ও ১২০০/- (এক্সিকিউটিভ) এবং
    • নন-এসি বাসে - ৩৫০/- হতে ৬০০/-।

রেলপথ[সম্পাদনা]

ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনে সরাসরি এখানে আসা যায়। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা – ঠাকুরগাঁও রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলোঃ

  • ৭৫১ লালমনি এক্সপ্রেস (রবিবার বন্ধ) - লালমণিরহাট হতে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ছাড়ে ও ঢাকায় রাত ৯টা ১৫ মিনিটে পৌছে এবং ঢাকা থেকে রাত ১০ টা ১০ মিনিটে ছাড়ে ও ঠাকুরগাঁওয়ে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে পৌছে।

ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে চলাচলকারী রেলে ঢাকা হতে ঠাকুরগাঁও আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো -

  • শোভন - ৩৯০ টাকা;
  • শোভন চেয়ার - ৪৬৫ টাকা;
  • ১ম শ্রেণির বাথ - ৯৩০ টাকা।

এছাড়াও, কাঞ্চন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করে পার্বতীপুর হয়ে।

ট্রেন সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

  • কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২, মোবাইল নম্বর: +৮৮০১৭১১-৬৯১৬১২;
  • বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৮৯২৪২৩৯;
  • ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd

আকাশ পথে[সম্পাদনা]

ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর থাকলেও তা চালু না-থাকায় এখানে সরাসরি আকাশ পথে আসা যায় না, তবে ঢাকা থেকে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সাথে; ঢাকা থেকে সৈয়দপুর এসে সেখান থেকে সড়কপথে ঠাকুরগাঁও আসা যায়। বাংলাদেশ বিমান, জেট এয়ার, নোভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার - প্রভৃতি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা রয়েছে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর আসার জন্য।

বাংলাদেশ বিমানের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা-সৈয়দপুর ও সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করে; ভাড়া লাগবে একপথে ৩,০০০/- এবং রিটার্ণ টিকিট ৬,০০০/-। সময়সূচী হলোঃ

  • ঢাকা হতে সৈয়দপুর - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০২ টা ২০ মিনিট।
  • সৈয়দপুর হতে ঢাকা - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০৩ টা ৩৫ মিনিট।

এই সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

    • ম্যানেজার, সৈয়দপুর বিমান বন্দর, মোবাইল - +৮৮০১৫৫৬-৩৮৩ ৩৪৯।

জল পথে[সম্পাদনা]

অপ্রচলিত মাধ্যম হিসাবে নৌপথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে; তবে কেবলমাত্র স্থানীয় পর্যায় ছাড়া অন্য কোনো এলাকার সাথে, কিংবা ঢাকা থেকে বা অন্যান্য বড় শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না। তবে, চরাঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌযান।

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা[সম্পাদনা]

  • রানীশংকৈল রাজবাড়ি;
  • রামরাই দিঘী;
  • গোরক্ষনাথ মন্দির;
  • এশিয়ার বৃহত্তম আম গাছ;
  • গোবিন্দ জিউ মন্দির;
  • টাঙ্গন নদী;
  • টাঙ্গন বাঁধ;
  • ঢোলহাট মন্দির;
  • খুররম খাঁ দীঘি।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

‘সিদল ভর্তা’ এখানকার জনপ্রিয় খাবার, যা কয়েক ধরনের শুঁটকির সঙ্গে নানা ধরনের মসলা মিশিয়ে বেটে তৈরি করা হয়। এছাড়াও রয়েছে বিখ্যাত “হাড়িভাঙ্গা” আম, তামাক ও আখ। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো হলো: পাটশাক ও লাফা শাকের ঝোল, সিদলের ভর্তা, চেং বা শাটি (টাকি) মাছের পোড়া বা সিদ্ধ ভর্তা, কচি কচু পাতার পোড়া বা সিদ্ধ ভর্তা, পেল্কা, কাঁচা আমের তরকারি, কাঁচা কাঁঠালের তরকারি, আমসি বা টমেটোর টক, নতুন ধানের ভাকা পিঠা (ভাপা পিঠা), পাকোয়ান পিঠা, নুনাস বা নুনিয়া পিঠা, চিতুয়া পিঠা, গুড়গুড়িয়া পিঠা, আঁখের নতুন গুড় দিয়ে তৈরি খৈয়ের মুড়কি, মুড়ির নাড়ু, চিড়ার চিপড়ি।

থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান[সম্পাদনা]

ঠাকুরগাঁওয়ে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও থাকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উন্নতমানের কিছু হোটেলও রয়েছে -

  • সার্কিট হাউস, ঠাকুরগাঁও, ☎ ০৫৬১-৫৩৪০০;
  • জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, ঠাকুরগাঁও, ☎ ০৫৬১-৫২০৯৪;
  • হোটেল সালাম ইন্টার ন্যাশনাল, নর্থ সার্কুলার রোড, ঠাকুরগাঁও, ☎ ০৫৬১-৫২২৪৬;
  • হোটেল মানামা, আধুনিক সদর হাসপাতাল এলাকা, ঠাকুরগাঁও;
  • হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল, নর্থ সার্কুলার রোড, ঠাকুরগাঁও, ☎ ০৫৬১-৫৩৫০৫;
  • হোটেল ইসলাম প্লাজা;
  • হোটেল সাদেক, বাসষ্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও, ☎ ০৫৬১-৫২১৯৭;
  • মকবুল হোটেল, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও;
  • জাহের হোটেল, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও।

জরুরি নম্বরসমূহ[সম্পাদনা]

চিকিৎসা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • সিভিল সার্জন, ঠাকুরগাঁও: +৮৮০১৭১২-০৭৩ ০৫৬;
  • উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা, ঠাকুরগাঁও সদর, ঠাকুরগাঁও: +৮৮০১৭২৪-৬৮১ ৪৮৯;
জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • ইউ.এন.ও. ঠাকুরগাঁও সদর, ঠাকুরগাঁও: ☎ ০৫৬১-৫১৬০০, মোবাইল - +৮৮০১৮৫২-২৭৫ ০০১;
  • পুলিশ সুপার, ঠাকুরগাঁও: +৮৮০১৭১৩-৩৭৩ ৯৮০;
  • ওসি ঠাকুরগাঁও: +৮৮০১৭১৩-৩৭৩ ৯৮৫।