নাকাসেন্দো ("মধ্যবর্তী পর্বতপথ") ছিল দুটি ঐতিহাসিক প্রধান রাস্তার মধ্যে একটা, যা টোকিওকে (এডো) কিয়োটোর সাথে সংযুক্ত করেছিল।

বুঝুন

এডো যুগের পাঁচটি রাস্তা: নাকাসেন্দো (#2) লাল রঙে

বেশি পরিচিত উপকূল তোকাইদোর তুলনায় নাকাসেন্দো ভিতরের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। এটি প্রায় ৬৯টি পোস্ট স্টেশন অতিক্রম করে। তবে এডো যুগে সমৃদ্ধি লাভ করে। কারণ এখানে কেবলমাত্র অল্প কয়েকটি নদী পার হতে হতো যা তোকাইদোর তুলনায় অনেক কম ছিল। এডো যুগে বহু খ্যাতিমান মানুষ এই পথ দিয়ে ভ্রমণ করেছেন। বিশেষভাবে হাইকু কবি বাসো যিনি অন্তহীন উত্তরের সরু পথ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত।

আজকের দিনে, তোকাইদো জাপানের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা দিয়ে অতিক্রম করে বলে তার পূর্বের রূপ প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু শান্ত, দূরবর্তী নাকাসেন্দো পুরোপুরি অক্ষত নাহলেও এর কিছু অংশ এখনো বিদ্যমান। যেগুলো জাপানের সেরা সংরক্ষিত পোস্ট শহরগুলোতে দেখা যায়। বিশেষভাবে কিসো উপত্যকার ৮ কি.মি দীর্ঘ মাগোমে-সুমাগো পথ সবচেয়ে জনপ্রিয়।

কীভাবে পৌঁছাবেন

যদি পুরো পথ অতিক্রম করতে চান তাহলে যাত্রা সূচনা করতে হবে টোকিও অথবা কিয়োটো থেকে। আর যদি কিসো উপত্যকার সবচেয়ে জনপ্রিয় মধ্যবর্তী অংশে ভ্রমণ করতে চান তাহলে নাগোয়া পৌঁছে সেখান থেকে জেআর চুও মূল লাইন ধরে যেতে হবে।

চলাফেরা

পোস্ট শহর নারাই-জুকু

তাকামিয়া-জুকুর কাছে নাকাসেন্দোর আধুনিক নির্দেশক

তোকাইদো পথটি জেআর তোকাইদোর মূল লাইন। তোকাইদো শিনকানসেন বুলেট ট্রেনগুলোকে প্রায় পুরোপুরি অনুসরণ করেছে। কিন্তু নাকাসেন্দো কেবল আংশিকভাবে রেলপথ দ্বারা আচ্ছাদিত। তাই পুরোটা ভ্রমণ করতে চাইলে নিজের যানবাহন ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।

সড়কপথে

যদিও নাকাসেন্দোর আর ঐতিহাসিক রূপে নেই, তবে আধুনিক সড়কগুলো তার পথ অনুসরণ করেছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো হলো:

• জাতীয় সড়ক ১৭: 1 টোকিও থেকে 2 তাকাসাকি (গুনমা প্রদেশ)
• জাতীয় সড়ক ১৮: তাকাসাকি থেকে 3 কারুইজাওয়া (নাগানো প্রদেশ)
• জাতীয় সড়ক ১৪২: সাকু থেকে 4 শিমোসুওয়া-জুকু (নাগানো প্রদেশ)
• জাতীয় সড়ক ২০: শিমোসুওয়া-জুকু থেকে 5 শিওজিরি (নাগানো প্রদেশ)
• জাতীয় সড়ক ১৯: শিওজিরি-জুকু থেকে 6 এনা (গিফু প্রদেশ)

সবচেয়ে ভালোভাবে সংরক্ষিত ও জনপ্রিয় অংশ হলো মাগোমে-সুমাগো পথ, যা 7 মাগোমে-জুকু এবং 8 সুমাগো-জুকু পোস্ট শহরের মধ্যে অবস্থিত। সাধারণত এই পথে উল্টো দিকে (পশ্চিম থেকে পূর্ব) হাঁটতে হয়। কারণ অন্যদিকে গেলে অধিকাংশটাই উঁচু পথে উঠতে হয়। 9 নারাই-জুকু একসময় কিসো উপত্যকার বৃহত্তম ও ধনীতম পোস্ট দেখার মতো শহর ছিল।

• জাতীয় সড়ক ২১: মিতাকে (গিফু প্রদেশ) থেকে 10 মাইবারা (শিগা প্রদেশ)

11 তারুই-জুকু ছিল ৫৭তম পোস্ট স্টেশন। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল ৬০ কি.মি দীর্ঘ মিনোজি সংক্ষিপ্ত পথ, যা তোকাইদোর মিয়া-জুকুতে গিয়ে মিশতো। এখানে কিছু পুরোনো ভবন সংরক্ষিত আছে। ৫৮তম পোস্ট স্টেশন 12 সেকিগাহারা-জুকু ১৬০০ সালের বিখ্যাত যুদ্ধে খ্যাতি পেয়েছিল। তবে পোস্ট স্টেশনের খুব কমই অবশিষ্ট আছে। এমনকি প্রধান অতিথিশালার ফটকও তারুইতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

• জাতীয় সড়ক ৮: মাইবারা থেকে 13 কুসাৎসু (শিগা প্রদেশ)

কুসাতসু-জুকুতে নাকাসেন্দো তোকাইদোর সঙ্গে মিলিত হয় এবং জাতীয় সড়ক ১ ধরে 14 কিয়োতো পর্যন্ত চলে।

রেলে

টোকিও থেকে আপনি ওমিয়া (টোকিওর কাছাকাছি) থেকে তাকাসাকি লাইনে তাকাসাকি যেতে পারেন। আরও একটু এগিয়ে শিনএৎসু লাইনে ইয়োকোকাওয়া পর্যন্ত যেতে পারেন যেখানে ট্রেন শেষ হয়।

সবচেয়ে সহজ অংশ হলো কিসো উপত্যকা। যেখানে জেআর চুও মূল লাইন প্রায় নাকাসেন্দোর পথ অনুসরণ করে সুওয়া থেকে শিওজিরি-জুকু হয়ে এনা-জুকু পর্যন্ত যায়। ‘‘বিস্তৃত দৃশ্য শিনানো’’ সীমিত এক্সপ্রেস ট্রেন নাগানো থেকে নাগোয়া পর্যন্ত চলে। শরতের ভ্রমণ মৌসুমে জেআর টোকাই বিশেষ "নাকাসেন্দো ট্রেন" চালায় নাগোয়া থেকে নারাই-জুকু পর্যন্ত।

পশ্চিম প্রান্তের মাইবারা তোকাইদো শিনকানসেন লাইনে অবস্থিত। এই পথে প্রচুর ট্রেন কুসাতসু-জুকু হয়ে কিয়োটো যায়।

পায়ে হেঁটে

কিছু সাহসী ভ্রমণকারী এখনো পুরো পথ হাঁটেন। তবে অধিকাংশ কংক্রিটে ঢেকে গেছে ফলে পুরোনো রাস্তার চিহ্ন খুব কমই দেখা যায়।

পরবর্তী গন্তব্য

{{#assessment:ভ্রমণপথ|রূপরেখা}}