বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

পর্যটন ট্রেন হলো এমন এক ধরনের রেল পরিষেবা, যার মূল উদ্দেশ্য সাধারণ যাতায়াত নয়, বরং এটি নিজেই একটি আকর্ষণ অনেকটা জাদুঘর ভ্রমণের মতো। এখানে যাত্রীরা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে, প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে অথবা পুরনো ধাঁচের ডাইনিং কার বা স্লিপার কারের মতো বিশেষ পরিষেবা ব্যবহার করার সুযোগ পান। এই ধরনের ট্রেনযাত্রা মূলত নতুন অভিজ্ঞতা, নস্টালজিয়া বা বিনোদনের জন্যই আয়োজন করা হয়।

জানুন

[সম্পাদনা]

পর্যটন ট্রেনকে সাধারণ ট্রেন থেকে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে আলাদা করা যায়:

  • পুরনো বা বিশেষ ধরনের কামরা ব্যবহার করা হয়, যেমন সংস্কার করা বাষ্পচালিত ইঞ্জিন অথবা ১৯২০-এর দশকের ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসের মতো ডাইনিং ও স্লিপার কার।
  • বিলাসবহুল ও ব্যয়বহুল ভ্রমণ; যেখানে যাত্রীরা শত বছর আগের রাজা-মহারাজাদের মতো অভিজ্ঞতা লাভ করেন, কিন্তু এর ভাড়া হাজার হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে, যেখানে বিমানে একই পথে যেতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশ ডলার।
  • চারপাশের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য ধীরগতিতে চলাচল অথবা স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় বিশেষভাবে আয়োজিত খাবার পরিবেশনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেওয়া।
  • ট্রেনের ভেতরে বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা, যেমন যাত্রাপথে অভিনীত ‘মার্ডার মিস্ট্রি’ নাটকের মতো আয়োজন।
  • এমন রাউন্ড-ট্রিপ বা ফিরতি যাত্রার ব্যবস্থা থাকে, যেখানে ট্রেনটি কোনো দূরবর্তী ছোট শহরে কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার একই যাত্রীদের নিয়ে শুরুর স্থানে ফিরে আসে।
  • এমন ভ্রমণ প্যাকেজ, যেখানে ট্রেন শুধুমাত্র দিনের আলোয় চলে এবং রাতে যাত্রীদের জন্য পর্যটন হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • এমন ভ্রমণ প্যাকেজ, যেখানে যাত্রাপথে কোনো শহরে একদিন বা তার বেশি সময়ের জন্য ট্রেন থামে এবং সেই সাথে গাইডসহ হাঁটা বা বাস ভ্রমণের ব্যবস্থাও থাকে।
  • এমন ভ্রমণ, যেখানে খাবার, থাকা বা বিনোদনের খরচ যাতায়াতের খরচের চেয়ে বেশি হয় যেমন পাশের গ্রামে একদিনের যাত্রায় বিশেষ মানের খাবার পরিবেশন।
  • খুব সীমিত বা মৌসুমী চলাচল। যেমন কোনো ট্রেন বছরে একবার কোনো ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করতে বা শরতের রঙিন পাতা দেখতে চালানো হয় এগুলো কখনোই কোনো অঞ্চলের নিয়মিত যাত্রীবাহী ট্রেনের বিকল্প নয়।

ঐতিহাসিক ও জাদুঘরভিত্তিক ট্রেন

[সম্পাদনা]
ওয়েকফিল্ড, কুইবেক-এ ২০১০ সালে বাষ্পচালিত ট্রেন

 :আরও দেখুন ঐতিহ্যবাহী রেলপথসমূহ

অনেক সময় পুরনো যুগের কামরা ও ইঞ্জিনগুলোকে যত্ন সহকারে সংস্কার করে আবারও চালু করা হয় জীবন্ত জাদুঘর হিসেবে। বাষ্পচালিত ট্রেন, পুরনো কামরা বা ন্যারো-গেজ সরঞ্জাম যা আধুনিক প্রধান রেলপথে চালানো সম্ভব নয় সেগুলো সাধারণত কম ব্যবহৃত লাইনে চালানো হয়, যাতে রেলকর্মীরা পুরনো দিনের স্মৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।

বর্তমানে চালু থাকা কয়েকটি বাষ্পচালিত ট্রেন:

ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রেলপথ

[সম্পাদনা]
চিত্র:A Scottish Adventure- The Jacobite over Glenfinn Viaduct.jpg
জ্যাকোবাইট বাষ্পচালিত ট্রেন, গ্লেনফিনান ভায়াডাক্ট, স্কটল্যান্ড
  • ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস আংশিকভাবে ইউরোপে একটি ব্যয়বহুল, বিলাসবহুল এবং নস্টালজিক ট্রেন হিসেবে পুনরায় চালু হয়েছে, যেখানে কিছু আসল পুরনো বগি ব্যবহার করা হয়। প্রতি বছর মাত্র একবার প্যারিস থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত এই ট্রেনটি চলাচল করে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটি কোনো একক ট্রেন বা রুট ছিল না, বরং স্লিপার কারের একটি আন্তঃসংযুক্ত নেটওয়ার্ক ছিল, সেই একই সংস্থা এখন "ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস" নাম ব্যবহার করে অন্যান্য রুটেও ভ্রমণের আয়োজন করে।
  • "দ্য জ্যাকোবাইট" ফোর্ট উইলিয়াম থেকে গ্লেনফিনান হয়ে ম্যালাইগ পর্যন্ত চলে।

ভ্রমণ ও বিলাসবহুল ট্রেন

[সম্পাদনা]

কিছু ট্রেন মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বা সেই সময়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য চালানো হয়, যখন বিমান ভ্রমণ সহজলভ্য ছিল না এবং ধনী ও অভিজাতরা আড়ম্বরের সাথে ট্রেনে ভ্রমণ করতেন। প্রায়শই এই ট্রেনগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল, ধীরগতির বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যার ফলে এগুলোকে সাধারণ পরিবহন হিসেবে গণ্য করা হয় না এবং জাতীয় পরিবহন নেটওয়ার্কের মতো সরকারি ভর্তুকিও পায় না। এগুলো পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো হয় এবং সাধারণত প্যাকেজের মধ্যে খাবার, ভ্রমণ ও বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকে।

  • ওলিয়ান্তাইতাম্বো থেকে আগুয়াস ক্যালিয়েন্তেস যা মাচু পিচুর প্রবেশদ্বারের মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র যান্ত্রিক মাধ্যম হলো ট্রেন, যা পেরুরেল এবং ইনকা রেল দ্বারা পরিচালিত হয়। বিশ্বের তৃতীয়-সর্বোচ্চ এই রেলপথটি মূলত পর্যটকরাই ব্যবহার করেন এবং এটি আন্দিজ পর্বতমালার অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ করে দেয়। এই সংস্থাগুলোর পেরুতে আরও কয়েকটি রুট রয়েছে।
কপার ক্যানিয়ন ট্রেন
  • সুইজারল্যান্ডে সাধারণ আন্তঃনগর রেল যাত্রাতেও মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। তবে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত রেটিয়ান রেলপথ নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে বাষ্পচালিত ট্রেন এবং ইউরোপের সর্বোচ্চ রেলস্টেশন জুংফ্রাউ পর্যন্ত বিশেষ রেল অভিজ্ঞতার কোনো কমতি নেই।
  • অস্ট্রেলিয়ায় পূর্ব উপকূল ও পার্থ শহর ছাড়া বাকি দীর্ঘ রেলপথগুলো এখন মূলত পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল ‘অল-স্লিপার’ পরিষেবা হিসেবে জার্নি বিয়ন্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে দ্য গান, যা ডারউইন থেকে অ্যাডিলেড পর্যন্ত লাল মরুভূমির মধ্য দিয়ে যায়; ইন্ডিয়ান প্যাসিফিক, যা পার্থসিডনিকে সংযুক্ত করে; এবং গ্রেট সাউদার্ন, যা অ্যাডিলেড থেকে ব্রিসবেন পর্যন্ত চলে। দ্য ওভারল্যান্ড অ্যাডিলেড থেকে মেলবোর্ন পর্যন্ত চলাচল করে এটি যদিও জার্নি বিয়ন্ড দ্বারা পরিচালিত, তবে এটি একটি ধীরগতির আন্তঃনগর রেল পরিষেবা, যেখানে স্লিপার কামরা নেই। এছাড়া কুইন্সল্যান্ড রেল ব্রিসবেন থেকে কেয়ার্নস পর্যন্ত স্পিরিট অফ কুইন্সল্যান্ড চালায়, যেখানে বিমানের বিজনেস ক্লাসের মতো শোয়া যায় এমন “রেলবেড” আসন রয়েছে।
  • গ্রেট ব্রিটেনে বেশ কিছু বিলাসবহুল বা ঐতিহ্যবাহী রুট রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই বাষ্পচালিত। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
    • বেলমন্ড দ্বারা পরিচালিত পুলম্যান কোচে ভ্রমণ, বিভিন্ন ভ্রমণসূচি সহ।
    • উত্তর ইয়র্কশায়ার মুরস রেলওয়ে, পিকারিং থেকে হুইটবি পর্যন্ত।
    • স্ট্র্যাথস্পে রেলওয়ে, অ্যাভিমোর থেকে।
    • লন্ডন থেকে হাইল্যান্ডস এবং ওয়েস্ট কান্ট্রির দিকে চলাচলকারী রাতের ট্রেনগুলো অসাধারণ দৃশ্য দেখায়, তবে এগুলো কার্যকরী ট্রেন, বিলাসবহুল নয়।
  • জিম্বাবুয়েতে একটি এক-কামরার, ২২ আসনের ট্রাম "এলিফ্যান্ট এক্সপ্রেস" নামে চলে। এটি বুলাওয়েও–ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত রেলপথের উত্তর প্রান্তে হোয়াংগে জাতীয় উদ্যানের সীমানা বরাবর ৭০ কিলোমিটার পথ দুই ঘণ্টায় অতিক্রম করে। এর সময়সূচি প্রায়শই অনিয়মিত থাকে।

মাঝে মাঝে, কোনো ট্রেন মূলত যাতায়াতের উদ্দেশ্যে চালানো হলেও যদি সেটি বিশেষভাবে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে যায়, তবে পর্যটকরা সেটিকেও ভ্রমণের জন্য বেছে নেন। এগুলো সরাসরি পর্যটন ট্রেন না হলেও, প্রায়শই সেই দেশ বা অঞ্চলের মূল রেল ভ্রমণ সংক্রান্ত নিবন্ধে এদের উল্লেখ থাকে।

খাবারসহ দর্শনীয় ট্রেন

[সম্পাদনা]

এগুলো অনেকটা ডিনার ক্রুজের মতো অভিজ্ঞতা দেয়। সাধারণত এগুলো ছোট (এক থেকে কয়েক ঘণ্টা) এবং ধীরগতির হয়, এবং এমন পথে চলে যেখানে নিয়মিত ট্রেন চলাচল কম। যাত্রার প্রায় পুরো সময়টাই ডাইনিং কার বা কাঁচঘেরা অবজারভেশন কারে বসে জমকালো খাবার উপভোগ করার মধ্যে দিয়ে কাটে।

  • সিয়েরা রেলপথ ওকডেল, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডাইনিং ট্রেন চালায়। ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম ব্যবহার করে "বিয়ার ও শ্যাম্পেন রান" এবং "মার্ডার মিস্ট্রি" ভ্রমণের মতো বিশেষ আয়োজনও করা হয়।
  • অরফোর্ড এক্সপ্রেস ম্যাগগশেরব্রুক, কুইবেক, কানাডার মধ্যে চলে। এটি মূলত একটি দর্শনীয় ভ্রমণ ট্রেন, যেখানে স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় যাত্রীরা কাঁচঘেরা কামরায় বসে খাবার উপভোগ করতে পারেন।
  • সাপ্তাহিক টেকিলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গুয়াদালাহারা থেকে হালিস্কো রাজ্যের আমাতিতান গ্রামে যায়। সেখানে হেরাদুরা ডিস্টিলারিতে সম্পূর্ণ টেকিলা তৈরির প্রক্রিয়া দেখানো হয়। যাত্রাপথে মারিয়াচি সংগীতের সাথে টেকিলা এবং বিভিন্ন স্থানীয় খাবারের আয়োজন থাকে।

আকর্ষণ ও উদ্যান রেলপথ

[সম্পাদনা]

(আরও দেখুন গ্র্যান্ড স্কেল রেলপথ)

আকর্ষণ ও উদ্যান রেলপথগুলো হলো ছোট আকারের রেলপথ, যেখানে ট্রেনটি নিজেই মূল আকর্ষণ। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বড় পার্কের ভেতরে একটি ট্রেন থাকতে পারে যা পার্কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখায়, কিন্তু পার্কের সীমানার বাইরে যায় না। একটি ঐতিহ্যবাহী বাষ্পচালিত ট্রেন যদি কোনো জাদুঘর চত্বরের চারপাশে ঘুরে আসে, সেটিও একটি পর্যটক ট্রেন।

এ ধরনের আকর্ষণমূলক রেলপথ সাধারণত দুই প্রকারের হয়:

মিনি রেলপথ (যুক্তরাষ্ট্রে 'গ্র্যান্ড স্কেল' রেলপথও বলা হয়)

ন্যূনতম বা ন্যারো-গেজ রেলপথ

পূর্ণ আকারের ইঞ্জিনের ছোট সংস্করণ প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, তবে এদের স্কেল, গেজ ও দৈর্ঘ্য ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। ‘গ্র্যান্ড স্কেল’ মডেল, ‘মিনি রেলপথ’ এবং ন্যূনতম গেজ আকর্ষণ রেলপথের মধ্যে পার্থক্য অনেক সময় অস্পষ্ট।

ইংল্যান্ড

[সম্পাদনা]
  • রাভেনগ্লাস অ্যান্ড এস্কডেল বাষ্পচালিত রেলপথ, এটি অন্যতম প্রাচীন মিনি রেলপথ, যা ১৯শ শতাব্দীর ৩ ফুট গেজ লাইনের ওপর নির্মিত।

ওয়েলস

[সম্পাদনা]
  • রাইল মিনি রেলওয়ে, মেরিন পারেড, রাইল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

[সম্পাদনা]

পূর্ব ইউরোপের "পাইওনিয়ার" রেলপথ

[সম্পাদনা]
ড্রেসডেন উদ্যান রেলওয়ে

প্রাক্তন পূর্ব ব্লকের দেশগুলোতে, যেমন পোল্যান্ডপূর্ব জার্মানি, বিভিন্ন ন্যারো-গেজ রেলপথ রয়েছে যা মূলত পাবলিক পার্কের মধ্যে চলে। এগুলো প্রায়শই কিশোর বা যুবকরা পরিচালনা করে, যা লেনিনবাদী সময়ের রাষ্ট্রীয় সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত "পাইওনিয়ার সংস্থা"-র একটি ঐতিহ্য। যদিও এগুলো পার্কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার সীমিত সুবিধা দেয়, তবে এগুলো মূলত আকর্ষণ হিসেবেই রাখা হয়েছে।

এ ধরনের রেলপথ থাকা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শহর:

অন্যান্য

[সম্পাদনা]
  • লিলিপুটবাহন প্র্যাটার, ভিয়েনা

জার্মানির প্রাক্তন উদ্যান প্রদর্শনীস্থলের পার্ক রেলপথ, যেমন: কলোন, ডর্টমুন্ড, এসেন, কার্লসরুহে, সারব্রুকেন

ভ্রমণ বিশেষ ট্রেন

[সম্পাদনা]
পি.টি. বার্নামের সার্কাস ১৮৭২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত রেলপথে চলেছে

এগুলো একটি চার্টার্ড বাস বা জাহাজের মতোই কাজ করে। কিছু ট্রেন মূল সময়সূচির বাইরে অতিরিক্তভাবে চালানো হয়, যেমন কোনো বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠান বা জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে যাত্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিছু ট্রেন বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা রেলপথ বা ট্রেন ভাড়া নেয়। অতীতে, এগুলো জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণাতেও ("হুইসেল স্টপ" ট্যুর) বেশ প্রচলিত ছিল, তবে এখন সেই স্থানটি মূলত নির্বাচনী প্রচার বাস নিয়েছে।

একটি বিশেষ বা অতিরিক্ত ট্রেন মূল রেল সংস্থা, পর্যটন রেলপথ বা ঐতিহ্যবাহী রেলপথ কর্তৃপক্ষ ভ্রমণের জন্য চালাতে পারে। কিছু সংস্থা আবার ঋতুভিত্তিক অতিরিক্ত ট্রেন চালায়, যেমন শরতের সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য।

কিছু ব্যক্তি নিজেদের ব্যক্তিগত রেলকোচও রক্ষণাবেক্ষণ করেন, যা সাধারণ যাত্রীবাহী বা মালবাহী ট্রেনের সাথে যুক্ত করে ভ্রমণ করা যায়।

অবসরপ্রাপ্ত রেলগাড়ি

[সম্পাদনা]

একটি ইঞ্জিন বা কামরার রেলপথে চলার জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সেটি জাদুঘর, পার্ক বা জন সাধারণের প্রদর্শনী হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। কোনো শহর যদি তাদের ঐতিহাসিক রেলস্টেশনকে ভ্রমণ তথ্যকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে, তবে প্রায়শই সেই যুগের একটি ঐতিহাসিক ইঞ্জিনও প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়। রেল ও পরিবহন জাদুঘরে সাধারণত রেলগাড়ির বিশাল সংগ্রহ থাকে। নতুনত্বপূর্ণ স্থাপত্যের অংশ হিসেবে কোনো ডাইনিং কারকে স্থায়ীভাবে রেস্তোরাঁ বানানো হতে পারে; আবার পুরনো শোবার বগি বা লাল “ক্যাবুজ” (যা একসময় উত্তর আমেরিকার মালবাহী ট্রেনের শেষে কর্মীদের থাকার জায়গা ছিল) ব্যবহার করে মোটেলও তৈরি করা হতে পারে।

ঐতিহাসিক সরঞ্জাম বা অবসরপ্রাপ্ত রেলগাড়ি সংরক্ষণকারী কয়েকটি রেল ও পরিবহন জাদুঘর:

আরও জাদুঘরের তালিকার জন্য দেখুন → রেলপ্রেমীদের ভ্রমণ#জাদুঘর

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]
  • অদ্ভুত স্থাপত্য কখনও কখনও এতে পুরোনো ট্রেন, কামরা বা রেল অবকাঠামো ব্যবহার করে “ক্যাবুজ হোটেল” বা রেস্তোরাঁ বানানো হয়

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন

This TYPE পর্যটন ট্রেন has ব্যবহারযোগ্য অবস্থা TEXT1 TEXT2

{{#assessment:প্রসঙ্গ|ব্যবহারযোগ্য}}