উইকিভ্রমণ থেকে

বরগুনা সদর উপজেলা বাংলাদেশের বরগুনা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৪৫৪.৩৯ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২১°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°১৫´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০°১৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে বেতাগী, মির্জাগঞ্জপটুয়াখালী সদর উপজেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরআমতলী উপজেলা; পূর্বে আমতলী উপজেলা এবং পশ্চিমে পাথরঘাটাবামনা উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে বরগুনা সদরের দূরত্ব ২৪৭ কিলোমিটার আর বিভাগীয় শহর বরিশাল থেকে ৯০ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। বরগুনায় রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

সড়কপথে[সম্পাদনা]

  • ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং রাত ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে সাকুরা, সুগন্ধা, মিয়া, আব্দুল্লাহ্, পটুয়াখালী এক্সপ্রেস প্রভৃতি কোম্পানীর বাস ছাড়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে। এছাড়া গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসা যায়।
    • ঢাকা থেকে বরগুনা আসার ভাড়া : ননএসি বাসে ২২০/- হতে ৬৫০/-।
  • চট্টগ্রাম থেকে সৌদিয়ার বাস আসে বরগুনায়; ভাড়া পড়ে ৬৫০/-।
  • বরগুনা সদর থেকে সড়ক পথে পায়রা, লেবুখালী ও কির্তনখোলা নদী ফেরী পারাপারের মাধ্যমে পটুয়াখালী হয়ে বরিশাল বিভাগীয় শহরে পৌছান যায়। এ পথের মোট দূরত্ব প্রায় ৯০ কি.মি. এবং সময় লাগে প্রায় ০৪ ঘণ্টা। বর্তমানে এ পথের বিকল্প হিসেবে বরিশাল বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের জন্য বরগুনা-বেতাগী-মির্জাগজ্ঞ-বাকেরগজ্ঞ-দপদপিয়া সড়কটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পথে অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগলেও সড়কটিতে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এ পথটি কম ব্যবহৃত হয়।
  • বরগুনা হতে সড়ক পথে কাকাচিড়া-শতকর-মঠবাড়িযা-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাট ও খুলনা বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • বরগুনা জেলা হতে বরিশাল এবং খুলনা বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেশের যেকোন স্থানে যাওয়া সম্ভব।
  • বরগুনা সদর থেকে পায়রা নদী ফেরী পারাপারের মাধ্যমে আমতলী উপজেলায় পৌছান যায়, এতে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে। আমতলী উপজেলা হতে সরাসরি সড়কপথে তালতলী উপজেলায় পৌঁছান যায় যাতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা। এছাড়া বেতাগী উপজেলার সাথে বরগুনা সদর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, এতে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে। বরগুনা জেলা সদর থেকে বড়ইতলা-বাইনচটকী ফেরী পারাপারের মাধ্যমে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বিদ্যমান এতে সময় লাগে যথাক্রমে ১.৩০ ঘণ্টা এবং ২ ঘণ্টা।

নৌপথে[সম্পাদনা]

প্রতিদিন একাধিক লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট হতে বরগুনা যায়। লঞ্চ ছাড়ে ৪.৩০টা হতে ৮.০০টার মধ্যে। লঞ্চ ভাড়া ২০০ টাকা করে (ডেক), আর কেবিনে গেলে ৯০০ টাকা সিঙ্গেল, ১৮০০ টাকা ডাবল।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

  1. পদ্মা পর্যটন কেন্দ্র;
  2. পায়রা নদীর পাড়।

খাওয়া - দাওয়া[সম্পাদনা]

বরগুনায় খাবারের জন্য বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সবধরণের সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ

  • রহমান রেস্তোরা - সদর।

থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান[সম্পাদনা]

বরগুনায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে উন্নতমানের -

  1. জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - বরগুনা।
  2. হোটেল তাজবিন - সদর।
  3. হোটেল বে অব বেঙ্গল - সদর রোড, বরগুনা; মোবাইল: +৮৮০১৭১২-২৩৪ ৩৩২।

জরুরি নম্বরসমূহ[সম্পাদনা]

  • ওসি, বরগুনা: মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৫৩।