উইকিভ্রমণ থেকে

লোহাগাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে ২১°৫৪´ থেকে ২২°০৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০০´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত লোহাগাড়া উপজেলার আয়তন ২৫৮.৮৭ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৮১ সালে সাতকানিয়া থেকে পৃথক করে লোহাগাড়া থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে লোহাগাড়া থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। লোহাগাড়া উপজেলায় বর্তমানে ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে।

নামকরণ[সম্পাদনা]

লোকমুখে প্রচলিত আছে, ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে মুঘল শাহজাদা শাহ সুজা মীর জুমলার তাড়া খেয়ে আরাকান রাজ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেন। আরাকান যাওয়ার পথে তিনি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মাঝামাঝি ছায়াঘেরা টিলাসমেত একটি জায়গায় (বর্তমান চুনতি গ্রাম) কিছুদিন অবস্থান করেন। সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় চিহ্নস্বরূপ একটি লোহার খুঁটি গেঁড়ে দিয়ে যান। স্থানটিতে লোহার খুঁটি গাঁড়ার কারণে লোহাগাড়া নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লোহাগাড়া উপজেলার জনসংখ্যা ২,৬৬,৭৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৩৪,০৯৪ জন এবং মহিলা ১,৩২,৬৪৭ জন। এ উপজেলার ৮৯% মুসলিম, ৯% হিন্দু এবং ২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

সড়কপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে আমিরাবাদ পর্যন্ত বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে লোহাগাড়া উপজেলায় যাওয়া যায়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • বুলবুল চৌধুরীর বাড়ি বুলবুল ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা বুলবুল চৌধুরীর বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে। পৈতৃক নিবাস এখনও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে ১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।কক্সবাজার যাওয়ার সময় খুব সহজে এই বাড়ির সান্নিধ্যে আসা যায়।
  • চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপরে অবস্থিত এই অভয়ারণ্যটি নানা প্রজাতির প্রাণীর বিচরণ ক্ষেত্র। কক্সবাজার যাওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে এই প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যটির সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
  • নাসিম পার্ক আমিরাবাদ থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে এ পার্ক অবস্থিত।

এছাড়াও এ উপজেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

লোহাগাড়া, আমিরাবাদ প্রভৃতি এলাকার যে কোন হোটেলে সুলভ মূল্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

লোহাগাড়া, আমিরাবাদ প্রভৃতি এলাকার যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খেতে পারেন।