হুগলি (চুঁচুরা বা হুগলি-চুঁচুরা বা হুগলি-চুঁচুড়া নামেও পরিচিত) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত। এটি হুগলী জেলার রাজধানী। এটি কলকাতার ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত (কলকাতা)।
বিবরণ[সম্পাদনা]
হুগলী গঙ্গা নদীর (হুগলি নদী) তীরের একটি শহর। এই শহরের একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক তাত্পর্য আছে। এই শহরের অধিকাংশ মানুষই বাঙালি, আর এদের বেশিরভাগই হিন্দু, যদিও এই অঞ্চলে হিন্দু ধর্মের সাথে বেশ কয়েকটি ধর্ম আছে, যেমন এই পৃষ্ঠায় ছবিগুলি দেখানো হয়েছে। এখানে কথিত প্রাথমিক ভাষা ও সরকারি ভাষা হল বাংলা।
কি ভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

হুগলি শহরটি রাস্তা ও রেল লাইনের দ্বারা ভালভাবে সংযুক্ত দেশের বিঠিন্ন অংশের সঙ্গে। কোন বিমানবন্দর নেই, তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহজ পরিবহনের জন্য পবনহান্স বিমানসংস্থার দ্বারা হেলিকপ্টার পরিশেবা চালু করার একটি পরিকল্পনা করেছে, তবে এটি স্পষ্ট নয় এখন এই পরিবহন ব্যবস্থা শহরে আসবে।
- ট্রেনে:
হাওড়া-বর্ধমানের প্রধান লাইনের শাখা ট্রেন লাইন দ্বারা হুগলি ভালভাবে সংযুক্ত। দ্রুতগামী এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও সমস্ত ট্রেন হুগলি স্ট্রেশনে দাঁড়ায়। হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত একটি টিকেটের মূল্য মাত্র ₹১০ টাকা (ইউএসডি ০.৬০)।
- গাড়ি দ্বারা:
হুগলি শসরটি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড এবং দিল্লি রোড দ্বারা সংযুক্ত রয়েছে কলকাতার সঙ্গে। হুগলি যাওয়ার জন্য দিল্লি রোডটি অগ্রাধিকার পায়, কারণ গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড স্থানীয় ট্র্যাফিকের দ্বারা ব্যয়িত হয় এবং ভাঙাচোড়া সড়কগুলির মধ্য দিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য এটি একটি কঠিন কাজ।
কী দেখবেন[সম্পাদনা]
- অনন্ত বাসদেব মন্দির - বাঁশবেরিয়া, হুগলি
- ইমামবাজার মসজিদ - চুঁচুড়িয়া, হুগলি
- স্যাক্রেড হার্ট চার্চ - চন্দননগর, হুগলি
- হযরত আবু বকর সিদ্দিকের কবর - ফুরফুর শরিফ, হুগলি
কেনা-কাটা[সম্পাদনা]

বিশেষ করে ২০০০ সালে শহরটিতে বিভিন্ন শপিং মলের উদ্বোধন করা হয়। বিদেশি বাজারের তুলনায় এখানে জিনিসপত্র সস্তা, বিশেষ করে পাইকারি দ্রব্য কেনার সময়। উপহারের জন্য ভাল হস্তশিল্পের জিনিসপত্র কিনতে পারেন।
পানীয়[সম্পাদনা]
এই অঞ্চলের রক্ষণশীল হিসাবে রন্ধনপ্রণালী যেমন, একটি পানীয় ক্লাব এবং/অথবা পব খুঁজে আশা করা উচিত নয়। তবে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ ইউনিট সংলগ্ন শহরটির কোদালিয়া পার্কে ওয়াইনের দোকান রয়েছে।