চলন বিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিভ্রমণ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{পাতার ব্যানার|Cholon bil.jpg}}
{{পাতার ব্যানার|Cholon bil (wv banner).jpg}}
'''চলন বিল''' বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এটি রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, এবং পাবনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সাতচল্লিশটি নদী ও অন্যান্য জলপথ চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।
'''চলন বিল''' বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এটি রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, এবং পাবনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সাতচল্লিশটি নদী ও অন্যান্য জলপথ চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।



০৬:২৬, ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চলন বিল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এটি রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, এবং পাবনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সাতচল্লিশটি নদী ও অন্যান্য জলপথ চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বর্ণনা

রাজশাহী বিভাগের চারটি জেলা, আটিটি উপজেলা, ৬০টি ইউনিয়ন, ১৬০০ গ্রাম এবং ১৪টি নদী নিয়ে এর বিস্তৃতি। চলন বিলের গঠন ঐতিহাসিকভাবেই আত্রাই ও বড়াল নদীর সংকোচনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আত্রাই নদী ছিল চলন বিলের প্রধান যোগান দানকারী প্রণালী যা বৃহত্তর রাজশাহী জেলার উত্তরাংশ ও দিনাজপুর এলাকার জল নিষ্কাশন করত। বড়াল চলন বিল থেকে জল নির্গম পথ হিসেবে কাজ করে এবং বিলের পানি বহন করে যমুনা নদীতে ফেলে। চলন বিলের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি নদী প্রবাহিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- করতোয়া, আত্রাই, গুড়, বড়াল, মরা বড়াল, তুলসী, ভাদাই, চিকনাই, বরোনজা, তেলকুপি ইত্যাদি। গঠিত হওয়ার সময় চলনবিলের আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে এর আয়তন অনেক কমে এসেছে। চলনবিলের আয়তন ৫০০ বর্গমাইল বা প্রায় ১৪২৪ বর্গকিলোমিটার। আবার কোন জরিপ মতে চলনবিলের আয়তন ৮০০ বর্গমাইল বা প্রায় ২০৭২ কিলোমিটার। বর্তমানে চলনবিল অনেকখানি হ্রাস পেয়ে আয়তন দাঁড়িয়েছে ১১৫০ বর্গ কিলেমিটারে। আসলে চলনবিল অনেকগুলো ছোট ছোট বিলের সমষ্টি। চলন বিল গঠনকারী ছোট ছোট বিলগুলি পশ্চিম থেকে পূর্বে যথাক্রমে:

  1. পূর্ব মধ্যনগর
  2. পিপরুল
  3. ডাঙাপাড়া
  4. লারোর
  5. তাজপুর
  6. নিয়ালা
  7. চলন
  8. মাঝগাঁও
  9. ব্রিয়াশো
  10. চোনমোহন
  11. শাতাইল
  12. খরদহ
  13. দারিকুশি
  14. কাজীপাড়া
  15. গজনা
  16. বড়বিল
  17. সোনাপাতিলা
  18. ঘুঘুদহ
  19. কুরলিয়া
  20. চিরল
  21. দিক্ষিবিল এবং
  22. গুরকা

বড় আকারের বিলগুলির বেশিরভাগই পাবনা জেলায় অবস্থিত, যেমন- গজনা বিল, বড়বিল, সোনাপাতিলা বিল, ঘুঘুদহ, চিরল বিল এবং গুরকা বিল। গজনা বিল দুলাই-এর দক্ষিণে ১২৩ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। বড়বিলের আয়তন ৩১ বর্গ কিমি। প্রায় ৩৫ বর্গ কিমি আয়তনের সোনাপাতিলা বিল পাবনা জেলার উত্তরাংশ জুড়ে অবস্থিত। চাটমোহর উপজেলায় কুরলিয়া ও দিক্ষিবিল দুটি যথাক্রমে ১৮ ও ১৫ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। চিরল ও গুরকা বিল- উভয়েরই আয়তন ৮ বর্গ কিমি এবং ঘুঘুদহ ৪ বর্গ কিমি।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে নাটোর প্রায় ১৯৬.২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সড়কপথ ও রেলপথ দুভাবেই নাটোরে পৌছানো যাবে। নাটোর জেলা থেকে সিংরা উপজেলায় স্থানীয় যানবাহনে যাতায়াত করা যায়।

বাস

ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে নাটোর যাবার জন্য এসি-ননএসি বাস আছে। এর মধ্যে দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, হানিফ ইন্টারপ্রাইজ, তুহিন এলিট, গ্রামীণ ট্রাভেলস উল্লেখযোগ্য।

  • দেশ ট্রাভেলস, ☎০১৭৪৬৪৭৪৭৮০ - ৩৭০ টাকা
  • ন্যাশনাল ট্রাভেলস, ☎০১৭২৭৫৪৫৪৬০ - ৩৭০ টাকা
  • হানিফ ইন্টারপ্রাইজ, ☎০১৭২০২১৪৭৮৫ - ৩৭০ টাকা
  • তুহিন এলিট - ৩৭০ টাকা
  • গ্রামীণ ট্রাভেলস - ৩৭০ টাকা
  • শ্যামলী পরিবহণ - ৩৭০ টাকা

ট্রেন

ঢাকা ও নাটোরের মধ্যে প্রতিদিন প্রচুর বিলাসবহুল ইন্টারসিটি সার্ভিস রয়েছে। প্রধানরা হল পদ্মা এক্সপ্রেস, সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস এবং ধূমকেতু এক্সপ্রেস।

  • সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস - রাজশাহী থেকে দুপুর ২ টা এবং ঢাকা থেকে নাটোর পর্যন্ত ৮:১৫ এ।
  • পদ্মা এক্সপ্রেস - রাজশাহী থেকে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে এবং নাটোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত সকাল ১১ টা।
  • ধূমকেতু এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৬ টায় চালু ট্রেন রাজশাহীতে সকাল ১২ টায় পৌঁছায় এবং সকাল ১১:২০ মিনিটে রাজশাহী হতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে ট্রেন ঢাকা পৌঁছায়।

বর্তমানে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেসটি রবিবারে তাদের সেবা প্রদান করছে না, পদ্মা এক্সপ্রেসে মঙ্গলবারে তাদের কোন সেবা প্রদান করছে না, এবং ধূমকেতু এক্সপ্রেস সোমবারে চলাচল বন্ধ রাখছে।

দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনের জন্য প্রধান স্টেশন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন, যা রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। কখনো কখনো বিশেষ কারনে ট্রেনের যাত্রা সময় পরিবর্তন হতে পারে।

আকাশ পথে

নাটোর হতে প্রায় ৫০ কিঃমিঃ পশ্চিমে রাজশাহীতে 'শাহ মখদুম বিমানবন্দর' অবস্থিত। এখানে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে উড়োজাহাজ চলাচল করে।

যেখানে থাকবেন

নাটোর জেলায় থাকার জন্য হোটেল ও গেস্টহাউজের মধ্যে রয়েছে:

  1. হোটেল ভিআইপি, বড় হরিষপুর, নাটোর (এই হোটেলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মাদ্রাসা মোড়ের পূর্বে অবস্থিত।), +৮৮০৭৭১-৬৬০৯৭, +৮৮০১৭১৮৬৭৩৭৩৫
  2. হোটেল মিল্লাত, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর সদর, নাটোর (এই হোটেলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মাদ্রাসা মোড়ের পূর্বে অবস্থিত।)।
  3. হোটেল বনফুল, আহমেদপুর,বড়াইগ্রাম,নাটোর।, +৮৮০১৭২৬৩৭৬৬৮৮
  4. জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, বাগাতিপাড়া, বাগাতিপাড়া উপজেলা (বাগাতিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বাস ভবন ও উপজেলা পরিষদ মসজিদ সংলগ্ন)।
  5. হোটেল প্রিন্স, রেলওয়ে স্টেশন বাজার, নাটোর সদর, নাটোর (নাটোর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন), +৮৮০৭৭১-৬১৩৫৬, +৮৮০১৭৪৬০২৯৪২৯
  6. হোটেল রাজ, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর সদর, নাটোর, +৮৮০৭৭১-৬৬৬৬০, +৮৮০১৭২৭৩৭১৫০০
  7. হোটেল রুখসানা, কানাইখালী, পুরান বাসস্ট্যান্ড, নাটোর সদর, নাটোর, +৮৮০৭৭১-৬২৪৩১, +৮৮০১৭৩৯৯৮৭০১৭
  8. নাটোর বোর্ডিং, নিচাবাজার, হাসপাতাল সড়ক, নাটোর সদর, নাটোর, +৮৮০৭৭১-৬২০০১
  9. নাটোর সুগার মিলস গেস্টহাউজ, নাটোর সুগার মিলস এলাকা, নাটোর সদর, নাটোর
  10. বিসমিল্লাহ হোটেল, গুরুদাসপুর উপজেলা কমপ্লেক্স, গুরুদাসপুর, নাটোর।
  11. চাঁচকৈর হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, চাঁচকৈর বাজার,গুরুদাসপুর উপজেলা, নাটোর (গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈর বাজারে চাঁচকৈর হোটেল ও রেস্টুরেন্ট অবস্থিত)।

বহিঃসংযোগ