উইকিভ্রমণ থেকে

বরকল বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পূর্বে ২২°৩৯´ থেকে ২৩°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১১´ থেকে ৯২°২৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত বরকল উপজেলার আয়তন ৭৬০.৮৮ বর্গ কিলোমিটার। ১৯২৩ সালে বরকল থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে।

নামকরণ[সম্পাদনা]

বরকল নামকরণের পেছনে জনশ্রুতি আছে যে, কর্ণফুলি নদীর এই স্থানে একটি খুবই বড় প্রবাহমান ঝর্ণা ছিল। পানি পড়ার শব্দ অনেক দূর হতে শোনা যেত। আর এই পানি পড়ার শব্দ শুনে মনে হত কোন বড় যন্ত্র বা কলের শব্দ হচ্ছে। যার ফলে এই স্থানে বসবাসকারী পাহাড়ী লোকেরা এই স্থানের নাম দেয় বরকল

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বরকল উপজেলার জনসংখ্যা ৩৯,৭৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২১,৮৯২ জন এবং মহিলা ১৭,৮৮৯ জন। মোট জনসংখ্যার ২১.৫০% মুসলিম, ১.৫০% হিন্দু, ৭৬.২০% বৌদ্ধ এবং ০.৮০% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে। এ উপজেলায় উপজাতিদের মধ্যে চাকমাদের সংখ্যা বেশি। এছাড়া মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখোয়া উপজাতির বসবাস রয়েছে এ উপজেলায়।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটিতে বাস যোগে যাওয়া যায়। রাঙ্গামাটি শহর থেকে জুরাছড়ি যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার ইত্যাদি এলাকা থেকে লঞ্চ বা ইঞ্জিন চালিত বোট যোগে বরকল যাওয়া যায়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

মানচিত্র
বরকল উপজেলার মানচিত্র
  • কাপ্তাই হ্রদবাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম এ হ্রদ রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। উইকিপিডিয়ায় কাপ্তাই হ্রদ
  • 1 সুবলং ঝর্ণা, সুবলং ইউনিয়নরাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌযানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। ভাড়ার পরিমাণ ঘণ্টা প্রতি স্পীড বোট ১২০০-১৫০০ এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০ টাকা।
  • 2 সুবলং আর্মি ক্যাম্প, সুবলং ইউনিয়নরাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌযানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। ভাড়ার পরিমাণ ঘণ্টা প্রতি স্পীড বোট ১২০০-১৫০০ এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০ টাকা।
  • 3 সুবলং বাজাররাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌযানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। ভাড়ার পরিমাণ ঘণ্টা প্রতি স্পীড বোট ১২০০-১৫০০ এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০ টাকা।
  • বায়তুল মামুর মাজার (সুবলং মাজার)। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌযানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘণ্টা প্রতি স্পীড বোট ১২০০-১৫০০ এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০ টাকা।
  • ফালিটাংগ্যা চুগ (পাকিস্তান টিলা)। বরকল সদর ইউনিয়ন বা বরকল উপজেলা পরিষদ ঘাটে অথবা বরকল বাজার ঘাটে নেমে ওখান থেকে স্থানীয় গাইড সাথে নিয়ে যাওয়া যায়।
  • হরিণা বিজিবি জোন, বড় হরিণা ইউনিয়নবরকল উপজেলা সদর থেকে লঞ্চে বা ইঞ্জিন চালিত বোটে আড়াই বা ৩ ঘণ্টা পথ অতিক্রমের পর আপনি হরিণা বাজার পৌঁছলেই হরিণা বিজিবি জোন।
  • পাহাড়ী গ্রামবরকল একটি পাহাড় ঘেরা উপজেলা। এ উপজেলায় নৌ ভ্রমণের সময় আশেপাশে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গ্রামসমূহে বেড়াতে পারেন।

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

  • উপজেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ, বরকল, রাঙ্গামাটি।রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

বরকল উপজেলা সদর এবং সুবলং বাজার এলাকায় সাধারণ মানের কিছু খাবার হোটেল রয়েছে।