বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

কালিয়া উপজেলা বাংলাদেশের নড়াইল জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৩৫০.৯১ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°০৭´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°৩০´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°৪৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে নড়াইল সদরলোহাগড়া উপজেলা; দক্ষিণে তেরখাদা, মোল্লাহাটদিঘলিয়া উপজেলা; পূর্বে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে অভয়নগর উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ১৬৫ কিলোমিটার এবং জেলা সদরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। এখানে সড়ক পথে আসতে হয়। তবে, রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

স্থলপথে[সম্পাদনা]

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর হওয়ার কারনে বদলে গেছে দক্ষিন আঞ্চলের সহ নড়াইলের যাতায়াত ব্যাবস্থা ঢাকা থেকে কালিয়া সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়েত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে কালিয়া সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ২.৩০মি. থেকে ৩.৩০মি.ঢাকা থেকে সড়ক পথে আরিচা ফেরী পার হয়ে কালনা সেতু হওয়া উপজেলা সদরে খুব দুরুত পৌছানো যায় ।

গাবতলী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস কালিয়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ সব বাসগুলো হলো - নড়াইল এক্সপ্রেস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এ.কে. ট্রাভেলস, ঈগল পরিবহন, বিআরটিসি ইত্যাদি। এগুলোতে ভাড়া পড়ে ৪৫০/- হতে ৭০০/- পর্যন্ত।

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থান হতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নড়াইল অথবা গোপালগঞ্জ অথবা খুলনা জেলখানা ঘাট হতে বাস যোগে কালিয়া বাসষ্ট্যান্ডে আসতে হবে।

আকাশপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে ঢাকা থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর বিমান বন্দরের নেমে ভাড়ায় চালিত গাড়ীতে তুলনামুলক স্বল্প সময়ে পৌছানো সম্ভব।

নৌপথ[সম্পাদনা]

পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যোগাযোগ রয়েছে।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  1. এক গম্বুজ মসজিদ (মুগল আমল, কদমতলা),
  2. পর্তুগীজদের তৈরি পোড়া দালান (পুরুলিয়া),
  3. আরাজী বাঁশগ্রামের ভূগর্ভস্থ প্রাচীন দালান (সপ্তম শতাব্দী),
  4. কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৬৫),
  5. পি.এস বালিকা বিদ্যালয় (১৯১১),
  6. দি পাটনা একাডেমী (১৯১২),
  7. বারইপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৫০),
  8. বাবরা প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯৫),
  9. ইকোপার্ক অরুণিমা ।
  10. পীরওলি পাক দরবার শরিফ (১৮৯৪)
 পেড়লী খানকাহ পাড়া।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদের মানুষ বিভিন্ন সামাজিক উৎসব পালন করে থাকে। শীতকালে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন মজাদার খাবার, পিঠা,পায়েস,ক্ষীরর। নবান্নে নতুন ধানের খই,মুড়ি ভাজা এবং চিনি দিশে তৈরি সাচ বেশ জনপ্রিয়। আর একটি সর্বজনীন দাওয়াতি খাবার ঐতিহ্য বাহি পীরওলি'র বাৎসরিক উৎসব উরশ শরীফ আয়োজন।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

কালিয়ায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

  1. জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - কালিয়া; মোবাইল: +৮৮০১৯১৪-২৭২ ১৮৬।
  2. বিশ্বাস হোটেল - কালিয়া; মোবাইল: +৮৮০১৭৪৩-৫৫৪ ১৬৩।

জরুরি নম্বর[সম্পাদনা]

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • ওসি, কালিয়াঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ২০৭।