উইকিভ্রমণ থেকে
জাদিপাই ঝরণা

জাদিপাই ঝর্ণা বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রশস্ততম ঝর্ণাগুলোর মাঝে একটি। এই কারণে এই ঝর্ণা বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জলপ্রপাত। বর্ষাকালে জলপ্রপাতের পানি প্রবাহ বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। বর্ষা মৌসুমে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষ জাদিপাই ঝর্ণা দেখতে ছুটে আসে।

যাতায়াত[সম্পাদনা]

প্রথমে বান্দরবান আসতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এস. আলম, সৌদিয়া, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলি, ডলফিন ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দারবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি এসব বাসের ভাড়া যথাক্রমে নন এসি ৫৫০ টাকা ও এসি ৯৫০-১৫০০ টাকা। ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবান যেতে সময় লাগে ৮-১০ ঘণ্টা।

ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিতা, মহানগর গোধূলি এইসব ট্রেনে করে চট্রগ্রাম যাওয়া যাবে। শ্রেনীভেদে ভাড়া ৩৫০ থেকে ১২০০টাকা। এছাড়া ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি চট্রগ্রাম আসা যায়।

চট্টগ্রামের বদ্দারহাট থেকে পুবালি ও পূর্বানী নামের দুটি বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ দুটি বাসে জনপ্রতি ২২০ টাকা ভাড়া লাগে। চট্রগ্রামের ধামপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ২০০-৩০০ টাকা ভাড়ায় বাসে করে বান্দরবান আসা যায়।

বান্দরবান থেকে জাদিপাই ঝর্ণা

বান্দরবান থেকে চান্দের গাড়ি, সিএনজি অটো রিক্সা বা বাসে করে করে রুমা যেতে হবে। রুমা বাজারে অবশ্যই বিকেল ৪ টার আগে পৌঁছাতে হবে। ৪ টার পরে সেনাবাহিনী আর কোন গাড়ি বগা লেকের উদ্দেশ্যে ছাড়তে দেয় না। রুমা থেকে চান্দের গাড়িতে করে বগালেক বা কেওক্রাডং পর্যন্ত যেতে পারবেন। কেওক্রাডং পর্বতের পূর্ব দিকের ঢাল বেয়ে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই পাওয়া যাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত গ্রাম পাসিং পাড়া, যা প্রায় ৩০৬৫ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। পাসিং পাড়া থেকে যেতে হবে জলদিপাই পাড়া, এ পথটি বেশ খাঁড়া। সাথে লাঠি থাকলে পথ চলতে সুবিধা হবে। ৩০-৪০ মিনিট হাঁটার পরে জলদিপাই পাড়া পৌঁছানো যাবে। জলদিপাই পাড়া থেকে আরও প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার পরে পাওয়া যাবে জলদিপাই ঝর্ণা। প্রায় ২৫০ ফুট উঁচু এই ঝর্ণা।

বান্দরবান থেকে রুমা পর্যন্ত বাস ভাড়া ১০০ টাকা এবং রুমা থেকে রুমা বাজার পর্যন্ত চান্দের গাড়ির ভাড়া জন প্রতি ৩০ টাকা। রুমা বাজার থেকে এরপরে চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে যেতে হবে। এছাড়া বান্দরবান থেকে চাইলে গাড়ি রিজার্ভ করে নেওয়া যায়। চান্দের গাড়ির ভাড়া মৌসুম ভেদে কমবেশি হয়।

উল্লেখ্য রুমা বাজার থেকে অবশ্যই একজন গাইড নিতে হবে। বাজারে গাইড সমিতি আছে সেখান গেলেই গাইড পাওয়া যাবে। দিন প্রতি তাদের সার্ভিস চার্জ ৫০০ টাকা। গাইড ছাড়া সেনাবাহিনী যাওয়ার অনুমতি দেয় না।

রাত্রিযাপন ও ভোজন[সম্পাদনা]

রাত্রিযাপনের জন্য বগালেক, দার্জিলিং পাড়া ও কেওক্রাডং-এ বেশ কিছু কটেজ আছে। এসব কটেজে ভোজনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

আরও দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]