উইকিভ্রমণ থেকে

প্রান্তিক হ্রদ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তর্গত বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। বান্দরবান থেকে কেরাণীহাট যাবার পথে হলুদিয়া নামক স্থানে এর অবস্থান। কেরাণীহাট থেকে ২০ মিনিট গাড়ি চালালে এ হ্রদে পৌঁছানো সম্ভব। জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার।

জানুন[সম্পাদনা]

এ কাব্যিক আর মোহনীয় রূপ নিয়ে সবুজ আর নীলে আঁচল বিছিয়ে শুয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত কুমারী হ্রদটি। প্রায় ২৯ একর এলাকা নিয়ে প্রান্তিক হ্রদের অবস্থান। এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে এ হ্রদটি পরিচালিত।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

যাতায়াতের জন্য কর্তৃপক্ষ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। বান্দরবান শহর থেকে চট্টগ্রাম বা কেরাণীহাটগামী বাসে হলুদিয়া নামক স্থানে নেমে টেক্সি বা রিক্সায় ৩ কিলোমিটার যেতে হবে। বান্দরবান শহর থেকে টেক্সি বা ল্যান্ডক্রুজার রিজার্ভ করে নিয়ে যাওয়াই ভালো।

কী দেখবেন[সম্পাদনা]

অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর অত্র এলাকাটি। হ্রদের চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালিতে ভরপুর। হ্রদেরে পাশের পাহাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থল। কিচিরমিচির শব্দে চারদিক মুখরিত থাকে সারাটিদিন। হ্রদের নীল জল আর পাড়ের সবুজ বনানী দর্শনার্থীদের সকল ক্লান্তি ঘুঁচিয়ে দেবে নিঃসন্দেহে।

কী করবেন[সম্পাদনা]

কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে হ্রদে মাছ শিকারে নিজেকে মেতে রাখতে পারেন। মাছ শিকার অতিরিক্ত পাওনা হিসেবে বিবেচ্য। এছাড়াও, আয়েশ করে ঘুরে বেড়ানো যাবে প্যাডেল বোট নিয়ে।

কী কিনবেন[সম্পাদনা]

বান্দরবানে আসলে এখানকার আদিবাসীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য কিনতে পারেন যেমনঃ হাতে বোনা কাপড়, গৃহস্থলীর কাজের জন্য বিভিন্ন পণ্য ইত্যাদি।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

প্রান্তিক হ্রদে খাবার ও রাতযাপনের সুবন্দোবস্ত নেই। দিনে এসে দিনেই ফিরে যাওয়া অতি উত্তম। খাবার ও পানি নিয়ে যেতে হবে স্ব-উদ্যোগে। রাত্রি যাপনের জন্য বান্দরবানে পর্যটন কর্পোরেশনের মেঘলা হোটেল রয়েছে। বুকিংয়ের জন্য ০৩৬১-৬২৭৪১, ০৩৬১-৬২৭৪২। বান্দরবান বাজারে অবস্থিত হোটেল ফোর স্টার ০৩৬১-৬৩৫৬৬, ০১৮১৩২৭৮৭৩১, ০১৫৫৩৪২১০৮৯। অথবা, বান্দরবান শহরে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।