গাংনেউং
গাংনেউং (강릉,江陵)হল গ্যাংওয়ান প্রদেশের বৃহত্তম উপকূলীয় শহর এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় বৃহত্তম শহর। গাংনেউং দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘতম পর্বতমালা তাইবেক এর পূর্ব দিকে অবস্থিত। তাইবেক পর্বতমালা কোরিয়ান উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্ত বরাবর প্রসারিত এবং পূর্ব সাগর বরাবর বিস্তৃত।
ভৌগোলিক পরিধি ও পরিচিতি
[সম্পাদনা]দেশের বেশিরভাগ অংশ থেকে ভূতাত্ত্বিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই শহর পূরাতন কাল থেকে তার নিজস্ব স্বতন্ত্র সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে সক্ষম। আজ পর্যন্ত এই অঞ্চল রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতা বজায় রয়েছে। ২০১৮ সালে পিয়ংচাং -এ আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়ার অন্তর্গত যেসকল বরফ ক্রীড়াভিত্তিক খেলার আয়োজন করা হয়েছিল তার অকুস্থল ছিল গাংনেউং।
- কোরিয়া ভ্রমণ হটলাইন ও অভিযোগ কেন্দ্র, ☎ +৮২-২-১৩৩০। ২৪ ঘন্টা খোলা। সফর তথ্য, অভিযোগ এবং জরুরী কল ঘোষণার জন্য কোরিয়ান হটলাইন নাম্বার। ইংরেজি, চীনা, জাপানিজ ইত্যাদি ভাষায় বিনামূল্যে পরিষেবা উপলব্ধ।
- গাংনিউং স্টেশন পর্যটন তথ্য কেন্দ্র, ১৭, ইয়ংজি-রো (ট্রেন স্টেশনে), ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৫৩৪। সকাল নটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি খোলা। এখানে ইংরেজি, জাপানি ও চীনা ভাষায় মানচিত্র এবং গাইড বই পাওয়া যায়।
- টার্মিনাল ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার, হংজে-ডং ৯৯২-৩ (বাস টার্মিনালের পাশে), ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৫৩৭। সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা অবধি পরিষেবা পাওয়া যায়।। ইংরেজি, জাপানি ও চীনা ভাষায় মানচিত্র এবং গাইড বই পাওয়া যায়।
যোগাযোগ পথ
[সম্পাদনা]রেলব্যবস্থা
[সম্পাদনা]- গাংনেউং স্টেশন, ৩৯ ইউলগোক-রো। এটি কোরাইলের ডং হে লাইনের একটি প্রান্তিক স্টেশন। একটি ট্রেন রয়েছে যা সিওলের চেওংনিয়াংরি স্টেশনের সাথে গাংনেউং -এর সংযোগ স্থাপন করে। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে একটি বৃত্তাকার রেলপথে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌছতে ৬ ঘন্টা সময় নেয়। স্টেশনের সামনে একটি পর্যটক সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। ।
দ্রুতগতির ট্রেন
[সম্পাদনা]কোরিয়ান ট্রেন এক্সপ্রেস (কেটিএক্স) গাংনেউং লাইন এই রেলপথের একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেন যার সর্বোচ্চ গতি ২৫০ কিমি/ঘন্টা। সিওল স্টেশন থেকে গাংনেউং যেতে এই ট্রেন দুই ঘন্টা এবং চেওংনিয়াংনি স্টেশন থেকে গাংনেউং যেতে দেড় ঘন্টা সময় নেয়।
সিউল স্টেশন থেকে এই ট্রেনের ভাড়া ২৭,৬০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা) এবং চেওংনিয়াংনি স্টেশন থেকে ভাড়া ২৬০০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)। যাত্রীরা নির্দিষ্ট দিনের ঠিক এক মাস আগে সকাল ৭ টা থেকে ট্রেন ছাড়ার ঠিক ২০ মিনিট আগে পর্যন্ত স্টেশন থেকে অথবা কোরাইল টক (মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) বা (অফিসিয়াল ওয়েবসাইট) থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারে।
বাস রাস্তা
[সম্পাদনা]- গাংনেউং বাস টার্মিনাল, ১৫ হাসিউল্লা-রো। এই প্রান্তিক বাস স্টেশনের মাধ্যমে কোরিয়ার সমস্ত বড় শহরের সাথে গাংনেউং -এর সংযোগ স্থাপিত হয়। রাজধানী এলাকায় বসবাসকারী কোরিয়ানদের জন্য গ্রীষ্মকালে গাংনেউং হল একটি জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ছুটির গন্তব্য। ফলস্বরূপ, শুক্রবারে এবং রবিবারে এখানে ভারী যানজট দেখা যায়। গাংনেউং ও সিওলের মধ্যে কেবল একটি সংযোগকারী সড়কপথ আছে। এখানে প্রধান পর্যটন তথ্য কেন্দ্র (টিআইসি) -এর অবস্থান। এছাড়াও এয়ারপোর্ট লিমুজিন সংস্থা দ্বারা পরিচালিত একটি বাস এই টার্মিনাল থেকে ছাড়ে এবং সেটি ইনচিওনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবধি যায়। সেই বাসটি গন্তব্যে পৌছতে চার ঘন্টা সময় নেবে। পথে ছোট জিম্পো বিমানবন্দরেও এই বাস থামে। এই বাসের ভাড়া ৩০,০০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)।
কিভাবে ঘুড়বেন
[সম্পাদনা]গাংনেউং শহরের কেন্দ্রস্থল খুব বড় এলাকা নয়। হাঁটা পথে ১৫ মিনিটের মধ্যেই শহরের কেন্দ্রস্থল ঘুড়ে ফেলা যায়। শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ট্যাক্সিতে চড়ে অন্যান্য জনপ্রিয় এলাকায় যেতে ১৫ মিনিটেরও কম সময় লাগবে। গাংনেউং-এর বেশিরভাগ রাস্তার নাম এবং দিকনির্দেশ চিহ্ন রয়েছে।
বাসে শহর ভ্রমন
[সম্পাদনা]শহরের গনপরিবহন হিসাবে বাস ব্যবস্থা বেশ ভালো। বাসের মধ্যে বেশিরভাগ নির্দেশনা ইংরেজিতে লেখা থাকে যা বিদেশি পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক। বাসে শহরের বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য নির্ধারিত ভাড়া হল নগদ ১৩০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)৷ স্থানীয় পরিবহন কার্ডধারী ব্যক্তিরার নিয়মিত ভাড়া থেকে দশ শতাংশ ছাড় পান। পরিবহন কার্ডধারীরা সাধারন বাস, নিয়মিত বাস এবং একটি এক্সপ্রেস সিটি বাসের যেকোন একটিতে একবার বিনামূল্যে যাতায়ত করতে পারে। যদি কেউ বাস বদল করতে চায় তাহলে সেই ব্যাক্তিকে সামনের দরজা বা পিছনের দরজার কাছে অবস্থিত পরিবহন কার্ড টার্মিনালে পরিবহন কার্ড ট্যাগটি দেখাতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া এড়াতে ৪০ মিনিটের মধ্যে অন্য একটি বাস বদল করা যেতে পারে। দুটি ভিন্ন ধরনের পরিবহন কার্ড রয়েছে: প্রিপেইড(আগাম প্রদত্ত) এবং পোস্ট-পেইড(পরবর্তী প্রদত্ত)। প্রিপেইড পরিবহন কার্ড একটি নির্ধারিত কার্ড সেলস (চার্জিং) দোকানে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে কেনা যায়। পোস্টপেইড ট্রান্সপোর্টেশন কার্ডগুলি হল ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলি অথবা ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা এক বিশেষ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড যেগুলিতে বিশেষ পরিবহন পরিষেবা সংযুক্ত রয়েছে৷
ট্যাক্সিতে ভ্রমন
[সম্পাদনা]গাংনেউং-এ সকল গনপরিবহনের মধ্যে সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক পরিবিহন মাধ্যম হল ট্যাক্সি। গাংনেউং -এ রাস্তার যে কোন জায়গায় একটি ট্যাক্সি ধ্রা যায়। রাস্তার দূরত্ব অনুযায়ী ট্যাক্সির মূল ভাড়া হল ৩৮০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)। মিটারিং ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে ট্যাক্সির মূল ভাড়ার উপর অতিরিক্ত মূল্য আরোপিত হয়। ট্যাক্সি ড্রাইভার নগদ বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রদান ও গ্রহণ করে। কাকাও ট্যাক্সি এবং উবের ট্যাক্সি ইত্যাদি সংস্থা থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করলে তা পর্যটকদের পক্ষে আরও সুবিধাজনক হয়।
দ্রষ্টব্য
[সম্পাদনা]জিয়াংপো এলাকা
[সম্পাদনা]- 1 ওজুখেওন হাউস এবং ওজুখেওন পৌর সংগ্রহশালা, ২৪ ইয়ুলগোক-রো ৩১৩৯বেয়ন-গিল (জিয়াংপো বিচ থেকে প্রায় ১ কিমি পশ্চিমে), ☎ +৮২ ৩৩-৬৬০-৩৩০১। স্থানীয় এলাকায় জন্মানো এক বিশেষ কালো বাঁশের নামানুসারে এই ভবনটির নামকরণ। এই ভবন বিখ্যাত কোরিয়ান পণ্ডিত ইয়ুলগোক(১৫৩৬-১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দ। তাঁর প্রতিকৃতি ৫০০০ ওন ব্যাঙ্কনোটে প্রদর্শিত হয়) এবং তাঁর মা সাইমদাং (১৫০৪-১৫৫১। খ্রিস্টাব্দ ৫০০০ ওন ব্যাঙ্কনোটে প্রদর্শিত) -এর জন্মস্থান ছিল। ১৯৬৩ সাল থেকে ওজুখেওন জাদুঘরটি জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে গণনা করা হয়। এটি কোরিয়ার প্রাচীনতম কাঠের ভবনগুলির মধ্যে একটি। এখানে বেশ কিছু মন্দির এবং পুরানো আবাসিক ভবন এই কোরিয়ানদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে বিবিধ তথ্য প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে এই ভবনকে গাংনেউং পৌর সংগ্রহশালার সাথে একত্রিত করা হয়।
- 2 ওরিয়েন্টাল এমব্রয়ডারি যাদুঘর, ১৪০-১২, জুখেওন-গিল,, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-০৬০০। ওরিয়েন্টাল এমব্রয়ডারি যাদুঘর হল স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও শিল্পকলার একটি বিশিষ্ট সংগ্রহশালা। এখানে দর্শনার্থীরা কোরিয়া, চীন এবং জাপানের ঐতিহ্যবাহী সূচিকর্ম পরিদর্শন করতে পারেন। প্রাচ্যের বিশেষ সূচিকর্ম শিল্পের বৈশিষ্ট্য এবং সুন্দর কারূকাজের জগত অনুভব করতে পারেন। এই সংগ্রহশালা উচ্চ-মানের শৈল্পিক সংগ্রহ পরিদর্শকের মানসিক সংবেদনশীলতা বিকাশ করতে এবং শিল্পকলায় তাদের জ্ঞানকে পরিমার্জিত করতে সহায়তা করে। সাথে সাথে তাদের সৃজনশীল শিক্ষা গ্রহণেও সহায়ক হয়। মানবজাতির সাংস্কৃতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য ও সৃজনশীল শিল্পী, সংস্কৃতি এবং শিল্পে বিশেষজ্ঞ দেশীয় এবং বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে পারস্পরিক বিনিময় এবং সহযোগিতা প্রচারের লক্ষ্যে এই সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
- 3 সিওংয়োজাং হাউস, ৬৩, উনজেওং-গিল, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪৮-৫৩০৩। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা অবধি খোলা। উচ্চ জোসেন রাজবংশ সমাজের একটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ি। এওই ভবন তার সুন্দর বক্র আকৃতির ছাদের জন্য বিখ্যাত। এই ভবনের ছাদের আকার ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান মোজা এবং হ্যানবোক পোশাকের আকৃতির সাথে সমতুল্য। সিওংয়োজাং-এ জোসেন যুগের পোশাক, পণ্য এবং লোকজ তথ্য প্রদর্শনী আছে।
- 4 জিয়াংপো জলাভূমি, ৬৭০, উঞ্জেওং-দং।। এই অঞ্চলটি জিয়াংপোর কাছে। হ্রদের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং বিস্তৃত জলজ প্রাণীর জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই বিশেষ অঞ্চলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে জিয়াংপোহো হ্রদের লবণাক্ততা হ্রাস করা হয় এবং স্থির জলের মধ্যে প্রবাহ উতপন্ন করা হয়। এখানে জনগনের জন্য একটি উন্মুক্ত চক রয়েছে রয়েছে যেখান থেকে লোকেরা জলাভূমি বাস্তুতন্ত্র পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
- 5 জিয়াংপোডাই প্যাভিলিয়ন এবং জিয়াংপোহো হ্রদ, ৩৬৫, জিয়াংপো-রো। কেউ কেউ বলেন যে এই অঞ্চলের ৮টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সেরা জিয়াংপোডাই প্যাভিলিয়ন। এটি এমন একটি জায়গা যেখানকার পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে চাঁদের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। আকাশ, সমুদ্র, হ্রদ ইত্যাদির সুন্দর দৃশ্যপ্টের সমারোহ এই স্থানে৷ জিয়াংপোহো হ্রদের পরিধি ৪.৩ কিমি, এবং এটি বিশেষ শিলা রয়েছে যার সাথে একটি হৃদয় বিদারক প্রেমের গল্প জড়িত।
- 6 চার্মসোরি গ্রামোফোন ও এডিসন বৈজ্ঞানিক সংগ্রহশালা, ৩৯৩, জিয়াংপো-রো, ☎ +৮২ ৩৩-৬৫৫-১১৩০। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা অবধি খোলা। বিশ্বের বৃহত্তম গ্রামোফোনের সংগ্রহশালা এটি। এই গ্রামোফোন যাদুঘ্রে সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা অনন্য গ্রামোফোনগুলি প্রদর্শিত হয়। জাদুঘরটিতে একটি টিনের সরু পাত থেকে তৈরি বস্তু রয়েছে যা ১৮৭৭ সালে এডিসন দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল। আধুনিক অডিও সিস্টেমের নমুনাও এখানে সংরক্ষন করা আছে। প্রবেশ মূল্য ১৭,০০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)।।
- 7 জিয়াংপো সৈকত, সান ১, আনহিয়োন-দং। জিয়াংপো সৈকত একটি নিকটবর্তী পাশাপাশি একটি বালুকাময়, দীর্ঘ প্রসারিত সমুদ্র সৈকত। সমুদ্র সৈকতটি পাইন গাছ দ্বারা বেষ্টিত, তাই বেশ আরামদায়ক। বিখ্যাত জিয়াংপোডাই এই সৈকতের অন্তর্ভুক্ত যা এই অঞ্চলের ৮টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সেরা। তুলনামূলকভাবে অগভীর জল, সাদা বালুকাময় সৈকত এবং নিখুঁত জলের তাপমাত্রার কারণে এটিকে পূর্ব উপকূলের সেরা সৈকতগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
- 8 হিও গিউন এবং হিও নানসিওলহিওন মেমোরিয়াল পার্ক, ১-২৯, নানসিওলহিওন-রো ১৯৩বেয়ন-গিল, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৭৯৮। প্রত্যহ মঙ্গল থেকে রবিবার, সাকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি খোলা থাকে। সোমবার বন্ধ থাকে।। এটি একটি স্মৃতি উদ্যান যেখানে জোসেন রাজবংশের কবি হিও নানসিওলহিওন (১৫৬৩-১৫৮৯) -এর প্রাক্তন বাড়ি আছে। এছাড়াও এখানে হং গিলডং জিওন (হং গিলডং -এর কাহিনী) -এর রচয়িতা লেখক হিও জিউনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত একটি স্মৃতিকক্ষ রয়েছে। বাড়িটিকে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। হিও জিওন এবং হিও নানসেওলহিওনের সাহিত্যিক অর্জনকে সম্মান জানানোর জন্য তাদের উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত স্মৃতিকক্ষটিকেও একটি সাংস্কৃতিক স্থান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
- 9 জিয়াংপো অ্যাকোয়ারিয়াম, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪৫-৭৮৮৭। প্রত্যহ সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা। খুব বেশি বড় না হলেও দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এখানে ক্যাফে এবং ঘুড়ে বেড়ানোর জায়গা রয়েছে। এটি সময় কাটানোর জন্য ভাল জায়গা। প্রবেশমূল্য পূর্ণবয়স্কদের ১৭০০০ ওন, যুবাদের ১৫০০০ ওন, শিশুদের ১৩০০০ ওন।
- 10 আর্ট মিউজিয়াম, নানসিওলহিওন-রো, ১৩১, ☎ +৮২ ১৮৯৯-৫০০৮, ইমেইল: artemuseum@dstrict.com। প্রত্যহ সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা। এই জাদুঘরটি জিয়াংপো লেকের কাছে অবস্থিত। প্রবেশমূল্য পূর্বয়স্কদের জন্য ১৭,০০০ ওন, শিশুদের জন্য ১০,০০০ ওন।
জিওংডংজিন এবং ওকগি এলাকা
[সম্পাদনা]- 11 গাংনেউং ইউনিফিকেশন পার্ক, ১৭১৫-৩৮, ইউলগোক-রো, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৪৭০ (ওয়ারশিপ প্যাভিলিয়ন), +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৪৬৯ (প্রদর্শনী হল)। এই উদ্যান দুটি অংশে বিভক্ত। জনগনকে জাতীয় নিরাপত্তার অনুভূতি জাগানোর উদ্দেশ্যে এটি নির্মিত হয়েছিল। এতে নিরাপত্তা প্রদর্শনী কক্ষ এবং যুদ্ধজাহাজ প্রদর্শনী আছে। ১৯৯৬ সালের আক্রমণের সময়কার সশস্ত্র গুপ্তচর বহনকারী উত্তর কোরিয়ার এক ডুবোজাহাজ এখানে প্রদর্শনীতে দেখা যায়।
- 12 হাসল্লা আর্ট ওয়ার্ল্ড, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪৪-৯৪১১। এটি একটি প্রাকৃতিভাবে নির্মিত ভাস্কর্যের প্রদর্শনী উদ্যান, এক ভাস্কর স্বামী-স্ত্রী যুগল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানে ঘাস, ফুল, গাছ এবং পাথরের টুকরোর দ্বারা শৈল্পিকভাবে গঠিত সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাস্কর্যের প্রদর্শনী রয়েছে। হাসল্লা হল গাংনেউং-এর একটি পুরানো নাম। তার নামেই এই উদ্যানের নামকরণ করা হয়েছে।
- 13 স্যান্ডগ্লাস পার্ক, জিওংডংজিন-রি, গ্যাংডং-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৫৩৬। স্যান্ডগ্লাস পার্কে বিশ্বের বৃহত্তম স্যান্ডগ্লাস বা বালিঘড়ি রয়েছে। বালিঘড়ির উপরের অংশের যে বালি থেকে তা ক্রমাগত নিচের অংশের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বালি যথাক্রমে ভবিষ্যত এবং বর্তমানের প্রতীক। এই বালিঘড়ির সোনালি রং পূর্ব সাগরের উপরে উদিত সূর্যের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। এই ঘড়ি সম্যের অসীমতাকেও নির্দেশ করে।
- 14 জেওংডংসিমগোক বাদাবুচাগিল (সৈকত সরনী), ☎ +৮২ ৩৩-৬৪১-৯৪৪৪ (জিওংডং টিকেটিং অফিস), +৮২ ৩৩-৬৪১- ৯৪৪৫ (সিমগক টিকেটিং অফিস)। এটি কোরিয়ার এক উপকূলীয় সোপান। এখানে ২৩ মিলিয়ন বছর আগে ভৌগোলিকভাবে ঘটিত হওয়া এক ভূত্বক আন্দোলন, যার মাধ্যমে পূর্ব সাগরের জন্ম হয়েছিল, তার চিহ্ন বর্তমান। এই স্থানকে প্রাকৃতিক স্মারক হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।
- 15 হেওনহওয়া সড়ক, গ্যাংডং-মিওন, হেওনহওয়া-রো, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৪১৪। হেওনহওয়া সড়ক হল একটি মনোমুগ্ধকর রাস্তা যার সাথে সিলা যুগের গাংনেউংতায়েসু সুনজেওংগং এবং তার স্ত্রী সুরোর গল্প জড়িত। জলের দেবতা সুরোকে আচ্ছন্ন করেছিলেন কারণ তিনি তার সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি কিংবদন্তি কাহিনীর সাথে এই সড়ক জড়িত। এই গল্পগুলি সামগুক ইউসা (তিন রাজ্যের স্মারক) -এ হেগা এবং হিওনহওয়াগা শিরোনামে বর্ণিত হয়েছে।
ডেগওয়ালিয়ং এলাকা
[সম্পাদনা]- 16 পুরাতন ডেগওয়ালিয়ং সড়ক, ইওহেউল-রি, সিওংসান-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৮৫২০। ডেগওয়ালিওং বায়েকদুডাইগান পর্বতমালার কেন্দ্রে অবস্থিত এই সড়ক যাকে কোরিয়ান উপদ্বীপের মেরুদন্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যা গাংনেউং-এর সাথে পিয়ংচ্যাং, ওনজু এবং সিওলের যোগাযোগ স্থাপন করে। এই সড়ক এখনো আদিম প্রাকৃতিক পরিবেশ এখনও তার সৌন্দর্য দিয়ে ভ্রমণকারীদের মোহিত করে।
- 17 ডেগওয়ালিয়ং সংগ্রহশালা, ৩৭৪-৩, ইওহেউল-রি, সিওংসান-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৬০-৩৮৩০। সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা। হং গুই-সুক গাংনেউংকে এই যাদুঘর এবং তার আজীবনের সংগ্রহের প্রায় ২০০০ উপজাতীয় নিদর্শন দান করেছিলেন। প্রাগৈতিহাসিক সময়কাল থেকে আধুনিক সময়কালের প্রাচীন নিদর্শন প্রদর্শিত হয় এখানে।
- 18 ডেগওয়ালিয়ং বিনোদনমূলক বন, ১৩৩, সামপোম-গিল সিওংসান-মিওন। মঙ্গল বার থেকে শণিবার প্রত্যহ ৯ টা থেকে ৬ টা অবধি খোলা।। এটি কোরিয়ার প্রথম প্রাকৃতিক বিনোদনমূলক বন যা ১৯৮৮ সালে ডেগওয়ালিয়ং-এর পাদদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঘন পাইন বন, উপত্যকা, পরিষ্কার জল এবং আকর্ষণীয় পাথরের জন্য এই স্থান পরিচিত। পাইন বনের একটি অংশের নাম আরিয়ামদেউরি, যেখানে ৫০ থেকে ২০০ বছরের পুরানো পাইন গাছ রয়েছে। ১৯২২ এবং ১৯২৬ সালের মধ্যে পাইন বীজ রোপণ করে তৈরি করা হয়েছিল এই বন। শিক্ষামূলক বনভ্রম্নের জন্য এটি আদর্শ স্থান। বন্য ফুলের উদ্যানসহ অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। বন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার জন্য আদর্শ স্থান এটি।
- 19 কফি কাপার কফি সংগ্রহশালা, ৮০৬-৫, ওয়াংসান-রি, ওয়াংসান-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৫৫-৬৬৪৪। সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত নটা অবধি খোলা।। এই সংগ্রহশালায় কফি ভুনানোর যন্ত্র এবং পেশাই যন্ত্র এবং এসপ্রেসো মেশিন সহ সারা বিশ্বের বিরল কফি-সম্পর্কিত পন্যের সম্ভার রয়েছে। এখানকার কফি কাপার কফি ফার্মে কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক কফি উত্পাদিত হয়েছিল। এখানে কফির ইতিহাস নধিবদ্ধ করা আছে যা পর্যটকরা দেখতে পারে। ৫০০০ ওন প্রবেশমূল্য।।
- 20 আনবন্দেগী গ্রাম, ৪২৮, আনবন্দেওক-গিল, ওয়াংসান-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৫৫-৫১১৯। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১০০ মিটার উচ্চতায অবস্থিত আনবান্দেগি গ্রাম। স্ল্যাশ-এন্ড-বার্ন কৃষকরা চাষের জমির বিকাশের পর এখানে বসতি স্থাপন শুরু করেছিল এবং এভাবেই গ্রামের পত্তন হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে এটি কোরিয়ার আলপাইন এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ সবজি উৎপাদনকারী অঞ্চল। সবুজ সমভূমি এবং হাওয়া কলের সমারোহে এই গ্রামের দৃশ্যপট অত্যন্ত সুন্দর।
- 21 নোচুসান মোজেওংটাপ পথ, ১৬৮৭-১, দায়েগি-রি, ওয়াংসান-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪৭-২৫৪০। চা ওক-সান নামক এক মহিলা স্থানীয় এক ব্যক্তিকে বিয়ে করার পর সিওল থেকে গাংনেউং-এ স্থানান্তরিত হন। তার চারটি সন্তান ছিল। একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার ফলে তার দুই সন্তান মারা গেলে, তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একদিন একজন পাহাড়ী দেবতা স্বপ্নে তার সামনে হাজির হন এবং তাকে তার পরিবারে শান্তি আনতে ৩০০০টি পাথর দিয়ে একটি টাওয়ার তৈরি করতে বলেছিলেন। চা ওক-সান ২০১১ সালে এটি সম্পন্ন করেছেন। এখন লোকেরা বিশ্বাস করে যে কেউ যখন এখানে আন্তরিকভাবে একটি ইচ্ছা প্রকাশ করবেন, তখন তা পূরন হবে।
জুমুনজিন এলাকা
[সম্পাদনা]- 22 জুমুনজিন সামুদ্রিক খাবারের বাজার ( 주문진 수산시장), ৩১২-২৬০, জুমুন-রি, জুমুনজিন-ইউপ, ☎ +৮২ ৩৩-৬৬১-৭৩০২। সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা অবধি খোলা। জুমুনজিন বন্দরের কাছে সমুদ্র থেকে ধরা তাজা মাছ পাওয়া যায়। জুমুনজিন সামুদ্রিক যাদুঘর ছাড়াও কাছাকাছি শুকনো মাছের দোকান এবং জুমুনজিন হো (কাঁচা মাছ) দেখে আসা যায়। সামুদ্রিক খাবার খাওয়া এবং উপভোগ করার আদর্শ জায়গা।
- 23 সোগেমগাং ভেড়ার খামার, ৩২১, জিঙ্গোগে-রো, ইয়েংওক-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৬১-৩৩৯৫। এই খামার ইয়েওংওক-মাইয়নের সোজিউমগাং জাংচেওন গ্রামে অবস্থিত। গ্রামের বাসিন্দাদের উদারতা এবং এই অঞ্চলের সুন্দর পাহাড় এবং নদী পর্যটকদের এক অন্যরকম অনুভুতি প্রদান করে। এখানে ভেড়ার খামার দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় খেলায় অংশগ্রহন করা যায় এবং আঞ্চলিক ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগ করা যায়। এটি শিশুদের জন্য একটি প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
- 24 সোগেমগাং নদী, ৫০০, সোগেমগাং-গিল, ইয়েংগক-মিয়ন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৬১-৪১৬১। স্বচ্ছ জলপ্রপাত, মনোমুগ্ধকর শিলাকৃতি এবং চমৎকার দৃশ্যের কারণে এই অঞ্চলটিকে ছোট জিউমগাংসান এবং চেওংহাকসান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সোগেমগাং নদীর কাছে পাহাড়ী পথগুলি খুব রুক্ষ নয়, তাই যে কেউ এখানে পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।
শহরের কেন্দ্রস্থল এবং অন্যান্য এলাকায়
[সম্পাদনা]- 25 গাংনেউং দায়েডোহোবু সরকারি অফিস, ৬,
ইমেয়ং-রো ১৩১বেওন-গিল, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪০-৫১১৯। এখানকার জিওনডাইচেওং হলে রাজাদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। এছাড়াও আছে ইমিয়ংগওয়ান হল। জিওনডাইচেওং এর বাম এবং ডান দিকে দুটি ভবনের সমন্বয়ে গঠিত অতিথি অভ্যর্থনা এলাকাটি রাজা তাইজোর রাজত্বকালের উনিশতম বছরে নির্মিত হয়েছিল। এখানকার ভবনগুলি একাধিকবার মেরামত ও পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। ১৯০৮ সালে শেষবার ভেঙে ফেলার আগে স্থানীয় জাপানিদের দ্বারা পরিচালিত একটি সাধারণ উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে এই ভবনটি ব্যবহৃত হত।
- 26 ওলহওয়া স্ট্রিট, ২১ জিউমসেং-রো। এই রাস্তার উপরে একটি রেলপথ ছিল। এই রাস্তার সংলগ্ন উদ্যান এবং খাবারের বাজার অনেক মানুষ পছন্দ করে।
- 27 সোলহ্যাং আর্বোরেটাম, সান-১৩৫ গুজেওং-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৬০-২৩২০। মংগল থেকে রবিবার প্রত্যহ বেলা ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি খোলা।। একটি আদিম বন হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে জিউমগাং পাইন গাছ (পিনাস ডেনসিফ্লোরা ইরেক্টা) পাওয়া যায়। এটি গাংনেউং-এর একটি আদিবাসী গাছ প্রজাতি। প্রায় ৭৮.৫ হেক্ট্রের বিস্তৃত এলাকাটি 23টি ভাগে বিভক্ত। প্রায় ২৪০,০০০ গাছপালা এবং ১৩০০ টি প্রজাতি দেখা যায়।
- 28 গাংনেউং কফি সরনী, ১৭, চাংহে-রো। আনমোক সৈকত বরাবর বিস্তৃত কফি সরনী। বিখ্যাত বারিস্তারা এখানে বসতি স্থাপন করে। শান্ত সমুদ্র সৈকত ও কফি ভক্তদের জন্য এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থানে রূপান্তরিত হয়েছে।
করনীয়
[সম্পাদনা]- বাইক চালানো। জিয়াংপো লেকের ৪ কিমি দীর্ঘ তীরে একটি পাকা বাইকিং/হাঁটার পথ রয়েছে। লেকের পাশে বাইক ভাড়ার দোকান আছে।
- হ্যাপি আওয়ার ক্রুজ, ১৭৩০, হাইন-রো, জুমুনজিন-ইউপ। একটি তিনতলা বিশিষ্ট ক্রুজ জাহাজ যাতে করে ভ্রমণকারীরা সামুদ্রিক পর্যটন এবং বিনোদনের অভিজ্ঞতা পায়। ক্রুজে বিদেশী বিনোদনকারীরা থাকে যাত্রীদের মনোরঞ্জন করতে। বিভিন্ন খাবার সহ সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজ এবং টুনা মাছ ও তন্দুর সহ রাতের খাবারের ব্যবস্থা আছে। ক্রুজের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় বিলাসবহুল হল আছে যেখানে সমুদ্রকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। যাত্রীদের জন্য অন-বোর্ড ক্যাফে আছে।
- জেংডংজিন রেল বাইক, ১৭ জেংডংইওক-গিল, গ্যাংডং-মিওন, ☎ +৮২ ৩৩-৬৫৫-৭৭৮৬। জেওংডংজিন রেল বাইক ভ্রমণকারীর জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা। পুরানো রেল লাইনের উপর এই ভ্রমণের মাধ্যমে প্রকৃতির সাথে একাত্ম ওঠা যায়। এটি জিওংডংজিন স্টেশন এবং স্যান্ডগ্লাস পার্কের মধ্যে একটি ৫.১ কিমি দূরত্বের একটি সফর। সুন্দর জিওংডংজিন সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি এই ভ্রমণপথের অবস্থান। ৪ যাত্রীর জন্য বাইকের ভাড়া ৩০,০০০ ওন, ২ জন যাত্রীর জন্য বাইকভাড়া ২০,০০০ ওন।।
- অরনবি অভিজ্ঞতা, ১৯৮২-১ হায়েয়ান-রো, ☎ +৮২ ৩৩-৬৪১-৯০০২। অরনাবি, যার অর্থ সুন্দর সমুদ্রের উপরে প্রজাপতির মতো উড়ে যাওয়া। সোবরাম সেতু বরাবর হেঁটে এলাকাটি ভ্রমন করে সুন্দর অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
- সার্ফিং, জেমুজিন সমুদ্র সৈকত উচ্চ তরঙ্গের কারনে সার্ফিং করার আদর্শ স্থান। ২০ এবং ৩০-এর দশকের সার্ফিং অভিজ্ঞতার জন্য জিউমজিন বিচ জনপ্রিয় ছিল। এখানে অনেক সংগঠন এবং ভ্রমন সংস্থা রয়েছে যারা সার্ফবোর্ড ভাড়া দেয় এবং নতুনদের সার্ফারদের সার্ফিং সম্বন্ধীয় শিক্ষা প্রদান করে।
- স্কুবা ডাইভিং কোরিয়াতে স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য গাংনেউং-এর সেজেনজিন সমুদ্র সৈকত ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ এখানে পেশাদার প্রশিক্ষক দলের সহায়তায় ওপেশাদার ব্যাক্তিরাও এখানে সমুদ্রে মজার স্কুবা ডাইভিং অভিজ্ঞতা পেতে পারে।
- কাইটবোর্ডিং, সংজেওং সৈকত কাইটবোর্ডিং এক অনন্য অভিজ্ঞতা। কাইটবোর্ডিংকরার সময় ব্যাক্তির মনে হয় যেন সে নীল সমুদ্রের উপর দিয়ে হাওয়ায় ভেসে নীল আকাশ জুড়ে দ্রুতগতিতে উড়ে যাচ্ছে। এই অঞ্চলে এটি একটি জনপ্রিয় সামুদ্রিক বিনোদনমূলক ক্রীড়া কার্যকলাপ হয়ে উঠেছে। কাইটবোর্ডিং উত্সাহী ব্যাক্তিরা তাদের নিজস্ব কাইটবোর্ডিং সরঞ্জাম নিয়ে এখানে প্রায়ই আসেন। সংজেওং সৈকতে ইতিমধ্যে ছয়বার গাংনেউং কাইটবোর্ডিং সংগঠন -এর কোরিয়া কাপ আয়োজিত হয়েছে।
উৎসব
[সম্পাদনা]- গাংনেউং দানোজে এখানকার স্থানীয় এক জনপ্রিয় উতসব যা প্রতি বছর চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ৫ম মাসের ৩য় থেকে ৭ম দিনে অনুষ্ঠিত হয় (জুনের মাঝামাঝি)। গাংনেউং দানোজে আঞ্চলিক বৃহত্তম লোক উৎসব হিসাবে ২০০০ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পদ সূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই উতসবের মধ্যে ৫০ টিরও বেশি সরকারী ক্রীড়াসূচী অন্তর্গত। এসময় শহর একটি উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়। উতসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল গোয়ান্নো মুখোশ নাটক, এক হাজারের বেশি সুসজ্জিত দোকান এবং জমকালো আতশবাজির খোলা প্রদর্শনী।
- আন্তর্জাতিক জুনিয়র আর্ট ফেস্টিভ্যাল ( আইজেএএফ); জিয়াংপো সৈকতে বার্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এটি একটি যুব উৎসব যা চার দিন স্থায়ী হয় (১-৪ আগস্ট)। সাতটি দেশ থেকে ৩০০ জন অংশগ্রহণকারী আসে এই উতসবে যোগদান করতে। প্রতি রাতে প্রায় ৫০০ দর্শক এই উতসব দেখতে আসেন। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম আন্তর্জাতিক যুব উৎসব হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রতিটি দল দুবার তাদের কলা প্রদর্শন করে। গেয়ংপো বিচে মূল মঞ্চে একবার প্রদর্শন হয় এবং শহরের গাংনেউং আর্টস হলের পাশে সাব স্টেজে আরেকটি প্রদর্শনী হয়। উতসবের প্রথম সন্ধ্যায় সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা বড় কুচকাওয়াজের মাধ্যমে শহরের মধ্য দিয়ে সৈকতের দিকে গমন করে। উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে সমুদ্র সৈকতে এক বৃহত আতশবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবের দিনগুলিতে, অংশগ্রহণকারী দলগুলি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। উৎসবটি অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সাথে সাথে দর্শকদেরও বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
- জিওংপো গ্রীষ্ম উত্সব। এই উত্সব আগস্টে জিয়াংপো সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হয়। একটি ১০ দিনব্যাপী গ্রীষ্মকালীন উত্সব। রেডিও স্টুডিও অনুষ্ঠান, কে-পপ সঙ্গীতানুষ্ঠান সহ বিবিধ বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান এই গ্রীষ্মকালীন উত্সবের অন্তর্গত।
- গাংনেউং কফি উত্সব। প্রতি অক্টোবর মাসে গাংনেউং -এর বাতাসে তাজা কফির সুগন্ধে ভরে ওঠে। এসময়ে গাংনেউং -এ কফি উৎসবের আয়োজন করা হয়। গাংনেউং এবং সমগ্র অঞ্চলের বিখ্যাত কফি কোম্পানিগুলি কফি সম্পর্কে জনগনকে তথ্য প্রদান করার জন্য বিনামূল্যে কফির আস্বাদন করার সূযোগ দেয় এবং বিভিন্ন আলোচনা সভা আয়োজন করে। একটি এগারো দিনের দীর্ঘ বার্ষিক উতসব যা শুরু হয়েছিল অক্টোবর ২০০৯ -এ। গাংনেউং -এ উচ্চ মানের কফি পরিবেশনকারী অনেক ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কফির দোকান আছে, যেকারণে গাংনেউংকে কফি শহর বলা হয়।
- জিয়াংপো চেরিফুল উতসব। প্রতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে জিয়াংপোডাই এলাকায় এই উতসব অনুষ্ঠিত হয়। জিয়াংপোডাই চন্দ্রাতপ সহ জিয়াংপোহো হ্রদের ৪.৩-কিমি রাস্তা বরাবর সুন্দর ফুল ফোটে। এই অঞ্চলে বসন্তের ফুল হল চেরি ব্লসম, ফরসিথিয়া এবং নার্সিসাস। এই সময় পুরানো গাছগুলি তাদের শাখা বিস্তার করে এবং তাতে ফুল ফোটে। জিয়াংপোডাই চন্দ্রাতপ এর চারপাশে ফুলের প্রদর্শনী বসে এবং তার সাথে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
- ক্রিসমাস এখানকার জনপ্রিয় শীতকালীন উত্সব। অন্যান্য স্থানের মতোই প্রতি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় এবং দর্শকরা ক্রিসমাস ট্রিকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলে। এসময় পর্যটকরা এখানকার বিভিন্ন শীতকালীন খাবার উপভোগ করতে পারেন। এমন অনেক দোকান রয়েছে যেগুলি শুধুমাত্র উত্সব দেখতে আসা দর্শকদের জন্য ছাড় দেয়। সেই দোকানগুলি প্রধানত আনমোক সৈকতের নিকটে অবিস্থিত।
কেনাকাটা
[সম্পাদনা]গাংনেউং-এ বেশ কয়েকটি বাজার রয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গাংনেউং জং আং বাজারটি এলাকার বৃহত্তম। বন্দরের কাছে অবস্থিত জেমুজিন মাছের বাজারটিও পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয় কারণ সেখানে বিভিন্ন ধরণের মাছ, স্কুইড এবং শেলফিশ পাওয়া যায়।
গাংনেউং-এ দুটি প্রধান সুপারমার্কেট হল হোমপ্লাস এবং ই-মার্ট ।
আহার
[সম্পাদনা]- আংকল বব (কফি শপ)( 엉클밥)। ঠিকানাঃ নানসল্হ্যুন রো ৮১-৫, বা পোনাম দং ৯৬৪। ফোন নাম্বারঃ +82 5327-2008, ইমেইলঃ unclebobkr@gmail.com। সকাল সড়ে আটটা থেকে রাত দশটা অবধি খোলা থাকে। এটি আমেরিকান মালিকানাধীন কফি শপ। এখানকার কফি, চা, ফলের পানীয় ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়। প্রাকৃতিক গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যে অবস্থিত। সাইকেলে করে লেক বা সৈকত থেকে ৫ মিনিট সময় লাগে। কাছাকাছি বাস স্টেশন থেকে ১০ মিনিট ও শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ১০ মিনিট সময় লাগে। এখানে একটি আমেরিকানো পানীয়ের এর মূল্য ৩০০০ ওন।
- চোদাং দাদীর সুন্দুবু ( 초당할머니 순두부)। ঠিকানাঃ ৭৭ চোদং সুন্দুবু-গিল। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩ ৬৫২-২০৫৮। সকাল আটুটা থেকে বিকেল চারটে এবং বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা অবধি খোলা। এখানে বিভিন্ন প্রকারের সুন্দুবু আস্বাদন করা যায়। এখানের সুন্দুবু বেশ নরম এবং সুস্বাদু কারণ তারা তাদের নিজস্ব টফু দিয়ে এটি তৈরি করেন। গাংনেউং -এর সুন্দুবু সুপরিচিত।
- গাংনেউং গামজা ওংসিমি ( 강릉감자옹심이)।ঠিকানাঃ ১৭১ টোসেওং-রো। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩ ৬৪৮-০৩৪০। সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল তিনটে এবং বিকেল সাড়ে চারটে থেকে সন্ধ্যা ছটা অবধি খোলা থাকে , বৃহস্পতিবার বন্ধ। এখানকার গামজা অংসিমি, বিভিন্ন ধরণের ডাম্পলিং স্যুপ জন্য বেশ জনপ্রিয়।
- ইয়েহিয়াং মাকগুকসু ( 예향막국수)।ঠিকানাঃ ৬২ নানসেওলহিয়ন-রো, ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩ ৬৪৪-২২৭০। বুধ থেকে রবিবার প্রত্যহ সকাল এগারোটা থেকে রাত নটা অবধি খোলা থাকে। মাকগুকসু হল গ্যাংওয়ানের স্থানীয় বিশেষ বাকউইট নুডল ডিশ যা ঠান্ডা ঝোলের সাথে পরিবেশন করা হয়। একবাটি মাকগুকসুর মূল্য ৬০০০ ওন।
- জিউমহাক কালগুকসু। ঠিকানাঃ ১২-৬ দাহেক-গিল, ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩ ৬৪৬-০১৭৫। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা অবধি খোলা থাকে। খুব পরিষ্কার জায়গা নয়, তবে তাদের কালগুকসু (ছুরি দিয়ে লেচি কেটে হাতে গড়া নুডল স্যুপ) স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। একবাটি কালগুকসুর জন্য মূল্য ৪০০০ ওন।
- হো হো সারং ।ঠিকানাঃ বাইয়ং সাং ডং ৩২৭। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩ ৬৫১-২১৫১. এই পরিবারের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ বিবিধ সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে যার মধ্যে রয়েছে, বেকড হলুদ স্কোয়াশে ধুমায়িত হাঁসের মাংস। এছাড়াও খাবারের সাথে ডং-ডং জু নামক একটি ঐতিহ্যবাহী চালের ওয়াইনও পরিবেশন করা হয়।
- ক্যাফে পল অ্যান্ড মেরি ( 카페 폴앤메리)। ঠিকানাঃ ৩৩, সাংঘাই-রো ৩৫০বেয়ন-গিল (শুধুমাত্র বাসে পৌঁছানো যায়), ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩-৬৫৩-২৩৫৪. প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত সাড়ে নটা অবধি খোলা থেকে। এটি গাংনেউং-এর খুব বিখ্যাত দোকান যার পরিচিতি হাতে তৈরি বার্গারের জন্য। এখানকার বিভিন্ন খাবার ও পানীয়ের মূল্য; আমেরিকানো ৩০০০ ওন, ক্যাফে ল্যাটে ৩৫০০ ওন, জুস ৫০০০ ওন, অ্যাডেস ৪৫০০ ওন, বার্গার ৫৫০০ থেকে ৬৫০০ ওন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ৫০০০ ওন, বিয়ার এবং ককটেল ৪০০০ থেকে ৮০০০ ওন।
- ব্রাদার্স নুডল ( 형제칼국수)। ঠিকানা ১৬২-৯৪ জিও ২-ডং, ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩-৬৪৭-১৩৫৮। সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা অবধি খোলা। এখানকার জাং (লাল মরিচের পেস্ট) কালগুকসু গাংনেউং ইত্যাদি বিখ্যাত। এই রেস্তোরাঁর গাড়ী রাখার জায়গাটি খুব একটা ভালো না। দোকান ছোট হওয়ায় বসার জায়গা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এখানে খুব মশলাদার ও কম মশলাদার খাবার, জাঙ্গি এবং সাদা স্যুপ ইত্যাদি পাওয়া যায়।
- উমজির ককল হাউস ( 엄지네 꼬막집)। ঠিকানাঃ বাঞ্জির প্রথম তলায়, পোনাম-ডং। সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ তা অবধি খোলা থাকে।
- বোসানোভা কফি রোস্টার ( 보사노바 커피 로스터스 강릉점)। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩-৬৫৩-০০৩৮। সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি খোলা থাকে।
- চুং-আং কাটলেট ( 중앙돈까스)। ঠিকানাঃ ৪-৬ জিউমসাং-রো ২৩বেয়ন-গিল। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা অবধি খোলা। এই রেস্তোরাঁটি টোনকাটসু সেট খাবারে বিশেষজ্ঞ। খাবারের দাম খাদ্যপদের আকার ও পরিমানের হিসাবে বাড়তে থাকে। মূল্য যথাক্রমে ৫০০০, ৭০০০ এবং ৯০০০ (কোরিয়ান মুদ্রায়)। এখানে শুয়োরের মাংসের কাটলেট স্যান্ডউইচও পাওয়া যায় যার মূল্য ৫০০০ কোরিয়ান মুদ্রা।
- বানি মিষ্টি এবং টক চিকেন ( 배니닭강) ঠিকানাঃ ৫ জিউমসাং-রো ১৩বেয়ন-গিল। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৬৪৩ ৯০৩৮। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা অবধি খোলা থাকে। মিষ্টি এবং টক মুর্গির মাংস(닭강정) এবং কোরিয়ান শৈলীর ভাজা মুর্গির মাংস বেশ ভালো। মূল্য ২০০০০ ওন থেকে ২২০০০ ওন পর্যন্ত। খাদ্যতালিকায় মিষ্টি এবং টক চিকেন এবং ভাজা মুরগি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা স্বাদে হালকা মশলাদার হয়।
- গুয়াংদেওক রেস্তোরাঁ ( 광덕식당)। ঠিকানাঃ সেওংনাম-ডং, ৫৩-১১। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৬৪২ ৬৮৫১। সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮ টা অবধি খোলা। এটি একটি কোরিয়ান গুকবাপ রেস্টুরেন্ট। গুকবাপ হল মাংস-ভিত্তিক ঝোলের মধ্যে মধ্যে ভাত দিয়ে তৈরি ওকটি স্থানীয় খাবার। এখানে সানডে গুকবাপ, সোমেরিগুকবাপ এবং চিকেন গুকবাপ পাওয়া যায় যাদের দাম ১০,০০০ ওন থেকে ১২,০০০ ওন।
- গ্যাংনেউং গিম্বাপ ( 강릉김)। ঠিকানাঃ ২০৬-১ ওকচিওন-ডং। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৬৫২ ২০১৮। ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। এটি একটি সাধারণ কোরিয়ান রেস্তোরাঁ যেখানে সাধারণ কোরিয়ান খাবার যেমন জিম্বাপ, বিবিমবাপ, কিমচি স্ট্যু এবং অন্যান্য স্থানীয় যেকোন খাবার সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। খাবারের মূল্য ৫০০০ ওন থেকে শুরু করে ৮০০০ ওন পর্যন্ত৷
- জুমুনজিন রেড ক্র্যাব ইনফিনিট রিফিল ( 주문진홍게무한리필)> ঠিকানাঃ ২১১এফ, সিলিচেওন-র, জুমুঞ্জিন-ইউপ, ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩-৬৬২-১১১২। সকাল ১১ টা থেকে রাত ১০ টা অবধি খোলা।
পানীয়
[সম্পাদনা]- বাড নামু পানশালা( 버드나무 브루어리)। ঠিকানাঃ ০৩-৮ হংজে-ডং। সকাল ১২ টা থেকে রাত ১২ টা অবধি খোলা থাকে। এই পানশালায় গাংনেউং এর স্থানীয় স্বাদযুক্ত , নিজ উৎপাদিত বিয়ার পরিবেশিত হয়।
- দুডিং । ঠিকানাঃ ১৯৭১, গাংনেউং-দারেও। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ১০-৭২৫৫-৯০১০। সোমবার বন্ধ, মঙ্গল এবং বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে রাত ৭ টা অবধি খোলা। এখানে তোফু পুডিং, চকলেট, কালো তিল, সবুজ চা ইত্যাদি পাওয়া যায়। মূল্য ৪,৫০০ ওন থেকে শুরু।
- গ্যালারি ব্যাবস ( 갤러리밥스)। ১৪৪ নানসেওহিলন-রো। ফোন নাম্বারঃ +৮২-০৩৩-৬৪২-১২১১। সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে রাত ৭ টা অবধি খোলা। এখানকার খাদ্যতালিকায় রয়েছে চোদাং কর্ন কফি (মূল্য ৫৫০০ ওন), মিষ্টি এবং সুস্বাদু চোদাং কর্ন ক্রিম সহ একটি ক্যাফে ল্যাটে, এবং গাংনেউং স্মাইল পটেটো স্যান্ড (মূল্য ৩৮০০ ওন), বাটারক্রিমের পাঁচটি বিভিন্ন স্বাদের একটি স্যান্ডউইচ কুকি, অন্যান্য ল্যাটস এবং পানীয়গুলির দাম ৪০০০ থেকে ৫০০০ ওনের মধ্যে। এই ক্যাফেতে বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে চারটে কুড়ি পর্যন্ত বিরতি থাকে।
- এন্ড টু অ্যান্ড ( 엔드 투 앤드)। ৩০৯-৪ গ-ডং, ফোন নাম্বারঃ +৮২-০৩৩-৬৫৫-৭৭২২। সকাল ১১ টা থেকে রাত দশটা অবধি খোলা। গাছ এবং একটি পুকুর সহ একটি বাগানে ক্যাফেটির অবস্থান। অবসরে কফি বিরতির জন্য উপযুক্ত স্থান৷ এখানকার নারকেল ল্যাটে এবং শেষ ল্যাটে (কুকি এবং ক্রিম ল্যাটে) বেশ জনপ্রিয়। সামগ্রিক কফি/চা/ল্যাটের দাম প্রায় ৭০০০ ওন।
- মিরমার ( 미르마르)। ২২ সাংঘাই-রো ১৪বেয়ন-গিল, জিয়েন্সো-ডং, ফোন নাম্বারঃ +৮২-০৩৩-৬৫৩-৩১৩০। সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত সড়ে এগারোটা অবধি খোলা। এই ক্যাফেটি গাংনেউং-এর আনমোক বিচে অবস্থিত। মিরমার রেস্তোরাঁটি আসলে জেজু দ্বীপের ইয়ংমিয়ং গ্রামের মির ভিলেজ রিসোর্টের একটি শাখা । স্প্যানিশ ভাষায় মির মানে ড্রাগন এবং মার মানে সমুদ্র বা সমুদ্র সৈকত। এখানে কফি, চা এবং ডেজার্টের দাম ৭০০০ থেকে ৮০০০ ওন।
বিশ্রামস্থল
[সম্পাদনা]- সীমার্ক হোটেল ( 씨마크 호텔)। ঠিকানাঃ ২ হাইয়ান-রো ৪০৬বেয়ন-গিল, গ্যাংমুন-ডং, ফোন নাম্বারঃ +৮২-৩৩-৬৫০-৭০০০। এটি একটি পাঁচতারা হোটেল যাতে দেড়শোটি কক্ষ আছে। এখানে বিনামূল্যে ওয়াইফাই, সুইমিং পুল (ইনফিনিটি পুল এবং ইনডোর পুল), স্পা, রেস্তোরাঁ, শরীরচর্চার স্থান ইত্যাদির পরিষেবা পাওয়া যায়।
- হোটেল কিয়ংপো বিচ ( 경포비치호텔)। ফোন নাম্বারঃ +৮২-৩৩-৬৪৪-২২৭৭। প্রথম শ্রেণির হোটেল। ৬০টি কক্ষ আছে।
- গাংনেউং ট্যুরিস্ট হোটেল। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ৩৩-৬৪১-৭৭০১। প্রথম শ্রেণির হোটেল। ৭৪ টি কক্ষ আছে।
- সান ক্রুজ হোটেল। ফোন নাম্বারঃ +৮২-৩৩-৬১০-৭০০০। ২০৭ টি কক্ষবিশিষ্ট এই হোটেলটি ২০০৩ সালে নির্মিত। হোটেলটি একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এবং এর আকৃতি একটি ক্রুজ জাহাজের মতো।
- আর্ক হাউস। ৪-৫ ইয়ংজি-রো ৯৬বেয়ন-গিল। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ১০ ৯৯৪৫ ৩৯৩৮ , +৮২ ৩৩ ৬৪২ ৩৯৩৮। ইমেইলঃ aarkhouse@naver.com। এটি একটি হোস্টেল। এখানে ডরমিটরি এবং একক শয়নকক্ষ আছে। ডর্মিটরির ভাড়া ২০,০০০ থেকে ২৪,০০০ ওন।
- চোদাং গেস্টহাউস ( 강릉초당게스트하우스)। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ১০ ৩৭৮২ ১৪৫০। ইমেইলঃ bia916@naver.com। ডর্মইটরির ভাড়া ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ ওন। দ্বিশয্যা ঘরের ভাড়া ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ ওন।
- গ্যাংনেউং স্টেশন গেস্টহাউস ( 강릉역 게스트하우스)। ঠিকানাঃ ১১২৬-২, পোনাম ডং (গাংনেউং ট্রেন স্টেশন থেকে খুবই কাছে)। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ১০ ৫৭৭২ ৫৪৯৫। ইমেইলঃ gangneungstation@gmail.com ।প্রবেশ: দুপুর তিনটে, প্রস্থান: সকাল ১১টা মূল্যঃ ২০,০০০ থেকে ৭০,০০০ ওন।
- হোটেল টপ্স টেন ( 탑스텐 강릉 호텔)।ঠিকানাঃ ৪৫৫-৩৪, হেওনহওয়া-রো, ওকগিয়ে-মেয়ন। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৫৩০ ৪৮০০। প্রবেশ: দুপুর ৩ টে, প্রস্থান: সকাল ১১টা। হোটেলটি গাংনেউং -এর ইয়াংইয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাড়ীতে প্রায় ৬০ মিনিট এবং গাংনেউং স্টেশন থেকে গাড়ীতে ৪০ মিনিটের মতো সময় লাগে। আশেপাশের আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে জেংডংজিন, হোটেল থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে একটি সূর্যোদয় দেখার স্থান এবং প্রায় ২০ মিনিটের দূরত্বে 'হাসলার আর্ট ওয়াল্ড'। অতিথিরা হোটেলের কাছে অবস্থিত জিউমজিন বন্দরের বিভিন্ন খাবারের দোকানের খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। হোটেলের কাঁচে ঘেরা সুইমিং পুল থেকে জিউমজিন বিচের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়। হোটেলর স্ট্যান্ডার্ড রুম ছাড়াও, ফ্যামিলি রুম, অন্ডল রুম এবং স্যুট আছে। এখানে পোসেইডন বুফে রেস্তোরাঁটিতে আন্তর্জাতিক খাবার পাওয়া যায়। হোটেলের ২য় তলায় ক্যাফে ও লাউঞ্জ এবং ১৫ তলায় স্কাই লাউঞ্জে পানীয় সহ হালকা খাবার দেওয়া হয়। এক রাতে এখানে থাকার খরচ ১৫০,০০০ থেকে ১৬০,০০০ ওন।
- সেন্ট জন'স হোটেল (세인트존스호텔)। ঠিকানাঃ ৩০৭, সাংঘাই-রো। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৬৬০ ৯০০০। প্রবেশ: বিকেল ৪ টে, প্রস্থান: সকাল ১১টা। গাংনেউং-এর সেন্ট জন'স হোটেল গাংনেউং স্টেশন থেকে প্রায় ১০ মিনিটের পথ। এখান থেকে চোদং সুন্দুবু গ্রাম এবং জিয়াংপো বিচ গাড়ীতে করে যেতে প্রায় ৫ মিনিট সময় লাগে। এখান থেকে গ্যাংমুন সমুদ্র সৈকত প্রায় ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। হোটেলের উপরের তলায় পূর্ব সমুদ্রের দৃশ্য এবং প্রচুর প্রাকৃতিক আলো সহ দুটি সুইমিং পুল রয়েছে। হোটেলটিতে মোট ১০৯১টি গেস্ট রুম রয়েছে এবং স্ট্যান্ডার্ড রুম আছে এবং এখানে পোষ্য কুকুরের জন্য ঘর এবং বাচ্চাদের জন্য বিশেষ কক্ষের ব্যবস্থা রয়েছে। অতিথিরা তাদের ঘর থেকে পাহাড় এবং সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এক রাতে এখানে থাকার খরচ প্রায় ২০০,০০০ (দুজন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)।
- জিয়াংপো এমেরাল্ড বিচ হোটেল ( 경포 에메랄드 호텔)। ঠিকানাঃ ২৬, হাইয়ান-রো ৪০৬বেয়ন-গিল। ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৬৪৪ ৪৮১০। প্রবেশ: দুপুর ২ টো, প্রস্থান: দুপুর ১২ টা। জিয়াংপো এমেরাল্ড বিচ হোটেল গাংনেউং দ্রুতগতির বাস স্টেশন থেকে ২০ মিনিটের পথ। হোটেল থেকে আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে মধ্যে রয়েছে জিয়াংপো বিশ্ববিদ্যালয়, ওজুওখেন, কোরিয়ার প্রাচীনতম আবাসিক ভবন ইত্যাদি। গাংনেউং কফি স্ট্রিট থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে এই হোটেলের অবস্থান। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে কফি/চা মেকার ও রেফ্রিজারেটরের সুবিধা রয়েছে। একটি হেয়ার ড্রায়ার এবং একটি টেলিফোনও দেওয়া হয়৷ হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে রয়েছে৷ গাংনেউং সাধারণ ক্রীড়া কেন্দ্র এখান থেকে অল্প দূরে। এক রাতে থাকার জন্য খরচ ৫৫,০০০-৬৫,০০০ ওন থেকে শুরু। সর্বাধিক ভাড়া ১২০,০০০ ওন (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)।
- জিয়াংপোডাই দা হোটেল বিজনেস ( 경포대 더호텔비즈니스)। ঠিকানাঃ ৫৪৯, হাইয়ান-রো, ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৬৪৪ ০৮৫১। প্রবেশ: দুপুর ৩ টে, প্রস্থান: সকাল ১১ টা। হোটেলটি গাংনেউং আভ্যন্তরিন বাস স্টেশন থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। কাছাকাছি দ্রষ্টব্য স্থলের মধ্যে রয়েছে জিয়াংপোডাই, ওজুওখেন, কোরিয়ার প্রাচীনতম আবাসিক ভবন। জিওংডংজিন থেকে গারীতে ৩৫-মিনিট সময় লাগে হোটেলে আসতে। গাংনেউং-এর এই আরামদায়ক হোটেলটিতে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, ২৪-ঘন্টা রুম পরিষেবা এবং একটি ক্যাফে রয়েছে। একটি ডিলাক্স রুমের দাম প্রতি রাতে ৫০,০০০ ওন এবং ১২০,০০০ ওন -এর মধ্যে। একটি ফ্যামিলি রুমের দাম প্রতি রাতে ৭০,০০০ থেকে ১৬০,০০০ ওন (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)।
- ফোর সিজন বিচ ট্যুরিস্ট হোটেল ( 포시즌 비치 관광호텔)> ঠিকানাঃ ৬১৫, হাইয়ান-রো, ফোন নাম্বারঃ +৮২ ০৩৩ ৬৫৫ ৯৯০০। প্রবেশ: বিকেল ৩ টে, প্রস্থান:সকাল ১১ টা। হোটেল থেকে কাছেই কোরিয়ার প্রাচীনতম আবাসিক ভবন। ওজুওখেন এখান থেকে গাড়ীতে ১০ মিনিটের দূরত্বে। এটি আনমোক সৈকত থেকে গাড়ীতে ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। পারিবারিক অবকাশ যাপনকারীদের জন্য এই হোটেল উপযুক্ত। গাংনেউং-এর এই হোটেলটি জিয়াংপোডাই থেকে অল্প দূরে অবস্থিত।একটি ক্যাফে রয়েছে। এক রাতে থাকার মূল্য প্রায় ৭৫,০০০ ওন (প্রাপ্তবয়স্ক, পেনশন উপভোগকারীদের জন্য)।
সংযোগ
[সম্পাদনা]গাংনেউং এবং গ্যাংওন প্রদেশের বাকি অংশের এলাকা কোড হল ০৩৩।
পর্বরতী গন্তব্য
[সম্পাদনা]পিয়ংচাং , ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের স্থান। গাংনেউং থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে। এখানে আলপেনসিয়া স্কি রিসোর্টের মতো বেশ কয়েকটি স্কি রিসর্ট রয়েছে। এখানে ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। ইয়ংপিয়ং স্কি রিসোর্টে লিফট সুবিধা রয়েছে।