অনুধাবন
[সম্পাদনা]নুম্বুর চিজ সার্কিট হলো নেপালের রামেচাপ জেলার একটি ট্রেক। ট্রেকটির সূচনা পয়েন্ট শিবালয়, তবে যারা লুকলায় আকাশপথে যান না তাদের জন্য ট্রেকের শুরু এভারেস্ট বেস ক্যাম্প।
এই রুটে ১৪ দিনের ট্রেকিংয়ের একটি প্রস্তাবিত ভ্রমণপথ রয়েছে। যারা কাছাকাছি হিমবাহ, চূড়া বা হ্রদ পরিদর্শন করতে চান তাদের জন্য সময়টা আরও বেশ কয়েকদিন বাড়ানো যেতে পারে। ট্রেকে একদিনের একটি বিশ্রাম নেয়াও একটি ভালো ধারণা।
এই ট্রেকে দর্শনার্থীরা অন্নপূর্ণা দক্ষিণ, ল্যাংট্যাং, গৌরীশঙ্কর, নুম্বুরচুইলি এবং আরও অনেকগুলো পর্বতসহ হিমালয় পর্বতমালার চূড়ার দুর্দান্ত দৃশ্য অবলোকন করতে পারে। গভীর নদীর ঘাট, হিমবাহের হ্রদ, সোপানযুক্ত ধানের ক্ষেত, উপ-ক্রান্তীয় বনাঞ্চল এবং শেরপা গ্রামের মধ্য দিয়ে পথিবারা এবং নুম্বুরচুইলির সুউচ্চ চূড়াগুলো দ্বারা প্রেক্ষিত লিকুখোলা হিমবাহ পরিদর্শন করা যেতে পারে। এই রুটে ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নেপালের প্রথম পনির কারখানা এবং বিখ্যাত থোডাং মঠ দেখতে পাবেন।
ভূ-দৃশ্য
[সম্পাদনা]এপ্রিল এবং মে মাসে রডোডেনড্রনে প্রচুর পরিমাণে ফুল ফোটে। এছাড়াও আপনি ঈগল, কস্তুরী হরিণ এবং ছাগলের একটি প্রজাতি হিমালয়ের তাহর দেখতে পারেন। আপনি যদি ভাগ্যবান হন তবে এক ঝলক অধরা তুষার চিতাবাঘও দেখতে পারেন।
আর্দ্র ঋতুতে পাহাড়ের তৃণভূমিগুলো খুব সবুজ এবং ফুল ও ঘাসে লীলাপূর্ণ থাকে। যাইহোক ভিজে যাওয়ায় এই সময়ে ট্রেকিং করা কঠিন এবং মেঘের কারণে সকল দৃশ্য অস্পষ্ট হয়ে যায়।
যাতায়াত
[সম্পাদনা]শিবালয় এবং নম্বুর চিজ সার্কিটের শুরু ও শেষ পয়েন্টগুলো কাঠমান্ডু থেকে ৮-৯ ঘন্টার পথ। মৌসুম ভিত্তিক সুপার এক্সপ্রেস বাসগুলো নেপাল পর্যটন বোর্ডের নিকটবর্তী কাঠমান্ডুর পুরনো বাস পার্ক থেকে প্রতিদিন ০৭:০০ টায় ছাড়ে। কাঠমান্ডু থেকে জিরি বা শিবালয় যেতে সময় লাগে ৬-৮ ঘন্টা (৪৫০ টাকা)। চক্রাকার রাস্তাটির ভিত্তি প্রস্তর খুব পাকা এবং দুইপাশে সুন্দর পাহাড়ী দৃশ্য বিদ্যমান। সুইস নির্মিত লামোসাঙ্গু-জিরি সড়ক, সোলু খুম্বুর প্রবেশপথ, সিন্দুপালচক এবং দোলাহকা জেলা হয়ে রামেচাপ পর্যন্ত আরোহণের জন্য লামোসাঙ্গুতে সূর্য কোশির উপর দিয়ে ডানদিকে বাঁক নেওয়ার পূর্বে রুটটি তিব্বতের দিকে আর্নিকো মহাসড়কে বাঁক নেয়। নেপালের বৃহত্তম আলুর জন্য বিখ্যাত মুডে বাজারে ৪ ঘন্টা পরে বাসগুলো দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য থামায়।
বর্ষা মৌসুমে (জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি) শিবালয় যাওয়ার রাস্তাটি সাধারণত বন্ধ থাকে, তাই জিরি থেকে শিবালয় পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া লাগে এবং ট্রেকে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ হয়। বাসগুলোও অতটা দূরত্ব (শেষ পয়েন্ট) পর্যন্ত যাবে না, তাই জিরিতে ফিরে যাওয়াই ভালো।
পথের আকর্ষণীয় বিরতির স্থানগুলোর মধ্যে একটি হলো চারিকোট, যেখানে আপনি বন্ধুত্বপূর্ণ আয়োজক জুডিথ এবং টপ থাপা দ্বারা পরিচালিত বিলাসবহুল চারিকোট প্যানোরামা রিসোর্টে থাকতে পারেন বা জিরিতে যাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন।
ফি ও অনুমতি
[সম্পাদনা]এই ট্রেক করার জন্য কোনো ফি বা অনুমতির প্রয়োজন নেই।
দেখুন
[সম্পাদনা]- 1 শিবালয়। নুম্বুর চিজ সার্কিটের প্রবেশপথ। শিবালয় যাওয়ার পথটি এভারেস্ট অভিযানের জন্য স্যার এডমন্ড হিলারির প্রদর্শিত ঐতিহ্যবাহী অভিমুখ জিরি থেকে পুরনো বাণিজ্যপথকে অনুসরণ করে। শিবালয় সুরম্য খিমতি নদীর তীরে অবস্থিত। এই শহরে অসংখ্য অতিথিশালা এবং কিছু মৌলিক দোকান রয়েছে। এটি ট্রেকিং রুটের শেষ শহর, যেখানে আপনি খাদ্য সামগ্রী বা পোশাক কিনতে পারেন।
- 2 খাহারে গ্রাম। ৫টিরও কম বাড়িবিশিষ্ট এই গ্রামে এখানকার লোকজন শুধুমাত্র শীতকালে বসবাস করে। গ্রীষ্মকালে তারা তিব্বতের সীমান্তবর্তী চরণভূমিতে তাদের চমরি গাই ও চৌরি পালন করে কাটায়। ট্রেইলটি সোপানযুক্ত মাঠের মধ্য দিয়ে উপত্যকার পাশ দিয়ে উপর এবং নীচ দুইদিকে চলে গেছে, যা নদীর মধ্যে গিয়ে ডুবে যায় এবং নদী অতিক্রম করে সাপের মতো করে খাড়াভাবে পাহাড়ের উপরে উঠে যায়। খাহারে থেকে পানিপাখা ও মানেদান্ডা হয়ে জাতা পোখারির খাড়া আরোহণ শুরু হয়।
- 1 পানিপাখা। ট্রেক রুটের প্রথম শিবির। এতে একটি অপেক্ষাকৃত সমতল ক্যাম্পিং এলাকা রয়েছে, যা পাহাড়ের ধারে খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এতে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি কুঁড়েঘর রয়েছে। এছাড়াও এতে প্রায় ৫-১০টি তাঁবুর জন্য জায়গা রয়েছে। ট্রেইলটি নিচে গর্জনকারী খিমতি খোলা নদীর দৃশ্য দেখার সুযোগ দেয়। এখান থেকে ট্রেকে চৌরির (গরু) জন্য প্রস্তুত থাকুন - ট্রেকের ভিতরে লেগে থাকুন এবং তাদের পথ থেকে বেরিয়ে আসুন! ফোকতের ছোট্ট শেরপা গ্রামের মধ্য দিয়ে ট্রেকটি রডোডেনড্রন বনের মধ্য দিয়ে মানেদান্ডার গ্রীষ্মকালীন চরণভূমিতে উঠে গেছে।
- 2 মানেদান্ডা (মানেডান্ডা)। প্রাথমিক রান্না এবং তাঁবুর জায়গাসহ ট্রেকের দ্বিতীয় শিবির। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে ভালো দৃশ্য দেখা যায়। এখান থেকে ট্রেকটি নদীর তীর ধরে জাতা পোখারিতে উঠে যায় এবং উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে আলপাইন চরণভূমির মধ্য দিয়ে সানপাতির ঘামাচি বনে চলে যায়। সানপাতি একটি বিরল পাহাড়ী ভেষজ, যা ৬০০০ রুপি/কেজি পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।
- 3 জাতা পোখারি (জাতা পোখারা)। ট্রেক রুটের তৃতীয় শিবির। ক্যাম্পিং করার জন্য একটি মৌলিক আশ্রয়কেন্দ্র এবং কিছু সমতল এলাকাও রয়েছে। শিবিরটি জাতা পোখারির পবিত্র পর্বত হ্রদের খুব কাছে অবস্থিত। নুম্বুরচুলি পর্বতের কোলে অবস্থিত এই হ্রদটি রামেচাপের একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। ৩,০০০ এরও বেশি তীর্থযাত্রী জানিয়াপূর্ণিমা উদযাপন করতে তাদের গন্তব্য হিসাবে এই স্থানকেই বেছে নেয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, হ্রদের পবিত্র পানিতে ডুব দিলে ইচ্ছা পূরণ হয়। সমন্বয়ের অনুমতির জন্য এক রাত থাকার সুপারিশ করা হয়। বাউলা পোখারিতে (পাগলা হ্রদ নামেও পরিচিত) একটি পার্শ্ব ভ্রমণ করতে পারেন, কিন্তু ভিতরের আত্মাকে বিরক্ত করবেন না, এতে আপনার ইচ্ছা পূরণ নাও হতে পারে! এখান থেকে ছোট্ট একটি যাত্রায় ট্রেকটি পাঁচ পোখারি এবং তারপরে ৪,৬০০ মিটারের প্রথম অতিক্রমে থারে পর্যন্ত চলে যায়।
- 1 পাঁচ পোখারি। জাতা পোখারি থেকে অল্প দূরত্বের হাঁটা পথ। এই বিশাল হিমবাহের বৃত্তের মধ্যে পাঁচটি ছোট হ্রদ রয়েছে, যা পাঁচ পোখারি নামে পরিচিত। অদম্য অন্নপূর্ণা দক্ষিণ পশ্চিম দিগন্তে আধিপত্য বিস্তার করে।
- 3 থারে থেকে 4 নেগেজু। "জনমানবহীন" বা "প্রান্তর" হলো লিকুখোলা উপত্যকার বুনো এবং রুক্ষ অববাহিকার জন্য একমাত্র উপযুক্ত শব্দ। পাহাড়ের দৃশ্যগুলো উত্তেজনাপূর্ণ, যেখানে আপনি ৪৮৩৮ মিটার উচ্চতায় থুলো লাপচা পাস অতিক্রম করার সাথে সাথে উত্তরে তিব্বতের দিকে বিস্তৃত দৃশ্যগুলো মুগ্ধতার সাথে দেখতে পাবেন। ঐতিহ্যগতভাবে স্থানীয় শেরপারা চমরি গাইকে পাহাড় পেরিয়ে নেগেজুতে নিয়ে আসার জন্য এই পাস ব্যবহার করে। ট্রেকটি লিকুখোলা উপত্যকাকে অনুসরণ করে, যতক্ষণ না আপনি নুম্বুরের পবিত্র চূড়া থেকে গড়িয়ে পড়া বরফ-প্রপাতের পাদদেশে নেগেজুর দুর্গম চমরি গাইয়ের চরণভূমিতে পৌঁছাবেন। কাউ গুম্বার প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরটি উচ্চ শিলা এবং তুষার চূড়ার একটি দুর্দান্ত ঢালু জমি দ্বারা ঘেরা উপরের লিকুখোলা উপত্যকায় গাছের রেখার উপরে অবস্থিত। দুধকুন্ড দুধেল হ্রদটি চারপাশে গড়িয়ে পড়া হিমবাহ এবং বৃহৎ গ্রাবরেখা দ্বারা বেষ্টিত অববাহিকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
- 5 লাহসেওয়ার (লাহকসেওয়ার, সেওয়ার)। আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক দৃশ্য, সাংস্কৃতিক সম্পদ এবং অতিথিপরায়ণ শেরপা জনগণসহ রামেচাপ অঞ্চলের সবচেয়ে সুন্দর শেরপা গ্রামগুলোর একটি। 'সেওয়ার' শেরপা সংস্কৃতির একটি অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যেখানে লোকেরা ঐতিহ্যগত জীবনধারা বজায় রেখেছে।
- 2 কায়ামা। ট্রেকটি পথিবারা এবং নুম্বুরচুইলির পথের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যসহ নদী উপত্যকার গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কায়ামা (৩,১৯০ মিটার) পর্যন্ত চলে গেছে।
- 6 গুমডেল। পটভূমিতে উজ্জ্বল নুম্বুরচুইলিসহ গুমডেল হলো একটি বৃহৎ বৌদ্ধ স্তূপের চারপাশে জড়ো হওয়া একটি ছোট গ্রাম। গুমডেলের আশ্রয়কেন্দ্রসমূহ বিলাসবহুল ভূ-দৃশ্য এবং দর্শনীয় পর্বতের দৃশ্যসহ শেরপা আতিথেয়তা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদান করে। এখান থেকে ট্রেকটি ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ভান্ডারে এভারেস্ট ট্রেইলে মিলিত হয়েছে।
- 3 থোডাং (থোটাং)। পাইনের সুগন্ধ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা একটি ছোট সক্রিয় মঠ। মঠের চারপাশ বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ দ্বারা বেষ্টিত, যা মঠ এবং এর আশপাশের নির্মলতাকে বাড়িয়ে তোলে।
- লাপচেন। লাপচেনের নেওয়ার গ্রামের উপরে তামডান্ডা রামেচাপের অন্যতম উঁচু পাহাড়। এখান থেকে আপনি মধ্য ও পূর্ব হিমালয় পর্বতমালার ধলগুইরি, অন্নপূর্ণা, গৌরীশঙ্কর, নুম্বুর, মাকালু এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন। এছাড়াও চূড়াটি ভালো আবহাওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধকর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য সরবরাহ করে। ৬৫ প্রজাতির পাখিসহ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্যের কারণে এটি প্রকৃতি প্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। ৩,০০০ মিটার উপরে অবস্থিত তামডান্ডা এই এলাকার সর্বোত্তম পূর্ব-পশ্চিম হিমালয়ের ৩৬০° দৃশ্য প্রদান করে।
- 7 থোসে। জিরি সড়ক নির্মাণের আগে এটি নামচে এবং লামোসাঙ্গুর মধ্যকার বাণিজ্য পথের সবচেয়ে ব্যস্ততম বাজার ছিল।
- 4 নুম্বুরচুইলি (নুম্বুর) (রামেচাপ ও খুম্বুর সীমান্তে অবস্থিত।)। এটি এভারেস্ট পর্বতের একটি ছোট সংস্করণ। নাগরকোট থেকে দেখার সময় আকৃতির মিলের কারণে 'নুম্বুর' আর এভারেস্টের মাঝে প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি হয়।
আহার
[সম্পাদনা]- ইয়াক পনির
পানীয়
[সম্পাদনা]- উচ্চ উচ্চতার জৈব চা
- রাকসি
- চাং
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]জিরি, শিবালয়, দেউরালি, বামতি-ভান্ডার এবং গুমডেলের গ্রামগুলো বাসা, শৌচাগার এবং গরম (বালতি) ঝর্নাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু পরিবেশন করে।
খাহারে, লাহকসেওয়ার এবং কেয়ামের বাসস্থানগুলো একটি প্রকৃত বাড়িতে বা 'সম্প্রদায় দ্বারা পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে' অবস্থিত, তাই এখানে আন্তঃসাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বেশি খাঁটি। ট্রেকের অংশটি জনবসতিহীন এলাকায় হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রদায় দ্বারা পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ট্রেকিং মৌসুমে কাজ করায় এটি স্বাধীন ট্রেকারদের জন্য বেশ উপযুক্ত।
খাহারে থেকে সেওয়ারের উপরের এলাকাটি জনবসতিহীন হওয়ায় পানিপাখা, ফোকতে, মানেদান্ডা, জাতাপোখারি, পাঁচ পোখারি, থারে এবং নেগেজুতে ক্যাম্পিং করাই একমাত্র বিকল্প।
দ্রষ্টব্য: ট্রেকের জন্য কমপক্ষে ৪-৫ রাত (সাধারণত ২-৬ রাত) ক্যাম্পিং করা প্রয়োজন, তাই আপনাকে তাঁবু, ঘুমানোর সরঞ্জাম, রান্নার সরঞ্জাম এবং পর্যাপ্ত খাবারসহ প্রস্তুত থাকতে হবে। রুট বরাবর পানীয় জলের কোন অভাব নেই। তবে নিরাপদের তাগিদে পানি পরিশোধন ট্যাবলেট সঙ্গে রাখা ভালো। ক্যাম্পিংয়ের স্থানে কিছু মৌলিক পাথর ও কাঠের আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুমানো সম্ভব, তবে এগুলোর একপাশ খোলা এবং ছাদগুলো সম্পূর্ণ জলরোধী নয়। বর্ষা মৌসুমে মে-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো কর্দমাক্ত থাকে। ক্যাম্পের জায়গায় কোনো শৌচাগার নেই।
নিরাপদ থাকুন
[সম্পাদনা]এই ট্রেকটি চ্যালেঞ্জিং এবং এটিকে "কঠিন" হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। এটি শুধুমাত্র ভালো স্তরের সুঠাম ও ট্রেকিং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ট্রেকারদের জন্য উপযুক্ত। ট্রেইল রুটটি ২-৬ দিনের জন্য একটি দূরবর্তী প্রান্তর এলাকার মধ্য দিয়ে যায়। একজন অভিজ্ঞ পথপ্রদর্শক নেওয়ার দৃঢ় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ এখানে বিভিন্ন পথ দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কাঠমান্ডুতে কিছু ট্রেকিং প্রতিনিধির মাধ্যমে পথপ্রদর্শক এবং কুলিদের সংগঠিত করা যেতে পারে। এছাড়া জিরি বা শিবালয়েও স্থানীয় পথপ্রদর্শক খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ট্রেকিং রুটে উচ্চতায় যেতে কিছু মোটামুটি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। উচ্চতাজনিত অসুস্থতা এড়াতে ও উচ্চতা মানিয়ে নিতে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিন। খাহারে থেকে পানিপাখায় একদিনে ট্রেক করা সম্ভব এবং তারপরে পানিপাখা থেকে পরের দিন জাতা পোখারি। তবে এর মধ্যে দু'দিনে ২২০০ মিটার উচ্চতায় পোঁছাতে হয় যা কিছু লোকের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
আপনি যদি এভারেস্টের ট্রেইল ধরে চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তবে 'নুম্বুর চিজ সার্কিট' আপনার জন্য চমৎকার বিকল্প হতে পারে।
পরবর্তী গন্তব্য
[সম্পাদনা]{{#assessment:ভ্রমণপথ|রূপরেখা}}