বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

বগুড়া বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি উল্লেখযোগ্য শহর।

কীভাবে যাবেন?

[সম্পাদনা]

সড়কপথ

[সম্পাদনা]

ঢাকা পঞ্চগড় হাইওয়েটি বগুড়া জেলার একেবারে মধ্যভাগ দিয়ে শেরপুর, শাহজাহানপুর, বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা দিয়ে চলে গেছে। ভারী এবং দূর পাল্লার যানবাহন চলাচলের জন্য মূল সড়কের পাশাপাশি রয়েছে প্রশস্ত দুটি বাইপাস সড়ক। প্রথমটি পুরাতন বাইপাস নামে পরিচিত শহরের পশ্চিম দিকে মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে বারপুর, চারমাথা, ১ নং রেলগেট, ফুলতলা হয়ে বনানীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয়টি নতুন বাইপাস নামে পরিচিত যা ২০০০ সালের পরবর্তীকালে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বাইপাসটি মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে শহরের পূর্ব পাশদিয়ে জয়বাংলা বাজার, সাবগ্রাম হয়ে বনানীতে গিয়ে মুল সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। এছাড়া নাটোর, পাবনা, রাজশাহী সহ দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলোর সাথে যোগাযোগের জন্য একটি আলাদা মহাসড়ক রয়েছে যা নন্দীগ্রাম উপজেলার মধ্যদিয়ে নাটোরের সাথে সংযুক্ত। নওগা জেলার সাথে যোগাযোগের জন্য চারমাথা থেকে আরেকটি সংযোগ সড়ক কাহালু, দুপচাঁচিয়া, সান্তাহারের মধ্য দিয়ে নওগাঁয় গিয়ে শেষ হয়েছে। এছাড়া বগুড়া জয়পুরহাট জেলাকে সংযুক্ত করার জন্য রয়েছে আলাদা সড়ক ব্যবস্থা।

ঢাকার গাবতলী আর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বগুড়া যাবার জন্য এসি-ননএসি বাস আছে। এর মধ্যে গ্রীনলাইন, এসআর পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, টিআর ট্রাভেলস, হানিফ ইন্টারপ্রাইজ উল্লেখযোগ্য।

  • শ্যামলী পরিবহন, ☎ ০২-৯০০৩৩৩১, ০২-৭৫২০৪০৫
  • এসআর ট্রাভেলস, ☎ ০২-৮০১৩৭৯৩, ০২-৮০৬০৮৭৬
  • টিআর ট্রাভেলস, ☎ ০১১৯১-৪৯৪৮৬৫, ০১১৯১-৪৯৪৮৬৮
  • গ্রীন লাইন পরিবহন, ☎ +৮৮০১৭১৬৯৭৬৭৭৫, ৯০০৮৬৯৪

বগুড়া জেলার সর্ব পশ্চিমে রয়েছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইন নাটোর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত সান্তাহাররের উপর দিয়ে চলে গেছে। এছাড়া সান্তাহার থেকে একটি মিটারগেজ লাইন আদমদিঘী, তালোড়া, কাহালু, বগুড়া শহরের মধ্যদিয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটকে সংযুক্ত করেছে।

আকাশপথ

[সম্পাদনা]

বগুড়ার একমাত্র বিমানবন্দরটি কাহালু উপজেলার এরুলিয়া নামক স্থানে অবস্থিত। তবে বিমান বন্দরটি সাধারণত বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। সবচেয়ে কাছের সচল বিমানবন্দর রাজশাহীতে অবস্থিত। রাজশাহী থেকে সড়কপথে বগুড়া আসতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। রাজশাহী থেকে বগুড়া শহরের দূরত্ব প্রায় ১০৯ কি.মি.।

তবে হেলিকপ্টার যোগে বগুড়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিসিএল এভিয়েশন লিমিটেড প্রতি বৃহস্পতিবার ও শনিবার ঢাকা-বগুড়া ও বগুড়া-ঢাকা রুটে যাতায়াত করে। টিকিট জন প্রতি ৳১০,৬২৫, যোগাযোগ ☎ +৮৮০১৭০৮ ৪৫০২৪৪, ওয়েবসাইট: www.bclaviation.com

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]
জজ কোর্টের সামনের একটি শিল্পকর্ম
  • 1 মোহাম্মাদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম এন্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক (প্যালেস মিউজিয়াম) (সাতমাথা রাস্তার মোড় থেকে যে পাকা সড়ক পূর্ব দিকে কোর্ট ভবনে গিয়ে নওয়াব বাড়ি রোডে যুক্ত হয়েছে সেই রাস্তার পূর্ব ধারেই নওয়াব বাড়ি অবস্থিত। পূর্বাধারে করতোয়া নদী ও দক্ষিণ দিকে কোর্ট কাঁচারী অবস্থিত।)। ১০:০০-২২:০০ নবাব আমলের পাইক-পেয়াদা আর বরকন্দাজের রূপকথা, মডেল করে দেখানো হয়েছে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়িতে। নবাবী জীবন প্রণালি এবং নবাবী আমলের সভ্যতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য কয়েকজন গুণী শিল্পীর অক্লান্ত শ্রম ও মেধায় প্রতিষ্ঠিত হয় মোহাম্মাদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম এন্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক। দেশের উত্তর জনপদের কেন্দ্রস্থল বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র করতোয়া নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে নবাব প্যালেসের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে এটি। পুরনো প্রাসাদটি বিশাল এক জাদুঘর। ৳৩০ উইকিপিডিয়ায় মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম (Q25587584)

খাওয়া-দাওয়ার জন্য অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানকার প্রায় সব হোটেলেই বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে:

  • বগুড়ার সান্তাহারের টাকি মাছ ও কালোজিরার ভর্তা
  • ছোট মাছের চচ্চড়ি
  • ঝাল পোলাও
  • সেমাইর জর্দা
  • বগুড়ার দই
  • গরুর মাংসের আলুঘাঁটি

বগুড়া শহরে খাওয়ার জন্য ভালো মানের অনেক রেস্তোরা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লখেযোগ্য হচ্ছেঃ

  • আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, থানা রোড, বগুড়া
  • শ্যামলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, থানা রোড, বগুড়া
  • কোয়ালিটি, সাতমাথা, বগুড়া
  • সেলিম হোটেল, রেলগেট, বগুড়া

এছাড়াও শহরে চাইনিজ বা বিদেশি খাবারের অনেক রেস্তোরা রয়েছে। এই ধরণের রেস্তোরাগুলো মূলত জলেশ্বরীতলা বা এর আশেপাশে বেশি দেখা যায়। বিকেলের বেলা শহরের সাতমাথায় রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমাণ অনেক খাবার দোকান বসে থাকে। সেখানে চটপটি, ফুসকা, কাবাবসহ বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়।

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]
হোটেল "মম ইন"

বগুড়া শহরে থাকার জন্য রয়েছে চার তারকা বিশিষ্ট হোটেল "নাজ গার্ডেন" এবং পাঁচ তারকা হোটেল "মম ইন"। উল্লেখযোগ্য রাত্রিযাপনের জায়গাগুলো হচ্ছেঃ

  • হোটেল নাজ গার্ডেন, সিলিমপুর,বগুড়া, +৮৮০৫১-৬২৪৬৮, ফ্যাক্স: +৮৮০৫১৫১৩৭৬, ইমেইল: $৩৫+
  • মম ইন হোটেল এন্ড রিসোর্ট, +৮৮০ ৫১৬২০৪, ইমেইল: ৳৫,২০০+
  • পর্যটন মোটেল, বনানী মোড়, বগুড়া, +৮৮০৫১-৬৬৭৫৩, ফ্যাক্স: +৮৮০৫১ ৬৬৭৫৩
  • 1 সেফওয়ে মোটেল, চার মাথা, বগুড়া, +৮৮০৫১-৬৬০৮৭, ইমেইল:
  • 2 সেঞ্চুরি মোটেল, চার মাথা, বগুড়া, +৮৮০৫১-৬৭০৯১, ইমেইল: ৳১,২০০-৩,৫০০
  • মোটেল ক্যাসল এম এইচ, বগুড়া
  • আকবরিয়া আবাসিক হোটেলথানা রোড, বগুড়া, ☎ ৬৬৯৯৭
  • আমজাদিয়া হোটেল টেম্পল রোড, সাতমাথা, বগুড়া, ☎ ৬৩৬৪২
  • হোটেল আল মদিনা হোটেলথানা রোড, বগুড়া, ☎ +৮৮০১৭১১-৭০৮৫৭৮
  • আজাদ গেস্ট হাউজনিউ মার্কেট, বগুড়া, ☎ ৬৬৩৪২
  • অন্নপূর্ণা আবাসিক হোটেলপ্রজা বাহিনী প্রেস লেনথানা রোড, বগুড়া, ☎ ৬২৪৪১
  • বগুড়া বোডিং নবাব বাড়ি রোড, বগুড়া
  • রহমানিয়া বোডিং, নবাব বাড়ি রোড, বগুড়া, ☎ ৬৭৪০২
  • আল আমিন আবাসিক হোটেল, আল আমিন কমপ্লেক্স, নবাব বাড়ি রোড, বগুড়া, ☎ ৫১৯৩৭
  • ওয়েল ফেয়ার হাউজনবাব বাড়ি রোড, বগুড়া, ☎ ৬৭৮৭৫
  • মুন বোডিং ঝাউতলা, বগুড়া, ☎ ৬৫৪৯৮

জরুরি নম্বরসমূহ

[সম্পাদনা]
  • টুরিস্ট পুলিশ, ☎ +৮৮০১৭৬৯ ৬৯০৭৪০
  • জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ☎ +৮৮০১৭১৩ ৩৭৪০৫৮
  • বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ☎ ০৫১ ৬৩৩৩৩
  • শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ☎ ০৫১ ৬৯৯৬৫
  • টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ☎ ০৫১ ৬১৮৩০

পরবর্তীতে যান

[সম্পাদনা]