বেড়াচাঁপা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় অবস্থিত। ২,৫০০ বছরের পুরনো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান চন্দ্রকেতুগড়ের জন্য এই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
জানুন
[সম্পাদনা]বেড়াচাঁপার খ্যাতি চন্দ্রকেতুগড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের জন্য। এই প্রত্নস্থলটি কলকাতা শহর থেকে ৩৫কিমি উত্তর পূর্বে বেড়াচাঁপা অঞ্চলে অবস্থিত। একসময় ভাগীরথী নদীর শাখানদী বিদ্যাধরী নদীর তীরবর্তী স্থানে চন্দ্রকেতুগড় নামক নগরীটির পত্তন হয়। প্রাচীন এই নগরী একসময় বন্দরনগরী হিসেবে পরিচিত ছিল। উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে এই বন্দর নগরীর সম্পর্ক ছিল। এমনকী, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গেও বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল এই নগরীর। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, মৌর্য যুগ থেকে কুষান যুগ পরবর্তীকালে গুপ্ত যুগ থেকে পাল-সেন যুগের রাজাদের শাসনকালেও চন্দ্রকেতুগড় বেশ সমৃদ্ধশালী ছিল।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]বাস যোগে
[সম্পাদনা]কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে হাড়োয়া পর্যন্ত বাস আছে। হাড়োয়া থেকে বেড়াচাঁপার দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। হাড়োয়া পৌঁছানোর পর সেখান থেকে আবার বাসে করে বেড়াচাঁপা পৌঁছানো যায়।
ট্রেন যোগে
[সম্পাদনা]- 1 হাড়োয়া রোড রেলওয়ে স্টেশন। হাড়োয়া রোড রেলওয়ে স্টেশন থেকে বেড়াচাঁপার দূরত্ব প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার
আকাশপথ
[সম্পাদনা]নিকটতম বিমানবন্দর হলো কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরটির থেকে বেড়াচাঁপার দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার।
সড়কপথে
[সম্পাদনা]গাড়িতে করে কলকাতা থেকে বারাসাত হয়ে ঘণ্টা দুয়েকে বেড়াচাঁপা পৌঁছানো যায়।
দেখুন
[সম্পাদনা]বেড়াচাঁপা একটি ছোট শহর। বেশি দূরত্বের জন্য আপনি রিকশা ভাড়া করতে পারেন। তবে কম দূরত্বের জন্য হাঁটাই ভাল।
- 1 চন্দ্রকেতুগড়। বাংলার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রত্নস্থল।
- 2 খনা -মিহিরের ঢিপি (বরাহ মিহিরের ঢিপি)। এটি চন্দ্রকেতুগড়ের প্রধান দর্শনীয় স্থান। এই প্রত্নস্থলটির নির্মাণকাল আনুমানিক ৪০০- ৮০০ খ্রিস্টপূর্ব।
- 3 চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা (চন্দ্রকেতুগড় কলেজ যাদুঘর)।
- চন্দ্রকেতু দুর্গ (খনা মিহিরের ঢিবি থেকে মাত্র ২কিমি দূরে)। রাজা চন্দ্রকেতু এই দুর্গটি নির্মান করেন। দুর্গের পাশ দিয়েই একসময় প্রবাহিত হত বিদ্যাধরী নদী। নদীর স্থানটি এখন উর্বর চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। চারিদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন ভরিয়ে দেবে
অন্যান্য
[সম্পাদনা]- 1 চাকলা।