এশিয়া > দক্ষিণ এশিয়া > ভারত> সমভূমি (ভারত) > বিহার> মিথিলা

মিথিলা, যা তিরহুত, তিরাভুক্তি ও মিথিলাঞ্চলও নামেও পরিচিত– হল ভারতের বিহারের উত্তরাঞ্চলীয় একটি অঞ্চল।

শহরসমূহ

• 1 বেগুসারাই

• 2 বেতিয়া

• 3 ভাগলপুর

• 4 দ্বারভাঙা– বিহারের সাংস্কৃতিক রাজধানী।

• 5 হাজীপুর ​

• 6 কাটিহার -

• 7 মধুবনী—এটি মিথিলার শিল্পকলা রাজধানী মধুবনী শৈলী চিত্রকলার সাংস্কৃতিকভাবে রপ্তানি করার জন্য বিখ্যাত।

• 8 মুঙ্গের

• 9 মজঃফরপুর

• 10 সীতামঢ়ী—সীতার জন্মস্থান ( হিন্দুদের ভগবান রামের স্ত্রী)

• 11 সহার্সা

অন্যান্য গন্তব্য

• রাজনগর- মধুবনীর নিকটতম একটি ছোট শহর। স্থানটি নবলাখা প্রাসাদের (দরভাঙ্গার মহারাজার একটি বিখ্যাত প্রাসাদ ছিল) ধ্বংসাবশেষের জন্য বিখ্যাত, যা ১৯৩৪ সালে ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সিমারি নাভটোলা হল রাজনগরের সবচেয়ে কাছের গ্রাম।

• রাতুপুর— একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ও কিংবদন্তি শিক্ষক শ্রী ঠাকুর সিং দাসের বাড়ি, যিনি একজন প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজকর্মী ছিলেন। এখানে বিদ্যুৎ বা পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ না থাকায় হাতপাম্প বা পুকুর থেকে পানি তোলা হয়। জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি। বেশির ভাগ দোকানই আরারিয়া চকে অবস্থিত। খরয়া, বিস্তল ও নাওয়ানি এই চকের নিকটবর্তী গ্রাম। নবনী শ্রী শোভকান্ত দাসের পৈতৃক গ্রাম। নাওয়ানি শ্রী প্রকাশ কুমার দাস ওরফে লল্লানের পৈতৃক গ্রাম।

• 12 বৈশালী — প্রত্নতাত্ত্বিক এবং বৌদ্ধ তীর্থস্থান।

অনুধাবন

মিথিলা অঞ্চলটি পূর্বে মহানন্দা নদী, পশ্চিমে গণ্ডকী নদী, দক্ষিণে গঙ্গা এবং উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ দ্বারা বেষ্টিত।

ভাষা

যদিও মিথিলার বেশিরভাগ মানুষই হিন্দি বোঝে, যা বিহারের ভাষা; তবে অঞ্চলটির মাতৃভাষা হল মৈথিলি, যা প্রমিত হিন্দির চেয়ে ভোজপুরি এবং বাংলার সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এটি ব্রজবুলির ভিত্তিও, যা একটি সাহিত্যিক ভাষা এবং বিদ্যাপতি ও তার সমবয়সীদের দ্বারা বৈষ্ণব পদাবলী (কৃষ্ণকে উৎসর্গ করা স্তোত্র) লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

আহার

মাছ, মাখনা (কাঁটাযুক্ত শাপল) ও পান (সুপারি) হলো মিথিলার পরিচয়ের অংশ। মাছ মিথিলার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার, যে কোনো অনুষ্ঠানে প্রধান খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চুদা, দই এবং চিনিও রান্নার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিটি অনুষ্ঠানে পান একটি গুরুত্বপূর্ণ তাজাকরণ সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।