বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

মৈনট ঘাট হলো ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী একটি স্থান। ঢাকা শহর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। এটি মিনি কক্সবাজার নামেও পরিচিত।

অবস্থান

[সম্পাদনা]

মৈনট ঘাট হলো ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার একটি জায়গা। এপাড়ে দোহার এবং ওপাড়ে ফরিদপুর। মৈনট ঘাট থেকে ফরিদপুরের গোপালপুরের স্পিড বোটে পারাপার হন মানুষ। ঘাটের আশপাশে বিশেষ করে পূর্ব পাশে চর আর সামনে পদ্মা। নদীর ওপারে ফরিদপুরের চর ভদ্রাসন।

দেখতে পাবেন

[সম্পাদনা]

ঘাটের পূর্ব পাশে বিশাল চর এলাকা, যা দর্শনার্থীদের সাগরপাড়ের বেলাভূমির কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। সামনে আছে বিশাল পদ্মা নদী, যা দেখলে মনে হবে সাগরপাড়ে বসে আছি। ইচ্ছা করলে নৌকা ও স্পিডবোটে করে পদ্মা নদী ঘুরে বেড়ানো যাবে।

যাওয়ার পথ

[সম্পাদনা]

ঢাকার গুলিস্তানের হজরত গোলাপ শাহ (র.)–এর মাজারসংলগ্ন সড়কে 'দ্রুত' ও 'যমুনা' পরিবহন সরাসরি মৈনটঘাটে যায়। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে।

যাতায়াত ও ভাড়া

[সম্পাদনা]

যাতায়াতে জনপ্রতি ১১০ টাকা ধরা যায়। ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাতায়াত করে। এ ছাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা ভাড়ায় মৈনটঘাট থেকে প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও বছিলা এলাকায় যাতায়াত করে থাকে।

খাবার

[সম্পাদনা]

মিনি কক্সবাজারখ্যাত মৈনটঘাটে ১০টির বেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে। এগুলো মূলত ভাতের হোটেল। পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রজাতির তাজা মাছ পাওয়া যায়। ইলিশ মাছ প্রতি টুকরা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা হয়ে থাকে (কিছু কমবেশি হতে পারে)। মৈনটঘাটে পৌঁছানোর আগে কার্তিকপুর বাজারে বেশ কিছু নামকরা মিষ্টির দোকান আছে। এখানকার জলশিরা মিষ্টি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। ভালো মানের দই প্রতি কেজির দাম পড়বে ১৮০-২০০ টাকা।

থাকার ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

মৈনটঘাট এলাকাটি মূলত পদ্মা নদীর পাড়ে হওয়ায় বিভিন্ন সময় প্রবল ভাঙনের কবলে পড়ে। তাই এখানে রাতে থাকার জন্য কোনো হোটেল নেই। এখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নবাবগঞ্জে ভালো মানের হোটেল আছে, যেখানে প্রতি রাতে জনপ্রতি ভাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ হয়ে সড়কপথে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন আগলা পূর্ব পাড়া এলাকায় অবস্থিত মহাকবি কায়কোবাদের জন্মস্থান। নবাবগঞ্জ সদর এলাকার কাছাকাছি জমিদারবাড়ি, জমিদার কোকিল প্যারির দালান, পাশে রয়েছে বিখ্যাত খেলারাম দাতার কুঠির। দোহারে রয়েছে লক্ষ্মীপ্রসাদ এলাকায় পোদ্দারবাড়ি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

নিরাপত্তা

[সম্পাদনা]

সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ এখানে দায়িত্ব পালন করে।

  • মুঠোফোন নম্বর - ০১৩২০-১৬৪১২০

সতর্কতা

[সম্পাদনা]

এটি সমুদ্রসৈকত নয়, পদ্মা নদীর পাড়ে পানি কমবেশি হতে পারে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নদীতে গোসল করতে নামতে হবে এবং সাঁতার জানা না থাকলে পানিতে না নামাই ভালো।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

মহানগর, প্রথম আলো পত্রিকা