সতর্কীকরণ: মুইডুম্বে জেলা এবং পুরো কাবো ডেলগাডো প্রদেশে আইএসআইএস/আইএসআইএল-সংশ্লিষ্ট একটি দলের বিদ্রোহের ফলে একটি মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে সন্ত্রাসীরা পালমা শহরও দখল করে। উত্তর-পূর্ব জেলার এবং উপকূলীয় দ্বীপগুলিতে ভ্রমণ নিরাপদ নয়। | |
সরকারি ভ্রমণ পরামর্শ
| |
(সর্বশেষ হালনাগাদ: জানু ২০২৪) |
মোজাম্বিক (পর্তুগিজ: Moçambique) দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি দেশ। দেশটির সর্বোচ্চ শিখর হলো মন্টে বিনগা, যা ২,৪৩৬ মি (৭,৯৯২ ফু) মিটার উঁচু। মনোরম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি, মোজাম্বিক বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের দেশ। এখানে রয়েছে আফ্রিকার অন্যতম সেরা ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপত্য ও নিদর্শন। পাশাপাশি মোজাম্বিক তার নিজস্ব আফ্রিকান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, যা শিল্পকলা, সঙ্গীত এবং খাবারের মাধ্যমে অনুভব করা যায়। দেশটির পূর্ব উপকূলজুড়ে ভারত মহাসাগরের তটরেখা ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা, যা স্কুবা ডাইভিং, মাছ ধরা, পালতোলা নৌকা চালানো এবং সমুদ্রপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।
অঞ্চল
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের ১০টি প্রদেশ রয়েছে যা নিম্নলিখিত তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়:
উত্তর মোজাম্বিক কাবো দেলগাদো, নামপুলা এবং নিয়াসা প্রদেশ |
মধ্য মোজাম্বিক মানিকা, সোফালা, তেতে এবং জাম্বেজিয়া প্রদেশ |
দক্ষিণ মোজাম্বিক গাজা, ইনহামবান এবং মাপুটো প্রদেশ, এবং বাজারুটো ন্যাশনাল সী পার্ক |
শহর
[সম্পাদনা]- 1 মাপুতো - দেশের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত প্রাণবন্ত রাজধানী।
- 2 বেইরা - একটি ব্যস্ত বন্দর শহর এবং সোফালা প্রদেশের রাজধানী।
- 3 মোজাম্বিক দ্বীপ - একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং পর্তুগিজ শাসনের অধীনে পূর্বের রাজধানী।
- 4 ইনহাম্বেন - উপসাগরের পাশে একটি সুন্দর ঐতিহাসিক শহর।
- 5 নাম্পোলা - উত্তরাঞ্চলের একটি শিল্পশহর এবং নামপুলা প্রদেশের রাজধানী।
- 6 পেম্বা - উত্তর মোজাম্বিকে অবস্থিত, মোজাম্বিকবাসীদের জন্য একটি জনপ্রিয় অবকাশযাপন গন্তব্য, যদিও এর বিচ্ছিন্নতা বেশিরভাগ ইউরোপীয় পর্যটকদের জন্য এটি অপরিচিত রেখেছে।
- 7 পেম্বা - মধ্য মোজাম্বিকে অবস্থিত, মানিকা প্রদেশের রাজধানী, চিমানিমানি জাতীয় উদ্যান এবং মাউন্ট বিঙ্গা (মোজাম্বিকের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ) ভ্রমণের জন্য প্রস্থান বিন্দু, জিম্বাবুয়ে ও মালাউইয়ের সংযোগস্থল।
অন্যান্য গন্তব্য
[সম্পাদনা]- 8 বাজারুটো জাতীয় উদ্যান — একটি সুন্দর দ্বীপ রিসোর্ট এবং পানির নিচের সামুদ্রিক উদ্যান, যেখানে উচ্চমানের পর্যটকদের জন্য দুর্দান্ত ডাইভিং-এর সুযোগ রয়েছে।
- 9 সংগো বাঁধ — জাম্বেজি নদীর উপর অবস্থিত একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ এবং আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ।
- 10 গোরঙ্গোসা জাতীয় উদ্যান
- 11 মোজাম্বিক দ্বীপ — একটি ঐতিহাসিক শহর যা মোজাম্বিক এবং সমগ্র আফ্রিকার মধ্যে অন্যতম সুরক্ষিত ঐতিহ্য ধারণ করে। ১৯৯১ সাল থেকে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
- 12 লিম্পোপো জাতীয় উদ্যান
- 13 পোন্টা ড’ওরো — একটি দুর্দান্ত ডাইভিং স্থান, যা মাপুটোর তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সহজে পৌঁছানো যায়।
- 14 কিরিম্বাস দ্বীপপুঞ্জ — দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং সাদা বালির সৈকত ও স্ফটিক নীল পানির জন্য পরিচিত একটি শান্তিপূর্ণ ছুটির গন্তব্য। পেম্বার মাধ্যমে পৌঁছানো যায়।
- 15 তোফো — ইনহামবান শহরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত, ব্যাকপ্যাকারদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, যেখানে চমৎকার ডাইভিং-এর সুযোগ রয়েছে। তিমি হাঙ্গরও দেখা যায়!!
- 16 ভিলানকুলোস/ভিলানকুলো — একটি জনপ্রিয় ছুটির গন্তব্য এবং বাজারুটো দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশের প্রধান প্রবেশদ্বার।
জানুন
[সম্পাদনা]ভূগোল
[সম্পাদনা]মোজাম্বিক আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল বরাবর ১,৫৩৫ মাইল (২,৪৭০ কিমি) বিস্তৃত। এর আয়তন প্রায় ক্যালিফোর্নিয়ার দ্বিগুণ। উত্তরে তানজানিয়া, পশ্চিমে মালাউই, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে, আর দক্ষিণে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এসওয়াতিনি অবস্থিত। দেশটি সাধারণত নিম্নাঞ্চলীয় মালভূমি দ্বারা গঠিত, যেখানে ২৫টি বড় নদী ভারত মহাসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নদী জাম্বেজি, যা মধ্য আফ্রিকার সাথে সংযোগ স্থাপন করে। দেশের অভ্যন্তরে কয়েকটি পর্বতমালা দেশের মূলভিত্তি হিসেবে অবস্থান করছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]পর্তুগিজ অভিযাত্রী ভাস্কো দা গামা ১৪৯৮ সালে মোজাম্বিকে পৌঁছান, যা কেপ রুট ধরে ভারত যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলচিহ্ন ছিল।
১৫০০ সালে পর্তুগিজরা বর্তমান ইলহা দে মোজাম্বিক বা মোজাম্বিক দ্বীপ (তখন শুধুমাত্র মোজাম্বিক নামে পরিচিত এবং এখান থেকেই দেশের আধুনিক নামের উৎপত্তি) সহ উপকূলজুড়ে একাধিক দুর্গ এবং পোস্ট স্থাপন করে। পর্তুগিজরা ১৮৯১ সাল পর্যন্ত মোজাম্বিক থেকে মশলা ও দাস ব্যবসা পরিচালনা করত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পর্তুগিজরা স্থানীয় জনগণের জন্য বাণিজ্যিক, শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, পরিবহন এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগ শুরু করে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়ক হয়। এই উন্নয়নগুলো ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত চলতে থাকে।
১৯৬২ সালে কয়েকটি উপনিবেশ-বিরোধী রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে মোজাম্বিক মুক্তি ফ্রন্ট (ফ্রেলিমো) গঠন করে এবং পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। ১০ বছরের অপ্রতিসাম যুদ্ধের পর, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন মোজাম্বিক স্বাধীনতা লাভ করে। ফ্রেলিমো একটি রূপান্তরিত সরকারের মাধ্যমে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং স্বাধীনতার এক বছরের মধ্যেই প্রায় সব পর্তুগিজ উপনিবেশবাদী মোজাম্বিক ছেড়ে চলে যায়—কিছু নতুন সরকার কর্তৃক বিতাড়িত হয়, কিছু ভয়ে পলায়ন করে।
স্বাধীনতা লাভের সময় পুরো মোজাম্বিকে মাত্র ৫ জন প্রকৌশলী ছিল এবং পূর্বের উপনিবেশিক অবকাঠামো বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দেশের অনেক অবকাঠামো দ্রুত ভেঙে পড়ে। ফ্রেলিমো তাদের সম্পদের অভাব এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি শীতল যুদ্ধের রাজনীতির প্রেক্ষিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্রদের সাথে সংযুক্ত হয়। ফ্রেলিমো একটি একদলীয় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং দ্রুত কিউবা ও সোভিয়েত ব্লক দেশগুলোর কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পায়।
১৯৭৫ সালে রোডেশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সমর্থিত একটি সাম্যবাদ-বিরোধী দল মোজাম্বিক জাতীয় প্রতিরোধ (রেনামো) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা পরিবহন পথ, স্কুল এবং স্বাস্থ্য ক্লিনিকের উপর একাধিক হামলা চালায়, যা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়।
১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য নীতি দুর্বল হয়ে আসলে এবং রেনামোর প্রতি সমর্থন কমে যাওয়ায়, ফ্রেলিমো সরকার ও রেনামোর মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে একটি নতুন সংবিধান গ্রহণ করা হয়। মোজাম্বিক তখন একটি বহুদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যেখানে নিয়মিত নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়। ১৯৯২ সালের ১৫ অক্টোবর রোম সাধারণ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
জলবায়ু
[সম্পাদনা]মোজাম্বিক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জলবায়ু চার্ট (ব্যাখ্যা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
মোজাম্বিকের প্রায় পুরো অঞ্চলই ক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত, তাই এটি প্রধানত ক্রান্তীয় জলবায়ুর অধীনে থাকে।
উপকূল বরাবর মোজাম্বিকে উষ্ণ, ক্রান্তীয় আবহাওয়া বিরাজ করে। জুন ও জুলাই মাসের কয়েকটি রাত ছাড়া রাতের তাপমাত্রা সাধারণত ঠান্ডা হয় না এবং বৃষ্টিপাতও খুব বেশি হয় না। গ্রীষ্মকালে, তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায় এবং আর্দ্রতার মাত্রা বাড়ে। উত্তরের পেম্বা এবং জাম্বেজি নদীর আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা সাধারণত বেশি থাকে।
অভ্যন্তরীণ সমভূমিতে উপকূলের চেয়ে সাধারণত বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করে এবং এখানে সারা বছর ধরে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পার্বত্য অঞ্চলে সারা বছর ধরে আবহাওয়া শীতল থাকে।
সরকারি ছুটির দিন
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে সার্বজনীন ছুটির দিনগুলো হল:
- ১ জানুয়ারি – নববর্ষ।
- ৩ ফেব্রুয়ারি – বীর দিবস।
- ৭ এপ্রিল – নারী দিবস।
- ১ মে – শ্রমিক দিবস।
- ২৫ জুন – স্বাধীনতা দিবস।
- ৭ সেপ্টেম্বর – লুসাকা চুক্তি দিবস।
- ২৫ সেপ্টেম্বর – সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
- ৪ অক্টোবর – শান্তি দিবস।
- ২৫ ডিসেম্বর – পরিবার দিবস।
ধূমপান
[সম্পাদনা]২০০৭ সালে মোজাম্বিকে সকল জনসমাগমস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়। তবে অনেক রেস্টুরেন্ট এবং বার এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলেছে, কারণ এটি কার্যত প্রয়োগ করা হয় না।
জাতি গোষ্ঠী
[সম্পাদনা]মাকুয়া মোজাম্বিকের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বড় জাতিগত গোষ্ঠী হিসেবে বিদ্যমান। সেনা এবং এনডাউ জাম্বেজি উপত্যকায় এবং শাঙ্গান মোজাম্বিকের দক্ষিণাঞ্চলে প্রভাবশালী।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]যেহেতু মোজাম্বিকের বাইরে মেটিকাইস বিনিময় করা সম্ভব নয়, তাই স্থল সীমানায় দুপুরের পর আসার সময় কিছু পরিমাণ মুদ্রা বিনিময় করে নেওয়া ভালো। যাতে প্রথম রাতের জন্য ট্যাক্সি ও খাবারের খরচ মেটানো যায়। মুদ্রা বিনিময়ের কেন্দ্রগুলো সাধারণত সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় এবং এটিএমের মাঝে মাঝে ব্যর্থতা থাকায় কর্মঘণ্টার বাইরে মুদ্রা পাওয়া সবসময় নিশ্চিত নয়। ব্যবসায়ীরা বিদেশি মুদ্রা গ্রহণ করলে তা অত্যন্ত কম বিনিময় হারে হয়ে থাকে।
ভিসা এবং বর্ডার ফি
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের অধিকাংশ দর্শনার্থীর জন্য (যেমন অ্যাঙ্গোলা, ইসওয়াতিনি, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, বতসোয়ানা, মালাউই, মরিশাস, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ের নাগরিকদের ব্যতীত) ভিসা প্রয়োজন। যেটি বর্তমানে মোজাম্বিকের অধিকাংশ প্রধান প্রবেশ পয়েন্টে, যেমন মাপুটো বিমানবন্দর, মাপুটো বন্দর, রেসানো গার্সিয়া, গুবা, পন্টো দ'ওউরো, গিরিয়ন্ডো, ভিলানকুলোস বিমানবন্দর, ইনহাম্বানে বিমানবন্দর, বেইরা বিমানবন্দর, পেম্বা বিমানবন্দর এবং নাম্পুলা বিমানবন্দরে পৌঁছে নেওয়া যায়। জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত পর্যটক ভিসার খরচ ৯৫ মার্কিন ডলার এবং (বিশেষ করে মাপুটো বিমানবন্দরে) অতিরিক্ত কোনও ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় না। ইসওয়াতিনি সীমানা পয়েন্টে তারা মুদ্রিত হোটেল বুকিং দেখতে চায়। দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রা গ্রহণযোগ্য হলেও কর্মকর্তারা খুচরা টাকা প্রদান করে না।
স্থল সীমান্তগুলোতে প্রবেশের সময় একটি স্ট্যাম্পিং ফি চার্জ করা হতে পারে, যা সাধারণত ২ মার্কিন ডলার। তবে আপনি সীমান্তে ভিসা কিনলে এটি প্রায়ই মওকুফ করা হয়। এছাড়া আপনাকে কনস্যুলেট বা সীমান্তে প্রদত্ত ভিসা ফর্ম ব্যবহার করতে হবে, স্ব-মুদ্রিত ফর্ম গ্রহণযোগ্য নয়; সীমান্তে এগুলো বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তবে মোজাম্বিকের দূতাবাস/কনস্যুলেটগুলো সাধারণত ফর্মের জন্য ১ মার্কিন ডলার চার্জ করে।
একটি পর্যটন ভিসা ইস্যুর ৯০ দিন পর্যন্ত বৈধ থাকে এবং ৩০ দিনের জন্য অবস্থানের অনুমতি দেয়, যা প্রাদেশিক রাজধানীর অভিবাসন অফিসগুলোতে আরও ৩০ দিন বাড়ানো যেতে পারে।
ভিসার সময়সীমা অতিক্রম করলে দৈনিক ১০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়।
আকাশ পথে
[সম্পাদনা]বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসে, যদিও জিম্বাবুয়ে, তানজানিয়া, কেনিয়া, পর্তুগাল, কাতার, ইস্তাম্বুল, এবং আদ্দিস আবাবা থেকে মোজাম্বিকের সাথে সরাসরি আন্তর্জাতিক রুটও রয়েছে।
প্রতিদিন জোহানেসবার্গ থেকে ম্যাপুটো পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফ্লাইট রয়েছে, যা সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েজ (SAA) এবং মোজাম্বিকের জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা লিনাস অ্যারিয়াস ডি মোজাম্বিক (LAM) পরিচালনা করে। ফেডারেল এয়ার প্রতিদিন ভিলানকুলোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ারলিঙ্ক, কাতার এয়ারওয়েজ, তুর্কি এয়ারলাইন্স, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, মালাউই এয়ারলাইন্স, কেনিয়া এয়ারওয়েজ, এবং ট্যাপ পর্তুগাল।
এছাড়াও, সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে জোহানেসবার্গ, দারুস সালাম এবং নাইরোবি থেকে পেম্বা পর্যন্ত ফ্লাইট রয়েছে, যা সাউথ আফ্রিকান এয়ারলিঙ্ক (SAA) অথবা LAM দ্বারা পরিচালিত হয়। যদি আপনি LAM এর সাথে টেলিফোনে বুকিং করেন এবং চেক-ইনের সময় পর্যন্ত আপনার ফ্লাইটের মূল্য পরিশোধ না করে থাকেন, তবে ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টা আগে তা পুনঃনিশ্চিত করতে হবে, নতুবা তারা আপনার বুকিং বাতিল করতে পারে।
চেক-ইন করার পর, আপনার বোর্ডিং কার্ডে একটি ট্যাক্স স্ট্যাম্প নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য ট্যাক্স ২০০ মেটিকাইস (MT) এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ৫০০ মেটিকাইস (MT) যা নগদ পরিশোধ করতে হবে।
রেলে
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের রেলপথগুলির অবস্থা বেশ খারাপ এবং সেগুলি মূলত পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে সাহসী ভ্রমণকারীদের জন্য ট্রেনে ভ্রমণের কিছু সুযোগ রয়েছে। যদিও প্রকৃতপক্ষে কোনও আন্তর্জাতিক সংযোগ নেই, কিছু সীমান্ত শহরের রেল সংযোগ রয়েছে। তিনটি ট্রেন লাইন রয়েছে: একটি দেশের উত্তর প্রান্তে, যা নামপুলা থেকে কুয়াম্বা পর্যন্ত চলে, যা মালাউই সীমান্তের কাছে অবস্থিত; অন্যটি ম্যাপুটো থেকে চিকুয়ালাকুয়ালা পর্যন্ত চলে, যা জিম্বাবুয়ের সীমান্তে; এবং শেষটি ম্যাপুটোকে দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তের সাথে যুক্ত করে।
মালাউই থেকে
[সম্পাদনা]এই রেলপথটি নামপুলাকে কুয়াম্বার সাথে যুক্ত করে (যা মালাউই সীমান্তের কাছে অবস্থিত)। ট্রেনটিতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে এবং সাধারণত এটি ভিড়পূর্ণ থাকে।
নামপুলা থেকে ট্রেন সকাল ৫-৬টার দিকে ছেড়ে যায়, তবে টিকিট কেনার জন্য স্টেশনে আগেই পৌঁছানো উচিত। মালাউইর দিকে যাত্রা করা লোকজনের ভিড়ে এলাকা গমগম করে, তাই লাইনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিন। ট্রেনে উঠার পর যাত্রা দীর্ঘ এবং ধীরগতি হলেও তুলনামূলকভাবে কার্যকর এবং এটি দুপুরের দিকে কুয়াম্বায় পৌঁছায়। এখান থেকে চাপা (স্থানীয় মাইক্রোবাস) আপনাকে সীমান্তের দিকে (এন্ট্রে লাগোস) নিয়ে যাবে, কারণ এই অংশে শুধু পণ্যবাহী ট্রেন চলে। মনে রাখবেন, অভিজ্ঞ আফ্রিকান ভ্রমণকারীরাও এই রাস্তার খারাপ অবস্থা দেখে অবাক হতে পারেন - যাত্রাটি বেশ সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
এন্ট্রে লাগোসে পৌঁছানোর পর, সীমান্ত সংক্রান্ত কার্যক্রম স্টেশন ভবনের মধ্যেই সম্পন্ন হয় (এটি খুঁজে পাওয়া সহজ কারণ শহরটি একটি সাধারণ ছোট সীমান্ত শহর)। এই প্রক্রিয়াটি সময় নিতে পারে কারণ এটি একটি কম ব্যবহৃত ক্রসিং। এখান থেকে মালাউই সীমান্তে পৌঁছাতে প্রায় ১ কিলোমিটার হাঁটতে হয়। মনে রাখবেন, মালাউইর সীমান্ত মোজাম্বিকের সীমান্তের আগেই বন্ধ হয়ে যায়, যদিও যদি আটকা পড়েন তবে থাকার জন্য একটি অতিথিশালা আছে। এখান থেকে লিওয়ান্ডেতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ট্রেন - নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে ভালোভাবে কথা বললে তারা হয়তো আপনাকে তাদের কামরায় যাতায়াতের অনুমতি দিতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে
[সম্পাদনা]সীমান্ত শহর রেসানো গার্সিয়া এবং লেবোম্বো সীমান্ত ক্রসিং থেকে মাপুতোতে দৈনিক ট্রেন চলে। কোমাটিপোর্ট, যা দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তের ওপারে অবস্থিত, সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহে জোহানেসবার্গ এবং প্রিটোরিয়ার একাধিক ট্রেন আসে।
জিম্বাবুয়ে থেকে
[সম্পাদনা]বুলাওয়েও থেকে সীমান্ত শহর চিকুয়ালাকুয়ালা পর্যন্ত একটি ট্রেন চলাচল করে, যেখানে মাপুতোর জন্য সংযুক্ত একটি ট্রেন রয়েছে।
নৌপথে
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো সাপ্তাহিক বা নিয়মিত নৌযাত্রা নেই।
তানজানিয়া
[সম্পাদনা]বর্ষাকালের বাইরে তানজানিয়া থেকে মোজাম্বিকের উদ্দেশ্যে একটি 'ডাউ' (প্রচলিত নৌকা) ভাড়া করা সম্ভব হতে পারে, তবে এটি সাধারণত অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে। তানজানিয়ার মিকিনদানী, এমটাওয়ারা এবং এমসিম্বাতি বন্দরগুলি মোজাম্বিকের কাছাকাছি অবস্থিত এবং ডাউ পরিবহনের জন্য সেরা স্থান। অন্যদিকে, মোজাম্বিকের মোচিম্বোয়া দা প্রাইয়া এবং পালমা বন্দরগুলি তানজানিয়ার উদ্দেশ্যে ডাউ পাওয়ার জন্য মোজাম্বিকের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো বন্দর।
মালাউই
[সম্পাদনা]লেক মালাউই জুড়ে এমভি ইলালা জাহাজটি মাংকি বয়ে, চিলুম্বা, নখাতা বে থেকে লিকোমা আইল্যান্ড পর্যন্ত চলাচল করে। লিকোমা আইল্যান্ড থেকে মোজাম্বিক সীমান্তের কোবু পর্যন্ত নৌকায় প্রায় ৩ কিমি পথ অতিক্রম করতে হয়।
লেক নিয়াসা (লেক মালাউই) পার হওয়া সম্ভব, তবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের সীমান্ত পোস্ট দিয়ে বৈধভাবে প্রবেশ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র (ভিসা ইত্যাদি) থাকতে হবে, যা তাদের জাতীয়তার উপর নির্ভর করে। মোজাম্বিকের দিকে পৌঁছানোর পর স্থানীয় পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইলালা ফেরিতে ভ্রমণ একটি জীবনে একবারের মতো অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই ফেরির উপরের ডেকে শুয়ে থেকে মোজাম্বিক ও মালাউই উপকূলের দূরবর্তী পাহাড়ের ওপর সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা একেবারেই হৃদয়গ্রাহী। ফেরিটি যেখানে যেখানে পৌঁছায়, সেখান থেকে যাত্রা শুরু করা যায়।
যদি আপনি মালাউই-এর দিকে যাত্রা করার পরিকল্পনা করেন, তবে মেটাঙ্গুলার বন্দরে গিয়ে ফেরিতে উঠতে হবে।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]গাড়িতে
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে ট্রাফিক বাম দিকে চলে। গাড়ির অবস্থা প্রায়ই খারাপ থাকে এবং চালকরা ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলেন না বা জানেন না। মদ্যপান বা মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো বেশ প্রচলিত, বিশেষ করে রাতে ও সপ্তাহান্তে। শহরের বাইরে অন্ধকারের পরে গাড়ি চালানো পরামর্শযোগ্য নয়। গাড়ির জানালা বন্ধ এবং দরজা তালাবদ্ধ রাখা উচিত, বিশেষ করে চৌরাস্তায় থামলে। গাড়ি চালানোর সময় পুলিশ ঘুষ চাইতে পারে। এছাড়া গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। অপরিচিতদের গাড়িতে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয় না।
EN1 মহাসড়কটি মোজাম্বিকের সমগ্র দৈর্ঘ্য ধরে চলে এবং সাধারণত মোজাম্বিকের উপকূলের কাছাকাছি থাকে, যা মাপুতো থেকে শুরু করে উত্তর দিকে চলে। দেশজুড়ে রাস্তার অবস্থা সাধারণত খারাপ, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায়। তবে EN1-এর মাপুতো থেকে ইনচোপ পর্যন্ত অংশটি মোটামুটি ভালো অবস্থায় রয়েছে। তবে ভিলানকুলোর ঠিক উত্তরে প্রায় ১২০ কিমি রাস্তা খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে যা নিম্ন উচ্চতার গাড়ির চালকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। জিম্বাবুয়ের মাচিপান্ডা সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ইনচোপ পর্যন্ত EN6 রাস্তার অবস্থা ভালো, তবে ইনচোপ থেকে বেইরা পর্যন্ত অংশটি খুব খারাপ হয়ে পড়েছে, কিছু অংশ প্রায় অতিক্রম করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভিলানকুলোর উত্তরে সার্ভিস স্টেশনগুলো খুব কম পাওয়া যায়—গাড়িচালকদের ১৫০ কিমি দূরত্বে একটি সার্ভিস স্টেশন পেতে হতে পারে, তাই সুযোগ পেলেই জ্বালানি ভর্তি করা উচিত।
দক্ষিণ আফ্রিকান কোম্পানি বুশলোর ৪x৪ গাড়ি ও ক্যাম্পার ভাড়া দেয় এবং সীমান্ত অতিক্রমের জন্য সহজতর পিক-আপ ও ড্রপ-অফ সুবিধা প্রদান করে।
ট্যাক্সিতে
[সম্পাদনা]ট্যাক্সি
[সম্পাদনা]এক সময় ট্যাক্সি শুধু মাপুতোতে পাওয়া যেত। তবে এখন সারা দেশের অনেক শহরে ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সিগুলোর মিটার থাকে না, তাই ভ্রমণের আগে ভাড়া নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ট্যাক্সির অবস্থা প্রায়ই চপার মতোই ঝুঁকিপূর্ণ (বিপজ্জনক টায়ার থেকে শুরু করে যাত্রী আসনে বসে থাকা কেউ প্লাস্টিকের গ্যাস ক্যান ধরে রাখছে যেখানে গাড়ির জ্বালানির লাইন সংযুক্ত থাকে), তাই গাড়ি বিকল হওয়ার সম্ভাবনাকে মাথায় রাখতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে কখনোই ভাড়া পরিশোধ করবেন না। আপনি যদি নারী হন, তবে কখনোই একা ট্যাক্সিতে উঠবেন না, বিশেষ করে রাস্তার পাশ থেকে পাওয়া কোনো ট্যাক্সিতে নয়। প্রয়োজনে, নির্ভরযোগ্য ট্যাক্সি চালকের নম্বর জোগাড় করুন, যিনি আপনাকে নিয়ে যেতে পারবেন এবং সাধারণত আধা ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন, তবে তাদের বলা সময়ের সাথে অতিরিক্ত দশ মিনিট যোগ করাই ভালো।
মাপুতো শহরের কেন্দ্রস্থলে যেকোনো ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত ভাড়া ২০০ মেটিকাল (MT)। দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য (যেমন: জুন্তা পর্যন্ত) ভাড়া ৪০০ মেটিকাল বা তার বেশি হয়। ভোরবেলায় যখন ট্যাক্সি কম থাকে, তখন চালকরা প্রায়ই দ্বিগুণ ভাড়া (৪০০ মেটিকাল) দাবি করতে পারে।
চাপাসও ট্যাক্সি হিসেবে ভাড়া করা যায়, তবে সাধারণত এগুলো বেশি ব্যয়বহুল এবং কম আরামদায়ক।
আকাশ পথে
[সম্পাদনা]দেশের ভেতরে বিমান ভ্রমণ সবচেয়ে দ্রুত এবং নিরাপদ ভ্রমণের উপায়, যদি আপনি সামর্থ্যবান হন। লিনহাস এরিয়াস ডি মোকাম্বিক দেশের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে। বিমানগুলো অত্যন্ত আধুনিক, পরিষ্কার এবং ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, যা দেশের অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে তীব্র বৈপরীত্য তৈরি করে। তবে মনে রাখবেন, LAM সহ দেশের সব এয়ারলাইনস ২০১৫ সালের জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিমান নিরাপত্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এদের ইউরোপীয় আকাশসীমায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
LAM একটি পুরোনো ধরনের বুকিং সিস্টেম পরিচালনা করে, যেখানে আপনি টেলিফোনে ফ্লাইট রিজার্ভ করতে পারেন এবং চেক ইন করার সময় এর ভাড়া প্রদান করতে পারেন। যদি আপনি এই সুবিধা ব্যবহার করেন, তবে প্রস্থানের ৭২ ঘন্টা আগে আপনার ফ্লাইটটি নিশ্চিত করে নিন, নতুবা আপনার রিজার্ভেশন বাতিল হতে পারে।
বিকল্পভাবে, দেশের যেকোনো শহরের LAM অফিস অথবা এয়ারপোর্টে গিয়ে ফ্লাইট বুক করা ও এর ভাড়া প্রদান করা সম্ভব। তবে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করা নিরাপদ নয়, কারণ LAM সহ সব রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির মাত্রা বেশি।
রেলে
[সম্পাদনা]ট্রেন তেমন কার্যকর নয়, কারণ দেশে মাত্র একটি ট্রেন চলাচল করে এবং সেটি দেশের দূরবর্তী উত্তর প্রান্তে, নাম্পুলা থেকে মালাওই সীমান্তের কাছাকাছি কুয়াম্বা পর্যন্ত চলে। আরও বিস্তারিত জানতে উপরের ভ্রমণ নির্দেশিকা দেখুন।
দেশের সমুদ্রতট বরাবর বিস্তৃত পুরোনো রেলপথ থেকে মাইন অপসারণ অনেক এলাকায় শেষ হয়েছে, তবে ব্যয়বহুল প্রকৃতি ও দেশের দুর্নীতির মাত্রার কারণে যথাযথ কভারেজসহ কোনো রেল পরিষেবা দেশে আসতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।
ভাষা
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের সরকারি ভাষা হলো পর্তুগিজ, যদিও রাজধানী মাপুতো এবং পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকায় অনেক মানুষ ইংরেজি বলতে পারেন। যত উত্তরের দিকে যাবেন, ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষ পাওয়ার সম্ভাবনা তত কমে যায় এবং গ্রামীণ এলাকায় প্রবেশ করলে পর্তুগিজ ভাষার ব্যবহারও সীমিত হয়ে আসে। মোজাম্বিকের বাসিন্দারা মানক পর্তুগিজ (ইউরোপীয় পর্তুগিজ) ভাষায় কথা বলেন, যা বিভিন্ন স্থানীয় ভাষাভাষীদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম বা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দেশের উত্তর প্রান্তে, বিশেষ করে তানজানিয়ার কাছাকাছি এলাকায় এবং উপকূল বরাবর সোয়াহিলি ভাষা বেশ কাজে লাগে। ন্যাঞ্জা ভাষা মালাওই এবং জাম্বিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যবহৃত হয়। শোনা ভাষার কিছু স্থানীয় শব্দ কাবোরা বাসার আশেপাশের এলাকায় ভ্রমণের সময় সহায়ক হতে পারে।
দেখুন
[সম্পাদনা]- ইলহা দে মোজাম্বিক, অর্থাৎ মোজাম্বিক দ্বীপ, মোজাম্বিকের একমাত্র ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এই দ্বীপটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্য সমৃদ্ধ, যেখানে দক্ষিণ গোলার্ধের সম্ভবত প্রাচীনতম ইউরোপীয় ভবন এবং সমুদ্র সৈকত রয়েছে।
- ঐতিহাসিক শহর ইনহাম্বানে।
- দেশের বিভিন্ন স্থানে গৃহযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন এবং মাপুতোতে অবস্থিত বিপ্লব জাদুঘর, যেখানে দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- গোরঙ্গোসা ন্যাশনাল পার্কে বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য।
করুন
[সম্পাদনা]- ডাইভিং: মোজাম্বিকের বিভিন্ন জায়গায় পানির নিচে ডাইভিং করা যায়।
- ট্যুর ও সাফারি: মোজাম্বিকের আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পারে এমন বেশ কিছু ট্যুর অপারেটর রয়েছে। গাইড বই যেমন লোনলি প্ল্যানেট এবং ব্রাডট অনুযায়ী সবচেয়ে বিশ্বস্ত অপারেটরগুলো হলো মোজাইক ট্রাভেল এবং দক্ষিণ অঞ্চলে ডানা ট্যুরস এবং উত্তরে কাসকাজিনি।
কিনুন
[সম্পাদনা]মুদ্রা
[সম্পাদনা]
মোজাম্বিক মেটিকাইস-এর বিনিময় হার অক্টোবর ২০২৪ হিসাবে:
বিনিময় হার ওঠানামা করে। এই এবং অন্যান্য মুদ্রার বর্তমান রেট XE.com থেকে পাওয়া যায় |
মোজাম্বিকের মুদ্রা হলো নতুন মেটিক্যাল (বহুবচনে মেটিকাইস, উচ্চারণ 'মেটা-কেইশ'), যা "MT" প্রতীক দ্বারা চিহ্নিত (আইএসও কোড: MZN)। এটিকে মেটিকাইস নোভা ফ্যামিলিয়া নামেও ডাকা যেতে পারে। এই মুদ্রা ১০০ সেন্টাভোতে বিভক্ত।
২০০৬ সালে মোজাম্বিকের মুদ্রা থেকে তিনটি শূন্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। পুরাতন মুদ্রা আর ব্যাংকে বিনিময় করা যায় না। তবুও লোকজন মাঝে মাঝে পুরাতন মুদ্রার উল্লেখ করে, তাই যদি কেউ "১ মিলিয়ন" বলেন, তারা সাধারণত নতুন মেটিক্যালের এক হাজার বুঝিয়ে থাকেন।
মোজাম্বিকের কয়েনের মান রয়েছে ১, ৫, ১০, ২০ এবং ৫০ সেন্টাভো এবং ১, ২, ৫ ও ১০ মেটিক্যাল। ব্যাংকনোটের মান রয়েছে ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ১,০০০ মেটিক্যাল।
পর্যটন কেন্দ্রের অনেক ব্যবসা দক্ষিণ আফ্রিকানদের দ্বারা পরিচালিত এবং অনেক সময় মূল্য র্যান্ডে (ZAR) উল্লেখ করা হয়। এই গাইডেও প্রযোজ্য হলে র্যান্ড মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জে বাণিজ্যিক হার অনুযায়ী সহজেই ইউএস ডলার, র্যান্ড, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরো বিনিময় করা যায়। কানাডিয়ান বা অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা জাপানি ইয়েনের মতো অন্যান্য মুদ্রা কোনও জায়গায় গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জেও নয়।
মোজাম্বিকের বাইরে মেটিক্যাল বিনিময় করা যায় না। তবে দেশ ছাড়ার আগে এক্সচেঞ্জগুলোতে মেটিক্যাল পুনরায় রূপান্তর করা যায়। এছাড়া মোজাম্বিকের বাইরে মেটিক্যাল কেনা সম্ভব নয়।
দেশব্যাপী এটিএম বিদ্যমান রয়েছে; বিসিআই, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইকো ব্যাংক এবং মিলেনিয়াম বিএম প্রধান ব্যাংকগুলো। বিসিআই, স্ট্যান্ডার্ড এবং ইকো ব্যাংক ভিসা এবং মাস্টারকার্ড গ্রহণ করে এবং মিলেনিয়াম সব আন্তর্জাতিক কার্ড, যেমন মায়েস্ট্রো/সিরাস কার্ডও গ্রহণ করে। এটিএমগুলোতে উত্তোলনের ক্ষেত্রে সীমা রয়েছে যা ব্যাংক অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। মিলেনিয়াম ব্যাংক ৩,০০০ মেটিক্যাল পর্যন্ত উত্তোলনের অনুমতি দেয়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং ইকো ব্যাংক ১০,০০০ মেটিক্যাল পর্যন্ত। আপনি আরও টাকা তোলার জন্য আপনার কার্ড আবার ঢুকিয়ে নিতে পারেন। বিসিআই এবং ইকো ব্যাংকের এটিএমগুলো বিদেশী কার্ডের জন্য কোনও উত্তোলন ফি নেই।
কেনাকাটা
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে যেসব জিনিসের নির্দিষ্ট মূল্য লেখা থাকে না, সেগুলোর জন্য দরদাম করা যেতে পারে এবং আপনি যতটুকু যুক্তিসঙ্গত মনে করেন, সে অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। যখন দোকানদার অত্যধিক দাম চায়, তখন হেসে প্রতিক্রিয়া জানানো ঠিক আছে, তবে প্রকাশ্যে রেগে যাওয়া বা শত্রুতামূলক আচরণ না করাই ভালো; এতে সঠিক মূল্যে কেনাকাটা করা আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে। সঠিক মূল্য সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে আপনার হোটেল থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
মোজাম্বিকে কেউই, এমনকি ব্যাকপ্যাকার লজগুলোও, সাধারণত খুচরা টাকা রাখে না। ১০০০ মেটিক্যাল এবং ৫০০ মেটিক্যালের নোটগুলো দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য প্রায় অপ্রয়োজনীয়, তাই সেগুলো ছোট নোটে ভাঙিয়ে নেওয়া ভালো। ব্যাংকে ছোট নোটে ভাঙানোর ব্যবস্থা আছে। তবে এর ব্যতিক্রম হলো চাপা (স্থানীয় মিনিবাস) চালকরা—যদি ছোট নোটের অভাব হয়, তাহলে ১৫ মেটিক্যালের ভাড়ার জন্য ১০০ মেটিক্যালের নোট ব্যবহার করতে পারেন।
ভোজন
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে পর্তুগিজ দখলদারিত্বের গভীর প্রভাব স্থানীয় খাদ্যসংস্কৃতিতে পড়েছে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে অন্যতম অনন্য এবং আকর্ষণীয় খাবারের জন্ম দিয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক খাবার ব্যবহার করা হয়, এমনকি সবচেয়ে সাধারণ খাবারেও। তবে ভেতরের দিকে ভুট্টাভিত্তিক খাবার পাওয়া যায় (যা আফ্রিকার বেশিরভাগ স্থানে প্রচলিত), প্রধান খাদ্য হয়ে ওঠেছে, তবে তাতে কিছু পর্তুগিজ স্বাদ যোগ করা হয়।
- পিরি-পিরি, যা আফ্রিকান বার্ডস-আই চিলি নামেও পরিচিত, এটি একটি অত্যন্ত ঝাল মরিচ যা সস আকারে দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।
- পাওজিনহো, যা পর্তুগিজ রোল নামেও পরিচিত, কিংবা প্রেগো (গরুর মাংস) নো পাও এবং বিফানা (ভাজা শুকরের মাংস), এটি একটি ময়দা ভিত্তিক এবং প্রায়ই আধা-মিষ্টি রুটি, সাধারণত মাঝখানে মাংস দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
- মাতাপা, এটি একটি সামুদ্রিক খাবারের স্ট্যু (ঝিনুক, কাঁকড়া বা চিংড়ি) যা ক্যাসাভা পাতার সাথে তৈরি হয় এবং সাধারণত ভাতের উপর পরিবেশন করা হয়। এটি মোজাম্বিকের অন্যতম প্রধান খাবার।
- কামারাও ন্যাশনাল, মোজাম্বিকের চিংড়ি যা পিরি-পিরি, রসুন, পেঁয়াজ, লেবু এবং ভিনেগার দিয়ে ম্যারিনেট করা হয়।
- ক্রে ফিশ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার: এগুলো সমুদ্র সৈকত থেকে ধরা হয় এবং সাধারণত পিরি-পিরি ম্যারিনেড দিয়ে তৈরি করা হয়, ভাত এবং মাতাপার সাথে পরিবেশন করা হয়।
- কাকানা: এটি একটি তেতো স্বাদের স্থানীয় সবজি।
পানীয়
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের সব নলকূপের পানি পান করার জন্য নিরাপদ নয় বলে ধরে নেওয়া উচিত, যদিও তা ক্ষতিকর না-ও হতে পারে। এতে সাধারণত এমন কিছু পদার্থ থাকে যা আপনার পেট সহ্য করতে অভ্যস্ত নয়। অধিকাংশ পশ্চিমা ধাঁচের আবাসনগুলি হয় একটি বিশুদ্ধ পানির উৎস প্রদান করে অথবা বোতলজাত পানি বিক্রি করে।
বিয়ার
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে সির্ভেজাস দে মোকাম্বিকেদি বিয়ার তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে। এখানে তিনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলো টুএম (2M) (যা উচ্চারণ করতে হয় "দয়েস-এম," না হলে আপনি একটি অতিরিক্ত বিয়ারের সম্মুখীন হতে পারেন), লরেন্টিনা ক্লারা এবং মানিকা। অন্যান্য স্থানীয় আফ্রিকান বিয়ার যেমন ক্যাসল এবং উইন্ডহোক সহজলভ্য হলেও, এগুলোর জনপ্রিয়তা প্রতিবেশী দেশগুলির মতো নয়, কারণ এখানকার স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলির গুণগত মান বেশ ভালো।
মদ
[সম্পাদনা]স্থানীয়ভাবে তৈরি ভদকা এবং জিনের মতো মদ মোজাম্বিক জুড়ে বেশ সহজলভ্য এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। এখানকার একটি স্থানীয় পানীয় হলো ক্যাশু (Cashu), যা কাজুবাদামের খোসা থেকে তৈরি করা হয়। স্থানীয়দের মতে, এটি পুরুষদের কামশক্তির জন্য উপকারী। এর স্বাদ একটু টকটকে।
মনে রাখবেন, মোজাম্বিকের অনেক সুপারমার্কেট, বিশেষ করে চেইন এবং স্থানীয় দোকানগুলোতে মদ বিক্রি হয় না। মদ কিনতে হলে আপনাকে কাছাকাছি একটি নির্দিষ্ট মদের দোকান খুঁজে নিতে হবে।
রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে, যা সাশ্রয়ী গেস্টহাউস এবং ব্যাকপ্যাকারদের জন্য উপযুক্ত থাকার জায়গা থেকে শুরু করে অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রিসোর্ট পর্যন্ত বিস্তৃত।
হোটেল
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের হোটেলগুলো সাধারণত গ্রেডবিহীন এবং দেশের তুলনামূলক কম জনপ্রিয় অঞ্চলে স্বাধীনতার পর থেকে তেমন উন্নত করা হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে, এমন হোটেল রুমের জন্য আপনি প্রতি রাত $৫০ পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে, যা সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে $৫-১০ এর মধ্যে হওয়া উচিত। অন্যদিকে, মোজাম্বিকে বিশ্বের সবচেয়ে চমৎকার এবং ব্যয়বহুল হোটেল ও রিসোর্টও রয়েছে।
ব্যাকপ্যাকার লজ
[সম্পাদনা]মাপুটু, তোফো বিচ, ভিলানকুলস, চিমোইও এবং পেম্বাতে ব্যাকপ্যাকার লজ রয়েছে এবং সেগুলো বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য উপযোগী। দেশের অন্যান্য স্থানে কিছু ব্যাকপ্যাকার অপশন পাওয়া গেলেও, বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য প্রায়শই অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য থাকা গেস্টহাউস বা সস্তা হোটেলই একমাত্র বিকল্প থাকে।
স্বয়ং রান্নার সুবিধা
[সম্পাদনা]বেশিরভাগ প্রধান পর্যটন এলাকায় নিজে রান্না করার অনেক অপশন রয়েছে।
যদি আপনি নিজস্ব গ্যাস-ভিত্তিক রান্নার সরঞ্জাম নিয়ে আসেন, তবে মনে রাখবেন যে সাধারণ ব্যাকপ্যাকারদের ব্যবহৃত লিন্ডাল ভালভ গ্যাস ক্যানিস্টারগুলি দেশের কোথাও পাওয়া যায় না।
ক্যাম্পিং এবং কারাভ্যানিং
[সম্পাদনা]প্রায় সব উপকূলীয় শহরেই নিরাপত্তাসহ নির্দিষ্ট ক্যাম্প সাইট রয়েছে এবং গ্রামীণ এলাকায় প্রায়শই গ্রাম প্রধানের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্পিং করা যেতে পারে (যদি আপনি এই বিকল্পটি ব্যবহার করেন তবে খাবার, মদ বা সিগারেটের মতো একটি ছোট উপহার সহায়ক হতে পারে)।
যদি আপনি একটি কারাভ্যান নিয়ে ভ্রমণ করেন, তবে মনে রাখবেন যে মোজাম্বিকের অনেক রাস্তাই বালুকাময় পথে পরিণত হয় যেখানে ৪WD গাড়ি প্রয়োজন। এটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে শুধুমাত্র জনপ্রিয় এলাকা এবং EN1 বরাবর থাকা উচিত।
জমি বা সম্পত্তি ক্রয়
[সম্পাদনা]যদি কেউ আপনাকে মোজাম্বিকে জমি "বিক্রি" করার প্রস্তাব দেয়, তবে অবিলম্বে সেখান থেকে সরে আসুন, এটি একটি প্রতারণা। মোজাম্বিকে ব্যক্তিগতভাবে জমির মালিকানা রাখা অসম্ভব। সমস্ত জমি সরকারের মালিকানাধীন এবং খুব নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে ৯৯ বছরের লিজের আওতায় বিদেশীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]কর্ম
[সম্পাদনা]- আপনি শিক্ষকতার কাজ পেতে পারেন স্কুলে, যেমন দ্য আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অফ মোজাম্বিক।
- আপনি যদি সার্টিফায়েড ডাইভমাস্টার বা প্রশিক্ষক হন, তাহলে টোফো বিচ, ভিলানকুলোস বা পন্তা দ'ওরোতে অবস্থিত কোনো ডাইভ শপে সাহায্য করার চেষ্টা করতে পারেন।
নিরাপদে থাকুন
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে ঝুঁকিগুলো আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোর মতোই (এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অংশসহ অন্য কয়েকটি দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম)। তবুও ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড ঘটে, তাই সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মহিলাদের কখনোই একা সমুদ্র সৈকতে হাঁটা উচিত নয়। পর্যটন এলাকায় মহিলাদের উপর আক্রমণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, কোন এলাকাগুলো বিপজ্জনক তা জানার জন্য স্থানীয় হোস্টেল এবং অন্যান্য পর্যটকদের সাথে যোগাযোগ করা ভালো।
তবে সাধারণভাবে মোজাম্বিকের মানুষ অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আপনি এর চারপাশের প্রায় সব দেশের তুলনায় অনেক কম হয়রানির সম্মুখীন হবেন।
পুলিশ
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে পুলিশ আপনাকে সাহায্য করার জন্য নয়, বরং আপনার কাছ থেকে শুধু অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। কোনও অবস্থাতেই তাদের বিশ্বাস করবেন না।
পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করলে আপনার পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা কম, মাপুতো ব্যতীত অন্যান্য জায়গায় পুলিশ পর্যটকদের লুট করে সেলে বন্দি করার জন্য কুখ্যাত। এর পরিবর্তে, জরিমানা যাচাই করার জন্য আপনার দূতাবাস বা দুর্নীতি বিরোধী হটলাইনের সাথে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করুন এবং সর্বদা রসিদের জন্য জিজ্ঞাসা করুন।
যদি আপনার পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার প্রয়োজন হয় (যেমন, চুরির পর বীমার উদ্দেশ্যে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা), কোনও মূল্যবান জিনিস বা অতিরিক্ত অর্থ সঙ্গে নিবেন না এবং সর্বদা কারও সঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
বিমানবন্দরে: যদিও বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা সাধারণত যাত্রী ও বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেয়, কিন্তু এমন ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে যেখানে সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরা তাদের অবস্থানের সুযোগ নিয়ে ভ্রমণকারীদের জিনিসপত্র, যেমন নগদ অর্থ, ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্য চুরি করেছে। এই ধরনের চুরির শিকার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ন্যূনতম নগদ অর্থ সঙ্গে রাখুন
শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক খরচের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ নগদ বহন করুন, যেমন পরিবহন, খাবার এবং প্রাসঙ্গিক খরচ।
- নগদের পরিবর্তে ট্রাভেল কার্ড ব্যবহার করুন
ট্রাভেল কার্ড, যার মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড অন্তর্ভুক্ত, নগদ অর্থের চেয়ে বেশি সুরক্ষা প্রদান করে। এগুলো আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত এবং ক্রয় করতে ও এটিএম থেকে নগদ তুলতে ব্যবহার করা যায়। তবে, সন্দেহজনক কার্যকলাপের জন্য আপনার কার্ড ফ্ল্যাগ হওয়া প্রতিরোধ করতে আগে থেকে আপনার ব্যাংককে আপনার ভ্রমণ সূচি সম্পর্কে জানান।
- ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি অন্বেষণ করুন
মোবাইল ওয়ালেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি ভ্রমণকারীদের জন্য ক্রমশ জনপ্রিয় ও সুবিধাজনক হয়ে উঠছে। এই পদ্ধতিগুলি নগদ বা কার্ড বহন না করেই কন্টাক্টলেস পেমেন্টের অনুমতি দেয়।
- সতর্ক থাকুন
আপনার জিনিসপত্রের উপর সর্বদা নজর রাখুন।
গতিসীমা
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকে শহরের মধ্যে গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার (যদি না কোনো সড়ক চিহ্ন অন্যথা নির্দেশ করে) এবং অন্যান্য জায়গায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। EN1 সড়কে চলমান গতি পরীক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে যা বিশেষভাবে বিদেশি দর্শনার্থীদের লক্ষ্য করে।
ঘুষ
[সম্পাদনা]মোজাম্বিকের পুলিশের সাথে ব্যবহার করার সময় কখনোই ঘুষের প্রস্তাব দেবেন না। বরং তারা যা বলতে চান তা শুনুন এবং জিজ্ঞাসা করুন "এ ব্যাপারে আমরা কী করতে পারি?" প্রায়শই তারা আপনাকে ছেড়ে দেবে। যদি তারা ঘুষ চায়, তবে এর পরিমাণ সম্পূর্ণ আলোচনাসাপেক্ষ এবং এটি একটি কোকের বোতল (পরিচয়পত্র না থাকলে) থেকে শুরু করে কয়েকশ মার্কিন ডলার (মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত ছোটখাটো অপরাধের ক্ষেত্রে) পর্যন্ত হতে পারে।
পরিচয়পত্র
[সম্পাদনা]আইন অনুযায়ী আপনাকে সর্বদা একটি পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে এবং পুলিশের অনুরোধে তা দেখাতে হবে। ফলস্বরূপ, আপনার সর্বদা আপনার পাসপোর্টের ছবির পাতা, ভিসা এবং প্রবেশ স্ট্যাম্পের একটি নোটারাইজড কপি সঙ্গে রাখা উচিত। আপনার হোটেলে জিজ্ঞাসা করুন কোথায় একজন নোটারি পাওয়া যাবে অথবা দেশে প্রবেশ করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার স্থানীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন। মাপুতোতে, অ্যাভিনিউ লেনিনে একটি রয়েছে, মিম্মোর কাছাকাছি, এবং অ্যাভিনিউ আরমান্দো তিভানেতে আরেকটি রয়েছে (অ্যাভিনিউ নিয়েরেরের একটি ব্লক পশ্চিমে) অ্যাভিনিউ মাও সে-তুং এবং অ্যাভিনিউ ২৪ দে জুলহোর মধ্যে। এগুলি খুঁজে পাওয়া বিশেষ সহজ নয়, আশেপাশে জিজ্ঞাসা করুন।
যদি পুলিশ আপনার কাছে পরিচয়পত্র চায় এবং আপনার কাছে নোটারাইজড কপি না থাকে, তবে কোনও অবস্থাতেই তাদের আপনার পাসপোর্ট দেবেন না। যদি আপনি তা দেন, তবে এটি ফেরত পেতে আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হতে পারে। প্রায়শই তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তাদেরকে চলে যেতে বাধ্য করা যায়।
ল্যান্ড মাইন
[সম্পাদনা]দেশের অধিকাংশ অঞ্চল পরিষ্কার করা হয়েছে, তবে সোফালা, টেটে, মানিকা, গাজা, ইনহামবেন এবং মাপুতো প্রদেশের EN1 সড়ক থেকে দূরে গ্রামীণ এলাকায় এখনও ঝুঁকি রয়েছে। বছরে মাত্র ২ বা ৩টি ল্যান্ড মাইন সংক্রান্ত ঘটনা ঘটে এবং সেগুলি সবই পর্যটন পথের বাইরে।
সুস্থ থাকুন
[সম্পাদনা]- ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ মোজাম্বিকের সব অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলোক্রুইন/প্যালুড্রিন অন্যান্য পূর্ব আফ্রিকান অঞ্চলের মতো এখানেও কার্যকর নয়, তাই ভাল প্রতিরোধের জন্য ডাক্তার দেখানো উচিত। যদি আপনি দেশে অবস্থানকালে ম্যালেরিয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করেন, তবে প্রতিটি শহরে ক্লিনিক রয়েছে যেখানে প্রায় ৫০ মেটিক্যাশে পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে এবং যদি ম্যালেরিয়া ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসার খরচও ৫০ মেটিক্যাশ।
- আপনার টিকা সম্পন্ন করুন আগে থেকেই: মোজাম্বিকের চিকিৎসা সেবা এখন সাধারণত পর্যাপ্ত থাকে, তবে দেশে যাওয়ার আগে বিভিন্ন টিকা গ্রহণ করা ভালো। প্রতিরোধ চিকিৎসার চেয়ে ভালো। আপনি যদি দূরবর্তী অঞ্চলে ভ্রমণ করেন, তবে কিছু পরিষ্কার সূচ ও জীবাণুমুক্ত সামগ্রী সাথে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে, কারণ সেইসব স্থানে চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া কঠিন হতে পারে।
- আপনার খাদ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকুন: বিশ্বের অনেক দেশের মতো, যদি কোনো স্থানের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সন্দেহ থাকে, তাহলে সেখানে খাবেন না।
- অরক্ষিত যৌনমিলন থেকে বিরত থাকুন: সাব-সাহারান আফ্রিকার অনেক অঞ্চলের মতো, মোজাম্বিকেও এইচআইভি সংক্রমণের হার খুবই বেশি, প্রায় ১২% (ন্যাশনাল এইচআইভি সার্ভে, ২০১০ এর প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী)।
- ট্যাপের পানি পান করবেন না এবং বরফ ব্যবহার করবেন না: জাম্বেজি নদীর দক্ষিণে মোজাম্বিক তুলনামূলকভাবে বেশি উন্নত, বিশেষত মাপুটো, ইনহাম্বানে এবং বেইরা অঞ্চলে। এখানে, বিশেষ করে শহরের এলাকায় ট্যাপের পানি নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এই এলাকায় পানি "মিনারেল ওয়াটার" হিসেবে প্রচার করা হয় এবং এটি সাধারণ পানির চেয়ে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়, প্রায় ৫০-৬০ এমটিতে। দেশের উত্তরাঞ্চলের অবকাঠামো তুলনামূলকভাবে কম উন্নত, তাই গ্রামীণ এলাকা এবং পালমা অঞ্চলে এবং তানজানিয়া সীমান্তে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রধান শহর যেমন নামপুলা, পেম্বা, এবং মোজাম্বিক দ্বীপের ট্যাপের পানি সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়। যদি কখনো ট্যাপের পানির মান নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে জল বিশুদ্ধকরণ তরল (সাধারণত ক্লোরিন-ভিত্তিক) ব্যবহার করতে পারেন, যা সহজেই পাওয়া যায় এবং সস্তা, প্রায় ৪০ সেন্টে। সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলো "Certeza"। আপনি যদি একদম অফ-ট্র্যাক এলাকায় যান, তবে আপনার সাথে puri-tabs আনা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
- ব্যক্তিগত ক্লিনিক: মাপুটোতে কয়েকটি বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিক রয়েছে যারা জরুরি অবস্থায় প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে পারে। যেমন, ক্লিনিকা দা সোমারশিল্ড (টেল: ২১ ৪৯৩৯২৪) এবং ক্লিনিকা সুইডোইস (টেল: ২১ ৪৯২৯২২)।
- ইলেকট্রিক শাওয়ার: যে কোনো আবাসনে ইলেকট্রিক শাওয়ার ফিটিংস পরীক্ষা করুন। ব্রাজিলে তৈরি একটি বিপজ্জনক ধরনের শাওয়ার হিটার এখানে জনপ্রিয়: এটি একটি অগ্রাউন্ডেড ৪ কিলোওয়াট ইলেকট্রিক হিটার। ব্যবহার করার সময় ফিটিংটি স্পর্শ করবেন না, কারণ এটি গুরুতর বৈদ্যুতিক শক দিতে পারে। এর থেকে ভালো বিকল্প হলো পাওয়ার বন্ধ করে ঠাণ্ডা শাওয়ার নেওয়া (নিকটবর্তী সার্কিট ব্রেকার থাকা উচিত)। অন্য যেকোনো ধরনের ইলেকট্রিক শাওয়ার হিটার ব্যবহার করার সময়ও একইভাবে সতর্ক থাকুন।
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]মোবাইল ফোন
[সম্পাদনা]মোভিটেল মোজাম্বিকে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকান মালিকানাধীন ভোডাকম মোজাম্বিক রয়েছে। ভোডাকম অনেক শহরে ৪জি পরিষেবা এবং অন্যান্য স্থানে GPRS Edge সরবরাহ করে। APN হলো ইন্টারনেট। আপনার ফোনের ম্যানুয়াল থেকে সেটিং নির্দেশিকা চেক করুন। এমসেল পরিষেবা পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয়, বিশেষ করে মাপুটোর বাইরে। ভোডাকম সাধারণত বেশ ভালো পরিষেবা দেয়। অনেক মোজাম্বিকবাসীর মতে, মাপুটোর বাইরে মোভিটেলের ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে ভালো। যদিও রাস্তার মোড়ে এমসেল বা ভোডাকম শার্ট পরা শত শত বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেডিট কেনা ঠিক আছে, তবে কখনোই সিম কার্ড এবং স্টার্টার প্যাক কিনবেন না। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো অত্যধিক দামে বিক্রি হয় এবং প্রায়শই সেগুলো অনেক পুরনো এবং নিষ্ক্রিয় ব্যাচের হয়ে থাকে। যে কোনো মোবাইল ফোন স্টোর থেকে প্রায় ৫০ এমটি মূল্যে কার্যকর স্টার্টার প্যাক কিনতে পারবেন।
ইন্টারনেট
[সম্পাদনা]মাপুটোতে ইন্টারনেট সহজলভ্য। এখানে অনেক ইন্টারনেট ক্যাফে রয়েছে এবং প্রধান প্রধান হোটেলগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। মোবাইল ফোন পরিষেবা প্রদানকারী - এমসেল, ভোডাকম এবং মোভিটেল - মোবাইল ফোন এবং ইউএসবি মডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করে থাকে। উপরের অংশে এ সম্পর্কিত আরও তথ্য পাওয়া যাবে। মাপুটোর বাইরে ইন্টারনেট কাভারেজ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এবং সাধারণত পর্যটকদের আসা-যাওয়ার জায়গাগুলিতেই পাওয়া যায়। স্থানীয় টেলিকমিউনিকেশন দে মোজাম্বিক (টিডিএম) অফিসগুলোতে সাধারণত ইন্টারনেট থাকে, যদিও গতি এবং সেবা প্রাপ্যতা কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
রেডিও
[সম্পাদনা]মাপুটোতে অনেক এফএম রেডিও স্টেশন রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের সংগীত এবং আলোচনা শোনা যায়। রাজধানী থেকে দূরে থাকলে, বেশিরভাগ জায়গায় রেডিও মোজাম্বিকের সম্প্রচার শোনা যাবে এবং প্রধান শহরগুলোতে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ইংরেজি/পর্তুগিজ সম্প্রচার পাওয়া যায়। এছাড়া ছোট শহর ও গ্রামের জন্য অনেক ছোট ছোট সম্প্রদায়ভিত্তিক রেডিও স্টেশন রয়েছে।
একটি নতুন রেডিও স্টেশন, LM Radio (লাইফটাইম মিউজিক রেডিও), মাপুটো এবং মাতোলাতে ৮৭.৮ এফএম-এ ইংরেজিতে সম্প্রচার করে। এই রেডিও স্টেশন ১৯৬০, ৭০ এবং ৮০-এর দশকের বিভিন্ন সংগীতের পাশাপাশি একই ধাঁচের আধুনিক গান সম্প্রচার করে। এটি মোজাম্বিকে ভ্রমণকারীদের জন্য নিয়মিত ভ্রমণ এবং নিরাপত্তা পরামর্শও প্রদান করে।