এশিয়া< দক্ষিণ এশিয়া< ভারত< দক্ষিণ ভারত< লাক্ষাদ্বীপ
লাক্ষাদ্বীপ বা লাক্কাদ্বীপ হল ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২০০–৪৪০ কিমি (১২০–২৭০ মাইল) দূরে আরব সাগরে উপস্থিত ভারতের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এটি ৩৬টি দ্বীপের একটি দ্বীপপুঞ্জ, যা পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে ল্যাকাডিভ সাগরের (লাক্ষাদ্বীপ সাগর) মধ্যে ভারতের সামুদ্রিক সীমানা হিসেবে কাজ করে এবং তা ভারতের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। অনুমান করা হয় যে, ভূতাত্ত্বিকভাবে মালদ্বীপের মত এটি একই শৃঙ্খলের একটি অংশ।
দ্বীপপুঞ্জ
[সম্পাদনা]- 1 কাবারাত্তি— এটি রাজধানী এবং লাক্ষাদ্বীপের সবচেয়ে উন্নত দ্বীপ। এর জনসংখ্যা অদ্বীপবাসীদের দ্বারা প্রভাবিত। দ্বীপে প্রায় ৫২টি মসজিদ রয়েছে এবং তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর হলো উজরা মসজিদ।
- 2 আগত্তি দ্বীপ— এটি লাক্ষাদ্বীপের প্রবেশদ্বার এবং প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। মাছ ধরা এখানকার মানুষের প্রধান পেশা। পর্যটকরা এখানে পালতোলা, নৌকা চালানো, ওয়াটার স্কিইং, কায়াকিং সাঁতার, স্নরকেলিং এবং স্কুবা ডাইভিং উপভোগ করতে পারেন এবং বিশাল লেগুনও খুঁজে পেতে পারেন।
- 3 মিনিকায় দ্বীপ— শান্ত সমুদ্র সৈকত, ফিরোজা লেগুন এবং একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণতম দ্বীপ।
- 4 আমিনি দ্বীপ— একটি ডিম্বাকৃতি-আকৃতির দ্বীপ, যেখানে প্রথম বসতি স্থাপন করা হয়েছিল এবং এটি প্রবাল পণ্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
অবস্থান
[সম্পাদনা]রমজান
রমজান ইসলামি বর্ষপঞ্জীতে ৯ম ও পবিত্রতম মাস। এটি ২৯-৩০ দিন স্থায়ী হয়। মুসলমানরা সেই সময়ে প্রতিদিন উপবাস করে; স্ত্রী সহবাস হতে বিরত থাকে এবং বেশিরভাগ রেস্তোঁরা সন্ধ্যায় ইফতার না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন কিছুই (জল ও সিগারেটসহ) গলার মধ্য দিয়ে পেটে যাওয়া উচিত নয়। তবে অমুসলিমদের এটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তখন জনসমক্ষে খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত; কারণ এটি অত্যন্ত অসভ্য বলে বিবেচিত হয়। কর্পোরেট জগতেও কর্মঘণ্টা কমে যায়। রমজানের সঠিক তারিখ স্থানীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করে এবং দেশ থেকে দেশে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। রমজান ঈদ আল-ফিতরের উৎসবের সাথে শেষ হয়, যা বেশ কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে; বেশিরভাগ দেশে সাধারণত তিন দিন চলে।
আপনি যদি রমজানের সময় লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে রমজানে ভ্রমণ নিবন্ধটি ভালো করে দেখবেন এবং সেই মতে পরিকল্পনা করবেন। |
লাক্ষাদ্বীপ হল ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার আয়তন মাত্র ৩২ বর্গকিলোমিটার এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মাত্র তিনটি ভারতীয় প্রশাসনিক বিভাগের একটি ( অন্যগুলি হল জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ)। লাক্ষাদ্বীপ নামের আক্ষরিক অর্থ হল "এক লক্ষ দ্বীপ" (সংস্কৃত লক্ষ = "লাখ" বা "শত হাজার" এবং দ্বিপা = "দ্বীপ")। এখানে দশটি জনবসতিপূর্ণ সংযুক্ত দ্বীপসহ ১৭টি জনবসতিহীন দ্বীপ, চারটি নবগঠিত দ্বীপ এবং ৫টি নিমজ্জিত প্রাচীর রয়েছে। ২০১১ সালের হিসাবে, লাক্ষাদ্বীপের জনসংখ্যা ছিল ৬৪,৪৭৩ জন।
লাক্ষাদ্বীপ হলো সবচেয়ে সুন্দর গন্তব্যগুলোর একটি, যেখানে আপনি নিজের ছুটির দিনে সুন্দর সামুদ্রিক জীবন, স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রামীণ জীবন, কিছু পর্যটন কেন্দ্র এবং লালিত মসজিদ দেখতে পারেন।
জলবায়ু
[সম্পাদনা]এখানে অনুকূল মৌসুম হল ডিসেম্বর থেকে মে, যখন এটি শীতল এবং শুষ্ক থাকে। মে থেকে সেপ্টেম্বর হল প্রধানত (দক্ষিণ-পশ্চিম) বর্ষা মৌসুম; তবে অক্টোবর-নভেম্বরে উত্তর-পূর্বে বর্ষা এবং বৃষ্টি হতে পারে।
ভাষা
[সম্পাদনা]দ্বীপের লোকেরা জাতিগতভাবে কেরালার লোকদের মতো এবং মিশ্র ভারতীয় ও আরব বংশোদ্ভূত। তারা মালায়ালামের একটি উপভাষায় কথা বলে, যার নাম জেসেরি। তবে মিনিকয় ছাড়া; সেখানে মাহল ভাষায় কথা বলা হয়, যা দিভেহির (মালদ্বীপের ভাষা) একটি প্রচলিত রূপ।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]প্রত্যকের (ভারতীয় বা বিদেশী) লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ অনুমতিপত্রের প্রয়োজন হয়। এটি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল সরকারের ভ্রমণ পরিষেবা সোসাইটি ফর প্রমোশন অফ নেচার ট্যুরিজম অ্যান্ড স্পোর্টসের (স্পোর্টস) মাধ্যমে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ নিশ্চিত করা বা এর জন্য আগে থেকে একটি হোটেলের ব্যবস্থা করা; প্রকৃতপক্ষে, বিদেশীদের জন্য আগাম হোটেল বুক করা লাক্ষাদ্বীপ পরিদর্শনের অনুমতিপত্র পাওয়ার পূর্বশর্ত।
বিদেশীদের আগাত্তি, বাঙ্গারাম এবং কদমত দ্বীপে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। কাবারাত্তিতে শুধুমাত্র ট্রানজিট বা পরিবহনে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায় ( সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা)। ভারতীয়রা অন্যান্য দ্বীপেও যেতে পারে; কিন্তু থাকার ব্যবস্থা খুবই সীমিত ( ঘুম অনুচ্ছেদটি দেখুন )।
লাক্ষাদ্বীপে যাওয়া প্রায় প্রত্যেককেই কোচি দিয়ে যেতে হয়, যেখান থেকে আপনি বিমান বা জাহাজে যেতে পারেন।
বিমানে
[সম্পাদনা]- 1 আগত্তি বিমানবন্দর (AGX)। এয়ার ইন্ডিয়া সাধারণত সপ্তাহে তিনবার কোচি থেকে আগাত্তির বিমান পরিচালনা করে, যা এই দ্বীপে পরিষেবা প্রদানকারী একমাত্র বিমানসংস্থা। যাহোক, পরিষেবাটি অনিয়মিত এবং বেশিরভাগই ঋতু নির্ভর। এখানে আসার পরিকল্পনা করার আগে আপনাকে এয়ার ইন্ডিয়ার সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে যে, তারা বর্তমান পরিষেবাটি পরিচালনা করছে কিনা। এমনকি যদি কখনো নিয়মিত পরিষেবা দিয়ে থাকে, তখনও শেষ মুহুর্তে বিমান বাতিল হয়ে যায়। কারণ আগাত্তিতে একটি খুব মৌলিক এবং ছোট রানওয়ে রয়েছে, যার উপর শুধুমাত্র টার্বো-প্রপ বিমান অবতরণ করতে পারে এবং এর রাতে সেবা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাই আপনি সর্বদা যাত্রা বাতিলের বিষয়টি মাথায় রাখুন।
জাহাজে
[সম্পাদনা]এমভি টিপু সুলতান, এমভি ভারত সীমা, এমভি আরব সাগর, এমভি মিনিকয়, এমভি আমিন্দিভি, এমভি লক্ষদ্বীপসি ও এমভি কাবারাত্তি কেরলের কোচি এবং লাক্ষাদ্বীপের বিভিন্ন দ্বীপের মধ্যে চলাচল করে। গন্তব্য দ্বীপের উপর নির্ভর করে ভ্রমণে ১৪–১৮ ঘন্টা সময় লাগে। প্রথম চারটি ১৯৬০ এর দশকের পুরনো ফেরি; কিন্তু তাদের মোটামুটি ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং তারা সহনীয়ভাবে একটি আরামদায়ক যাত্রা প্রদান করে। এমভি টিপু সুলতান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নবনির্মিত এমভি লক্ষদ্বীপসি ও এমভি আরব সাগরে তিন শ্রেণীর আবাসন ( এয়ার-কন কেবিন, এয়ার-কনরিক্লিনিং সিট ও ডেক) রয়েছে এবং একটি স্বয়ংপরিবেশিত ভোজনালয়, পানীয় বার এবং উপরে একটি ছোট ব্যায়ামাগার যুক্ত করা হয়েছে। এয়ার-কন আসনে রিটার্ন ভাড়া প্রায় ₹৩,৮০০, যা এই প্যাকেজে উপলব্ধ সবচেয়ে সস্তা শ্রেণী। এমভি কাবারাত্তি মূলত সরকারি সোসাইটি ফর প্রমোশন অফ নেচার ট্যুরিজম অ্যান্ড স্পোর্টস (স্পোর্টস) কর্তৃক সমুদ্র ক্রুজ প্যাকেজ পরিচালনার ব্যবহৃত হয়, যেটি লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসনের অধীনে একটি সংস্থা। যদিও জাহাজটি কোচি থেকে বিভিন্ন দ্বীপে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। জাহাজটি কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং পর্যটকদের জন্য কেবিন শ্রেণীর আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। উপরন্তু এটি যাত্রীদের জন্য শয়ন করার মতো বিছানারও ( bunk bed) ব্যবস্থা করে। পর্যটকরা সাধারণত ৪ রাত পাঁচ দিন জাহাজে থাকে এবং জলখেলা ও ভ্রমণবিষয়ক অন্যান্য কাজের জন্য প্রতিদিন একটি দ্বীপ পরিদর্শন করে।
জলভ্রমণের প্রকাশিত সমস্ত সময়সূচী আকস্মিকভাবে পরিবর্তন হতে পারে। এটি শুধু বিলম্বিতই হয় না; বরং কখনো কখনো কোনোটি একদিন আগেও ছেড়ে যায়।
মুম্বাই থেকে মাঝে মাঝে সরাসরি ক্রুজ চলে।
লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপগোষ্ঠীর সবচেয়ে দক্ষিণের মিনিকয় দ্বীপটি এখন একটি অনুমোদিত প্রবেশ পয়েন্ট।
ঘোরাঘুরি
[সম্পাদনা]আগাত্তি থেকে বাঙ্গারাম এবং কদমাতে নৌকা অথবা হেলিকপ্টার উভয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর উপলব্ধ। মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে হেলিকপ্টার (১৫০ মার্কিন ডলার রিটার্ন ভাড়ায় ) হতে পারে একমাত্র বিকল্প।
নৌকা/ফেরি দ্বারা: এগুলি এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোনো দ্বীপে একবার গেলে ফিরে আসার বেশি বিকল্প নেই। কারণ দ্বীপগুলি খুব ছোট; যাদের বেশিরভাগের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটারের কম এবং তাদের প্রস্থ এক কিলোমিটারেরও কম। তাই আপনি পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করতে পারেন অথবা সাইকেল ভাড়া করতে পারেন।
দর্শনীয় এবং করণীয়
[সম্পাদনা]এখানে সমুদ্র এবং উপহ্রদ ভিত্তিক ভ্রমণসহ মৌলিক অবসর ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। স্কুবা চালানো, ইয়টিং, পা দিয়ে নৌকা চালানো, কায়াকিং, ক্যানোয়িং, সাঁতার কাটা, স্নরকেলিং এবং সূর্যস্নানের প্রচুর সুযোগ এখানে রয়েছে। এখানে আপনি স্থানীয় বাড়ি, সামুদ্রিক যাদুঘর এবং কয়েকটি স্থানীয় শিল্প পরিদর্শন করতে পারেন।
- ডিভলাইন আগাত্তি আগাত্তিতে রিসোর্টে স্কুবা ডাইভিং দোকান পরিচালনা করে। প্রতি ডাইভ ₹৩,০০০।
- ল্যাকাডিভস বাঙ্গারাম এবং কদমত রিসোর্টে স্কুবা ডাইভিং দোকান পরিচালনা করে।
কেনাকাটা
[সম্পাদনা]লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণকারীদের জন্য পরিকল্পিত গন্তব্য নয়; কারণ এতে ভ্রমণের অনুমতিপত্র পাওয়ার ইস্যু ছাড়াও বিদেশী পর্যটকদের জন্যে কোন পর্যটন পরিকাঠামো (হোস্টেল, রেস্তোরাঁ, সাধারণ পরিবহন ইত্যাদি ) নেই। চার দিনের জন্য সস্তা ভ্রমণ ট্রিপগুলি প্রায় ₹১০,০০০ থেকে শুরু হয়, তবে এই মূল্যে সব-ই অন্তর্ভুক্ত। কেউ কদমত দ্বীপে অবস্থিত কারখানা থেকে খাঁটি নারকেল গুঁড়া এবং নারকেল তেল কিনতে পারেন। কাবারাত্তি দ্বীপে মাছের আচার এবং ছোট ছোট স্মারক পাওয়া যায়।
লাক্ষাদ্বীপের সবচেয়ে মূল্যবান স্মারক হল ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, যা সমুদ্রের সামগ্রী থেকে তৈরি। যেমন: শাঁস, ঝিনুক, মুক্তা এবং প্রবাল।
আহার
[সম্পাদনা]স্থানীয় রন্ধনপ্রণালী কেরলের মালাবার অঞ্চলের সাথে সবচেয়ে বেশি মিলে। বেশিরভাগ খাবারেই নারকেল তেল এবং প্রধানত কারি পাতা থাকে। দ্বীপগুলিতে পাওয়া কিছু স্বাতন্ত্র্যসূচক খাবার হল:
- মুস কাবাব- টুনা খণ্ডের একটি মশলাদার তরকারি, যা ভাতের সাথে সবচেয়ে মজাদার।
- খাস্তা ভাজা অক্টোপাস
- বাটলা আপ্পাম: অ্যান্ড্রোথ দ্বীপের একটি বিশেষত্ব। এটি ডিম, ময়দা, চিনি ও এলাচ দিয়ে তৈরি ইডলির মতো চেহারার একটি বাষ্পযুক্ত মিষ্টি।
পানীয়
[সম্পাদনা]এখানে প্রচুর পরিমাণে নারকেলের জল পান করুন।এটি দ্বীপের সবচেয়ে সহজলভ্য পানীয়। কলের পানি এখানে ভূগর্ভস্থ কূপ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং তা কিছুটা অতরল। বর্ষাকালে সংগ্রহ করা বৃষ্টির পানিই এখানে পানীয় জলের প্রধান উৎস। বেশ কিছু দ্বীপ জনবসতিহীন হওয়ার কারণে সেখানে পানীয় জলের অনুপলব্ধতা স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবে নিতে হবে।
ঘুমানোর স্থান
[সম্পাদনা]লাক্ষাদ্বীপে তিনটি পূর্ণ পরিষেবা প্রদানকারী রিসোর্ট রয়েছে এবং এই তিনটিই একমাত্র জায়গা, যেখানে বিদেশী ভ্রমণকারীরা থাকতে পারে। নীচে তালিকাভুক্ত সমস্ত দাম ডাবল রুমের জন্য এবং এতে সমস্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত।
- আগিত্ত দ্বীপ সৈকত রিসোর্ট (Agatti Island Beach Resort)। এটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন; কিন্তু বেশ নিচে অবস্থিত। দৃশ্যত এটিকে একটি নতুন কুঠির পরিকল্পনা করা যায়। প্রধান আকর্ষণ সাতার কাঁটা। এটি বাঙ্গারামের চেয়ে ভাল। এতে ২০টি বিছানা রয়েছে।
- কদমত আইল্যান্ড রিসোর্ট। স্কুবা চালকদের পছন্দের জায়গা। লাক্ষাদ্বীপের এটি প্রথম স্কুবা সুবিধার রিসোর্ট। এতে ২২টি একক কক্ষ এবং ২৬টি পারিবারিক কক্ষ রয়েছে। সরকার পরিচালিত এবং সকল মৌলিক সুবিধা উপলব্ধ। ₹৮,০০০ /১০,০০০ পাখা/শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
- বাঙ্গারাম দ্বীপ রিসোর্ট, ☎ +৯১ ৯৮৪৭৫০৩৫৯ ৫। এতে ৩০টি নন-এসি সামুদ্রিক বাজার রয়েছে, যা খাবারের রেস্তোরাঁসহ একটি বালুকাময় উপসাগর থেকে প্রায় ৫৫ মিটার পিছনে স্থাপন করা হয়েছে। এটি পরিবেশ বান্ধব এবং এতে একটি শান্ত পরিবেশ রয়েছে। ডাবল ₹১৫,০০০; সিঙ্গেল ₹১০,০০০।
এছাড়াও শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত মৌলিক সরকারি রিসোর্টগুলি মিনিকয়, কাবারত্তি ও কালপেনিতে উপলব্ধ। স্পোর্টস দ্বারা প্রদান করা কিছু প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে, জাহাজে থাকার ব্যবস্থাসহ দ্বীপগুলিতে দিনে পরিদর্শন করা।
নিরাপদে থাকুন
[সম্পাদনা]বাঙ্গারাম ছাড়া সমস্ত দ্বীপে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গ্রহণ নিষিদ্ধ। প্রবাল তোলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পরবর্তী ভ্রমণ
[সম্পাদনা]একমাত্র উপায় হল কোচি ফিরে আসা।