আলাপ:কাশ্মীর
আলোচনা যোগ করুনএটি উইকিভ্রমণ আলাপ পাতা।
যদি আপনি উইকিভ্রমণ ব্যতীত অন্য কোনো সাইটে এই পাতাটি দেখতে পান, তবে আপনি উইকিভ্রমণের একটি অনুলিপি দেখছেন মাত্র। সচেতন থাকুন যে, এই পাতাটি মেয়াদোত্তীর্ণ হতে পারে এবং এই ব্যবহারকারী পাতাটি যার, তিনি উইকিভ্রমণ ব্যতীত অন্য কোনো ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত নাও থাকতে পারেন। মূল ব্যবহারকারী পাতাটি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়— https://bn.wikivoyage.org/wiki/আলাপ:কাশ্মীর। |
উইকিভ্রমণ লিখন প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষ্যে এই নিবন্ধটি তৈরি করা হয়েছে |
কাশ্মীর, ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি মনোরম অঞ্চল, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং রাজনৈতিক জটিলতার জন্য বিখ্যাত। কাশ্মীরের ইতিহাস, ভূগোল, সংস্কৃতি এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত রচনা এখানে উপস্থাপন করা হলো।
কাশ্মীরের ভূগোল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
[সম্পাদনা]কাশ্মীর উপত্যকা হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত এবং এটি তার অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এখানে রয়েছে সবুজ উপত্যকা, বরফে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গ, স্বচ্ছ হ্রদ এবং মনোরম বাগান। ডাল লেক, নিসাত বাগ, শালিমার বাগ এবং পেহেলগাম কাশ্মীরের কিছু প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। শীতকালে, কাশ্মীরের গুলমার্গ স্কি রিসোর্টে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে।
কাশ্মীরের ইতিহাস
[সম্পাদনা]কাশ্মীরের ইতিহাস বহু প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। প্রাচীনকালে এটি হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। নবম শতাব্দীতে এখানে শৈব ধর্মের উত্থান ঘটে। ১৩৩৯ সালে শাহ মীর কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম শাসক হন এবং সালতিন-ই-কাশ্মীর রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন1. ১৫৮৬ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং পরে ১৮২০ সাল পর্যন্ত আফগান দুররানি সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। ১৮৪৬ সালে প্রথম অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধে শিখদের পরাজয়ের পর জম্মুর রাজা গুলাব সিং কাশ্মীরের নতুন শাসক হন1.
কাশ্মীরের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
[সম্পাদনা]কাশ্মীরের সংস্কৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মের অনুসারীরা সহাবস্থান করে। কাশ্মীরি ভাষা, পোশাক, খাদ্য এবং সঙ্গীতের মধ্যে এই বৈচিত্র্যের প্রতিফলন দেখা যায়। কাশ্মীরি শাল, কার্পেট এবং প্যাপিয়ার-ম্যাশে শিল্পকর্ম বিশ্ববিখ্যাত। কাশ্মীরি খাবারের মধ্যে রগনজোশ, ইয়াখনি এবং কাশ্মীরি পুলাও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
[সম্পাদনা]কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং বিতর্কিত। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর থেকে ভারত, পাকিস্তান এবং চীন এই অঞ্চলের বিভিন্ন অংশের উপর দাবি করে আসছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে এবং বর্তমানে কাশ্মীরের একটি অংশ ভারত, একটি অংশ পাকিস্তান এবং একটি অংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে12. কাশ্মীরের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম করে আসছে এবং এই অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি
[সম্পাদনা]বর্তমানে কাশ্মীর একটি অত্যন্ত সেন্সিটিভ এবং সামরিকীকৃত অঞ্চল। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে এবং এটি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়েছে: জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ2. এই পদক্ষেপটি কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলেও এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
উপসংহার
[সম্পাদনা]কাশ্মীর তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য একটি অনন্য স্থান। তবে এর রাজনৈতিক জটিলতা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতি এই অঞ্চলের মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। কাশ্মীরের সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ এবং স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে এই অঞ্চলের মানুষ শান্তি এবং সমৃদ্ধির মধ্যে বসবাস করতে পারে 103.176.248.93 ০৩:০২, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ (ইউটিসি)