উইকিভ্রমণ থেকে

উখিয়া বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দক্ষিণে ২১°০৮´ থেকে ২১°২১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৩´ থেকে ৯২°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত উখিয়া উপজেলার আয়তন ২৬১.৮০ বর্গ কিলোমিটার। ১৯২৬ সালে উখিয়া থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী উখিয়া উপজেলার জনসংখ্যা ২,০৭,৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,০৪,৫৬৭ জন এবং মহিলা ১,০২,৮১২ জন। এ উপজেলার ৮৮.১% মুসলিম, ২.৩% হিন্দু, ৭.৬% বৌদ্ধ এবং ২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়ক ও বিমান সকল পথেই কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী যে কোন যানবাহনে উখিয়া যাওয়া যায়। এছাড়া কক্সবাজারের কলাতলী ও বাজারঘাটা থেকে উখিয়া সরাসরি যাওয়ার জন্য সিএনজি চালিত অটোরিক্সা পাওয়া যায়। মেরিন ড্রাইভ দিয়ে এসব অটোরিক্সা যাতায়াত করে।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সদর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। যে কোন যানবাহনে ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায়।
  • পাতাবাড়ী বৌদ্ধ বিহার কক্সবাজার সদর থেকে বাস যোগে উখিয়া স্টেশনে পৌঁছতে হবে। উখিয়া সদর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা অথবা রিক্সা যোগে পূর্ব দিকে ১ কিলোমিটার গেলেই পাতাবাড়ী বৌদ্ধ বিহার।

এছাড়া অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • কানা রাজার গুহা
  • কুমিরের খামার
  • ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্প

থাকার ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে ভালোমানের হোটেল রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল শৈবাল, লাবণী, প্রবাল ছাড়াও বেসরকারি হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল সী গাল, হোটেল দি কক্স টুডে, হোটেল সী প্যালেস, মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল, জিয়া গেস্ট হাউজ, সোহাগ গেস্ট হাউজ, গ্রীন অবকাশ রিসোর্ট, নিট বেল রেস্টহাউজ রয়েছে। এ সকল হোটেলে ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায় রাত্রিযাপন করা যায়।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

কক্সবাজার শহরের যে কোন জায়গায় অথবা উখিয়া উপজেলা সদরে যে কোন মানের রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন।