উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়া
উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়া একটি বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয় অঞ্চল। এ অঞ্চলে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। প্রধান শহর বাতদামবাং যা সমগ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং এটি উর্বর কৃষিভূমি এবং সুন্দর প্রকৃতির জন্য পরিচিত। বাতদামবাং শহরে প্রচুর প্রাচীন মন্দির, প্রাসাদ ও ফরাসি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের নিদর্শন দেখা যায়। এগুলো পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ হিসেবে কাজ করে।
কম্বোডিয়ার এই অংশটি বিশেষ করে টনলে সাপ নদীর অববাহিকায় অবস্থিত, যা কম্বোডিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নদীটি বর্ষাকালে বড় হয়ে ওঠে এবং সমগ্র অঞ্চলে পানির উৎস হিসেবে কাজ করে। নদীর পাশের জনপদে বহু মানুষের জীবন-জীবিকা মাছ শিকার ও কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। বর্ষাকালে নদী ফুলে ওঠায় আশেপাশের জমি উর্বর হয়, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়াও উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ায় একাধিক প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য ও বনভূমি রয়েছে, যেখানে অনেক বিরল প্রজাতির পশু ও পাখি দেখতে পাওয়া যায়। ফ্নম্ সাম্পো পাহাড় পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ এবং এটি প্রাচীন মন্দির, গুহা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনার জন্য পরিচিত। এখানে ওঠার পথে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপত্য ও শিল্পকর্মের নিদর্শন যা কম্বোডিয়ার ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।
কম্বোডিয়ার এই অঞ্চলের মানুষ অতিথিপরায়ণ এবং এদের সংস্কৃতি বহুকাল ধরে টিকে আছে। গ্রামাঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব স্পষ্ট, এবং এখানকার লোকেরা বেশিরভাগই কৃষিজীবী। লোকজ ঐতিহ্য ও উৎসবগুলো এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে পালিত হয়।