বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

এশিয়া > দক্ষিণ এশিয়া > নেপাল > পূর্ব তরাই > কাকরভিটা

কাঁকরভিটার একটি রাস্তার দৃশ্য

কাঁকরভিটা (নেপালি: काँकडभिट्टा) হল নেপালের পূর্ব তরাই অঞ্চলের একটি শহর। শহরটি বিদেশিরা দুই দেশের ( নেপাল এবং ভারত) মধ্যে পারাপারের জন্য ব্যবহার করে।

অনুধাবন

[সম্পাদনা]

ভ্রমণবিষয়ক তথ্য

[সম্পাদনা]

পর্যটন অফিসটি (২০২০৮) প্রধান সড়কে রয়েছে; ডান দিকের শুল্ক অফিসের একটু পরেই। রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার ১০:০০ থেকে ১৭:৫০ টা পর্যন্ত, শুক্রবার ১০:০০ থেকে ১৪:০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

প্রবেশ

[সম্পাদনা]

বিমানে

[সম্পাদনা]

শহরের নিকটতম বিমানবন্দরটি ভদ্রপুরে অবস্থিত, যা এর থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এছাড়াও আপনি কাঠমান্ডু থেকে বিরাটনগরগামী একটি ফ্লাইট পেতে পারেন, যার নির্ভরযোগ্য সময়সূচী রয়েছে। শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর (বাস/ট্যাক্সিতে ৯০ মিনিট ) প্রধান ভারতীয় শহরগুলি থেকে নিয়মিত এবং ব্যাঙ্কক ও পারো থেকে সপ্তাহে দুইবার বিমান পরিচালনা করে।

কাকরভিটায় নেপাল-ভারত সীমান্ত।

কাঠমাণ্ডুদার্জিলিংয়ের মধ্যে যাতায়াত করার জন্য ভ্রমণ প্রতিনিধিদের (ট্রাভেল এজেন্ট ) থেকে সংযুক্ত টিকিট কেনা সম্ভব, তবে সাধারণত এই ধরনের টিকিট খুব ব্যয়বহুল হয় এবং নিজে ভ্রমণ করার তুলনায় এর মাঝে কোনো বিশেষ সুবিধা বা সাশ্রয় নেই। আপনি নিজের চাহিদা অনুযায়ী সহজে সবকিছু ব্যবস্থা করতে পারেন এবং পছন্দ মতো যেকোনো বাসে ভ্রমণ করতে পারেন, যেখানে ট্র্যাভেল এজেন্ট থেকে টিকিট কিনলে আপনাকে নির্দিষ্ট বাসে ভ্রমণ করতে বাধ্য করা হয়।

প্রায় মানুষ এই ধরনের যৌথ বাস ভ্রমণে প্রতারিত হয়। তাদের বলা হয় যে, তাদের প্রথম শ্রেণির বিলাসবহুল বাসে ভ্রমণ করানো হবে; কিন্তু পরে নিম্নমানের বাস বা সেবার মধ্যে যেতে হয়।

কাঠমান্ডু বাস টার্মিনাল থেকে ১৬:০০ এবং ১৮:০০ এর মাঝামাঝি সময়ে কাকরভিটার বাসগুলি ছেড়ে যায়।এসবের টিকিট একদিন আগে বুক করা ভাল।

ভারত থেকে/ভারতে যাওয়ার জন্য: ভারতীয় সীমান্ত শহরটির পূর্বদিকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা মেচি নদী দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। নেপালি ইমিগ্রেশন অফিস প্রাা ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে; তবে রাতে গেলে আপনাকে কর্মকর্তাদের খুঁজতে হতে পারে। আপনার কাছে যদি সঠিক পরিমাণ মার্কিন ডলার (নগদ) থাকে, তাহলে নেপালি ভিসা নেওয়া সহজ হবে। আর যদি আপনার কাছে ডলার না থাকে; তাহলে আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে টাকা বদলাতে হবে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। এ ইমিগ্রেশন অফিস থেকে পূর্ব নেপালে ট্রেকিঙের অনুমতিপত্র পাওয়া যায় এবং এর মধ্যে এভারেস্ট এলাকার অনুমতিপত্রও অন্তর্ভুক্ত।

কাঠমান্ডু থেকে রাতের বাস সাধারণত ১০:০০ এর আগে পৌঁছায়।

ঘোরাঘুরি

[সম্পাদনা]
মানচিত্র
কাকরভিটার মানচিত্র

দর্শনীয়

[সম্পাদনা]

করণীয়

[সম্পাদনা]

কেনাকাটা

[সম্পাদনা]

আপনি ভারত থেকে শহরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই রাস্তার বাম পাশে গোলাপী ভবনে (শুধু নেপালি ভাষায় সাইনবোর্ড লেখা) নেপাল রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কে টাকা পরিবর্তন করতে পারেন। প্রতিদিন ০৭:০০ থেকে ১৮:০০ পর্যন্ত খোলা থাকে। বাস স্টেশনের এক কোণে একটি মানি চেঞ্জার রয়েছে।

নেপাল এয়ারলাইন্স এবং এভারেস্ট এয়ারের অফিস (২৯০২০) সীমান্ত ও বাস স্ট্যান্ডের মাঝখানে অবস্থিত।

নেপালে প্রবেশ ০৭:০০ থেকে ১৯: পর্যন্ত খোলা থাকে। আপনি নেপাল সীমান্তে ২৫ মার্কিন ডলারে ভিসা পেতে পারেন, যা আপনাকে সাধারণত মার্কিন ডলারে দিতে হবে (পরিবর্তন প্রত্যাশিত)। সবচেয়ে কাছের নেপালি দূতাবাসটি কলকাতায় অবস্থিত। সীমান্ত ও ভারতের প্রথম শহর রানিগঞ্জের মাঝে প্রায় ১৫ মিনিট হাঁটার দূরত্ব।

  • মাউন্টেন ভিউ রেস্টুরেন্ট মোটামুটি ভালো জায়গা।
  • হোটেল রাজনের হরিয়ালি রেস্তোরাঁটি শহরের সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি।

পানীয়

[সম্পাদনা]

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]

যেহেতু এখানকার বাসস্ট্যান্ডটি খুব কোলাহলপূর্ণ; তাই বাসস্ট্যান্ডের মুখোমুখি নয় এমন একটি রুম নেওয়া ভাল হবে।

  • হোটেল কাঠমান্ডু (২৯০০৮), প্রধান সড়কে এটা ততটা ভাল নয়। ২০০/২৫০ টাকায় রুম আছে।
  • এবিসি লজ ২০০/২৫০ টাকায় রুম আছে
  • হোটেল দেউরালি ১৪০ টাকায় সাধারণ শৌচাগারসহ রুম আছে।
  • কাঞ্চন হোটেল (৭০০১৫৬২০১৫), বাস স্ট্যান্ডের কাছে এটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং এতে একটি রেস্টুরেন্ট আছে। সাথে বালতিতে গরম জল। ২০০ টাকায় সাধারণ শৌচাগারসহ পরিষ্কার কক্ষ রয়েছ; উন্নত শৌচাগারসহ ৩০০ টাকা এবং একটি টিভিসহ ৫০০ টাকা
  • হোটেল রজত (৭০০৩৩, ৬২০৩৩), বাস স্ট্যান্ডের পিছনে কয়েক মিনিটের হাঁটা এখানে আপনি প্রায়ই ছাড় পেতে পারেন। এতে একটি রেস্টুরেন্ট আছে। এটি শহরের সেরা জায়গা এবং ভালভাবে পরিচালিত হয়। সাধারণ শৌচাগারসহ একটি রুম ৫ মার্কিন ডলার; উন্নত শৌচাগার, গরম জল, এবং টিভিসহ ১৫ মার্কিন ডলার এবং একটি বিলাসবহুল রুমের জন্য ২২ মার্কিন ডলার।

সংযোগ

[সম্পাদনা]

পরবর্তী ভ্রমণ

[সম্পাদনা]
  • বিরাটনগর: ৩½ ঘন্টা, ৭৫ টাকা।
  • বীরগঞ্জ: ১২ ঘন্টা, ২২৫ টাকা (রাতের বাস)।
  • দার্জিলিং: শিলিগুড়ি বাস স্টেশন থেকে ট্যাক্সি নিন। সেখান থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য প্রচুর যৌথ ট্যাক্সি আছে।
  • কাঠমান্ডু: আপনি যখন ভারত থেকে নেপাল সীমান্তে প্রবেশ করেন, তখন বাস স্টেশনটি গ্রামের আগে ডানদিকে পড়বে। সেখান থেকে বাসগুলি কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ( ১৬ ঘন্টা, ₹৩৫০ ভারতীয় রুপি। সাধারণত ভোরে এবং ১৫:০০ থেকে ১৮:০০ এর মধ্যে। একটি ভাল আসন পেতে বাসের আসন কয়েক ঘন্টা আগে রিজার্ভ করে রাখা ভাল। আপনি বাস স্টেশনের সামনে থাকা বুকিং অফিসে কাঠমান্ডুর জন্য একটি রাতের টিকিট রিজার্ভ করতে পারেন। কাঠমান্ডু ও পোখারাগামী সরাসরি রাতের বাসগুলি বেদনাদায়ক হতে পারে; কেবল ট্রিপ দীর্ঘ হওয়ার জন্যই নয়; বরং আপনি এর সাথে চারপাশের চমৎকার দৃশ্যগুলিও দেখতে পাবেন না।
  • জনকপুর: একটি মনোরম এবং আকর্ষণীয় শহর। এখানে কাঠমান্ডুর যাত্রা বিরতি এখানে করা সম্ভব (৬ ঘন্টা, প্রস্থান ০৬:০০ থেকে ০৯:০০; ১৬৫ টাকা)
  • পোখরা: সীমান্ত থেকে সরাসরি পোখরা যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি বাস রয়েছে। তবে বেশিরভাগ লোকাল বাস; কিছু বিলাসবহুল বাসও রয়েছে।প্রথমটি ০৪:৩০ এ ছাড়ে, তারপর বিকেলে ১৩:০০ এবং ১৭:০০ এ ছাড়ে। সময় পরিবর্তিত হতে পারে এবং বাস পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। তাই প্রচুর সময় হাতে রেখে সেখানে পৌঁছান। চাওয়া হলে প্রাইভেট কোম্পানি বাসও দেখাবে। দাম প্রায় ১২০০ টাকা (নেপালি রুপি); তবে আপনি ভারতীয় রুপিতেও দিতে পারেন।
  • শিলিগুড়ি: সীমান্ত অতিক্রম করার পরে, জনপ্রতি ৩৫ টাকায় শিলিগুড়ি পর্যন্ত যৌথ জিপ আছে। এটি কাকরভিটা থেকে ভারতীয় সীমান্ত শহর পানিটাঙ্কি পর্যন্ত ১০ মিনিটের হাঁটার পথ, যা একটি রিকশায় ভারতীয় ৬ রুপি ( নেপালি ১০ রূপি )। পানিটাঙ্কি থেকে শিলিগুড়ি (১ ঘণ্টা; ৩৫ কিমি) যাওয়ার জন্য একটি মিনিবাস (ভাড়া, ৩৫ ভারতীয় রূপি) আছে। শিলিগুড়ি থেকে আপনি টয়-ট্রেন অথবা বাসে (৩½ ঘন্টা, ₹৫০) দার্জিলিং (৭৯ কিমি) অথবা গ্যাংটক বা কালিম্পং যাওয়ার বাসে যেতে পারেন। আপনি শিলিগুড়ি (₹৬০) অথবা দার্জিলিং (₹১৪০) যাওয়ার জন্য ট্যাক্সিতেও যেতে পারেন। নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) থেকে আপনি কলকাতা বা অন্য জায়গায় যেতে একটি ব্রডগেজ ট্রেন পেতে পারেন। এছাড়াও শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভারতের অধিকাংশ প্রধান শহরে নিয়মিত ফ্লাইট রয়েছে এবং এর পাশাপাশি সপ্তাহে দুবার ব্যাঙ্কক এবং পারোতে ফ্লাইট রয়েছে ।