কে দ্বীপপুঞ্জ
কেই দ্বীপপুঞ্জ ইন্দোনেশিয়ায় মালুকু প্রদেশে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত দ্বীপগুলো হলো কেই বসার দ্বীপ, কেই কিচিল দ্বীপ এবং কেই তানিম্বার দ্বীপ। দক্ষিণ-পূর্ব মালুকুতে অবস্থিত কেই দ্বীপপুঞ্জের কেই কিচিল দ্বীপে পাসির পানজাং নামক একটি দারুণ সৈকত রয়েছে। মনে রাখবেন, এখানে মাত্র অল্পকিছু হোটেল রয়েছে এবং এগুলি অন্য দ্বীপগুলোর তুলনায় একটু বেশি ব্যয়বহুল। সৈকতের পাশে থাকাতে চাইলে আগে থেকেই বুকিং করা ভালো, বিশেষ করে কোস্টার্স এবং সাভানায় থাকার জন্য।
লাংগুর এবং তুয়াল দুটি নিকট বসতি, যেখানে লাংগুর পুলাউ কিচিলে এবং তুয়াল পুলাউ দুলাহতে অবস্থিত এবং শহর দুটি একটি ব্রিজের মাধ্যমে আলাদা হয়ে আছে। লাংগুর বেশি আবাসিক এবং শান্ত, তবে তুয়ালে পেলনি পিয়ার এবং অফিস অবস্থিত।
প্রবেশের উপায়
১/বিমান পথে:
কারেল সাদসুইতুবুন বিমানবন্দর (LUV IATA):
বিমান সংস্থাগুলি:—
অ্যাভিয়াস্টার: লারাট, সাউমলাকি। গারুডা ইন্দোনেশিয়া: আম্বন। শ্রীবিজয়া এয়ার: মাকাসার। ট্রিগানা এয়ার সার্ভিস: আম্বন, ডোবো, সাউমলাকি। উইংস এয়ার: আম্বন।
উল্লেখ্য: বিমানবন্দর কেই কিচিলের মাঝখানে অবস্থিত, যা অন্যান্য স্থান থেকে তুলনামূলকভাবে দূরে। লাংগুরের কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য একটি ওজেক (মোটরসাইকেল ট্যাক্সি) এর জন্য প্রায় Rp50,000 দিতে হতে পারে।
২/ নৌকায়: পেলাবুহান তুয়াল, জে. প্যাটিমুরা, মাসরুম, পুলাউ দুলাহ সেলতান:পেলনির দ্বারা পরিচালিত KM তিদার আম্বন থেকে চলে।এছাড়া KM তাতামাইলাউ টিমিকা থেকে চলে।
প্রকৃতি
১/ ডিফুর সৈকত (পান্তাই ডিফুর), তামেদান, পুলাউ দুলাহ উতারা, তুয়াল। ২/ হাওয়াং ফ্রেশওয়াটার গুহা (এয়ার গোয়া হাওয়াং), লেটভুয়ান। এখানে আপনি সাঁতার কাটতে পারবেন। ৩/ ওয়ারেন হ্রদ (ডানাউ ওয়ারেন NGADI), এনগাদি। ৪/ এনগুরব্লোত সৈকত (পান্তাই পাসির পানজাং), এনগিলনগফ, ওহোইলিলির। লোনলি প্ল্যানেট উল্লেখ করে যে এনগুরব্লোত সৈকতের বালি পৃথিবীর সবচেয়ে মসৃণ। এখানে বালি এত সূক্ষ্ম যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এনগুরব্লোত সৈকতকে এশিয়ার সবচেয়ে নরম সৈকতের বালি হিসেবে অভিহিত করেছেন। ৫/ এনগুরতাভুর সৈকত (পান্তাই এনগুরতাভুর)। ২৪ ঘণ্টা খোলা। একটি দূরবর্তী দ্বীপের সাদা বালির সৈকত। এটি অস্ট্রেলীয় পেলিকান পাখির আবাসস্থল হিসেবেও পরিচিত।
একটি মোটরবাইক ভাড়া নিয়ে দ্বীপটি ঘুরে বেড়ানো খুবই ভালো হতে পারে। জ্বালানী ছাড়া প্রতিদিন Rp70,000-100,000 ভাড়া আশা করা যায়। স্নর্কেলিং, ম্যাসাজ নেওয়া, সৈকতে সূর্যস্নান করা, মাছ ধরা, অথবা দীর্ঘ হাঁটার মাধ্যমে দিন কাটাতে পারেন, বা কিছুটা দুঃসাহসিক কাজেও অংশ নিতে পারেন। আপনি গুহা অন্বেষণ করতে পারেন, উপকূলীয় দ্বীপগুলি দেখতে পারেন, মালুকুর ঐতিহ্যবাহী রান্না শিখতে পারেন, এবং পেইন্টিং কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
১/ বায়ার দ্বীপ (পুলাউ বায়ার/বায়ার): স্বচ্ছ নীলকান্তমণি রঙের জলে সাঁতার কাটা। ২/ দেসা উইসাতা লেটমান: একটি ঐতিহ্যবাহী ফ্লাইং ফক্সের অভিজ্ঞতা নিন। এছাড়াও, লেটমান প্রবাল দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে নৌকায় ঘুরুন।