উইকিভ্রমণ থেকে
কৈলাশ পাহাড়ের প্রবেশদ্বার

কৈলাশ পাহাড় হল ভারতের দক্ষিণপূর্ব উপকূলের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের একটা মনোরম পর্যটন কেন্দ্র। 'কোথায় বেড়াতে যাওয়া হবে? সাগর না পাহাড়!'- এই বিষয় নিয়ে আত্মীয়-বন্ধুদের মধ্যে অনবরত টক্কর লেগেই থাকে। কিন্তু যদি পর্যটনকারীদের গন্তব্য এরকম হয় যে, 'সাগর-পাহাড়ে কোলাকুলি করছে যেথায়, অবলীলায় আমরা যাব সেথায়!' হেঁয়ালি ছেড়ে বলা যায়, কৈলাশ পাহাড় ভারতের এমন এক পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে সাগর পাহাড়ের পা ধুয়ে দিয়ে যায়। কৈলাশ পাহাড়ে বিশাল শিব-দুর্গার মূর্তি অবাক করার মতো! অর্থাৎ কৈলাশ পাহাড়ের পাশেই ঋষিকোণ্ডা সাগরতট। কৈলাশ পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আচমকা আপনার চোখে পড়ে যাবে ঋষিকোণ্ডা সাগরবেলার অপার, অনন্ত, অনাবিল ঢেউরাশি যেন আপনাকে ডাক দিয়ে যাচ্ছে অনবরত! হ্যাঁ, অন্ধ্র প্রদেশের এই পর্যটন কেন্দ্র একই সঙ্গে পাহাড় আর সাগর দেখার অপূর্ব সুযোগ!

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

  • কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে এক্সপ্রেস ট্রনে বিশাখাপত্তনম বা ভাইজাগ। এখান থেকে তিন চাকা অথবা চার চাকার ভাড়া গাড়িতে তিরিশ মিনিটের সওয়ার হলেই কৈলাশ পাহাড়ে পৌঁছানো যাবে।

কোথায় থকবেন?[সম্পাদনা]

  • ভাইজাগ স্টেশনের কাছেই হাঁটাপথে শ্রী কন্যা লজে থাকতে পারেন।

কী খাবেন?[সম্পাদনা]

  • অন্ধ্র প্রদেশের স্পেশাল ইডলি, ধোসা, সম্বর-বড়া খাওয়ার পরে শুধুমাত্র কৈলাশ পাহাড়েই পাবেন আনারস, আপেল, আঙুর ইত্যাদি ফলের রস; যেগুলো পথের ক্লান্তি দূর করে এবং একই সঙ্গে উপাদেয়ও বটে।

কী দেখবেন?[সম্পাদনা]

  • কৈলাশ পাহাড়ে ওঠার দুটো রাস্তা; প্রথমটা সরাসরি পায়ে হেঁটে, আর একটা হল চমকদার 'রোপওয়ে' বা রশিপথে চড়ে। রশিপথে পয়সা দিতে হলেও তা উশুল হয়ে যায় আশপাশের সৌন্দর্য দেখে। এছাড়াও পাহাড়ে ওঠার পর আরও চমক আছে, টয় ট্রেন! বাচ্চা থেকে বড়ো সব্বাইকে নিয়ে টয়ট্রেন পুরো পাহাড়ের মাথাটায় একটা চক্কর মেরে ঘুরিয়ে দেয়; সঙ্গে থাকে পাহাড় আর সাগরের নিসর্গ সৌন্দর্য উপভোগ করার একরাশ মজা!