উইকিভ্রমণ থেকে

খোকসা উপজেলা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ১০৬.৭০ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২৩°৪৪′ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°৫৩′ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°১৫′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°২২′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে কুমারখালীপাবনা সদর উপজেলা; দক্ষিণে শৈলকূপা উপজেলা; পূর্বে পাংশা উপজেলা এবং পশ্চিমে কুমারখালী উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে খোকসা উপজেলা সদরের দূরত্ব ১২৫ কিলোমিটার এবং জেলা শহর হতে ২৪ কিলোমিটার। এখানে স্থলপথে আসতে হয়। তবে, বিমান বন্দর নেই বলে এখানকার কোনো স্থানে বিমানে সরাসরি আসা যায় না। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ নৌপথও ততটা উন্নত না-হওয়ায় সর্বত্র জলপথে আসা-যাওয়া করা যায় না।

আকাশপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানে ঢাকা থেকে যশোর; অতঃপর সড়ক পথে কুষ্টিয়া আসা যায়।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে খোকসা উপজেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবহনের মধ্যে আছে পর্যটক পরিবহন, স্কাই লাইন, পাবনা এক্সপ্রেস ইত্যাদি।

ঢাকা হতে খোকসা সড়ক পথে ২ ভাবে আসা যায় :

  1. ফেরী পারাপারের মাধ্যমে - ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ মহাসড়ক পথে পাটুরিয়া ফেরী ঘাট থেকে ফেরী পার হয়ে দৌলতদিয়া রাজবাড়ী মহাসড়ক পথে রাজবাড়ী হয়ে কুমারখালী;
  2. বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে - ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক পথে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জ-বনপাড়া মহাসড়ক পথে বনপাড়া হয়ে মহাসড়ক পথে পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে লালন সেতু পার হয়ে কুমারখালী উপজেলায়।

রেলপথ[সম্পাদনা]

কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যমুনা সেতু হয়ে খোকসায় ট্রেন যোগে ভ্রমণ করা যায়। এই রুটের ট্রেন গুলোর মধ্যে চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস অন্যতম।

নৌপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই; কেবল অভ্যন্তরীণ দূরত্বে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নৌপথ ব্যবহৃত হয়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • নীলকুঠি,
  • রায়পুর পীরবাড়ি জামে মসজিদ,
  • মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ,
  • খোকসা কালী মন্দির,
  • জেরিয়াট্রিক ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন,
  • ফুলবাড়ি মন্দির,
  • খোকসা জানিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০০),
  • ফুলবাড়ি হাইস্কুল (১৯০০)।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়ার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে আছে তিলের খাজা, কুঠি বাড়ির সামনে কুলফি। এখানে বেশ কিছু ভালো মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়।

থাকা ও রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

খোকসায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

সরকারি[সম্পাদনা]

  • জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, ডাকবাংলো রোড, খোকসা, +৮৮০১৭২৮ ২৫৮ ৭৭৮পরিচালনায়ঃ জেলা পরিষদ, কুষ্টিয়া।