বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

এশিয়া> দক্ষিণ এশিয়া> পাকিস্তান> গিলগিট-বালতিস্তান> গিলগিট

গিলগিট উপত্যকা।

গিলগিট ( উর্দু: گلگت) হলো পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের একটি পাহাড়ি শহর। পাকিস্তানি হিমালয় অন্বেষণ অথবা চীন থেকে ফিরতি পথে সকল ভ্রমণকারীর এখানে অন্তত একটি রাত কাটানো উচিত এবং এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা উচিত। এটি আপনার ভ্রমণকে আরও গবেষণাময় ও সম্ভাব্য ভ্রমণ অংশীদারদের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিতে পারে অথবা কেবল একটি বিরতি নেওয়ার জন্য একে একটি দুর্দান্ত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি এর কাছাকাছি রাকাপোশিতে পর্বতারোহীদের জন্য একটি লঞ্চিং প্যাডও (আরোহণকেন্দ্র)।

অনুধাবন

[সম্পাদনা]

পরিদর্শনের সেরা ঋতু মে থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত। স্থানীয় উপভাষা হল শিনা; তবে উর্দু এবং ইংরেজিও বলা এবং বোঝা যায়।

প্রবেশ

[সম্পাদনা]
গিলগিট শহর; গিলগিট সেরেনা হোটেল থেকে একটি দৃশ্য।

গিলগিট চিলাস এবং করিমাবাদের মধ্যে চলাচলকারী কারাকোরাম মহাসড়ক থেকে কিছু দূরে অবস্থিত এবং বেশিরভাগ লোক এখানে সড়কপথে আসে।

ইসলামাবাদ থেকে বাস যাত্রায় ২৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে; খরচ ৩০২০ থেকে ৪১৮০ টাকার মধ্যে থাকবে। গিলগিটগামী বাস রাওয়ালপিন্ডির পীরওয়াধাই বাস টার্মিনাল থেকে দিনে তিনবার ছাড়ে। ইসলামাবাদ/রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের মধ্যে চলাচলকারী সরকারী বাস কোম্পানি হলো ( যা বিদেশী যাত্রীদের জন্যও অনুমোদিত) ন্যাটকো (NATCO; উত্তর অঞ্চল পরিবহন কর্পোরেশন)। তবে ইসলামাবাদ/ রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিট পর্যন্ত ন্যাটকো বাস যাত্রায় বিদেশী যাত্রীদের জন্য ১০টি পাসপোর্ট কপি আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যা তাদের মহাসড়কে প্রতিটি পুলিশ চেকপয়েন্টে উপস্থাপন করতে হবে।

বিমানে

[সম্পাদনা]

গিলগিটের একটি ছোট বিমানবন্দর রয়েছে, যেখানে পিআইএ-এর নির্ধারিত ফ্লাইটে ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটে পৌঁছানো যায়; তবে বৈরি আবহাওয়া হলে ফ্লাইটে বিলম্ব এবং বাতিল হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা।

  • 1 গিলগিট বিমানবন্দর (Q2985800)

ঘোরাঘুরি

[সম্পাদনা]

গণপরিবহনে

[সম্পাদনা]

গিলগিট-বালতিস্তানে সাধারণত স্থানীয় যাতায়াতের জন্য ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করা হয়। জিপ ভাড়া নেওয়াও একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। কাছাকাছি শহরে যাওয়ার জন্য আপনি বাস অথবা বিমানের মাধ্যমেও যেতে পারেন।

গিলগিট শহরের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্যে আপনি ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন বা যাত্রীবাহী মিনিভ্যানের সুবিধা নিতে পারেন। রাস্তায় চলাচলকারী মিনিভ্যান দেখলে হাত উচিয়ে থামাতে পারেন। গাড়িতে ওঠার পর যখন আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে চাইবেন; তখন চালকের কেবিনে টোকা দিয়ে গাড়ি থামাতে পারেন।

গাড়ি/মোটরবাইকে

[সম্পাদনা]

গিলগিট শহর ঘুরে দেখার জন্যে আপনি একটি গাড়ি ভাড়া নিতে পারেন। যারা একটু বেশি রোমাঞ্চপ্রিয়, তারা মোটরবাইকও ভাড়া করতে পারেন। তবে আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নিন, কোন রাস্তাগুলো নিরাপদ এবং সেসবে চলাচলের সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নিন। গিলগিট-বালতিস্তানের বেশিরভাগ রাস্তায় পেট্রোল পাওয়া যায় এবং মোটরবাইক মেকানিকও প্রচুর এবং সুলভে পাওয়া যায়।

দর্শনীয়

[সম্পাদনা]
হুনজা পর্বতমালা।
বালতিত দূর্গ।
মানচিত্র
গিলগিটের মানচিত্র
  • 1 গিলগিট ব্রিজ গিলগিট নদীর ওপরে নির্মিত এই সেতুটি এশিয়ার বৃহত্তম ঝুলন্ত সেতু (দৈর্ঘ্য ১৮২ মিটার ও প্রস্থ ২ মিটার), যা একটি জীপ পারাপার হওয়ার জন্য যথেষ্ট। ব্রিজটি গিলগিটের ঐতিহ্যবাহী বাজারের শেষে অবস্থিত।
  • 2 কারগাহ বুদ্ধ (গিলগিট শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কারগাহ নালার(খাত) পাশে অবস্থিত)। একটি পাথরের ওপর খোদাই করা ৭ম শতাব্দীর বুদ্ধের একটি সুন্দর মূর্তি।
  • তাজ মুঘলের স্মৃতিস্তম্ভ: ৭০০ বছর আগে নির্মিত তাজ মুঘলের একটি বিজয় স্মৃতিস্তম্ভ, যা গিলগিট শহর থেকে জীপে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।
  • 3 শের কেল্লা (গিলগিট থেকে ৩৮ কিলোমিটার)। নালতা উপত্যকার সাথে সংযোগকারী একটি ট্রেকিং পথ। শের কিলা নাল্লা এবং একটি ছোট হ্রদে ট্রাউট মাছ শিকার উপভোগ করা যায়।
  • সিংগাল: গিলগিট থেকে প্রায় ৬১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ট্রেকিং রুট চিলাস ও কোহিস্তান উপত্যকার সাথে সংযুক্ত।
  • গাহকুচ: গিজার জেলার সদরদপ্তর, যা ট্রেকিংয়ের জন্য একটি আদর্শ স্থান। এছাড়াও এখানে ভালো মাছ ধরার স্থান এবং মৌসুমে হাঁস শিকারের সুযোগ রয়েছে এবং এটি ইস্কোমান উপত্যকার প্রবেশদ্বার। এখানে সরকারি বিশ্রামাগার ও বেসরকারি হোটেল ও আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে ( গিলগিট থেকে ৭৩ কিলোমিটার)। কাছের হাটুন গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে।
  • 4 নালতার উপত্যকা (গিলগিট থেকে জীপে ২ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত)। গিলগিট থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার জীপ যাত্রার দূরত্বে অবস্থিত। এখানে সরকারি বিশ্রামাগার, বেসরকারি হোটেল ও একটি স্কি ঢাল রয়েছে। এছাড়াও সবুজ আলপাইন বন, ছোট হ্রদ ও হিমবাহ এবং হ্রদে ট্রাউট মাছ ধরার সুযোগ রয়েছে। এই এলাকার ট্রেকিং রুটগুলি ইস্কোমান, চাল্ট ও পুনিয়াল উপত্যকার সাথে সংযুক্ত। আপনি এখানে কারগাহ বুদ্ধের মূর্তি দেখতে পারেন এবং চিলির কারগাহে ভ্রমণ করতে পারেন।
  • আপনি একটি জীপে গিজার জেলা, চিলাস শহর, আস্তোর জেলা, হুনজা উপত্যকা, স্কার্দু শহর এবং গাঞ্চে পরিদর্শন করতে পারেন। ৮,৬১১ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কে২ (K2), মাশাব্রুম, গাশাব্রুম, রাকাপোশি ও নাঙ্গা পর্বত (কিলার মাউন্টেন), যা বিশ্বের ষষ্ঠ উচ্চতম পর্বত ইত্যাদি পরিদর্শন করতে পারেন। আপনি ফেইরি মেডোজও পরিদর্শন করতে পারেন।
  • 5 পুরাতন ব্রিটিশ কবরস্থান (گورا ‍قبرستان) গিলগিটের পুরানো ব্রিটিশ কবরস্থান। (Q39075620)

করণীয়

[সম্পাদনা]

এই এলাকাটি নিঃসন্দেহে ট্র্যাকিং ও হাইকিংয়ের জন্য একটি স্বর্গরাজ্য।

কারাকোরাম আকাশ ভ্রমণ: পাকিস্তান ইন্টার্ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ( PIA) এক অসাধারণ আকাশযাত্রার ব্যবস্থা করে থাকে। এই যাত্রা আপনাকে আকাশপথে কারাকোরাম পর্বতমালার ওপর দিয়ে যাত্রার সুযোগ দেয়।

পর্বতারোহণ, ট্রেকিং ও হাইকিং: এ অঞ্চলটি বিশেষ করে পাহাড় আরোহন, ট্রেকিং এবং হাইকিংয়ের জন্য বিখ্যাত। নিষিদ্ধ অঞ্চলে ট্রেকিং বা পাহাড় আরোহনের জন্য আপনাকে পাকিস্তান সরকারী পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। এ অনুমতির জন্য আপনি ইসলামাবাদের কাশ্মীর হাইওয়ের পাকিস্তান স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ( তাদের টেলিফোন: +৯২-৫১-৯২০৩৫০৯)।

মাছ ধরা: এখানে মাছ ধরার জন্য অনুমতি নিতে হবে মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে। এ অঞ্চলের ঠান্ডা পানির বিখ্যাত ট্রাউট মাছ সর্বদা অন্যতম সেরা সুস্বাদু খাবার হিসেবে পরিচিত।

উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ: আপনি যদি চেরি ব্লসম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তাহলে এ অঞ্চল সঠিক স্থান। বসন্তকালে ( মার্চ–এপ্রিল) উপত্যকাটি বিভিন্ন ধরণের গোলাপি ফুলের রঙে সেজে ওঠে, যা জাপানি চেরি ব্লসম উৎসবের শহরগুলির সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে। এছাড়াও এখানে প্রচুর গোলাপ, লিলি, পাইন, উইলো ও ফার গাছ এবং বিভিন্ন প্রকারের ফলের গাছ যেমন: আপেল, এপ্রিকট, পীচ, প্লাম, তুঁত, আখরোট, ডালিম ইত্যাদি দেখা যায়। এই অঞ্চলটি বন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতে সমৃদ্ধ, যা দেশের অন্য কোন অংশে দেখা যায় না।

নৌকাবিহার এবং রাফটিং: গিলগিট নদী এবং ইন্দুস নদীতে নৌকাবিহারের সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে রাফটিংয়ের মজাও উপভোগ করতে পারেন।

ক্যাম্পিং: এখানকার প্রায় সব হোটেল ও আবাসনগুলি ক্যাম্পিংয়ের সুবিধা দেয়। তারা নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধাও প্রদান করে। এখানকার কর্মীরা বন্ধুসুলভ এবং আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত।

প্যারাগ্লাইডিং: এই এলাকায় প্যারাগ্লাইডিং (প্যারাশুটে উড্ডয়ন) করার সুযোগ রয়েছে এবং এর জন্য একটি স্থানীয় সংস্থা রয়েছে।

মাউন্টেন বাইকিং ও সাইক্লিং: সিল্ক রুটের বিখ্যাত ট্র্যাকগুলিতে মাউন্টেন বাইকিং (পাহাড়ে বাইক অথবা সাইক্লোন চালানো) ও সাইক্লিং করার সুযোগ আছে। এই পথে আপনি খুঞ্জারাব গিরিপথ দিয়ে চীনে প্রবেশ করতে পারেন। এখানকার বৌদ্ধ স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস এত প্রাচীন যে, খুব কম মানুষই এসব দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এটি সেই অঞ্চল, যেখানে ভারত থেকে বৌদ্ধধর্ম চীন, কোরিয়াজাপানে বিস্তার লাভ করে।

হাঁটাহাটি: গাইডের সাহায্যে অথবা একাই আপনি এই অঞ্চলের নিরাপদ ও অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এখানকার মানুষজন খুবই অতিথিপরায়ণ, বিনয়ী এবং সাহায্যপ্রবণ।

কেনাকাটা

[সম্পাদনা]

শহরের চারপাশে এমন ব্যাঙ্ক রয়েছে যেগুলি নগদ এবং ভ্রমণকারীদের চেক পরিবর্তন করে। কিছু দোকান বৈদেশিক মুদ্রাও গ্রহণ করে। আপনি রত্ন পাথর, প্রাচীন জিনিস এবং চীনা পণ্য কিনতে পারেন - সিল্ক থেকে ইলেকট্রনিক্স যা কিছু।

  • 1 এনএলআই (NLI) মার্কেট, এনএলআই রোড একটি জীবন্ত বাজার এলাকা। কিছু নির্দিষ্ট দিনে মোটর যান চলাচলের জন্য বন্ধ থাকে। এখানে আপনি বিভিন্ন সংগ্রহ বা স্মারক; যেমন রত্নপাথর কিনতে পারেন। এছাড়াও এখানে স্থানীয় সিম কার্ড পাওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য আপনার পাসপোর্ট ও ভিসার একটি ফটোকপি প্রয়োজন হবে।

গিলগিট-বালতিস্তানের খুব কম ব্যাঙ্ক ও এটিএম টাকা তোলার জন্য বিদেশী ব্যাঙ্ক কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করে। সে মতে একজন পরিদর্শনকারী বিদেশী হিসাবে আপনার সর্বোত্তম উপায় হবে গিলগিট-বালতিস্তানে আপনার পুরো যাত্রার জন্য পর্যাপ্ত নগদ নিয়ে আসা অথবা গিলগিটের আলফালাহ ব্যাঙ্ক শাখায় এটিএম ব্যবহার করার চেষ্টা করা, যা কখনও কখনও বিদেশী কার্ড থেকে টাকা তোলার কাজ করে।

আপনি স্থানীয় ফল; যেমন: আপেল, চেরি, এপ্রিকট ও ওমেগাসহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম; যেমন: কাঠবাদাম, চেস্টবাদাম, আখরোট ইত্যাদি খেয়ে দেখতে পারেন। রেস্তোরাঁগুলোতে পশ্চিমা ধাঁচের নাস্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় নাস্তা; যেমন: লবণ চা ও রুটি, পাশাপাশি চীনা খাবার, তন্দুরি ও স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। এই অঞ্চলে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মশলাদার খাবার খাওয়া হয় না। স্থানীয় খাবারে বিশেষ ধরনের শেকা রুটি (বিভিন্ন বৈচিত্র্য), হাতে তৈরি নুডল ঝোল, লবণাক্ত মাংস, ভাজা মাংস, শাকসবজি, বিভিন্ন ফল এবং দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত। সমস্ত পণ্য জৈব; কারণ এখানকার বাসিন্দারা রাসায়নিক সার ও স্প্রে ব্যবহার না করে ঐতিহ্যবাহী চাষে বিশ্বাসী।

পানীয়

[সম্পাদনা]
গিলগিট নদী।

বেশিরভাগ বিলাসবহুল হোটেলে নিজস্ব বার রয়েছে। তবে কিছু এলাকায় তাদের স্থানীয় অ্যালকোহলও পাওয়া যায়।

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]
গিলগিটের উপশহর।

গিলগিটে বাজেটসহ দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে সস্তা আবাসন রয়েছে।

  • পার্ক হোটেল গিলগিট
  • মদিনা গেস্ট হাউজ, এনএলআই চৌক হোটেলটি বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয়। এখানে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে উঠানে বসার ব্যবস্থা আছে। মে, ২০০৯ অনুযায়ী দাম হল: ৬ বেডের ডর্মিটরি (যৌথ) ১৫০ টাকা; শৌচাগারসহ যৌথরুম ৩৩০ টাকা; দ্বৈত রুম ৪৫০ টাকা; শৌচাগারসহ ব্যক্তিগত রুম ২০০- ৬০০ টাকা
  • নিউ ট্যুরিস্ট কটেয: বিদেশীদের কাছেও জনপ্রিয়। স্নানসহ ব্যক্তিগত দ্বৈত রুমের দাম ৩২০ টাকা। এর রুমগুলি বড় এবং তা ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এছাড়াও বাইরে বসার জায়গা রয়েছে।
  • গিলগিট মোটেল
  • পার্ক হোটেল, বিমানবন্দর রোড (মূল সড়কে জুটিয়াল থেকে প্রধান বাজারের দিকে অবস্থিত)। এটি বেশ প্রশস্ত; ভালো মানের খাবার পরিবেশন করে এবং এর অবস্থানও চমৎকার। কারণ এর নিকটেই পুরোনো জিনিসপত্রের দোকান রয়েছে।
  • 1 গোল রোড (বিমানবন্দরের সামান্য দক্ষিণে), +৯২৩৪৪৫৪০৫৫০৪ ব্যাকপ্যাকারদের (সীমিত বাজেটে ভ্রমণকারী) মধ্যে জনপ্রিয়। এখানে একটি সুন্দর বাগান ঘেরা উঠানের চারপাশে ব্যক্তিগত কক্ষ রয়েছে এবং একটি ছোট রেস্তোরাঁতে ভালো খাবার পরিবেশন করা হয়। ২০১৯ সালে একটি নতুন ডরমিটরি রুমের ভাড়া ৮০০ টাকা ছিল। আর ব্যক্তিগত কক্ষের ভাড়া ১৫০০ টাকা। মালিক মো. ইয়াকুব খুবই ভালো মানুষ। নিরাপদ পার্কিং ও ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

বিলাসবহুল

[সম্পাদনা]

সংযোগ

[সম্পাদনা]

প্রধান সড়ক বরাবর ইন্টারনেট ক্যাফে মুষ্টিমেয়; ফ্যাক্স ও টেলেক্স পাওয়া যায়।

প্রধান পোস্ট অফিস (সোম-শনি: ০৯:০০-১৯:০০ এবং রবিবার বন্ধ) প্রধান সড়কের কাছে সদর বাজারে অবস্থিত।

গিলগিট-বালতিস্তানে মাত্র একটি কর্মরত সেল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর রয়েছে। তা হল SCO/SCOM । একজন বিদেশী হিসাবে আপনি SCO-এর দোকান ও অফিসে একটি কার্যকরী সিম কার্ড কিনতে পারেন। এই ধরনের একটি সিম কার্ড সক্রিয় করতে সাধারণত প্রায় ২৪ ঘন্টা সময় লাগে।

নিরাপদে থাকুন

[সম্পাদনা]

অন্যান্য পাকিস্তানি অঞ্চলের তুলনায় গিলগিট অঞ্চল মোটামুটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ। ভ্রমণকারীরা–স্থানীয় ও বিদেশী উভয়ই এখনও এলাকাটি পরিদর্শন করে এবং শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য ও প্রকৃতি উপভোগ করে।

পরবর্তী ভ্রমণ

[সম্পাদনা]
রাকাপোশি
  • রাকাপোশি: কাছাকাছি এই পর্বতটি পর্বতারোহী ও হাইকারদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য এবং এটি বছরের বেশিরভাগ সময়ই অত্যাশ্চর্য সব প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর থাকে। মূল ক্যাম্পে যাওয়ার দৃশ্যগুলি শরৎকালে বিশেষ চমত্কার হয়, যখন পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চল কমলা হলুদ এবং লাল রঙে রঙ্গিত হয়। আপনি সেখানে গিলগিট থেকে একটি ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে পারেন বা নিজের চারপাশে হাইকিং সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
  • হুনজা উপত্যকা: আপনি গিলগিট থেকে দিয়ামির এলাকায় বসে হুনজা উপত্যকা দেখতে পারেন। শরতের রং ও ঋতুর পরিবর্তন আপনাকে বাড়িতে বসেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক চমৎকার দৃশ্য উপহার দিবে। জিপে করে হুনজায় পৌঁছাতে ৩৫ মিনিট সময় লাগে। তবে আবহাওয়া ও যানজটের কারণে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। হুনজার দিকে যাওয়ার রাস্তা উত্তেজনাপূর্ণ, শ্বাসরুদ্ধকর ও আজীবন মনে রাখার মতো এক অনন্য অভিজ্ঞতা। হুনজায় পাকিস্তানের মধ্যে সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার রয়েছে, যা প্রায় ৯৮% এবং এখানকার মানুষ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। অঞ্চলটি বেশ উন্নতও। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির কয়েকটি এখানে দেখা যায়।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন