উইকিভ্রমণ থেকে

ঢাংমারী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

ঢাংমারী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা বাগেরহাট জেলার অন্তর্গত। এটি দেশের রাজধানী ঢাকা হতে ৩৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত যা ২০১২ সালে অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বিশেষত্ব[সম্পাদনা]

বাগেরহাট জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন ঢাংমারী এলাকায় এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। ঢাংমারী এলাকার ৩৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে এই অভয়ারণ্যটি বিস্তৃত।

শকুনের নিরাপদ এলাকা-২ তফসিল অনুসারে সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য শকুনের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষিত।

২০১২ সালে সুন্দরবনের ঢাংমারী, চাঁদপাই ও দুধমুখী এলাকার নদীকে ডলফিনের অভয়ারণ্য ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। এ তিনটি এলাকার ১০.৭ বর্গকিলোমিটার নদীতে রয়েছে ইরাবতি ডলফিন ও শুশুকের বিচরণ।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে বাগেরহাটের দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। বাগেরহাটে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

ঢাকার সায়েদাবাদ বাসষ্টপ থেকে ঢাকা-বাগেরহাট সরাসরি বাস সার্ভিস বিদ্যমান আছে; এতে এসে তারপর সেখান থেকে ঢাংমারী পৌছাতে হয়। এই রুটে গাড়িগুলো হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ। হিনো চেয়ার কোচগুলো গুলো ফেরী পারাপার এবং নরমাল চেয়ার কোসগুলো লঞ্চ পারাপার।

ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বাগেরহাটে সরাসরি লঞ্চ সার্ভিস আছে, সেগুলোতে করে বাগেরহাট এসে তারপর সেখান থেকে ঢাংমারী পৌছাতে হয়।

ঘুরে দেখুন[সম্পাদনা]

নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন; এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো -

  1. ষাট গম্বুজ মসজিদ
  2. খান জাহান আলী-এর মাজার
  3. সুন্দরবন
  4. মংলা বন্দর
  5. রেজা খোদা মসজিদ
  6. জিন্দা পীর মসজিদ
  7. ঠান্ডা পীর মসজিদ
  8. সিংগাইর মসজিদ
  9. বিবি বেগুনি মসজিদ
  10. চুনাখোলা মসজিদ
  11. নয় গম্বুজ মসজিদ
  12. কোদলা মঠ
  13. রণবিজয়পুর মসজিদ
  14. দশ গম্বুজ মসজিদ
  15. সুন্দরবন রিসোর্ট, বারাকপুর
  16. চন্দ্রমহল, রনজিতপুর।