তজুমদ্দিন উপজেলা

উইকিভ্রমণ থেকে
ভোলা জেলা > তজুমদ্দিন উপজেলা
এই পাতাটি অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অপসারণ নীতিমালাটি পড়ে, উইকিভ্রমণ:অপসারণ ভোটাভুটি পাতায় আপনার মতামত দিন। আলোচনাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধের লেখক হন তবে মনে রাখবেন, এই মনোনয়নটি আপনার কাজের সমালোচনা নয়, বরং এটি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম বা বিষয় উইকিভ্রমণের নিবন্ধের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে কিনা তার একটি বিজ্ঞপ্তি।

তজুমদ্দিন উপজেলা বাংলাদেশের ভোলা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৫১২.৯২ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°২১´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°৩৪´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৯০°৪৭´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯১°০১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে দৌলতখান উপজেলা; দক্ষিণে মেঘনা নদী, লালমোহনমনপুরা উপজেলা; পূর্বে মেঘনা নদীহাতিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা। এ উপজেলার প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে শাহবাজপুর চ্যানেল অবস্থিত।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে তজুমদ্দিন উপজেলার দূরত্ব ২১০ কিলোমিটার এবং জেলা সদর ভোলা থেকে দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। ভোলা জেলাটি একটি দ্বীপাঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। তবে, রেল এবং বিমান পথে এখানে সরাসরি পৌছানোর কোনো সুযোগ এখনও গড়ে ওঠেনি।

সড়ক পথে[সম্পাদনা]

  • ঢাকার গুলিস্তান/যাত্রাবাড়ি/ফার্মগেইট জাতীয় মহাসড়কে হয়ে লক্ষ্মীপুর এসে মজুচৌধুরীর হাট হয়ে তজুমদ্দিন।
  • ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরিঘাট হয়ে বরিশাল এসে সেখান থেকে স্প্রীড বোর্ড অথবা লঞ্চ অথাব বাস যোগে তজুমদ্দিন উপজেলা।

নদী পথে[সম্পাদনা]

  • ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে সরাসরি তজুমদ্দিন আসা যায়; এতে সময় লাগে প্রায় ৮ ঘণ্টা।
  • ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চ যোগে ভোলায় এসে সেখান থেকে নৌপথে বা সড়ক পথে কুঞ্জের হাট হয়ে তজুমদ্দিন আসা যায়।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

  1. মেঘনা নদীর তীর (মোহনা);
  2. চর জহির উদ্দিন;
    শহর হতে রিকসা, অটোরিক্সা অথবা ট্যাক্সিযোগে মেঘনা নদীর উপকূলে গিয়ে ট্রলার যোগে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নদী বক্ষে।
  3. চর মোজাম্মেল;
    শহর হতে রিকসা, অটোরিক্সা অথবা ট্যাক্সিযোগে মেঘনা নদীর উপকূলে গিয়ে ট্রলার যোগে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নদী বক্ষে।

খাওয়া - দাওয়া[সম্পাদনা]

চরফ্যাশনে খাবারের জন্য বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ

  • হোটেল ইমান - মোবাইল: +৮৮০১৭১৭-৮০৮ ৮৮৫;
  • হোটেল জান্নাত - মোবাইল: +৮৮০১৭৪৩-৭০৪ ৪৫৪;
  • সিলেট ক্যান্টিন - মোবাইল: +৮৮০১৭২৯-৪৬১ ৯৩৫;
  • ভাই ভাই হোটেল;
  • লাজুক হোটেল।

থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান[সম্পাদনা]

চরফ্যাশনে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

  1. জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - তজুমদ্দিন; মোবাইল: +৮৮০১৭৩৬-১২৫ ১৫৮, +৮৮০১৭১৭-৯৮৫ ৮৮৪।
  2. তজুমদ্দিন বোডিং - সদর রোড, তজুমদ্দিন। মোবাইল: +৮৮০১৭১৬-১৮৬ ৫৮২।
  3. নাহিম বোডিং - সদর রোড, তজুমদ্দিন। মোবাইল: +৮৮০১৭১৫-৮৪৭ ৭১৪।
  4. বসুন্দরা বোডিং - সদর রোড, তজুমদ্দিন। মোবাইল: +৮৮০১৭৫৩-৮৩৫ ৫৫২।
  5. কবির বোডিং - সদর রোড, তজুমদ্দিন। মোবাইল: +৮৮০১৭৩০-১৬৯ ৬৭২।
  6. বিসমিল্লা বোডিং - সদর রোড, তজুমদ্দিন।

জরুরি নম্বরসমূহ[সম্পাদনা]

  • উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, তজুমদ্দিন: মোবাইল: +৮৮০১৬৭২-৬৬৭ ৯১৯;
  • উপজেলা নির্বাহী অফিসার তজুমদ্দিন: ০৪৯২৭-৫৬০০১; মোবাইল: +৮৮০১৭১৬-৪০০৬৬৫;
  • ওসি তজুমদ্দিন: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩০২।