উইকিভ্রমণ থেকে

নগরবাড়ি-মোহনগঞ্জ শুশুক অভয়ারণ্য

নগরবাড়ি-মোহনগঞ্জ শুশুক অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা পাবনা জেলার অন্তর্গত। এটি দেশের রাজধানী ঢাকা হতে ১০৫ কিমি পশ্চিমে জেলায় অবস্থিত যা ২০১৩ সালে ইরাবতী ডলফিনের অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বিশেষত্ব[সম্পাদনা]

পাবনা জেলার নগরবাড়ি-মোহনগঞ্জের যমুনা নদীতে এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। নগরবাড়ি-মোহনগঞ্জ এলাকা দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর ৪০৮ হেক্টর এলাকা নিয়ে এই অভয়ারণ্যটি বিস্তৃত।

নদীর যেসব জায়গায় শুশুকের আনাগোনা বেশি, সেখানে মাছেরও আনাগোনা বেশি থাকে বলে জেলেদের কাছে এ প্রাণীর কদর রয়েছে। এই অভয়ারণ্যের ডলফিন ধরা, মারা বা এর প্রজনন ক্ষেত্র বিনষ্ট করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

সড়ক পথে ঢাকা হতে পাবনার দূরত্ব ১০৫ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে পাবনা রেল স্টেশনের দূরত্ব ১০৯ কিলোমিটার। এখানে সড়ক, বিমান ও নৌ - সকল ভাবেই আসা যায়।

ঢাকা থেকে পাবনায় বাসে যাওয়া যায়। এসি বাসে খরচ পড়বে ৩০০৳ আর নন-এসি বাসে খরচ পড়বে ৪০০৳।

ঈশ্বরদী উপজেলায় একটি বিমানবন্দর রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঈশ্বরদীতে সপ্তাহে দুইবার বিমান পরিচালনা করত। তবে, এই মুহূর্তে কোনও উড়োজাহাজ কোম্পানি ঈশ্বরদীতে কোন বিমান পরিচালনা করছে না।

পাবনা শহরে কোন রেললাইন না থাকলেও কিছু ট্রেন ঈশ্বরদী মূল জংশনে থামে। চাটমোহর এবং ঈশ্বরদী রেল স্টেশন থেকে বাসে চড়ে সহজেই পাবনা শহরসহ পাবনার বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব।

নৌ-পথে শুশুক অভয়ারণ্যে যেতে হয়।

ঘুরে দেখুন[সম্পাদনা]

নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন; এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো -

  1. লালন শাহ সেতু;
  2. হার্ডিঞ্জ ব্রিজ;
  3. পাবনা মানসিক হাসপাতাল;
  4. জোড় বাংলা মন্দির;
  5. তাড়াশ ভবন;
  6. পাকশী রিসোর্ট;
  7. চাটমোহর শাহী মসজিদ;
  8. জোড় বাংলা মাজার;
  9. সমাজ শাহী মসজিদ;
  10. আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ী;
  11. শাহী মসজিদ;
  12. শ্রী শ্রী অনুকৃল চন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম;
  13. নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস;
  14. বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র;
  15. পাবনা সুগার মিল্স;
  16. সাঁড়া ঘাট;
  17. ঈশ্বরদী বিমানবন্দর;
  18. রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র;
  19. নগরবাড়ী ঘাট;
  20. বেড়া পাম্প স্টেশন;
  21. বেড়া পোর্ট

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

পাবনায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের মানসম্মত রেস্ট হাউস ও হোটেল রয়েছে, যেখানে ৪০০ থেকে ২,০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাওয়া যায়। প্রথমত শীলটন, স্বাগতম রেস্তোরার দোতলায় হোটেল সুবিধা রয়েছে, আর পাবনা শহরের সবগুলো হোটেলই হামিদ রোড আর রুপকথা রোডে অবস্থিত। ভালো রিসোর্টের মধ্যে রয়েছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। এছাড়াও থাকতে পারবেন -

  • উপজেলা ডাকবাংলো, বেড়া;
  • ওয়াবদা গেষ্ট হাউজ, বেড়া;
  • শাহীন আবাসিক হোটেল, বেড়া।

কী খাবেন[সম্পাদনা]

এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এখানে জলযোগের খিঁচুড়ি আর শিঙাড়ার অনেক সুনাম রয়েছে। এছাড়া কিছু জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান রয়েছে, এখানের বনলতা সুইটসের দই, প্যারাডাইসের প্যাড়া সন্দেশ বিখ্যাত।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন