উইকিভ্রমণ থেকে
দিনাজপুর জেলা > নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান

নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান

নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৫১৭.৬১ হেক্টর বা ১২৭৮.৪৯ একর জমি নিয়ে এই জাতীয় উদ্যানটি গঠিত।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

স্থলপথে[সম্পাদনা]

বাস

ঢাকার গাবতলী-কল্যাণপুর ও মহাখালী থেকে দিনাজপুরগামী বাসগুলি ছেড়ে যায়। বাস সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে নাবিল পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, এস এ পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন ইত্যাদি। আপনাকে বিরামপুর শহরে নামতে হবে।

রেল

ঢাকা থেকে দিনাজপুর রেলে যেতে প্রায় ১০ ঘণ্টা লাগে।

  • একতা এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ছাড়ে সকাল ১০ টায় এবং দিনাজপুর থেকে রাত ৯ টা ২০ মিনিটে। সাপ্তাহিক ছুটি সোমবার।
  • দ্রুতযান, ঢাকা থেকে ছাড়ে সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিট এবং দিনাজপুর থেকে সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে। সাপ্তাহিক ছুটি বুধবার।

আপনি বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন এ নামতে হবে।

বিস্তারিত[সম্পাদনা]

বিরামপুরে আপনি যেকোন একটি ভ্যান-রিকশা বা অটো দিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পৌছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে ভাড়া জনপ্রতি ১৫-২০ টাকা। বিরামপুর থেকে ইজিবাইক, ভ্যান-রিক্সা যোগে সহজেই যাওয়া যায় এই দর্শনীয় স্থানটিতে। বিরামপুর অংশের পীরদহ ঘাট, লালঘাট সহ বিলের আরও কিছু এলাকা দেখতে ঢাকামোড় থেকে জয়নগর অথবা চরকাই গ্রাম হয়ে রতনপুর তারপর ধানজুড়ি-নেটাশন ও দিঘলচাঁদের পূর্বপাশেই আশুড়ার বিল পৌছানো যাবে।

বিলে নবাবগঞ্জ সীমানায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আঁকাবাঁকা নান্দনিক কাঠের সেতু দেখতে সীতার কোট- ফতেপুর মাড়াষ হয়ে বনের ভেতর দিয়ে উত্তরদিকে অথবা শগুনখোলা গ্রামের আদর্শ ক্লাব হয়ে বনের ভেতর দিয়ে উত্তরদিকে মুনির থান ঘাট সংলগ্ন কাঠের সেতু পৌছানো যাবে।

কী দেখবেন?[সম্পাদনা]

এই বনে শাল ছাড়াও সেগুন, গামার, কড়ই, বেত, বাঁশ, জামসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ প্রজাতির গাছগাছড়া রয়েছে। প্রানীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পাখি এবং ভয়ানক প্রানীর মধ্যে রয়েছে শিয়াল যা সন্ধ্যার পর ছাড়া দেখা যায় না। এই উদ্যানেই রয়েছে বাল্মিকী মনির থান এবং ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সীতার কোট বৌদ্ধবিহার যা নিয়ে সীতার বনবাস কিংবদন্তি রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি হল আশুড়ার বিল। এ বিলের উপর স্থাপিত হয়েছে মনোমুগ্ধকর শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেতু। এই বিলে নৌকাভ্রমণ করতে পারেন। দাম সর্বোচ্চ জনপ্রতি ৩০-৪০ টাকা।