উইকিভ্রমণ থেকে

নীলফামারী জেলা বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক এলাকা, যা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের অন্তর্গত। ২৫°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৬°১৯´ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮°৪৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ হতে ৮৯°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত ১,৫৮০.৮৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য; দক্ষিণে রংপুর জেলা; পূর্বে লালমনিরহাট জেলা এবং পশ্চিমে পঞ্চগড়দিনাজপুর জেলা অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা, ডিমলা, ডোমার, নীলফামারী সদরসৈয়দপুর - এই ছয়টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত জেলাটি রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৬১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

দেশের যেকোন স্থান হতে নীলফামারী জেলায় সরাসরি আসতে হলে স্থল এবং আকাশপথে আসা যায়; কেবলমাত্র জলপথে এখানে সরাসরি আসার কোনো ব্যবস্থা নেই। নীলফামারী জেলায় সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ রয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশের সাথে; কেবল নাব্যতার সমস্যা ও বড় নদ-নদী না-থাকায় এ অঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নৌ-পথে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।

স্থলপথে[সম্পাদনা]

সড়ক পথে ঢাকা হতে নীলফামারী জেলার দূরত্ব ৩৬১ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে নীলফামারী রেল স্টেশনের দূরত্ব ৫১০ কিলোমিটার। জেলাটি বিভাগীয় শহর রংপুর হতে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে নীলফামারী আসতে হলে মহাসড়ক পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া এবং গাইবান্ধা জেলা হয়ে আসতে হয়। ঢাকা থেকে এখানে সরাসরি বাসে আসা যায়; বিভিন্ন বিলাসবহুল পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ঢাকা-নীলফামারী রুটে চলাচল করে, যেগুলোর মাধ্যমে এখানে আসা যায়। নীলফামারী জেলা সদরের সাথে সকল উপজেলার পাকা সড়ক পথে যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়াও জেলা সদর হতে ইউনিয়নগুলোতে যাওয়ার জন্য পাকা রাস্তা রয়েছে।

ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, শ্যামলী, কল্যানপুর, কলাবাগান, ফকিরাপুল, আসাদগেট - প্রভৃতি বাস স্টেশন থেকে নীলফামারী আসার সরাসরি দুরপাল্লার এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস আছে; এগুলোতে সময় লাগে ৬.৩০ হতে ৮ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে নীলফামারীর উদ্দেশ্যে হানিফ, শ্যামলী, নাবিল, বাবলু, খালেক, রূপালী, দ্রুতি, নাদেল, বিআরটিসি, তুহিন, এস. এ., গ্রীনলাইন, হক, আগমনী প্রভৃতি পরিবহন কোম্পানীর বাস আছে প্রতিদিন।

  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা : ☎ ০২-৯১৪ ৪৪৮২, ৮০১ ১৭৫০, ৯০০ ৩৩৮০, ৮১১ ৯৯০১, মোবাইল: ০১১৯৮-২২০ ০৫২ (শ্যামলী), ০১১৯০-১৮৮ ১৬৯ (গাবতলি) এবং নীলফামারী : মোবাইল: ০১৭১০-৬০২ ৯৭০-৭, ০১৯১৬-৫০০ ৬৪১, ০১৭২৭-২৪৬ ০৩০ (সৈয়দপুর);
  • শ্যামলী পরিবহন, ঢাকা : ☎ ০২-৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর), ৯১২৪১৩৯ (শ্যামলী) এবং নীলফামারী : মোবাইল: ০১৭১৭-২৯২ ১২৫, ০১৭৩৪-১৩৬ ৬০৪ (সৈয়দপুর);
  • নাবিল পরিবহন, ঢাকা : ☎ ০২-৯০০ ৭০৩৬, ৯০১ ৩৬৮২, ৮১২ ৭৯৪৯, মোবাইল: ০১৭১৪-৮২৭ ৩৭৩ (আসাদগেট) এবং নীলফামারী : ☎ ০৫৫১-৬১৬৫২, মোবাইল: ০১৭১২-২০৪ ১৮৭, ০১৭১৭-০৬১ ১২২ (সৈয়দপুর);
  • নাদের পরিবহন, নীলফামারী : মোবাইল: ০১৩১৮-৯৪১ ৭১৬; ওয়েবসাইট : www.naderparibahan.com
  • হক পরিবহন, নীলফামারী : মোবাইল: ০১৭৩০-০৬০ ০৪৪;
  • বিআরটিসি, নীলফামারী : মোবাইল: ০১৭১৩-৭৭৪ ৭১১;
  • তুহিন পরিবহন, নীলফামারী : মোবাইল: ০১৮১৮-৬৩৬ ৯৪১ (সৈয়দপুর);
  • এস. এ. পরিবহন, নীলফামারী : মোবাইল: ০১৭১৮-৪১৩ ১৪৩ (সৈয়দপুর);
  • দ্রুতি পরিবহন, নীলফামারী : মোবাইল: ০১৭২৯-৫৯৯ ১১৩ (সৈয়দপুর);
  • গ্রীন লাইন পরিবহন, নীলফামারী : ০১৭৩০-০৬০ ০৩১ (সৈয়দপুর) এবং রংপুর : ☎ ০৫২১-৬৬৬৭, মোবাইল: ০১৭১২২২৯৪৯৪;
  • আগমনী পরিবহন, রংপুর : ☎ ০৫২১-৬৩৩১৩, মোবাইল: ০১৭১২-০৯২ ১২৩।

আকাশ পথে[সম্পাদনা]

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে একটি বিমানবন্দর থাকায় এখানে সরাসরি আকাশ পথে আসা যায়: তবে এটি অভ্যন্তরীন বিমানবন্দর হওয়ায় কেবল ঢাকা থেকে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সাথে। পুরো রংপুর বিভাগেরই একমাত্র বিমানবন্দর এটি, যার মাধ্যমে এই অঞ্চলের যেকোনো স্থানের সাথে দেশের অন্যান্য স্থানের আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান, জেট এয়ার, নোভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার - প্রভৃতি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা রয়েছে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর আসার জন্য।

বাংলাদেশ বিমানের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা-সৈয়দপুর ও সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করে; এতে যাতায়তের ক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে একপথে ৩,০০০/- এবং রিটার্ণ টিকিট ৬,০০০/-। বিমানটির সময়সূচী হলোঃ

  • ঢাকা হতে সৈয়দপুর - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০২ টা ২০ মিনিট।
  • সৈয়দপুর হতে ঢাকা - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০৩ টা ৩৫ মিনিট।

এই সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

    • ম্যানেজার, সৈয়দপুর বিমান বন্দর, মোবাইল - ০১৫৫৬-৩৮৩ ৩৪৯।

জল পথে[সম্পাদনা]

অপ্রচলিত মাধ্যম হিসাবে নৌপথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে; তবে কেবলমাত্র স্থানীয় পর্যায় ছাড়া অন্য কোনো এলাকার সাথে, কিংবা ঢাকা থেকে বা অন্যান্য বড় শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না। অবশ্য, চরাঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌযান।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]