উইকিভ্রমণ থেকে

পুঠিয়া বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি গ্রাম এবং প্রাচীন মন্দির ও প্রাসাদ চত্বর।

অনুধাবন[সম্পাদনা]

পুঠিয়া রাজবাড়ী

পুঠিয়া রাজ পরিবারের নামে শহরটির নামকরণ করা হয়েছে, যারা ১৬ শতকের কিছু সময় এই এলাকার মালিকানা লাভ করে। সম্রাটের কাছ থেকে রাজ পরিবারের প্রধান ভট্টাচার্য জমিদার (ধনী হিন্দু জমির মালিক) উপাধি পেয়েছিলেন। তারে এ স্থানে একটি হ্রদের চারপাশে বিস্তৃত লন সহ বেশকয়েকটি মন্দির এবং প্রাসাদ তৈরি করেছিল। পুঠিয়া এস্টেট উন্নতি লাভ করে, এবং এটি সমস্ত ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ধনী জমিদারিতে পরিণত হয়। ভারত বিভক্তির পর, নতুন পাকিস্তান সরকার সমস্ত জমিদারদের তাদের উপাধি এবং জমি প্রত্যাহার করে এবং এর পরেই পরিবারটি ভারতে পালিয়ে যায়।

বর্তমানে, স্থানটি মোটামুটি ভালভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। এই এলাকায় বেশকয়েকটি হিন্দু মন্দিরের পাশাপাশি রয়েছে মনোমুগ্ধকর পুঠিয়া রাজবাড়ী। এর নিছক মহিমা এবং আশ্চর্যজনক ইতিহাসের কারণে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের সাথে সাথে স্থানটি ভ্রমণকারীদের বিস্ময়ভূমিতে পরিণত হচ্ছে।

প্রবেশ[সম্পাদনা]

ঘুরুন[সম্পাদনা]

পুঠিয়া একটি ছোট স্থান হবার কারবে পায়ে হেঁটে সহজেই পুরা স্থান ঘুরে দেখা যায়। অন্যথায়, রিকশা করেও ঘুরা যায়। চাইলে চালককে কয়েক ঘন্টা বা এমনকি সারা দিনের জন্য ভাড়া করা সম্ভব।

দেখুন[সম্পাদনা]

বড় আহ্নিক মন্দির
শ্যাম সরোবর

পুঠিয়া মন্দির চত্বরে মোট ১৩টি মন্দির রয়েছে।

মন্দিরের নাম সময়কাল স্থাপত্য ধরন অবস্থান
বড় শিব মন্দির ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দ পঞ্চরত্ন
রথ মন্দির ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দ শিব মন্দিরের পাশে
দোল মন্দির, পুঠিয়া ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দ
পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির পঞ্চরত্ন পুঠিয়া রাজবাড়ির ভিতরে
ছোট আহ্নিক মন্দির, পুঠিয়া খ্রি. ১৭শতক রাণীর গোসলের ঘাটের দক্ষিণে
বড় আহ্নিক মন্দির খ্রি. ১৭-১৮শতক
গোপাল মন্দির ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দ
ছোট গোবিন্দ মন্দির খ্রি. ১৮শতক
কৃষ্ণপুর গোবিন্দ মন্দির, পুঠিয়া (সালামের মঠ) চারচালা
কৃষ্ণপুর শিব মন্দির, পুঠিয়া (ক্ষিতিস চন্দ্রের মঠ) খ্রি. ১৮-১৯শতক
কেষ্ট ক্ষ্যাপার মঠ ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দ
বড় গোপাল মন্দির
জগদ্ধাত্রী মন্দির খ্রি. ১৯শতক

খাওয়া[সম্পাদনা]

কলাই রুটি

গ্রামের মাঝখানে বেশকয়েকটি ছোট হোটেল এবং স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা রয়েছে। এখানে শ্যাম সরোবরের নিকট বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাই রুটি পাওয়া যায়।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

পুঠিয়াতে থাকার কোন বিকল্প নেই। যদিও ঢাকা থেকে একদিনের ট্রিপে সহজেই পুঠিয়া পৌঁছানো যায়। আপনি যদি কাছাকাছি রাত্রিযাপন করতে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে তবে রাজশাহী এবং নাটোর শহরে বিভিন্ন ধরণের বিকল্প রয়েছে।

পরবর্তী ভ্রমণ[সম্পাদনা]