24.366788.6000

উইকিভ্রমণ থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

রাজশাহী বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ এর একটি উল্লেখযোগ্য শহর।

যেভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে রাজশাহী শহরের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কি.মি.।

স্থলপথে[সম্পাদনা]

বাস

ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে রাজশাহী যাবার জন্য এসি-ননএসি বাস আছে। এর মধ্যে দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, তুহিন এলিট, গ্রামীণ ট্রাভেলস উল্লেখযোগ্য।

  • দেশ ট্রাভেলস, ☎ +৮৮০১৭৪৬৪৭৪৭৮০
  • ন্যাশনাল ট্রাভেলস, ☎ +৮৮০১৭২৭৫৪৫৪৬০
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ☎ +৮৮০১৭২০২১৪৭৮৫
  • গ্রামীণ ট্রাভেলস, ☎ +৮৮০১৭০১৬৮৬৩২০
  • শ্যামলী পরিবহন
  • একতা পরিবহন

নন-এসি বাসের ভাড়া ৭১০ টাকা এবং এসি বাসের ১৪০০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া বাসের ধরন ও সময়ভেদে কম বেশি হয়।

রেল

ঢাকা থেকে রাজশাহী নিয়মিত ৩ টি রেল যাওয়া আসা করে। রেলগুলোতে শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা এবং এসি আসনের মূল্য যথাক্রমে ৩১৫, ৬০৪ এবং ৭২৫ টাকা।

ট্রেনের সময়সূচী
ট্রেন নং নাম বন্ধের দিন হইতে ছাড়ে গন্তব্য
৭৫৩ সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রবিবার ঢাকা ১৪৪০ রাজশাহী
৭৫৯ পদ্মা এক্সপ্রেস মঙ্গলবার ঢাকা ২৩১০ রাজশাহী
৭৬৯ ধূমকেতু এক্সপ্রেস শনিবার ঢাকা ০৬০০ রাজশাহী

আকাশ পথে[সম্পাদনা]

'শাহ মখদুম বিমানবন্দর' রাজশাহীতে অবস্থিত। এটি রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একমাত্র বিমান বন্দর। শুধু আভ্যন্তরীন রুটের উড়োজাহাজ উঠা-নামা করে। বর্তমানে শুধু রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচল করে। বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এই রুটে সেবা দিয়ে থাকে।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাদুঘর হচ্ছে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। ১৯১৩ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল এটি উদ্বোধন করেন। বাঙালি ইতিহাস, ঐতিহ্য আর স্থাপত্যশিল্পের বিশাল সম্ভার রয়েছে এই বরেন্দ্র যাদুঘরে।

শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা

ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা আমাদের দেশে ঘোড়দৌড় বা রেস খেলার প্রচলন করে। খেলা দেখা ও বাজি ধরায় প্রচন্ড উত্তেজানা সৃষ্টি হত। শহরাঞ্চলেই ঘোড়দৌড় মাঠ বা রেসকোর্স ছিল। রেসের নেশায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন। অনেকে এ খেলায় সর্বস্বান্ত হয়েছে। কার্যত আয়োজকরাই লাভবান হয়েছে। রাজশাহী শহরের রেসকোর্স ছিল পদ্মার পাড়ে। সেই রেসকোর্স ময়দান এখন রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা।

পদ্মা গার্ডেন

পদ্মা নদীর পাড়ে এটি অবস্থিত।

টি বাঁধ

চিড়িয়াখানার ঠিক পেছনে এর অবস্থান। এখান থেকে পদ্মা নদীর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

রাজশাহীর কালাই-রুটি খুব বিখ্যাত। শহরের বিভিন্ন জায়গাতে এই খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া রাজশাহী শহরে বিভিন্ন ধরণের রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযো হচ্ছেঃ

  • নানকিং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট - সি এন্ড বি মোড়;
  • মাস্টার শেফ - আলোকার মোড়;
  • অর্ডাস আপ - জামাল সুপার মার্কেট (২য় তলা), সাহেব বাজার;
  • ফ্লেভার্স ফাস্টফুড এন্ড রেস্টুরেন্ট- জিরো পয়েন্ট, সাহেব বাজার;
  • বিন্দু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট - বিন্দুর মোড়, রেলগেট;
  • মাস্টার শেফ বাংলা - লক্ষ্মীপুর;
  • রহমানিয়া হোটেল - গণক পাড়া, সাহেব বাজার;
  • নিউ বিদ্যুৎ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট - সাহেব বাজার (বড় মসজিদের পাশে);
  • সীমান্তে নোঙর - পাঠান পাড়া, পদ্মার পাড়;
  • সীমান্তে অবকাশ - পাঠান পাড়া, পদ্মার পাড়;
  • সিটি ফুড - শিরোইল ঢাকা বাস টার্মিনাল;
  • সল্ট মিট - নিউমার্কেট;
  • চিলিস কাবাব এন্ড ফুড - জিরো পয়েন্ট, সাহেব বাজার;
  • পর্যটন বার এন্ড রেস্টুরেন্ট - শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা সংলগ্ন;
  • রুট ৬ ডি লাউঞ্জ - কাজলা;
  • ব্লু ওয়াটার - পদ্মা আবাসিক রোড, ভদ্রা;
  • মিল্টিং মোমেন্ট - জামাল সুপার মার্কেট (৩য় তলা), সাহেব বাজার;
  • রেইনি পার্ক-থিম পার্ক রেস্টুরেন্ট - সি এন্ড বি মোড়।

রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

পরবর্তিতে যান[সম্পাদনা]