উইকিভ্রমণ থেকে


পেঁড়ো-বসন্তপুর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার দুটো ছোটো ছোটো অচেনা গ্রাম। এই অঞ্চলের একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে; সেটা হচ্ছে মঙ্গলকাব্যের কবি রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র তাঁর জীবৎকালের কিছু সময় এখানে বসবাস করেছিলেন। আর কবিদের সঙ্গে নদনদীর এক আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বলা বাহুল্য, পাশ দিয়ে বয়ে যেত খরস্রোত দামোদর নদ। কিন্তু এখন বাস্তবে দামোদর মজে গিয়েছে; স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় ‘কানা দামোদর’! তবে দুদিকে উঁচু বাঁধ রয়েছে তার সাক্ষী হয়ে। পেঁড়ো থেকে বাঁধ ধরে এক-দুই কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই পাশের গ্রাম চালতাখালিতে দেখবেন মঙ্গলকাব্যের কবির স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ‘চালতাখালি রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র ইনস্টিটিউশন’। বড়োবাঁধের ঢালে সবুজ ঘাসের গালিচা মোড়া প্রকৃতি মায়ের কোলে বিস্তীর্ণ প্রান্তর আপনাকে সদলবলে সপ্তাহান্তে চড়ুইভাতির জন্যে হতছানি দিয়ে আহ্বান জানাবে এবং পরবর্তীতে সঙ্গীসাথীদেরও এই আনন্দযজ্ঞে শামিল হতে অনুপ্রাণিত করবেন অবশ্যই।

কলকাতা থেকে পেঁড়ো-বসন্তপুরের দূরত্ব আনুমানিক পঞ্চাশ কিলোমিটার মাত্র। এখান থেকে উত্তর দিকে কয়েকটা গ্রাম পার হলেই পড়বে ডিহিভুরসুট, ‘ভুরিশ্রেষ্ঠ’ রাজাদের সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক ভূখণ্ড! যাঁরা অতীতের সঙ্গে বর্তমানকে মেলাতে চান, মঙ্গলকাব্যের পাতা উলটিয়ে ইতিহাস দিয়ে মাটিকে ছুঁতে চান, তাঁদের আসতেই হবে পেঁড়ো-বসন্তপুর।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

  • পেঁড়ো-বসন্তপুর যাওয়ার বাস/মিনি বাস হাওড়া স্টেশনের হাওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পাওয়া যায়।
  • হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া-আমতা ট্রেনে মুনশিরহাট স্টেশন। মুনশিরহাট থেকে বাসে/মিনিবাস কিংবা ট্রেকারে পেঁড়ো-বসন্তপুর।
  • নিজের/ভাড়া চারচাকা গাড়িতে কলকাতা থেকে হাওড়া স্টেশন, হাওড়া ময়দান, শৈলেন মান্না সরণি (হাওড়া বাইপাস), দাশনগর, হাওড়া-আমতা রোড দিয়ে মুনশিরহাট হয়ে পেঁড়ো-বসন্তপুর।
  • নিজের/ভাড়া চারচাকা গাড়িতে কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের রানিহাটি থেকে ডানদিকে আমতা হয়েও পেঁড়ো-বসন্তপুর যাওয়া যায়।

কাছাকাছি যাতায়াত[সম্পাদনা]

ই-রিকশা বা আঞ্চলিক নাম টোটো।

কী খাবেন?[সম্পাদনা]

  • পেঁড়ো অথবা বসন্তপুর বাজারে স্থানীয় এবং ভারতীয় সবরকম খাবারদাবারই পাওয়া যায়।
হাওড়ার পেঁড়ো গ্রামে রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র রায়ের পৈতৃক বাড়ি