উইকিভ্রমণ থেকে

পেকুয়া বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৬৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার উত্তরে ২১°৪৩´ থেকে ২১°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৩´ থেকে ৯২°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত পেকুয়া উপজেলার আয়তন ১৩৯.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। ২০০২ সালের ২৩ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে পেকুয়া উপজেলা গঠিত হয়।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পেকুয়া উপজেলার জনসংখ্যা ১,৭১,৫৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৬,৩১০ জন এবং মহিলা ৮৫,২২৮ জন। এ উপজেলার ৯৮.৯৫% মুসলিম, ০.৯৬% হিন্দু এবং ০.০৯% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এছাড়া এ উপজেলায় মগ, রোয়াই প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

সড়কপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল অথবা কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে চকরিয়া পৌঁছে সেখান থেকে মটরগাড়ী যোগে পেকুয়া উপজেলায় যাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে বাসযোগে বাঁশখালী পৌঁছে সেখান থেকেও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে পেকুয়া যাওয়া যায়।

নৌপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরিঙ্গিবাজার থেকে লঞ্চ/স্টিমার যোগে মগনামা ঘাট হয়ে পেকুয়া উপজেলায় যাওয়া যায়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • মগনামা ঘাট মগনামা ইউনিয়নে অবস্থিত। চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল থেকে মটরগাড়ী যোগে যাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরিঙ্গিবাজার থেকে লঞ্চ/স্টিমার যোগে যাওয়া যায়।
  • উপজেলা শহীদ মিনার পেকুয়া চৌমহনী থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।

এছাড়াও এ উপজেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • বনকানন (টৈটং)
  • বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিস

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

চকরিয়া পৌরসভার নিকটবর্তী হওয়ায় পৌরসভা এলাকার যে কোন হোটেলে সুলভ মূল্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

পেকুয়া চৌমুহনী অথবা চকরিয়া পৌরসভা এলাকার যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খেতে পারেন।