উইকিভ্রমণ থেকে

বর্ধনকুঠি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এক সমইয়ে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ইদ্রাকপুর পরগানার সদর দফতর ছিলো গোবিন্দগঞ্জের এই বর্ধন কুঠিতে। চতুদর্শ শতকের শেষের সময় রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণছিলেন দেব বংশীয় এবং পুণ্ড্রবর্ধনের রাজা পরশুরামেরবংশধর। রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ থেকে আর্যাবর পর্যন্ত এ পর্যন্ত ১৪৪ জন রাজা বর্ধনকুঠি রাজ্যের শাসন করেছেন, পরবর্তীতে রাজা আর্যাবরের পুত্র রাজা ভগবান এবং ভগবান পুত্র রাজা মনোহর বর্ধন কুঠি শাসনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকের সময়ে অর্থাৎ ১৬০১ সালে রাজা আর্যাবরের পুত্র রাজা ভগবান ১৬০১ সালে বর্ধন কুঠির পাশাপাশি রামপুরের বাসুদেব মন্দিরনির্মাণ করেছিলেন, তখন রাজা মানসিংহ বাংলার একজন সুবাদার ছিলেন। ইংরেজদের শাসন আমলে বর্ধন কুঠি জমিদার বাড়ি হিসেবে খ্যাতি পায়। ১৬০৯ সালে রাজা ভগবানের সময়ে সুবাদার ইসলাম খাঁ একজন মানসিংহের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তী ধারাবাহিকভাবে রাজা মনোহরের শিশু পুত্র রঘুনাথের আমলের সময় ১৬৬৯ সালে শাহ্‌ সুজাকে, আওরঙ্গজেবকে ও ১৬৭৫ সালে পুনরায় রঘুনাথের পৌত্র হরিনাথের শাসন কালে প্রবল সার্বভৌম আওরঙ্গজেবকে ক্ষমতার শীর্ষ কেন্দ্র দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। রাজা হরিনাথের প্রপৌত্র রাজা গৌরনাথ কোম্পানির সময়কালে রাজা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। গৌরনাথ ১৭৮১ সালে বর্ধন কুঠিতে তাঁর রাজত্ব চালাতেন। ইংরেজদের ক্ষমতা হিসেবে বেশ খ্যাতি বৃদ্ধির সাথে সাথে বর্ধন কুঠিরের জমিদার পর্যায়ক্রমে রংপুর কালেক্টরেট ও ঘোড়াঘাটকেন্দ্রিক প্রশাসনের অধীনে চলে আসে। ইতিহাসের বিখ্যাত চরিত্র দেবী সিংহের নামে বর্ধন কুঠিতে রক্ষিত সফল রাজাদের নামের তালিকায় যোগ করা হয়েছিল।পলাশীর প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলার পতনের পরবর্তী সময়ে ইংরেজ কর্মকর্তাদের রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবেই হয় এই বর্ধনকুঠিতে।

১৭৯০ সালে দশ-শালা বন্দোবস্তের সময়কালে বর্ধন কুঠির একজন জমিদার বাকি খাজনার দায়ে বেহাত হয়ে যায়। বর্ধন কুঠির সর্বশেষ রাজা শৈলেশ চন্দ্র ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্তির সময় বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতচলে যান।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা হতে অটো বা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন