সুলতান নাসিরউদ্দিন নসরাত শাহ নির্মিত বাঘা মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীনতম মসজিদের মধ্যে একটি। ১৫২৩ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
অবস্থান[সম্পাদনা]
রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাঘা উপজেলায় এই মসজিদ অবস্থিত।
পর্যটন[সম্পাদনা]
মসজিদটি ২৫৬ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। মসজিদটিতে ১০টি গম্বুজ, ৪টি মেহরাব আছে। মসজিদটির গাঁথুনি চুন এবং সুরকি দিয়ে। এছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণের উত্তর পাশেই রয়েছে হজরত শাহদৌলা ও তার পাঁচ সঙ্গীর মাজার। মূলত ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক কারণেই এই মসজিদটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এর স্থাপত্যশৈলী সবাইকে মুগ্ধ করে। এখানে প্রতি বছর প্রচুর লোক সমাগম হয়। বিশেষতঃ সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার অনেক পূণ্যার্থী এখানে আসেন।
যাতায়াত ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
আকাশপথ[সম্পাদনা]
বাঘা মসজিদে যাওয়ার জন্য প্রথমে আকাশপথে রাজশাহীতে আসতে হবে। তারপর রাজশাহী থেকে স্থলপথে এখানে যাওয়া যাবে।
নৌপথ[সম্পাদনা]
দূরবর্তী অঞ্চল থেকে বাঘা মসজিদে নৌপথে আসা যাবে না। তবে নিকটবর্তী এলাকা থেকে পদ্মা নদীতে নৌকায় আসা যাবে। তবে নৌযান সহজলভ্য নয়।
স্থলপথ[সম্পাদনা]
বাঘা মসজিদ ভ্রমণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হলো স্থলপথ। রাজশাহী বা নাটোর শহর থেকে বাঘায় বাস আসা যাবে। তবে কার, মাইক্রো ইত্যাদি গাড়ি ভাড়া করেও যাওয়া যায়।
ঘুরে দেখুন[সম্পাদনা]
সেখান থেকে সিংড়াতে আসতে পারেন,এখানে মনোরম পরিবেশের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল চলন বিল দেখতে পাবেন।
খাবার ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় এখানে উন্নতমানের খাবার পাওয়া যাবে না। তবে স্থানীয় বেশ কিছু রেস্তোরা আছে।
রাত্রিযাপন করুন[সম্পাদনা]
বাঘায় রাত্রিযাপনের জন্য উন্নতমানের আবাসিক হোটেল নেই।