বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
ব্যবহারকারী:RDasgupta2020/খেলাঘর
        
সিওংয়োজাং হাউস

গাংনেউং (강릉,江陵)হল গ্যাংওয়ান প্রদেশের বৃহত্তম উপকূলীয় শহর এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় বৃহত্তম শহর। গাংনেউং দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘতম পর্বতমালা তাইবেক এর পূর্ব দিকে অবস্থিত। তাইবেক পর্বতমালা কোরিয়ান উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্ত বরাবর প্রসারিত এবং পূর্ব সাগর বরাবর বিস্তৃত।


ভৌগোলিক পরিধি ও পরিচিতি

[সম্পাদনা]

দেশের বেশিরভাগ অংশ থেকে ভূতাত্ত্বিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই শহর পূরাতন কাল থেকে তার নিজস্ব স্বতন্ত্র সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে সক্ষম। আজ পর্যন্ত এই অঞ্চল রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতা বজায় রয়েছে। ২০১৮ সালে পিয়ংচাং -এ আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়ার অন্তর্গত যেসকল বরফ ক্রীড়াভিত্তিক খেলার আয়োজন করা হয়েছিল তার অকুস্থল ছিল গাংনেউং।

  • কোরিয়া ভ্রমণ হটলাইন ও অভিযোগ কেন্দ্র, +৮২-২-১৩৩০ ২৪ ঘন্টা খোলা সফর তথ্য, অভিযোগ এবং জরুরী কল ঘোষণার জন্য কোরিয়ান হটলাইন নাম্বার। ইংরেজি, চীনা, জাপানিজ ইত্যাদি ভাষায় বিনামূল্যে পরিষেবা উপলব্ধ।
  • গাংনিউং স্টেশন পর্যটন তথ্য কেন্দ্র, ১৭, ইয়ংজি-রো (ট্রেন স্টেশনে), +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৫৩৪ সকাল নটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি খোলা এখানে ইংরেজি, জাপানি ও চীনা ভাষায় মানচিত্র এবং গাইড বই পাওয়া যায়।
  • টার্মিনাল ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার, হংজে-ডং ৯৯২-৩ (বাস টার্মিনালের পাশে), +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৫৩৭ সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা অবধি পরিষেবা পাওয়া যায়। ইংরেজি, জাপানি ও চীনা ভাষায় মানচিত্র এবং গাইড বই পাওয়া যায়।

যোগাযোগ পথ

[সম্পাদনা]
মানচিত্র
খেলাঘরের মানচিত্র

রেলব্যবস্থা

[সম্পাদনা]
  • গাংনেউং স্টেশন, ৩৯ ইউলগোক-রো এটি কোরাইলের ডং হে লাইনের একটি প্রান্তিক স্টেশন। একটি ট্রেন রয়েছে যা সিওলের চেওংনিয়াংরি স্টেশনের সাথে গাংনেউং -এর সংযোগ স্থাপন করে। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে একটি বৃত্তাকার রেলপথে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌছতে ৬ ঘন্টা সময় নেয়। স্টেশনের সামনে একটি পর্যটক সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। উইকিপিডিয়ায় Gangneung station

দ্রুতগতির ট্রেন

[সম্পাদনা]

কোরিয়ান ট্রেন এক্সপ্রেস (কেটিএক্স) গাংনেউং লাইন এই রেলপথের একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেন যার সর্বোচ্চ গতি ২৫০ কিমি/ঘন্টা। সিওল স্টেশন থেকে গাংনেউং যেতে এই ট্রেন দুই ঘন্টা এবং চেওংনিয়াংনি স্টেশন থেকে গাংনেউং যেতে দেড় ঘন্টা সময় নেয়।

সিউল স্টেশন থেকে এই ট্রেনের ভাড়া ২৭,৬০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা) এবং চেওংনিয়াংনি স্টেশন থেকে ভাড়া ২৬০০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)। যাত্রীরা নির্দিষ্ট দিনের ঠিক এক মাস আগে সকাল ৭ টা থেকে ট্রেন ছাড়ার ঠিক ২০ মিনিট আগে পর্যন্ত স্টেশন থেকে অথবা কোরাইল টক (মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) বা (অফিসিয়াল ওয়েবসাইট) থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারে।

বাস রাস্তা

[সম্পাদনা]
  • গাংনেউং বাস টার্মিনাল, ১৫ হাসিউল্লা-রো এই প্রান্তিক বাস স্টেশনের মাধ্যমে কোরিয়ার সমস্ত বড় শহরের সাথে গাংনেউং -এর সংযোগ স্থাপিত হয়। রাজধানী এলাকায় বসবাসকারী কোরিয়ানদের জন্য গ্রীষ্মকালে গাংনেউং হল একটি জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ছুটির গন্তব্য। ফলস্বরূপ, শুক্রবারে এবং রবিবারে এখানে ভারী যানজট দেখা যায়। গাংনেউং ও সিওলের মধ্যে কেবল একটি সংযোগকারী সড়কপথ আছে। এখানে প্রধান পর্যটন তথ্য কেন্দ্র (টিআইসি) -এর অবস্থান। এছাড়াও এয়ারপোর্ট লিমুজিন সংস্থা দ্বারা পরিচালিত একটি বাস এই টার্মিনাল থেকে ছাড়ে এবং সেটি ইনচিওনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবধি যায়। সেই বাসটি গন্তব্যে পৌছতে চার ঘন্টা সময় নেবে। পথে ছোট জিম্পো বিমানবন্দরেও এই বাস থামে। এই বাসের ভাড়া ৩০,০০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)।

কিভাবে ঘুড়বেন

[সম্পাদনা]

গাংনেউং শহরের কেন্দ্রস্থল খুব বড় এলাকা নয়। হাঁটা পথে ১৫ মিনিটের মধ্যেই শহরের কেন্দ্রস্থল ঘুড়ে ফেলা যায়। শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ট্যাক্সিতে চড়ে অন্যান্য জনপ্রিয় এলাকায় যেতে ১৫ মিনিটেরও কম সময় লাগবে। গাংনেউং-এর বেশিরভাগ রাস্তার নাম এবং দিকনির্দেশ চিহ্ন রয়েছে।

বাসে শহর ভ্রমন

[সম্পাদনা]

শহরের গনপরিবহন হিসাবে বাস ব্যবস্থা বেশ ভালো। বাসের মধ্যে বেশিরভাগ নির্দেশনা ইংরেজিতে লেখা থাকে যা বিদেশি পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক। বাসে শহরের বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য নির্ধারিত ভাড়া হল নগদ ১৩০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)৷ স্থানীয় পরিবহন কার্ডধারী ব্যক্তিরার নিয়মিত ভাড়া থেকে দশ শতাংশ ছাড় পান। পরিবহন কার্ডধারীরা সাধারন বাস, নিয়মিত বাস এবং একটি এক্সপ্রেস সিটি বাসের যেকোন একটিতে একবার বিনামূল্যে যাতায়ত করতে পারে। যদি কেউ বাস বদল করতে চায় তাহলে সেই ব্যাক্তিকে সামনের দরজা বা পিছনের দরজার কাছে অবস্থিত পরিবহন কার্ড টার্মিনালে পরিবহন কার্ড ট্যাগটি দেখাতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া এড়াতে ৪০ মিনিটের মধ্যে অন্য একটি বাস বদল করা যেতে পারে। দুটি ভিন্ন ধরনের পরিবহন কার্ড রয়েছে: প্রিপেইড(আগাম প্রদত্ত) এবং পোস্ট-পেইড(পরবর্তী প্রদত্ত)। প্রিপেইড পরিবহন কার্ড একটি নির্ধারিত কার্ড সেলস (চার্জিং) দোকানে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে কেনা যায়। পোস্টপেইড ট্রান্সপোর্টেশন কার্ডগুলি হল ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলি অথবা ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা এক বিশেষ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড যেগুলিতে বিশেষ পরিবহন পরিষেবা সংযুক্ত রয়েছে৷

ট্যাক্সিতে ভ্রমন

[সম্পাদনা]

গাংনেউং-এ সকল গনপরিবহনের মধ্যে সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক পরিবিহন মাধ্যম হল ট্যাক্সি। গাংনেউং -এ রাস্তার যে কোন জায়গায় একটি ট্যাক্সি ধ্রা যায়। রাস্তার দূরত্ব অনুযায়ী ট্যাক্সির মূল ভাড়া হল ৩৮০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)। মিটারিং ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে ট্যাক্সির মূল ভাড়ার উপর অতিরিক্ত মূল্য আরোপিত হয়। ট্যাক্সি ড্রাইভার নগদ বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রদান ও গ্রহণ করে। কাকাও ট্যাক্সি এবং উবের ট্যাক্সি ইত্যাদি সংস্থা থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করলে তা পর্যটকদের পক্ষে আরও সুবিধাজনক হয়।

দ্রষ্টব্য

[সম্পাদনা]

জিয়াংপো এলাকা

[সম্পাদনা]
ওজুখেওনে "গ্রামের অভিভাবক"
জিয়াংপো জলাভূমি
  • 1 ওজুখেওন হাউস এবং ওজুখেওন পৌর সংগ্রহশালা, ২৪ ইয়ুলগোক-রো ৩১৩৯বেয়ন-গিল (জিয়াংপো বিচ থেকে প্রায় ১ কিমি পশ্চিমে), +৮২ ৩৩-৬৬০-৩৩০১ স্থানীয় এলাকায় জন্মানো এক বিশেষ কালো বাঁশের নামানুসারে এই ভবনটির নামকরণ। এই ভবন বিখ্যাত কোরিয়ান পণ্ডিত ইয়ুলগোক(১৫৩৬-১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দ। তাঁর প্রতিকৃতি ৫০০০ ওন ব্যাঙ্কনোটে প্রদর্শিত হয়) এবং তাঁর মা সাইমদাং (১৫০৪-১৫৫১। খ্রিস্টাব্দ ৫০০০ ওন ব্যাঙ্কনোটে প্রদর্শিত) -এর জন্মস্থান ছিল। ১৯৬৩ সাল থেকে ওজুখেওন জাদুঘরটি জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে গণনা করা হয়। এটি কোরিয়ার প্রাচীনতম কাঠের ভবনগুলির মধ্যে একটি। এখানে বেশ কিছু মন্দির এবং পুরানো আবাসিক ভবন এই কোরিয়ানদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে বিবিধ তথ্য প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে এই ভবনকে গাংনেউং পৌর সংগ্রহশালার সাথে একত্রিত করা হয়। (Q12608061)
  • 2 ওরিয়েন্টাল এমব্রয়ডারি যাদুঘর, ১৪০-১২, জুখেওন-গিল,, +৮২ ৩৩-৬৪০-০৬০০ ওরিয়েন্টাল এমব্রয়ডারি যাদুঘর হল স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও শিল্পকলার একটি বিশিষ্ট সংগ্রহশালা। এখানে দর্শনার্থীরা কোরিয়া, চীন এবং জাপানের ঐতিহ্যবাহী সূচিকর্ম পরিদর্শন করতে পারেন। প্রাচ্যের বিশেষ সূচিকর্ম শিল্পের বৈশিষ্ট্য এবং সুন্দর কারূকাজের জগত অনুভব করতে পারেন। এই সংগ্রহশালা উচ্চ-মানের শৈল্পিক সংগ্রহ পরিদর্শকের মানসিক সংবেদনশীলতা বিকাশ করতে এবং শিল্পকলায় তাদের জ্ঞানকে পরিমার্জিত করতে সহায়তা করে। সাথে সাথে তাদের সৃজনশীল শিক্ষা গ্রহণেও সহায়ক হয়। মানবজাতির সাংস্কৃতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য ও সৃজনশীল শিল্পী, সংস্কৃতি এবং শিল্পে বিশেষজ্ঞ দেশীয় এবং বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে পারস্পরিক বিনিময় এবং সহযোগিতা প্রচারের লক্ষ্যে এই সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
  • 3 সিওংয়োজাং হাউস, ৬৩, উনজেওং-গিল, +৮২ ৩৩-৬৪৮-৫৩০৩ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা অবধি খোলা উচ্চ জোসেন রাজবংশ সমাজের একটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ি। এওই ভবন তার সুন্দর বক্র আকৃতির ছাদের জন্য বিখ্যাত। এই ভবনের ছাদের আকার ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান মোজা এবং হ্যানবোক পোশাকের আকৃতির সাথে সমতুল্য। সিওংয়োজাং-এ জোসেন যুগের পোশাক, পণ্য এবং লোকজ তথ্য প্রদর্শনী আছে।
  • 4 জিয়াংপো জলাভূমি, ৬৭০, উঞ্জেওং-দং। এই অঞ্চলটি জিয়াংপোর কাছে। হ্রদের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং বিস্তৃত জলজ প্রাণীর জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই বিশেষ অঞ্চলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে জিয়াংপোহো হ্রদের লবণাক্ততা হ্রাস করা হয় এবং স্থির জলের মধ্যে প্রবাহ উতপন্ন করা হয়। এখানে জনগনের জন্য একটি উন্মুক্ত চক রয়েছে রয়েছে যেখান থেকে লোকেরা জলাভূমি বাস্তুতন্ত্র পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
  • 5 জিয়াংপোডাই প্যাভিলিয়ন এবং জিয়াংপোহো হ্রদ, ৩৬৫, জিয়াংপো-রো কেউ কেউ বলেন যে এই অঞ্চলের ৮টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সেরা জিয়াংপোডাই প্যাভিলিয়ন। এটি এমন একটি জায়গা যেখানকার পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে চাঁদের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। আকাশ, সমুদ্র, হ্রদ ইত্যাদির সুন্দর দৃশ্যপ্টের সমারোহ এই স্থানে৷ জিয়াংপোহো হ্রদের পরিধি ৪.৩ কিমি, এবং এটি বিশেষ শিলা রয়েছে যার সাথে একটি হৃদয় বিদারক প্রেমের গল্প জড়িত।
  • 6 চার্মসোরি গ্রামোফোন ও এডিসন বৈজ্ঞানিক সংগ্রহশালা, ৩৯৩, জিয়াংপো-রো, +৮২ ৩৩-৬৫৫-১১৩০ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা অবধি খোলা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রামোফোনের সংগ্রহশালা এটি। এই গ্রামোফোন যাদুঘ্রে সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা অনন্য গ্রামোফোনগুলি প্রদর্শিত হয়। জাদুঘরটিতে একটি টিনের সরু পাত থেকে তৈরি বস্তু রয়েছে যা ১৮৭৭ সালে এডিসন দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল। আধুনিক অডিও সিস্টেমের নমুনাও এখানে সংরক্ষন করা আছে। প্রবেশ মূল্য ১৭,০০০ ওন(কোরিয়ান মুদ্রা)।
  • 7 জিয়াংপো সৈকত, সান ১, আনহিয়োন-দং জিয়াংপো সৈকত একটি নিকটবর্তী পাশাপাশি একটি বালুকাময়, দীর্ঘ প্রসারিত সমুদ্র সৈকত। সমুদ্র সৈকতটি পাইন গাছ দ্বারা বেষ্টিত, তাই বেশ আরামদায়ক। বিখ্যাত জিয়াংপোডাই এই সৈকতের অন্তর্ভুক্ত যা এই অঞ্চলের ৮টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সেরা। তুলনামূলকভাবে অগভীর জল, সাদা বালুকাময় সৈকত এবং নিখুঁত জলের তাপমাত্রার কারণে এটিকে পূর্ব উপকূলের সেরা সৈকতগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
  • 8 হিও গিউন এবং হিও নানসিওলহিওন মেমোরিয়াল পার্ক, ১-২৯, নানসিওলহিওন-রো ১৯৩বেয়ন-গিল, +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৭৯৮ প্রত্যহ মঙ্গল থেকে রবিবার, সাকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি খোলা থাকে। সোমবার বন্ধ থাকে। এটি একটি স্মৃতি উদ্যান যেখানে জোসেন রাজবংশের কবি হিও নানসিওলহিওন (১৫৬৩-১৫৮৯) -এর প্রাক্তন বাড়ি আছে। এছাড়াও এখানে হং গিলডং জিওন (হং গিলডং -এর কাহিনী) -এর রচয়িতা লেখক হিও জিউনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত একটি স্মৃতিকক্ষ রয়েছে। বাড়িটিকে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। হিও জিওন এবং হিও নানসেওলহিওনের সাহিত্যিক অর্জনকে সম্মান জানানোর জন্য তাদের উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত স্মৃতিকক্ষটিকেও একটি সাংস্কৃতিক স্থান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
  • 9 জিয়াংপো অ্যাকোয়ারিয়াম, +৮২ ৩৩-৬৪৫-৭৮৮৭ প্রত্যহ সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা খুব বেশি বড় না হলেও দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এখানে ক্যাফে এবং ঘুড়ে বেড়ানোর জায়গা রয়েছে। এটি সময় কাটানোর জন্য ভাল জায়গা। প্রবেশমূল্য পূর্ণবয়স্কদের ১৭০০০ ওন, যুবাদের ১৫০০০ ওন, শিশুদের ১৩০০০ ওন
  • 10 আর্ট মিউজিয়াম, নানসিওলহিওন-রো, ১৩১, +৮২ ১৮৯৯-৫০০৮, ইমেইল: প্রত্যহ সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা এই জাদুঘরটি জিয়াংপো লেকের কাছে অবস্থিত। প্রবেশমূল্য পূর্বয়স্কদের জন্য ১৭,০০০ ওন, শিশুদের জন্য ১০,০০০ ওন

জিওংডংজিন এবং ওকগি এলাকা

[সম্পাদনা]
  • 11 গাংনেউং ইউনিফিকেশন পার্ক, ১৭১৫-৩৮, ইউলগোক-রো, +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৪৭০ (ওয়ারশিপ প্যাভিলিয়ন), +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৪৬৯ (প্রদর্শনী হল) এই উদ্যান দুটি অংশে বিভক্ত। জনগনকে জাতীয় নিরাপত্তার অনুভূতি জাগানোর উদ্দেশ্যে এটি নির্মিত হয়েছিল। এতে নিরাপত্তা প্রদর্শনী কক্ষ এবং যুদ্ধজাহাজ প্রদর্শনী আছে। ১৯৯৬ সালের আক্রমণের সময়কার সশস্ত্র গুপ্তচর বহনকারী উত্তর কোরিয়ার এক ডুবোজাহাজ এখানে প্রদর্শনীতে দেখা যায়।
  • 12 হাসল্লা আর্ট ওয়ার্ল্ড, +৮২ ৩৩-৬৪৪-৯৪১১ এটি একটি প্রাকৃতিভাবে নির্মিত ভাস্কর্যের প্রদর্শনী উদ্যান, এক ভাস্কর স্বামী-স্ত্রী যুগল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানে ঘাস, ফুল, গাছ এবং পাথরের টুকরোর দ্বারা শৈল্পিকভাবে গঠিত সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাস্কর্যের প্রদর্শনী রয়েছে। হাসল্লা হল গাংনেউং-এর একটি পুরানো নাম। তার নামেই এই উদ্যানের নামকরণ করা হয়েছে।
  • 13 স্যান্ডগ্লাস পার্ক, জিওংডংজিন-রি, গ্যাংডং-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৫৩৬ স্যান্ডগ্লাস পার্কে বিশ্বের বৃহত্তম স্যান্ডগ্লাস বা বালিঘড়ি রয়েছে। বালিঘড়ির উপরের অংশের যে বালি থেকে তা ক্রমাগত নিচের অংশের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বালি যথাক্রমে ভবিষ্যত এবং বর্তমানের প্রতীক। এই বালিঘড়ির সোনালি রং পূর্ব সাগরের উপরে উদিত সূর্যের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। এই ঘড়ি সম্যের অসীমতাকেও নির্দেশ করে।
  • 14 জেওংডংসিমগোক বাদাবুচাগিল (সৈকত সরনী), +৮২ ৩৩-৬৪১-৯৪৪৪ (জিওংডং টিকেটিং অফিস), +৮২ ৩৩-৬৪১- ৯৪৪৫ (সিমগক টিকেটিং অফিস) এটি কোরিয়ার এক উপকূলীয় সোপান। এখানে ২৩ মিলিয়ন বছর আগে ভৌগোলিকভাবে ঘটিত হওয়া এক ভূত্বক আন্দোলন, যার মাধ্যমে পূর্ব সাগরের জন্ম হয়েছিল, তার চিহ্ন বর্তমান। এই স্থানকে প্রাকৃতিক স্মারক হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।
  • 15 হেওনহওয়া সড়ক, গ্যাংডং-মিওন, হেওনহওয়া-রো, +৮২ ৩৩-৬৪০-৪৪১৪ হেওনহওয়া সড়ক হল একটি মনোমুগ্ধকর রাস্তা যার সাথে সিলা যুগের গাংনেউংতায়েসু সুনজেওংগং এবং তার স্ত্রী সুরোর গল্প জড়িত। জলের দেবতা সুরোকে আচ্ছন্ন করেছিলেন কারণ তিনি তার সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি কিংবদন্তি কাহিনীর সাথে এই সড়ক জড়িত। এই গল্পগুলি সামগুক ইউসা (তিন রাজ্যের স্মারক) -এ হেগা এবং হিওনহওয়াগা শিরোনামে বর্ণিত হয়েছে।

ডেগওয়ালিয়ং এলাকা

[সম্পাদনা]
  • 16 পুরাতন ডেগওয়ালিয়ং সড়ক, ইওহেউল-রি, সিওংসান-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৪০-৮৫২০ ডেগওয়ালিওং বায়েকদুডাইগান পর্বতমালার কেন্দ্রে অবস্থিত এই সড়ক যাকে কোরিয়ান উপদ্বীপের মেরুদন্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যা গাংনেউং-এর সাথে পিয়ংচ্যাং, ওনজু এবং সিওলের যোগাযোগ স্থাপন করে। এই সড়ক এখনো আদিম প্রাকৃতিক পরিবেশ এখনও তার সৌন্দর্য দিয়ে ভ্রমণকারীদের মোহিত করে।
  • 17 ডেগওয়ালিয়ং সংগ্রহশালা, ৩৭৪-৩, ইওহেউল-রি, সিওংসান-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৬০-৩৮৩০ সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা হং গুই-সুক গাংনেউংকে এই যাদুঘর এবং তার আজীবনের সংগ্রহের প্রায় ২০০০ উপজাতীয় নিদর্শন দান করেছিলেন। প্রাগৈতিহাসিক সময়কাল থেকে আধুনিক সময়কালের প্রাচীন নিদর্শন প্রদর্শিত হয় এখানে।
  • 18 ডেগওয়ালিয়ং বিনোদনমূলক বন, ১৩৩, সামপোম-গিল সিওংসান-মিওন মঙ্গল বার থেকে শণিবার প্রত্যহ ৯ টা থেকে ৬ টা অবধি খোলা। এটি কোরিয়ার প্রথম প্রাকৃতিক বিনোদনমূলক বন যা ১৯৮৮ সালে ডেগওয়ালিয়ং-এর পাদদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঘন পাইন বন, উপত্যকা, পরিষ্কার জল এবং আকর্ষণীয় পাথরের জন্য এই স্থান পরিচিত। পাইন বনের একটি অংশের নাম আরিয়ামদেউরি, যেখানে ৫০ থেকে ২০০ বছরের পুরানো পাইন গাছ রয়েছে। ১৯২২ এবং ১৯২৬ সালের মধ্যে পাইন বীজ রোপণ করে তৈরি করা হয়েছিল এই বন। শিক্ষামূলক বনভ্রম্নের জন্য এটি আদর্শ স্থান। বন্য ফুলের উদ্যানসহ অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। বন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার জন্য আদর্শ স্থান এটি।
  • 19 কফি কাপার কফি সংগ্রহশালা, ৮০৬-৫, ওয়াংসান-রি, ওয়াংসান-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৫৫-৬৬৪৪ সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত নটা অবধি খোলা। এই সংগ্রহশালায় কফি ভুনানোর যন্ত্র এবং পেশাই যন্ত্র এবং এসপ্রেসো মেশিন সহ সারা বিশ্বের বিরল কফি-সম্পর্কিত পন্যের সম্ভার রয়েছে। এখানকার কফি কাপার কফি ফার্মে কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক কফি উত্পাদিত হয়েছিল। এখানে কফির ইতিহাস নধিবদ্ধ করা আছে যা পর্যটকরা দেখতে পারে। ৫০০০ ওন প্রবেশমূল্য।
  • 20 আনবন্দেগী গ্রাম, ৪২৮, আনবন্দেওক-গিল, ওয়াংসান-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৫৫-৫১১৯ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১০০ মিটার উচ্চতায অবস্থিত আনবান্দেগি গ্রাম। স্ল্যাশ-এন্ড-বার্ন কৃষকরা চাষের জমির বিকাশের পর এখানে বসতি স্থাপন শুরু করেছিল এবং এভাবেই গ্রামের পত্তন হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে এটি কোরিয়ার আলপাইন এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ সবজি উৎপাদনকারী অঞ্চল। সবুজ সমভূমি এবং হাওয়া কলের সমারোহে এই গ্রামের দৃশ্যপট অত্যন্ত সুন্দর।
  • 21 নোচুসান মোজেওংটাপ পথ, ১৬৮৭-১, দায়েগি-রি, ওয়াংসান-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৪৭-২৫৪০ চা ওক-সান নামক এক মহিলা স্থানীয় এক ব্যক্তিকে বিয়ে করার পর সিওল থেকে গাংনেউং-এ স্থানান্তরিত হন। তার চারটি সন্তান ছিল। একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার ফলে তার দুই সন্তান মারা গেলে, তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একদিন একজন পাহাড়ী দেবতা স্বপ্নে তার সামনে হাজির হন এবং তাকে তার পরিবারে শান্তি আনতে ৩০০০টি পাথর দিয়ে একটি টাওয়ার তৈরি করতে বলেছিলেন। চা ওক-সান ২০১১ সালে এটি সম্পন্ন করেছেন। এখন লোকেরা বিশ্বাস করে যে কেউ যখন এখানে আন্তরিকভাবে একটি ইচ্ছা প্রকাশ করবেন, তখন তা পূরন হবে।

জুমুনজিন এলাকা

[সম্পাদনা]
  • 22 জুমুনজিন সামুদ্রিক খাবারের বাজার ( 주문진 수산시장), ৩১২-২৬০, জুমুন-রি, জুমুনজিন-ইউপ, +৮২ ৩৩-৬৬১-৭৩০২ সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা অবধি খোলা জুমুনজিন বন্দরের কাছে সমুদ্র থেকে ধরা তাজা মাছ পাওয়া যায়। জুমুনজিন সামুদ্রিক যাদুঘর ছাড়াও কাছাকাছি শুকনো মাছের দোকান এবং জুমুনজিন হো (কাঁচা মাছ) দেখে আসা যায়। সামুদ্রিক খাবার খাওয়া এবং উপভোগ করার আদর্শ জায়গা।
  • 23 সোগেমগাং ভেড়ার খামার, ৩২১, জিঙ্গোগে-রো, ইয়েংওক-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৬১-৩৩৯৫ এই খামার ইয়েওংওক-মাইয়নের সোজিউমগাং জাংচেওন গ্রামে অবস্থিত। গ্রামের বাসিন্দাদের উদারতা এবং এই অঞ্চলের সুন্দর পাহাড় এবং নদী পর্যটকদের এক অন্যরকম অনুভুতি প্রদান করে। এখানে ভেড়ার খামার দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় খেলায় অংশগ্রহন করা যায় এবং আঞ্চলিক ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগ করা যায়। এটি শিশুদের জন্য একটি প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
  • 24 সোগেমগাং নদী, ৫০০, সোগেমগাং-গিল, ইয়েংগক-মিয়ন, +৮২ ৩৩-৬৬১-৪১৬১ স্বচ্ছ জলপ্রপাত, মনোমুগ্ধকর শিলাকৃতি এবং চমৎকার দৃশ্যের কারণে এই অঞ্চলটিকে ছোট জিউমগাংসান এবং চেওংহাকসান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সোগেমগাং নদীর কাছে পাহাড়ী পথগুলি খুব রুক্ষ নয়, তাই যে কেউ এখানে পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।

শহরের কেন্দ্রস্থল এবং অন্যান্য এলাকায়

[সম্পাদনা]
  • 25 গাংনেউং দায়েডোহোবু সরকারি অফিস, ৬,

ইমেয়ং-রো ১৩১বেওন-গিল, +৮২ ৩৩-৬৪০-৫১১৯ এখানকার জিওনডাইচেওং হলে রাজাদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। এছাড়াও আছে ইমিয়ংগওয়ান হল। জিওনডাইচেওং এর বাম এবং ডান দিকে দুটি ভবনের সমন্বয়ে গঠিত অতিথি অভ্যর্থনা এলাকাটি রাজা তাইজোর রাজত্বকালের উনিশতম বছরে নির্মিত হয়েছিল। এখানকার ভবনগুলি একাধিকবার মেরামত ও পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। ১৯০৮ সালে শেষবার ভেঙে ফেলার আগে স্থানীয় জাপানিদের দ্বারা পরিচালিত একটি সাধারণ উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে এই ভবনটি ব্যবহৃত হত।

  • 26 ওলহওয়া স্ট্রিট, ২১ জিউমসেং-রো এই রাস্তার উপরে একটি রেলপথ ছিল। এই রাস্তার সংলগ্ন উদ্যান এবং খাবারের বাজার অনেক মানুষ পছন্দ করে।
  • 27 সোলহ্যাং আর্বোরেটাম, সান-১৩৫ গুজেওং-মিওন, +৮২ ৩৩-৬৬০-২৩২০ মংগল থেকে রবিবার প্রত্যহ বেলা ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি খোলা। একটি আদিম বন হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে জিউমগাং পাইন গাছ (পিনাস ডেনসিফ্লোরা ইরেক্টা) পাওয়া যায়। এটি গাংনেউং-এর একটি আদিবাসী গাছ প্রজাতি। প্রায় ৭৮.৫ হেক্ট্রের বিস্তৃত এলাকাটি 23টি ভাগে বিভক্ত। প্রায় ২৪০,০০০ গাছপালা এবং ১৩০০ টি প্রজাতি দেখা যায়।
  • 28 গাংনেউং কফি সরনী, ১৭, চাংহে-রো আনমোক সৈকত বরাবর বিস্তৃত কফি সরনী। বিখ্যাত বারিস্তারা এখানে বসতি স্থাপন করে। শান্ত সমুদ্র সৈকত ও কফি ভক্তদের জন্য এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থানে রূপান্তরিত হয়েছে।
  • Surfing, Geumjin Beach, When you take a look at the blue sea of Gangneung and the moderately high waves, you will automatically think of surfing. People in their 20s and 30s are now visiting Geumjin Beach for a surfing experience. There are clubs and numerous travel agencies that rent out surfboards and provide surfing lessons for beginners, so there is no need to worry even if you are new to surfing.
  • Scuba diving, Sageunjin Beach of Gangneung is rising in fame as a hotspot for scuba diving in Korea. With assistance from a team of professional instructors, even first-timers and beginners can have a fun scuba diving experience in the clean sea surrounded by beautiful landscapes.
  • Kiteboarding, Songjeong Beach, Kiteboarding, which will make you as though you are running across the blue sky as you glide over the blue sea, has become a popular marine recreational sporting activity. This is why you can see kiteboarding enthusiasts and club members coming here with their own kiteboarding equipment. Songjeong has hosted the Gangneung Kiteboarding Association Korea Cup six times already, which attests to its status as the ideal place for kiteboarding.
  • Gyeongpo Cherry blossoms Festival held in the mid-April every year, at the whole areas of Gyeongpodae Pavilion, has become the representative festival of the city. The beautiful flowers bloom along the 4.3-km road of Gyeongpoho Lake, with Gyeongpodae Pavilion in the center. Spring flowers such as cherry blossoms, forsythia and narcissus bloom beautifully, with the old trees spreading their branches and blooming flowers. There are various events including Flower Exhibition and Cultural and Artistic Events around the Gyeonpodae Pavilian.
  • Christmas winter festival, held in every December, and visitors can enjoy Christmas tree lighting ceremony, busking, various making experiences, and winter food. There are stores that offer discounts only to festival visitors, and they are held near Anmok Beach.

There are several market places in Gangneung. Gangneung Jung Ang Market, at the center of the city, is the largest one in the area. Jumunjin Fish Market, at the eponymous harbor, is also very popular with tourists as they can see and buy various types of fish, squid and shellfish.

There are two major supermarkets, Homeplus and E-Mart.

  • Cafe Paul&Mary handmade burger
Sun cruise hotel - built to look like a cruise ship

The area code for Gangneung and the rest of Gangwon province is 033.

Pyeongchang, the site of the 2018 Winter Olympics, is approximately 30 km west of Gangneung. There are several ski resorts such as Alpensia Ski Resort, where the opening and closing ceremonies of the 2018 Winter Olympics took place, and Yongpyong Ski Resort which has 31 slopes and 15 different lift facilities.

টেমপ্লেট:Usablecity