অবয়ব
সাহেববাঁধ হল ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী ছোটো জেলা পুরুলিয়ার এক ভ্রমণক্ষেত্র। জেলা শহর পুরুলিয়ার মাঝেই সাহেববাঁধের অবস্থান। সাহেববাঁধ হচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমী, বিশেষ করে পাখিপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য! সাহেববাঁধের মাঝখানে এক ছোট্ট দ্বীপ আছে; যেখানে নিঃশব্দে পা টিপে টিপে গিয়ে (কেননা, পাখিরা ভীষণ লাজুক, একটুও আওয়াজ কিংবা গোলমাল ওদের একদম পছন্দ নয়! এমনকি ধূমপান তো নয়ই!!) চুপচাপ বসে থাকলে দেখতে পাবেন টিয়া, দোয়েল, বুলবুলি, টুনটুনি, বেনেবউ, বসন্তবৌড়ি, পানকৌড়ি, বেগড়ি হাঁস, খড়হাঁস, কাদাখোঁচা, শঙ্খচিল, ডাহুক ইত্যাদি আরও কতশত পাখি আপনার সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসছে দিনভর। শহরের কৃত্রিমতা ছাড়িয়ে সপ্তাহান্তে প্রকৃতির মায়ের কোলে পাখিদের কলকাকলিতে হারিয়ে যাওয়ার আদর্শ জায়গা হল সাহেববাঁধ।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]- কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে দিনের/রাতের ট্রেনে খড়্গপুর, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া হয়ে পুরুলিয়া শহর।
- কলকাতা থেকে দিনে/রাতে সাধারণ/বাতানুকূল বাসে আরামবাগ, জয়পুর, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া হয়ে পুরুলিয়া শহর।
- কলকাতা থেকে নিজের গাড়িতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দুর্গাপুর, বাঁকুড়া হয়ে পুরুলিয়া শহর আনুমানিক তিনশো কিলোমিটার পথ।
কোথায় থাকবেন?
[সম্পাদনা]- সরকারি আবাসের বুকিং কলকাতার বিবাদী বাগের ট্যুরিস্ট ব্যুরো থেকে করা যায়।
- ছোটো শহর পুরুলিয়ার কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের কাছে 'হোটেল ওয়েসিস', 'হোটেল সম্রাট' এবং আরও বেসরকারি হোটেল আছে, সবই কাছাকাছি।
কোথায় খাবেন?
[সম্পাদনা]- পুরুলিয়া শহরে 'হোটেল ওয়সিস'-এর মতো অনেক খাওয়ার হোটেল আছে, যেখানে বাঙালি খানার সঙ্গে সব ধরনের খাবারই খাওয়া যায়।