বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
স্পেনের জাতীয় পতাকা

স্পেন

[সম্পাদনা]

স্পেন (España) দক্ষিণ ইউরোপের আইবেরিয়ান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি মনোমুগ্ধকর দেশ। এখানে আছে ঐতিহাসিক নগরী, বিশ্ববিখ্যাত শিল্পকলা, চমৎকার সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি গ্রাম, এবং প্রাণবন্ত উৎসব।


ভূমিকা

[সম্পাদনা]

স্পেন একদিকে ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়া আর অন্যদিকে আটলান্টিক মহাসাগরের ঠাণ্ডা হাওয়া – দুটোরই মিলনস্থল। মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, সেভিয়া, ভ্যালেন্সিয়া, বিলবাও সহ প্রতিটি শহরেই আছে নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য। ফ্লামেঙ্কো নাচ, টাপাস খাবার, এবং ফুটবল এখানে জীবনের অঙ্গ।

বার্সেলোনার সাগরাদা ফামিলিয়া

অঞ্চলসমূহ

[সম্পাদনা]

স্পেনকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ভাগ করা যায়:

শহরসমূহ

[সম্পাদনা]

প্রবেশ

[সম্পাদনা]
বিমানযোগে
মাদ্রিদ (Barajas) ও বার্সেলোনা (El Prat) প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
রেলযোগে
ফ্রান্স ও পর্তুগাল থেকে উচ্চগতির ট্রেন (AVE) দ্বারা আসা যায়।
বাস/সড়কপথে
ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস পরিষেবা রয়েছে।
গ্রানাডার আলহাম্ব্রা

ঘোরাঘুরি

[সম্পাদনা]

স্পেনের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য:

  • উচ্চগতির ট্রেন (AVE) – দ্রুত ও আরামদায়ক।
  • অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট – ক্যানারি ও বালিয়ার দ্বীপপুঞ্জে যাতায়াতের জন্য।
  • বাস – সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্রমণ উপায়।
  • গাড়ি ভাড়া – গ্রামীণ এলাকা ভ্রমণের জন্য সুবিধাজনক।

করণীয়

[সম্পাদনা]
  • ফ্লামেঙ্কো নৃত্য উপভোগ।
  • লা লিগা ফুটবল ম্যাচ দেখা (বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদ)।
  • পাইয়েলা ও টাপাস খাওয়া।
  • কোস্টা দেল সল-এর সৈকতে বিশ্রাম।
  • পাম্পলোনায় “রানিং অব দ্য বুলস” উৎসবে অংশগ্রহণ।
  • পিরেনিজ পর্বতে হাইকিং।
ভ্যালেন্সিয়ার পাইয়েলা

খাবার

[সম্পাদনা]
  • পাইয়েলা – ভ্যালেন্সিয়ার বিশেষ ভাতের পদ।
  • টাপাস – ছোট ছোট স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার।
  • চুরোস কন চকোলাতে – মিষ্টান্ন।
  • জামন ইবেরিকো – বিখ্যাত শুকরের মাংস।
  • সাঙ্গরিয়া – জনপ্রিয় ফল মেশানো পানীয়।

থাকার ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে সস্তা হোস্টেল পাওয়া যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে কটেজ ও অতিথিশালা জনপ্রিয়। Airbnb ও বুকিং সাইটগুলোতে সহজেই বুক করা যায়।

স্পেনের সরকারি ভাষা স্প্যানিশ (Castellano)। এছাড়াও কাতালান, বাস্ক, গালিশিয়ান প্রাদেশিক ভাষা প্রচলিত। ইংরেজি পর্যটন এলাকায় মোটামুটি বোঝা যায়।

নিরাপত্তা

[সম্পাদনা]
  • পকেটমারির প্রবণতা পর্যটন এলাকায় বেশি (বিশেষ করে বার্সেলোনা)।
  • পাবলিক ট্রান্সপোর্টে সতর্ক থাকা উচিত।
  • স্থানীয় জরুরি নাম্বার: ১১২

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]