
স্পেন
[সম্পাদনা]স্পেন (España) দক্ষিণ ইউরোপের আইবেরিয়ান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি মনোমুগ্ধকর দেশ। এখানে আছে ঐতিহাসিক নগরী, বিশ্ববিখ্যাত শিল্পকলা, চমৎকার সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি গ্রাম, এবং প্রাণবন্ত উৎসব।
ভূমিকা
[সম্পাদনা]স্পেন একদিকে ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়া আর অন্যদিকে আটলান্টিক মহাসাগরের ঠাণ্ডা হাওয়া – দুটোরই মিলনস্থল। মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, সেভিয়া, ভ্যালেন্সিয়া, বিলবাও সহ প্রতিটি শহরেই আছে নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য। ফ্লামেঙ্কো নাচ, টাপাস খাবার, এবং ফুটবল এখানে জীবনের অঙ্গ।

অঞ্চলসমূহ
[সম্পাদনা]স্পেনকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ভাগ করা যায়:
- মাদ্রিদ – রাজধানী শহর, শিল্পকলা ও জাদুঘরের ভান্ডার।
- কাতালোনিয়া – বার্সেলোনা ও কোস্টা ব্রাভার জন্য বিখ্যাত।
- আন্দালুসিয়া – ফ্লামেঙ্কো, মুরিশ স্থাপত্য, গ্রানাডার আলহাম্ব্রা।
- বাস্ক দেশ – অনন্য সংস্কৃতি, বিলবাও শহর ও গুগেনহাইম জাদুঘর।
- ভ্যালেন্সিয়া – সমুদ্রতট, উৎসব (Las Fallas) ও পাইয়েলা খাবারের জন্মভূমি।
- গালিসিয়া – সবুজ প্রকৃতি, আটলান্টিক উপকূল, সান্তিয়াগো দে কমপোস্তেলা।
- কানারি দ্বীপপুঞ্জ – আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জ।
- বালিয়ার দ্বীপপুঞ্জ – মায়োর্কা, ইবিজা, মেনোর্কা, পার্টি ও সৈকতের স্বর্গ।
শহরসমূহ
[সম্পাদনা]- মাদ্রিদ – রয়্যাল প্যালেস ও প্রাডো জাদুঘর।
- বার্সেলোনা – গাউদির শিল্পকর্ম, সাগরাদা ফামিলিয়া ও লা রামব্লা।
- সেভিয়া – আলকাজার, ক্যাথেড্রাল, ফ্লামেঙ্কো নাচ।
- গ্রানাডা – আলহাম্ব্রা দুর্গ।
- বিলবাও – আধুনিক শিল্পকলা কেন্দ্র।
- ভ্যালেন্সিয়া – সিটি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস।
- সান্তিয়াগো দে কমপোস্তেলা – তীর্থযাত্রার শেষ গন্তব্য।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]- বিমানযোগে
- মাদ্রিদ (Barajas) ও বার্সেলোনা (El Prat) প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
- রেলযোগে
- ফ্রান্স ও পর্তুগাল থেকে উচ্চগতির ট্রেন (AVE) দ্বারা আসা যায়।
- বাস/সড়কপথে
- ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস পরিষেবা রয়েছে।

ঘোরাঘুরি
[সম্পাদনা]স্পেনের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য:
- উচ্চগতির ট্রেন (AVE) – দ্রুত ও আরামদায়ক।
- অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট – ক্যানারি ও বালিয়ার দ্বীপপুঞ্জে যাতায়াতের জন্য।
- বাস – সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্রমণ উপায়।
- গাড়ি ভাড়া – গ্রামীণ এলাকা ভ্রমণের জন্য সুবিধাজনক।
করণীয়
[সম্পাদনা]- ফ্লামেঙ্কো নৃত্য উপভোগ।
- লা লিগা ফুটবল ম্যাচ দেখা (বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদ)।
- পাইয়েলা ও টাপাস খাওয়া।
- কোস্টা দেল সল-এর সৈকতে বিশ্রাম।
- পাম্পলোনায় “রানিং অব দ্য বুলস” উৎসবে অংশগ্রহণ।
- পিরেনিজ পর্বতে হাইকিং।

খাবার
[সম্পাদনা]- পাইয়েলা – ভ্যালেন্সিয়ার বিশেষ ভাতের পদ।
- টাপাস – ছোট ছোট স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার।
- চুরোস কন চকোলাতে – মিষ্টান্ন।
- জামন ইবেরিকো – বিখ্যাত শুকরের মাংস।
- সাঙ্গরিয়া – জনপ্রিয় ফল মেশানো পানীয়।
থাকার ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে সস্তা হোস্টেল পাওয়া যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে কটেজ ও অতিথিশালা জনপ্রিয়। Airbnb ও বুকিং সাইটগুলোতে সহজেই বুক করা যায়।
ভাষা
[সম্পাদনা]স্পেনের সরকারি ভাষা স্প্যানিশ (Castellano)। এছাড়াও কাতালান, বাস্ক, গালিশিয়ান প্রাদেশিক ভাষা প্রচলিত। ইংরেজি পর্যটন এলাকায় মোটামুটি বোঝা যায়।
নিরাপত্তা
[সম্পাদনা]- পকেটমারির প্রবণতা পর্যটন এলাকায় বেশি (বিশেষ করে বার্সেলোনা)।
- পাবলিক ট্রান্সপোর্টে সতর্ক থাকা উচিত।
- স্থানীয় জরুরি নাম্বার: ১১২