মোটামুটি অপরিচিত এবং সীতাকুণ্ড অঞ্চলের সবচেয়ে লম্বা ট্রেইল। অসাধারন এই ট্রেইল এ ঝরঝরি ঝরনা আছে।ঝরঝরি ঝরনার Upstream এ আছে অনেক দারুণ দারুণ Cascade। কিন্তু ঝরঝরি ঝরনার Upstream বেশ ভালই কঠিন বর্ষার একদম শেষে যাওয়াটাই ভালো।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]ঢাকা থেকে বাসে/ট্রেনে/এয়ারে চট্টগ্রাম চলে যেতে হবে আগে। সেখান থেকে সীতাকুন্ড। সীতাকুন্ড থেকে বাস কিংবা লেগুনাতে ১০ মিনিট লাগবে পন্থিশীলা বাজার। বাজারে গিয়ে লোকাল কাউকে গাইড হিসেবে নিয়ে নিন। এই দিকটাতে সাথে একটা গাইড থাকা ভালো। এতে তার বাড়িতে ব্যাগ রাখা সহ কাপড় পাল্টানোর জন্যও সুবিধা পাবেন।
কিছুদূর যাওয়ার পর রেললাইন পাবেন। রেললাইনে উঠে হাতের বামপাশ বরাবর ৫-৭ মিনিট হাটার পর একটা মাটির রাস্তা পাবেন। সেই রাস্তা ধরে প্রায় ২০ মিনিট পর ঝিরি পথের দেখা পাবেন। এর কিছুক্ষণ পর পাহাড়ে উঠতে হবে। পাহাড়ে উঠার পথটা কিছুটা দেবতা পাহাড়ের মত। এই পথটা একটু ভয়ংঙ্কর। এর পর ৩০ মিনিট হাটার পর পাবেন ঝরঝরির প্রথম ঝর্না এবং আরও ২০ মিনিট পর ২য় ঝর্ণা পাবেন। যেটা সিঁড়ির মত দেখা যায়। এইটুকু রাস্তা যেতে জোঁক, সাপে ভরা পাথুরে পিচ্ছিল পথ অতিক্রম করতে হবে।
এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টা বুনো দুর্গম অন্ধকার পথ হাঁটার পর মানুষ আকৃতির একটা মূর্তির দেখা মিলবে যার উপর ঝর্ণার পানির নীচেই অবস্থিত। ঝর্ণার পানির ভিতর দিয়ে উপরে উঠে যেতে হবে এবং এই ট্রেইলের সবচেয়ে বড় ঝর্নার দেখা পাবেন।
ঝরঝরি ট্রেইল শেষ করতে আসা যাওয়াতে ৫.৩০-৬ ঘণ্টা সময় লাগবে।