উইকিভ্রমণ থেকে

ফ্রুটস ভ্যালি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার এলাকায় অবস্থিত।

অবস্থান[সম্পাদনা]

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহাজীবাজার এলাকায় উঁচু টিলার চূড়ায় স্থাপিত ফ্রুটস ভ্যালি। উপত্যকাটি হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের মালিকানাধীন। গ্যাস ফিল্ড সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে ফ্রুটস ভ্যালি সবার জন্য খুলে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এখানে ঘুরতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে দর্শণার্থীদের।

জানুন[সম্পাদনা]

৫ একর জমির উপর ফ্রুটস ভ্যালিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৩ সালে মূল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের উপ-ব্যবস্থাপক এটিএম নাছিমুজ্জামান ফ্রুটস ভ্যালি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান। সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। মূলতঃ এটি একটি পরিত্যক্ত কূপ। কতিপয় কর্তাব্যক্তি উদ্যোগ নিলেন স্থানটির সদ্ব্যবহার করতে। পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু হলে ২০০৫ সালের ২২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ফ্রুটস ভ্যালি। ১৬০টির মতো দেশি-বিদেশি ফলগাছের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই উপত্যকা।

দেখুন[সম্পাদনা]

উপত্যকাটিকে খুব সুন্দর এবং আকর্ষণীয়ভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। চীনা নির্মাণশৈলী, আপেল, আনারস, আঙ্গুল লতার তোরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো শিশু-কিশোরদের কাছে দারুণ চিত্তাকর্ষক।

বিদেশি ফলগাছের মধ্যে - কফি, রুটি ফল, সবুজ আপেল রয়েছে। পাশাপাশি দেশে প্রায় বিলুপ্ত হতে যাওয়া ডেওয়া, ডেলফল, থৈকর ইত্যাদি গাছ রয়েছে। এছাড়া ভেষজ উদ্ভিদের জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করে পরিচর্যার কাজ চলছে। নিয়মিত নতুন নতুন ফলের গাছ সংযোজন হচ্ছে। নামফলক থেকে জানা যাবে দেশি-বিদেশি প্রখ্যাত ব্যক্তিদের হাতেও প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। ফলের বাগানের মধ্যেই রয়েছে প্যাগোডা আকৃতির প্যাভিলিয়ন। ৭৮টি পাকা সিঁড়ি বেয়ে টিলার উপরে উঠতে হয়। রোপিত বৃক্ষের তালিকা ও বৃক্ষরোপণ সংক্রান্ত বাণী সংবলিত বোর্ড দৃষ্টিগোচর হয়। বাম পাশে ফোয়ারার জন্য তৈরি হ্রদে রয়েছে শাপলা।

উদ্ভিদকূলের পাশাপাশি এখানে ঠাঁই পেয়েছে প্রাণীকূলও। কালিম, টার্কি, চিনে হাঁস, ঘুঘু, ময়না, লাভবার্ড, খরগোশসহ গিনিপিগ আছে।

এখানে পরিবেশবান্ধব কটেজ রয়েছে। সিলেটী বেত, শীতল পাটি, গাছের বাকল ইত্যাদি দিয়ে কটেজটি তৈরী করা হয়েছে। ভিতরে প্রবেশের সাথে সাথেই অদ্ভুত প্রশান্তিতে মন ভরে যাবে। এখান থেকে চারপাশের রাবার বাগান অবলোকন করা যায়।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন